কবিতার পেছনে

কেউ ব্যথা পেয়ে কবি হয়,
কেউ শখ করে কবি হয়ে ব্যথা পায়।
কারো কবিতা মাঝপথে থেমে যায়, তখন
ফলহীন বৃক্ষের ন্যায় কবি শুধু দাঁড়িয়ে রয়।
আবার কারো কারো কবিতা ফল্গুধারার মত
অলক্ষ্যে নিশিদিন অন্তরে অন্তরে বয়ে যায়।

প্রেমের অনুভব ছাড়া কবি হওয়া যায়না,
ব্যথার দহনে পরিশুদ্ধ হয় কবির যাচনা।
কারো দু’টি মায়াবী চোখের অনন্য দৃষ্টি,
নীরবে করে যায় কত শত কবিতার সৃষ্টি!
কারো আদরমাখা কন্ঠের একটি প্রতিধ্বনি
কবিকে শোনাতে পারে লক্ষ প্রেরণার বাণী।

ঢাকা
০৯ জানুয়ারী ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

৫,০৫৮ বার দেখা হয়েছে

১০ টি মন্তব্য : “কবিতার পেছনে”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    অন্য কে কিভাবে কবিতা লিখে, জানি না।
    আমারটা হয় খুবই আকস্মিক ভাবে, এইটা শুধু জানি।
    চাই বা না চাই, এক এক সময়, হঠাৎ করেই কোত্থেকে জানি কয়েকটা পংক্তি মাথায় এসে জ্বলাতে থাকে সেগুলা না লিখা অবদি।
    অন্য সময় যখন লিখতে বসি, কিছুই বের হয় না কলম দিয়ে।
    আমার মত যারা নিজের ইচ্ছায় কাব্য করতে পারে না, তাঁরা আসলে কবি নয়।
    খুব বেশি হলে "সিচুয়েশনাল কবিতা লেখক"।
    সম্ভবত তাঁরা এই কবিতার বর্ননায় অন্তর্ভুক্ত নন!!!


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    চাই বা না চাই, এক এক সময়, হঠাৎ করেই কোত্থেকে জানি কয়েকটা পংক্তি মাথায় এসে জ্বলাতে থাকে সেগুলা না লিখা অবধি - এটাতো আমারও হয়। বোধকরি সব কবিরই এমন হয়।
    কবিতা লেখা যায় না, কবিতা "আসে"।

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অনেক অনেক দিন পর এসে আপনার লেখা পড়লাম। পুরনো লেখাগুলোও খুঁজে নিয়ে পড়বো।
    ভাল লেগেছে খায়রুল ভাই।
    কবিতার পেছনেও কত কথা থাকে -- কত গল্প।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।