ঝালমুড়ি

ব্লগ লিখতে খুব আলসেমি লাগছে। কিন্তু কিছুদিন পরপর সিসিবিতে কিছু না দিলে এখন কিরম কিরম জানি লাগে। তাই ফাঁকিবাজি ।
নিতান্তই টাইম পাস করার জন্যে কিছু জোকস। বেশির ভাগই আহসান হাবীবের ‘জোকস সমগ্র’ থেকে নেয়া। কিছু অন্তর্জাল থেকে কপি-পেস্ট করা।
কিছু একেবারে সাদামাটা। কিছু আবার হালকা সেইরকম।
________
১.
ফকির – বাবা আমারে ১০টা টাকা দেন চা খাব।
ভদ্রলোক – চা খেতে তো ৫টাকা লাগে, তুমি ১০ টাকা চাচ্চ কেন?
ফকির – গার্ল ফ্রেন্ড-রে নিয়া খামু।
ভদ্রলোক – ফকির হইয়াও গার্ল ফ্রেন্ড বানাইয়া ফেলছ।
ফকির – না গার্ল ফ্রেন্ড-ই আমারে ফকির বানাইছে।
২.

দুই ভদ্রলোক আলাপ করছেন। এক পর্যায়ে একজন জিজ্ঞাসা করলেন,
-তা ভাই আপনি কি করেন?
-জ্বি আমি জেনারেল সাপ্লায়ার্স। এ কথা শুনে দ্বিতীয় ভদ্রলোক মহা উৎসাহে বললেন,
-বাব্বা! আপনি তো ভাই অনারেবল একটা পেশায় আছেন, যাকে বলে রীতিমত ইর্ষনীয় আর কি! ভাইরে একটা প্রশ্ন করতে চাই, যদি কিছু মনে না করেন।
প্রথম ভদ্রলোক একটু অবাক হলেন। তারপরও যতোটুকু সম্ভব, স্বাভাবিক ভাব বজায় রেখে বললেন,
-করুন, প্রশ্ন টা কি করুন?
-না ভাই আমি জানতে চাই, আপনি যে জেনারেল সাপ্লাই করেন, তা ওত জেনারেল পান কোথায়!
৩.
স্ত্রীর রান্না ভাল না, তাই স্বামী স্ত্রী কে খোটা দিচ্ছে:
স্বামী : তোমার পারফর্মেন্স একটু ভাল হলে আমি বাবুর্চি কে ছাড়িয়ে দিতাম।
স্বামীর খোটা শুনে স্ত্রী রেগে গেছে, মুখ ঝামটা দিয়ে বলছে:
স্ত্রী : আর তোমার পারফর্মেন্স একরত্তিও ভাল হলে আমি বাবুর্চি, মালী, ড্রাইভার, দারোয়ান এদের সবাইকে ছাড়িয়ে দিতাম ।
৪.
এক আইনজীবি এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রিকে তার বাড়ির কিছু কাজের জন্য ডেকে আনল। ১ঘন্টা পর যখন কাজ শেষে যখন ঐ আইনজীবি জিজ্ঞাসা করল কত টাকা বিল হয়েছে, তখন ঐ ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি উত্তর করল, ১,৫০০ টাকা।
আইনজীবির তো মাথায় হাত, বললেন, আরে মিয়া আমি তো ৫ঘন্টা কাজ করলেও এই টাকা পাইনা। আর তুমি কিনা এক ঘন্টাতেই এত টাকা নিয়ে যাবা?
এই শুনে মিস্ত্রিটি বলল, আমি যখন আইনজীবি ছিলাম তখন আমিও পেতাম না। কিন্তু এখন পাই।
৫.
একদল লোক একটি বিমান ছিনতাই করল এবং পরে দেখ গেল যে ঐ বিমানের সকল যাত্রীই আইনজীবী। এই দেখে ঐ সন্ত্রাসীরা তাদের দাবীদাওয়ার সাথে লিখে দিল যে আমাদের দাবী যদি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আমরা প্রতি ঘন্টায় একজন করে আইনজীবীকে ছেড়ে দিব।
৬.
একদিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, “ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে।”
ডাক্তার বললেন, “কি রকম?”
রোগী বলল, “আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি”
ডাক্তার বলল, “ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো।”
রোগী বলল, “হারামজাদা, কয়বার খুইল্লা কমু!!!”
৭.
দুই মাতাল রাতে বাসায় ফিরছে। হঠাত একজন ডানহাত মুঠো করে ধরে পাশের জনকে দেখিয়ে বলে, “ক তো দেহি আমার হাতের মুডায় কি আছে?”
২য় জন টলতে টলতে বলল, “রেলগাড়ী।”
১ম জন চমকে গেল। হাতের মুঠো ভাল করে চেক করে ২য় জনকে বলল, “খেলমুনা, তুই দেখছস।”

৮.
শিক্ষক ছাত্রকে পড়া জিজ্ঞেস করছে।
শিক্ষকঃ বলো, আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে প্রথম পা রাখার পর কি করলেন?
ছাত্রঃ স্যার, আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে প্রথম পা রাখার পর দ্বিতীয় পাটাও রাখলেন………
৯.
শিক্ষক: বল, আকবরের জীবনকাল কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত?
ছাত্র: পারিনা স্যার। এটা বইয়ে নেই।
শিক্ষক বই খুললেন, সেখানে লেখা—আকবর (১৫৪২-১৬০৫)
ছাত্র: স্যার, আমি ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার।
১০.
করিমমিয়ার মুলার ক্ষেত। পোকায় খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সে গেল কৃষিবিশেষজ্ঞের কাছে।
করিমমিয়াঃ ডাক্তারসাব, আমার মুলার ক্ষেততো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল। এখন কি করি?
কৃষিবিশেষজ্ঞঃ আপনি এক কাজ করুন। পুরো ক্ষেতে নুন ছিটিয়ে দিন।
করিমমিয়াঃ আহা! কি পরামর্শ? নুনছাড়াই খেয়ে শেষ করি ফেইলছে আর নুন দিলেতো কথাই নেই।
১১.
প্রথম বন্ধুঃ আমার বউ না আইজকাইল মিথ্যা কথা কওয়া শুরু কর্ছে।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেমতে বুজলা?
প্রথম বন্ধুঃ আমারে কয়, কাইল নাকি অর বান্ধবী সোনিয়ার লগে সিনেমা দেখতে গেছিলো।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তো কি অইছে?
প্রথম বন্ধুঃ আরে, সোনিয়া তো গতকাইল আমার লগেই সিনেমা দেকছে!
১২.
আচ্ছা বাবা মা’র সঙ্গে তোমার প্রথম কবে দেখা হয়?
এক পিকনিক পার্টিতে।
সে সময় কি আমি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম?
পিক নিকে যাবার সময় ছিলেনা, তবে আসার সময় ছিলে।
১৩.
খুনের আসামি পালাচ্ছে।
এয়ারপোর্টে বোর্ডিং কার্ড নেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে সে খুবই ভয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। হঠাৎ পিঠে দুটো পিস্তলের নল ঠেকলো। ধরা পরে একেবারে হতাশ হয়ে সে দু’হাত তুলে পিছনে ফিরে তাকালো। দেখে তার পিঠে গা লাগিয়ে এক উর্বশী তরুনী দাঁড়িয়ে আছে।
১৪.
এক দাদু পাড়ার মোড়ের ফার্মেসি থেকে ভায়াগ্রা অর্ধেকটি ট্যাবলেট কেনেন। পাড়ার ছেলে ছোকড়ারা সেটি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখে। সবার মনেই একই প্রশ্ন, কেনা ভায়াগ্রা নিয়ে দাদু কি করেন। কারণ তিন কুলে তার কেউ নেই। কোনো বান্ধবী আসে না ঘরে। “হালায় ট্যাবলেট লয়া করে কি?” এই প্রশ্নের যখন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, তখন পাড়ার এক ফিচেল ছোকরা প্রশ্ন করলো,
ও দাদু, অর্ধেকটা দিয়া কি করেন?
দাদারে, আমার তো তিন কুলে কেউ নেই, আমার কেবল শিওর করা লাগে যেন হিসুটা নিজের গায়ে না পড়ে যায়।

১৫.
বাসর রাত। আনাড়ি স্বামী অনেক চেষ্টা করেও লক্ষ্যে না যেতে পেরে খুব বিব্রত। লজ্জায় নিজের কথা বলতে পারছে না বউকে…
স্বামীঃ এই শুনছো, সুইয়ে সুতোটা পরিয়ে দেও না, আমার মোটেও অভ্যাস নেই।
বউঃ সুতোর মাথাটা থুতুতে ভিজিয়ে নেও, দেখবে ঠিকই পারবে।
১৬.
দুই সিস্টার গেছে কাঁচাবাজারে সব্জি কিনতে। ঘুরে ঘুরে এটা দেখে সেটা শুঁকে কিছুতেই পছন্দের সাইজের মুলা কিনতে পারলো না তারা। শেষমেশ তারা শসাঅলার কাছ থেকে দুটো শসা কিনলো।
শসাঅলা একগাল হেসে বললো, “নেন সিস্টার, এই যে আরেকটা। আজকে আমার ইস্পিশাল বিক্রি, দুইটা কিনলে একটা ফ্রি।”
এক সিস্টার অন্যজনের দিকে ফিরে বললো, “বাহ্, মন্দ কী? আজকে একটা খাওয়াও যাবে।”
১৭.
প্রফেসর শেষ ক্লাসে ঘোষণা করলেন, ‘পরশু পরীক্ষা। কেউ কোনও অজুহাত দিয়ে পার পাবেন না। তবে নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু কিংবা মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতা হলে ভিন্ন কথা। ‘
পেছন থেকে এক ফাজিল ছোকরা বললো, ‘মাত্রাতিরিক্ত সেক্সজনিত ক্লান্তি হলে কি চলবে স্যার?’
ক্লাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে গেলো। শব্দ থামার পর প্রফেসর বললেন, ‘উহুঁ, সেক্ষেত্রে তুমি অন্য হাতে লিখবে।’
১৮.
ক্যাম্পিঙে গেছে ছোট্ট বাবু। কিন্তু রাতে তাঁবুতে শুয়ে কিছুতেই ঘুম আসছে না তার। অগত্যা সে তাদের দলনেত্রী মিস মিলির তাঁবুতে গিয়ে ঢুকলো সে। দেখলো মিস ভেতরে একাই আছেন।
“মিস মিস, আমি কি আপনার এখানে ঘুমোতে পারি? আমি আমার আম্মুকে ছাড়া ঘুমোতে পারি না তো, তাই।” আব্দার ধরলো সে।
মিস মিলির দয়ার শরীর, তিনি রাজি হলেন।
গুটিসুটি মেরে মিস মিলির পাশে শুয়ে পড়লো ছোট্ট বাবু। কিছুক্ষণ পর আবার মিহি গলায় বললো সে, “মিস মিস, আমি কি আপনার নাভিতে আমার বুড়ো আঙুলটা ঢুকিয়ে ঘুমোতে পারি, যেভাবে আমি বাড়িতে আমার আম্মুর পাশে ঘুমাই?”
মিস মিলির দয়ার শরীর, তিনি রাজি হলেন।
পরদিন ভোরে উঠে মিস মিল বললেন, “দ্যাখো ছোট্ট বাবু, তোমাকে একটা কথা জানানো জরুরি মনে হচ্ছে … তুমি কিন্তু কাল রাতে আমার নাভি মনে করে যেখানে বুড়ো আঙুল রেখেছো ওটা আসলে নাভি ছিলো না।’
ছোট্ট বাবু বললো, “ মিস। আপনি যেটা বুড়ো আঙ্গুল মনে করেছেন ওটাও আসলে আমার বুড়ো আঙুল ছিলো না!”

১৯.
গলফ খেলতে গেছে টিনা।
সাঁই করে ব্যাট চালালো সে। তারপর দেখতে পেলো, তার টার্গেটের কিছুটা দূরে এক লোক হঠাৎ কোমরের নিচটা চেপে ধরে শুয়ে পড়লো।
‘নিশ্চয়ই আমার বলটা ওর ওখানটায় গিয়ে লেগেছে!’ আঁতকে উঠলো সে। তারপর ছুটে গেলো সেখানে।
দেখা গেলো, লোকটা কোঁকাচ্ছে সমানে, কোমরের নিচটায় হাত চেপে রেখেছে সে।
টিনা বললো, ‘ভয় পাবেন না, আমি জানি কী করতে হবে। খুব ব্যথা করছে?’
লোকটা কোনমতে বললো, ‘হ্যাঁ।’
টিনা তখন এগিয়ে গিয়ে, বেচারার প্যান্ট খুলে, মিনিট দশেক ম্যাসেজ করে দিলো। তারপর বললো, ‘এখন কেমন বোধ করছেন?’
লোকটা বললো, ‘দারুণ, কিন্তু বুড়ো আঙুলটায় এসে বল লেগেছে তো, সাংঘাতিক ব্যথা করছে।’
___

৮,৯৯৮ বার দেখা হয়েছে

৭৬ টি মন্তব্য : “ঝালমুড়ি”

  1. বন্য (৯৯-০৫)

    ঠু গুড ম্যান... 😀
    আমিও এক্টা কই,
    স্বামীরে পরকীয়ার জন্য কফিতে বিষ দিয়া খাওয়াই মাইরা ফেলসে বউ।আদালতে আইনজীবি প্রশ্ন করলেন,
    আপনি কিভাবে বুঝলেন আপনার স্বামী পরকীয়া করছে?
    সকালে উঠে ও আমাকে বলল,আমি কোথায় ক্যাথি?
    তো?
    আমার নাম সুশান।
    এই যে আপনি বিষ খাইয়ে মেরে ফেললেন,আপনার একটুও মায়া হয়নি?
    হয়েছিল।
    কখন?
    যখন ও আরেক কাপ কফি চাইল। 😀

    জবাব দিন
  2. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)
    হঠাৎ পিঠে দুটো পিস্তলের নল ঠেকলো। ধরা পরে একেবারে হতাশ হয়ে সে দু’হাত তুলে পিছনে ফিরে তাকালো। দেখে তার পিঠে গা লাগিয়ে এক উর্বশী তরুনী দাঁড়িয়ে আছে।

    =)) =)) =))

    তুমি কিন্তু কাল রাতে আমার নাভি মনে করে যেখানে বুড়ো আঙুল রেখেছো ওটা আসলে নাভি ছিলো না।’
    ছোট্ট বাবু বললো, “ মিস। আপনি যেটা বুড়ো আঙ্গুল মনে করেছেন ওটাও আসলে আমার বুড়ো আঙুল ছিলো না!”

    =)) =)) =))
    ঝালের চোটে পিরা জাইয়া গিরগিরাইতেছি :goragori: :goragori: :goragori:
    :khekz: :khekz: :khekz:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  3. তাইফুর (৯২-৯৮)

    চানাচুরের পর ঝালমুড়ি ...
    চ্রম চ্রম চ্রম গুলা উদ্ধৃতি মারতে চাইছিলাম।
    কমেন্ট অনেক বড় হই যায়।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  4. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    কামরুল ভাই, ব্লগরে পায়জামা ভাইব্যা কোমড়ের ফিতার গিট্টু খুইল্যা দেন...দেখবেন ব্লগ ঝপ কইরা নাইমা গেছে... :-B (তয় খুব খিয়াল কইরা...কল্পনা আর সত্য যেন মিশ না খায় O:-) )


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  5. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    কামরুল,
    কপি পেষ্ট তো মিয়া তোমার কাম না। তুমি এইডা কেন করলা????
    তয় মজা পাইছি বেজায়...।
    এই অপরাধের ক্ষমা হবে যদি অচিরেই পার্বতীরে নিয়া একটা পোস্ট দাও...।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়েজ (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।