আমার বন্ধুয়া বিহনে -৪

১.
মাঝরাতে ফোন বেজে উঠলো। অন্ধকারে হাতড়ে বালিশের পাশ থেকে মোবাইলটা তুলে কানের পাশে ধরলাম। ওপাশ থেকে একজন বললো, ২৬ তারিখ বান্দরবন যাবি?
সামনা সামনি কথা হয়না দুই বছরের বেশি। কিন্তু দু বছর কেন, দুশো বছর পরে হলেও এই গলার স্বর আমি চিনতে পারবো। যতোদিন পরেই হোক, যতো রাতেই হোক। মিশেল।
একটুও না ভেবে বললাম, যাবো। তুই আসছিস?
আসবো। ২৬ তারিখ বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকায়। রাতের বাসে বান্দরবন। টিকেট কেটে রাখিস। এখন ঘুমা।
মিশেল ফোন রেখে দিল। আমি ফোনটা সামনে এনে সময় দেখলাম। রাত ৩টা। হেসে ঘুম দিলাম।

২৬ তারিখ সত্যি সত্যি মিশেল এসেছিল। বিকেলে নয়। ফ্লাইট লেট হওয়ায় সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গিয়েছিল। তবে আমাদের বাস মিস হয়নি। দশজন মিলে চারদিন বান্দরবন-কক্সবাজার ঘুরে আসলাম। আড়াই বছর ধরে সময়ের অভাবে যাদের একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয় না তাদের সবাইকে মিশেল বান্দরবন ঘুরিয়ে আনলো স্রেফ এক মিনিটের একটা ফোনে।

এটা শুধু মিশেলই পারতো। এখনো পারে।

২.
আমাদের কাছে মিশেল বিখ্যাত তার অদ্ভুত সব আইডিয়ার কারণে। প্রথমবার যখন আমরা সেন্ট মার্টিন ঘুরতে গেলাম তখন মিশেলকে দেখি দ্বীপের লোকজনের কাছে খোঁজ খবর নিচ্ছে, ওখানে প্রতি কাঠা জায়গার দাম কতো, দ্বীপের আয়তন কত বর্গমাইল, এইসব। হাসনাত জিজ্ঞেস করেছিল, তুই কি এখানে জায়গা কেনার প্ল্যান করতেছিস?
আসলে জায়গা না, আমি পুরা দ্বীপটাই কেনার কথা ভাবতেছি। কত হইতে পারে কোন আইডিয়া আছে তোর?
অন্য কেউ হলে হেসে উড়িয়ে দেয়া যেত। মিশেল বলেই আমরা হাসিনি। ওর অনেক টাকা, একারণে নয়। এসব অদ্ভুত আইডিয়া ও সিরিয়াসলি ভাবে। বেশ সিরিয়াসলি। সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পথে সী-ট্রাক না পেয়ে ও একটা ট্রলার কেনার জন্যে দরদাম শুরু করেছিল। দেশে থাকার সময় টেলিভিশনের একটা অনুষ্ঠান পছন্দ হয়নি বলে একবার মাঝরাতে আমাকে ফোন করে বলেছিল, তুই খোজ খবর নে তো, একটা টিভি চ্যানেল দিতে কত টাকা লাগে। ভালো প্রোগ্রাম নিজেদেরই বানাইতে হবে, এই শালারা কিছু পারে না।

৩.
বুয়েটে পড়ার শখ ছিল। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্যে মিনিমাম যে মার্কস লাগে সেটা ওর ছিল না। কিন্তু মিশেল বুয়েটে পড়বেই। কিভাবে? প্রথমে বিদেশি কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবে। সেখানে কয়েক সেমিস্টার পড়ে তারপর ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বুয়েটে আসবে। আমরা দারুণ মজা পেয়েছিলাম তার আইডিয়াটা শুনে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য অন্য অনেক আইডিয়ার মত এটাও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি বেচারা। আঙ্কেল-আন্টি একমাত্র ছেলেকে একা বিদেশ পাঠাবেন না।

৪.
ভীষন একগুয়ে ছিল। ক্যাডেট কলেজে আমরা যাদেরকে বলি ঘাউড়া। সম্ভবত ক্লাস টেনে একবার ডাইনিং হল প্রিফেক্ট ওকে দাঁড়াতে বললেন। অপরাধ ও খাওয়ার সময় কথা বলছিল। আসলে মিশেল অন্য কিছু বলেনি। আনারস খাওয়ার জন্যে লবন চেয়েছিল। সুতরাং প্রিফেক্টের ‘ স্ট্যান্ড আপ’ চিৎকার শোনার পরেও ও দাঁড়ালো না। শাউটে কাজ হচ্ছে না দেখে প্রিফেক্ট সাহেব নিজেই নেমে আসলেন হাই টেবিল থেকে। মিশেল তবু দাঁড়ায় না। চুপচাপ আনারস খেয়ে যায়। তখন কলেজে হুটহাট জুনিয়রের গায়ে হাত তোলা নিষেধ। দুই ব্যাচ সিনিয়র হয়েও তাই ডাইনিং হল প্রিফেক্ট হাত তুলতে পারছেন না তাঁর গায়ে। একে একে আরো কয়েকজন প্রিফেক্ট এসে মিশেলকে ঘিরে ধরলেন। সবাই যা-তা চিৎকার করছে, যা ইচ্ছে গালাগালি করছে। মিশেল তবু দাঁড়ায় না। চুপচাপ আনারস খেয়ে যায়।
আমরা গুনে রেখেছিলাম, সেদিন দশজন প্রিফেক্ট মিলেও মিশেলকে দাঁড় করাতে পারেনি।

পরে ও স্বীকার করেছিল, অন্য কথার জন্যে দাঁড়াতে বললে ও সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়াতো। কিন্তু আনারস খাওয়ার জন্যে লবন চাওয়ায় কেউ যদি ডাইনিং হলে দাঁড় করিয়ে রাখে সেটা অসম্মাঞ্জনক না?

৫.
এমন যে ছেলে, সে যে সিনিয়র আর কলেজ প্রশাসনের কাছে অপ্রিয় হবে তা তো জানা কথাই। মিশেলও অপ্রিয় ছিল। আমাদের ব্যাচে সবচেয়ে বেশি এক্সট্রা ড্রিল ওর। প্রথমে আমরা গুনতাম। পরে এটা এতো স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল যে গোনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সংখ্যাটা যে কলেজ রেকর্ড ছিল তাতে সন্দেহ ছিল না কারো।

এইভাবে সাধারনত কেউ কলেজ লাইফ পুরোটা পার করতে পারে না। তার আগেই আউট হয়ে যায়। মিশেল পার করেছিল। ও আউট হয়েছিল এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসার পর। ক্লাস টুয়েলভে পড়ার সময় আমরা কলেজে আবার ক্যাডেটদের রাজত্ব চালু করেছি। জুনিয়র একজন আউট হয়েছিল বলে একদিন কলেজ অচল করে দিয়েছিলাম। এই অবস্থায় আমাদের ব্যাচের কাউকে আউট করতে কলেজ প্রশাসন সাহস করেনি। কিন্তু পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার পর যখন সার্টিফিকেট আনতে গেলাম তখন জানানো হল মিশেলকে আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুধু গ্যঞ্জামের ভয়ে এতোদিন আমাদের জানানো হয়নি।
ওর অপরাধটাও ছিল বিচিত্র। বোমা মেরে নাকি কলেজের ডাইনিং হল উড়িয়ে দেয়ার প্ল্যান করেছিল মিশেল। বোমসহ হাতে নাতে ধরা পড়েছে।
আসলে ওগুলো বোমা ছিল না। ছিল চকলেট বাজি। মিশেল কলেজে এনেছিল আমাদের ব্যাচের বর্ষপূর্তি পালনের জন্যে।

৬.
এই ছেলেটা একদিন বলা নেই, কওয়া নেই মালেশিয়া চলে গেল। একা নয়, আন্টি-আঙ্কেল সহ মিশেলের পুরো পরিবার স্থায়ীভাবে সেটেল হয়ে গেলেন মালেশিয়ায়। যাবো না, যাবো না করে মিশেল মুখে ফেনা তুলে ফেল্লো। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মেজর (অবঃ) হাবিব ও তাঁর সহধর্মিনী আমাদের কাছ থেকে দারুণ এক বন্ধুকে ছিনিয়ে নিলেন। এতো রাগ হয়েছিল, ও যেদিন চলে যায়, আমরা কেউ বিদায় দিতে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাইনি।
এতোই রাগ, এতোই কষ্ট।

৭.
মিশেল এখন মালেশিয়ায় বাবার ব্যবসা দেখে। চেইন রেস্টুরেন্ট, হাবিজাবি, কত কী! কিন্তু আমি জানি ও ভালো নেই। আমাদের ছাড়া মিশেল ভালো থাকতে পারে না। যেমন আমরা পারিনা ওকে ছাড়া।
অনেকদিন পর পর মাঝ রাতে ফোন আসে। ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে, নেক্সট ওয়ার্ল্ড কাপটা ব্রাজিলে গিয়ে দেখলে কেমন হয়? মারাকানা স্টেডিয়ামে, বিকিনি পড়া কয়েকটা ব্রাজিলিয়ান মেয়ে পাশে নিয়ে?
আমি হেসে দেই, বিয়ার লাগবে মামা, খালি মেয়েতে হবে না। এক হাতে বিয়ার, অন্য হাতে মেয়ে।
-ও ক্কে , দ্যান লেটস ডু ইট।

ফোন রাখার পর আমার শুধু বারবার মনে হয়, হেতাক তুরে মানাইছে না রে, ইক্কেবারে মানাইছে না রে….

৬,৬৭১ বার দেখা হয়েছে

৬৪ টি মন্তব্য : “আমার বন্ধুয়া বিহনে -৪”

  1. রকিব (০১-০৭)

    মিশেল ভাইরে ধইরা বাইন্ধা নিয়ে আসেন 🙁 ।
    অফটপিকঃ এভাবে বন্ধুদের নিয়ে যে লিখতে পারে তার সম্বন্ধে বোধহয় তেমন কিছু বলার থাকে না। :just: :salute:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    এপ্রিলে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় কামরুল ভাইয়ের কাছ থেকে মিশেল ভাইয়ের ফোন নম্বর নিয়ে গিয়েছিলাম।মালয়েশিয়া গিয়ে উনার সাথে ফোনে যোগাযোগ করি-জীবনেও সামনাসামনি কথা হয়নি এরকম একজন মানুষ পুরো শিশুদের মত হয়ে গিয়েছিলেন আমি মালয়শিয়ায় শুনে।দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিশেল ভাইয়ের সাথে দেখা করতে পারিনি,তবে বাংলাদেশে চলে আসার দিন রাত চারটায় আমাদের ফ্লাইট শুনে উনি বলেছিলেন রাত দুটায় উনি যেভাবেই হোক আমাদের হোটেলে চলে আসবেন!

    কামরুল ভাই, রকিবের সাথে সুর মিলিয়ে বলি-নিজের বন্ধুকে নিয়ে এরকম অসাধারণ লেখা লিখতে অনেক অনেক বড় মনের প্রয়োজন।এই লেখা পড়ার পর সমূহ সম্ভাবনা আছে মিশেল ভাই সবকিছু ছেড়ে-ছুড়ে বাংলাদেশে চলে আসবেন!

    অফ টপিক- মালয়েশিয়াতে মেহেদী সুমন ভাই আর স্বপ্নচারী মইনুল ভাই প্রায় শ-খানেক মাইলের দুরত্ব পেরিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।সিসিবির মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের দারুণ একটা গেটটুগেদারও হয়েছিলো পেট্রোনাস টাওয়ারের ভেতরে।সে গল্প আরেকদিনের জন্য রেখে দিলাম!

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    রকিব, মাস্ফুর সাথে সুর মিলিয়ে বলি-আপনার মতন বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার... :dreamy:
    এক ইন্টেকের এদিক-ওদিক হওয়ায় একটুর জন্য আপনার বন্ধু হইতে পারি নাই...তয় এটলিস্ট ফেইস বুকিশ বন্ধুত্ব আছে এইটা ভেবেই গর্ব হচ্ছে... B-)

    মিশেলদা, আপনি সিসিবিতে অনিয়মিত হইলেন ক্যান??? 😡


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. আন্দালিব (৯৬-০২)

    ইশ, সকাল সকাল মনডা গ্লুমি গ্লুমি হয়া গেলো!

    লেখাটার মাঝে কিছু একটা আছে, আপনার পুরানো দিনের লেখার মতোন সুবাস পাইতেছি। আলগাচালে কথা বলতে বলতে হুট করে মন খারাপ করিয়ে দেন। এই পুরানো স্টাইলটা আমার বেদিক ভালো লাগে!

    মিশেল ভাই আর আপনার ব্রাজিলে গিয়ে খেলা দেখা হউক। পরে আবার এইবারের মতন ছবি আপলোডায়েন। 😀

    জবাব দিন
    • মিশেল (৯৪-০০)

      কিরে আন্দা কেমন আছিস? ব্রাজিলে গিয়ে খেলা দেখার ইচ্ছা আমার কোনো কালেই ছিল না। যেই দেশের মানুষ হলুদ গেঞ্জির সাথে কট কইট্টা নিল কালারের প্যান্ট পরে, সেই দেশে আর যাই হোক ফুটবল দেখার ইচ্ছা আমার নাই। তবে হ্যা, আমাজোন-এ ১ মাসের একটা টু্র দেয়ার ইচ্ছা আছে 😀

      জবাব দিন
  5. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    মিশেল ভাইরে কলেজ আউট করার জন্য বোমা কেসে ফাঁসানোর আইডিয়া যাঁর মাথা থেইকা বাইর হইছিলো তাঁরে সুযোগ থাকলে "গুরু,তুসি গ্রেট হো-তওফা কবুল কারো" স্টাইলে কদমবুচি কইরা আসতাম... =))

    জবাব দিন
  6. তানভীর (১৯৯৫-২০০১)

    এক সপ্তাহ ধরে অফিসের বোরিং ট্রেইনিং চলতেছে, খালি খাওয়ার টাইমটাতে কিছুটা সুখি সুখি ভাব আসে, অন্য সময়গুলাতে মনে হয় ট্রেইনারকে ধরে কিলাই। :gulli2: সবাই যার পর নাই বিরক্ত। :chup: এমন পরিস্থিতিতে বহুতদিন পরে আজ সিসিবিতে ঢুক্লাম।
    কাম্রুল ভাই, অনেক ভালো লাগলো লিখাটা পড়ে। নিয়মিত লিখেন মিয়া! 😀

    জবাব দিন
  7. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    কতটা যে ভাল লাগছে লিখায় প্রকাশ করা কঠিন । লাকিলি এই পোলাটারে আমি সামনাসামনি দেখছি আড্ডাবাজি করছি, এইটা ভেবেও ভাল্লাগতেছে । এইবার দেশে যাবার সময় মালয়শিয়া ঘুরে যাব কিনা ভাবতেছি ।

    জবাব দিন
  8. সাইফ (৯৪-০০)

    মিশেলের সাথে একবার দেখা হইছে।সিলেটের সব পোলাপাইনের সাথে দেখা হইছে কম বেশি,তবে সিলেটের কাম্রুল,মাসুদ,শান্ত,নাসির,শোয়েব ,রাসে্‌ল,পলাশ্‌,জ্যাক,সনেট,সাকী এদের মত বন্ধুদের পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।মিশেলের গল্প শুনেই ওর প্রতিও আমার গর্ব ও শ্রদ্ধা জন্মে গেছে।সিলেটের বন্ধুদের পেয়ে আমি সারাক্ষন ই মনে করেছি আমিও যেন ওদের সাথেই ছিলাম।কুমিল্লার বন্ধুরা আবার মাইন্ড খাইস না।নিজের কলেজের সমপর্কে আলাদা করে বলতে হবে না। =))
    কাম্রুল, মিশেল আবার দেশে আসলে জানাইস।ওর সাথে গিয়া বুক মিলাইয়া আসুম নে ,চুটাইয়া আড্ডাও দিমু।

    জবাব দিন
  9. মিশেল (৯৪-০০)

    কেইম, শেষ পর্যন্ত আবারও আমাকে সিসিবিতে নিয়ে আসলি। অনেক কষ্টে নেশাটা ছাড়ছিলাম। কিন্তু বোধহয় ঠিকই আছে। কিছু কিছু নেশা না করাটা মানসিক স্বাস্হ্যের জন্য খারাপ। 🙂

    জবাব দিন
  10. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    মিশেল এর সাথে ১ম দেখা আই ইউ বিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে। তারপর এক সাথে ভার্সিটি লাইফ, অনেক কোর্স। সেই সব লিখতে গেলে আরেকটা লেখা দিতে হবে।
    কিছুদিন আগে মালয়েশিয়াতে গিয়েই ফোন দিলাম। তারপর ২ দিন দেখা করায় ওর উপর মেজাজ খারাপ হয়েছিলো। তারপর একদিন রাত ১৩০ এ ফোন। বললো কই তুই দেখা করবো। আমি ভাবলাম ফাইজলামি করতেছে। কারন ও থাকে আরেক শহরে। যেইটা কুয়ালালামপুর থেকে অনেক দূরে। বললাম, অমুক জায়গায় আছি। বলে আচ্ছা। ঠিকই দেখি রাত ৩টার দিকে হাজির। আমি তো অবাক। আরো অবাক করে দিয়ে বললো চল লং ড্রাইভ দেই। এবং ঠিকই ১ ঘন্টা ড্রাইভ দিয়ে আমরা আরেক শহর পুত্রজায়াতে গেলাম। সেখানে মিশেল বললো "চল প্রধান মন্ত্রীর বাসার সামনে আড্ডা দেই"। ঠিকই ও গাড়ি পার্ক করলো একেবারে উনার বাসার সামনে। ওখানে অনেকক্ষন আড্ডা। তারপর ভোর ৬টায় পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে আমাকে আবার কুয়ালালামপুর এ নামিয়ে তারপর বাসায় গেলো। আহ সেই দিনের আড্ডা। আমি , মিশেল আর মুক্তাদির (৯৪-০০, ককক)।

    প্রধান মন্ত্রীর বাসার সামনে আমরা

    জবাব দিন
  11. সিরাজ (৯৪-০০)

    কেম বরাবরের মতই চরম লেখা

    আমি কিন্তু থাইলেন্ড যাবার প্লান করছি এই বৎস্ র এর শেষ দিকে...।মিশলরে সংগে নিয়া...।
    তোরা কে কে যাবি বল...।।
    :just: ফ্রেন্ড এর খোজে......। 😛 😛 😛

    জবাব দিন
  12. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আহারে, দুনিয়াতে যখন আসলামই তবে কেন কাম্রুল ভাইয়ের বন্ধু হয়া জন্মাইলাম না। তাইলে হয়তো কোনদিন কাম্রুল আমারে নিয়াও এমন একটা ব্লগ লিখতো

    মিশেল ভাইরে চোখে না দেখে, তার গল্প শুনেই তো ফ্যান হয়া গেলাম 😀


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  13. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    কামরুলের তো ভরা মৌসুম চলতাছে মনে হয়! লেখাটা দারুণ হয়েছে। জীবনের সেরা সম্পদ আসলে "এফ এন এফ"। উদ্ধৃত মন্তব্য আমার না, হানিফ ইকবাল ভাইয়ের। আমার ফেসবুকে করেছিলেন।

    মিশেল আর তুমি এবং তোমাদের সব বন্ধুদের জন্য শুভ কামনা। ভালো থেকো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  14. শাওন (৯৫-০১)

    @কামরূল ভাই,
    আমিও ব্রাজিল জাইতে চাই......আমারেও নিয়া লন ভাই...।


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।