বালিকার সাধ

বালিকার মনে সাধ হয়েছিলো,
বাসবে ভালো।
চখাচখি দেখে মনে জ্বলেছিলো,
প্রেমের আলো।
নক্সীকাঁথায় শুয়ে দেখতো স্বপন,
বুঁজে দু’নয়ন।
সাথে পাশে তার স্বপন দেখার
আপনজন।

বালিকার মনে সাধ হয়েছিলো,
জ্যোৎস্না মাখার,
অচিন দেশে নৌকোয় ভেসে
পাল ওড়াবার।
চুলগুলো ছেড়ে হাওয়ায় ভেসে
দিশা হারাবার,
নিভৃতে বসে অকারণে হেসে
গায়ে লুটাবার।

বালিকার সাধ শুধু রয়ে গেলো
স্বপন মাঝে।
আনমনা দিন কেটে যায় তার
গোপন লাজে।
চোখে বালিকার ঘুম নেই আর
স্বপ্ন উধাও,
মনের ব্যথায় কোথা চলে যায়
তপ্ত ক্ষুধাও।

(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)

ঢাকা
১৬ আগস্ট ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১,৭৫২ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “বালিকার সাধ”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আমিও রাবিন্দিকতা আবিষ্কার করলাম।
    আসলে আমিও দেখেছে, নিজের মতো আট দশটা কবিতা লিখার পরেই রাবিন্দিক ঢং-এ একখানা লিখতে বড়ই ইচ্ছা জাগে মনে।
    সব সময় পারি না।
    কিন্তু যখন পারি, দারুন লাগে...
    খায়রুল ভাই, এটাও দারুন লাগলো কিন্তু......

    পুনশ্চঃ
    আপনার আগের সব কমেন্ট পড়েছি। উৎসাহিত বোধ করেছি।
    কিন্তু সেমিনার দেয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, তাই নেটে বসা হয়েছে খুব কম।
    অনেক পড়া আর জবাব দেয়া বাকি।
    শীঘ্রই লিখে ফেলবো সব...
    দেরী হওয়ায় খুবই লজ্জিত বোধ করছি।
    ক্ষমাপ্রার্থি!!! (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।