হ্রস্ব দ্বিপ্রহর, দীর্ঘ বিক্ষিপ্ততা

কার্তিকের এই হ্রস্ব দ্বিপ্রহরে আমি অস্থির থাকি।
মনে হয়, গাছপালা ফুল পাখি প্রকৃতির সবকিছু
যেন বিষন্নমনে তপস্যায় বসা, গোধূলির খোঁজে।
খুঁজতে খুঁজতেই বিকেলটা হারিয়ে যায় অবেলায়।

দুপুরের পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। টেবিলে বিক্ষিপ্ত
পড়ে থাকে কাগজ কলম, যাবতীয় বিল আর পত্রাদি।
অগোছালো মনের মতই ইতস্ততঃ ছড়ানো ছিটানো।
ত্রস্ত মনে যা গোছানোর কথা ভেবে অস্থির হয়ে উঠি।

আলস্য ঘিরে ধরে। দিনে ভাবি রাতে আর রাতে
ভাবি দিনে, এভাবেই দিনে দিনে দিন চলে যায়।
সবকিছু অগোছালো থেকে যায়। তবু বিক্ষিপ্ত চিত্ত
সময় করে লিখে চলে মনের কিছু কথা, কবিতায়।

ঢাকা
১২ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

৫,৫৯০ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “হ্রস্ব দ্বিপ্রহর, দীর্ঘ বিক্ষিপ্ততা”

    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      দেশে ২৩ দিনের জন্য ফেইসবুকের দুয়ার সেঁটে রাখা হয়েছিলো। খোলার বিকল্প পদ্ধতি যদিও ছিলো, একজন আইনভীরু ব্যক্তি হিসেবে সেটা ব্যবহারে আগ্রহী হই নি। আমি ফেইসবুক দিয়ে সিসিবি'তে লগ ইন করে থাকি। ফেইসবুক বন্ধ থাকাতে সিসিবি থেকেও বাধ্যতামূলক নির্বাসনে যেতে হয়েছিলো। তাই অনেকের লেখা পড়ে হয়ে ওঠেনি, আমার লেখায় অন্যদের মন্তব্যের উত্তরও দেয়া হয় নি।
      কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। থটফুল মন্তব্যের জন্যেও। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

      জবাব দিন
  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    কার্তিকের হ্রস্ব দিপ্রহরে আমি অস্থির থাকি
    বিক্ষিপ্ত টেবিলটা যেমন অগোছালো রাখি
    গোছাবো, দিনে ভাবি রাতে আর রাতে ভাবি দিনে
    আসলে কবে যে গোছাবো তা আদৌ জানিনে
    ওভাবেই চেনা বিল, কবিতার খসড়া, গ্রোসারী
    লিস্ট চিনে নিতে আমি যে কখনো হইনা আনাড়ি
    তাহলে চলুক না, চলছে যেমন, চলুক।
    দেখে যদি পিত্তি জ্বলে কারো, জ্বলুক।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : লুৎফুল (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।