আমার বুকে তোমার বসত

আমি ডাকলেই তুমি সাড়া দাও, কখনো দ্রুত,
কখনো কিছুটা বিলম্বে হলেও, পরে বুঝতে পারি,
সে সময়টাই ছিল উপযুক্ত। এমন ভাবে সাড়া দাও,
যেন চোখের আড়ালেই ছিলে, শুধু ডাকের অপেক্ষায়।
সাড়া পাই তবে কায়া দেখি না, কারণ তুমি কায়াহীন।
আমি তো এতদিনে বিলক্ষণ বুঝে গেছি,
অদৃশ্য কার কাছে চাইতে হয়, তার কায়া না দেখেও!

তোমাকে ছিলাম ভুলে বহুদিন, মতিভ্রমে, নয়তো
অধিক সুখে, কিন্তু তুমি আমাকে ভুলোনি কখনো।
ভ্রান্তিতে পতিত হয়ে যখনই দিশে ফিরে পেয়েছি,
তোমাকে দ্রুত ডেকেছি; তুমি ঠিকই সাড়া দিয়েছো।
তোমার ঐশী বাণী আমায় যে পথ দেখিয়েছে,
সে পথ ধরে আমি ফিরে এসেছি আমার আপন ঘরে,
যেখানে তুমিও বসত করো শ্বাস প্রশ্বাসের স্পন্দনে।

এখন চোখের জ্যোতি যখন ক্ষীণ হয়ে আসছে,
আমার দেখার পরিধি ক্রমশঃ তত বেড়ে যাচ্ছে।
আমি তোমাকে দেখতে পাই বাতাসে, বৃষ্টিতে,
ভাসমান মেঘে, সদ্যজাত শিশুর স্বর্গীয় হাসিতে,
নিশ্চিন্ত পাখির উড়ন্ত ডানায়, শারদীয় জ্যোৎস্নায়
নির্বাক পাহাড় চূড়ায়, নিরুচ্চার প্রেমিকের আর্তিতে,
আর বহু আলোকবর্ষ দূর থেকে আসা আলোর আভাসে।

ঢাকা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

৮০৭ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “আমার বুকে তোমার বসত”

মওন্তব্য করুন : কাজী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন (১৯৮৫-১৯৯১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।