জীবনের জার্নাল – ১৮

এমসিসি’র তৃতীয় (আমাদের দেখা দ্বিতীয়) প্রিন্সিপাল উইং কমান্ডার সুলেমান হায়দার কাইয়ানিঃ
১৯৬৯ সালের শেষের দিকে কর্ণেল আনসারী আমাদের কলেজে চাকুরী শেষ করে পাকিস্তানে ফিরে যান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (আরসিসি) এর তৎকালীন অধ্যক্ষ উইং কমান্ডার সুলেমান হায়দার কাইয়ানি। উল্লেখ্য, ‘কাইয়ানি’কে ‘কীয়ানি’ উচ্চারণ করা হয়ে থাকে। আমাদের পাড়ার একজন সিনিয়র ভাই তখন আরসিসিতে পড়তেন। কলেজ ছুটির সময়ে আমরা কখনো কখনো একত্র হয়ে গল্পগুজব করতাম। তার মুখে তাদের কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ উইং কমান্ডার সুলেমান হায়দার কাইয়ানি এর স্মার্টনেস সম্পর্কে অনেক কাহিনী উপাখ্যান শুনেছিলাম। ছুটির সময় তিনিই আমাকে প্রথম জানিয়েছিলেন যে তাদের প্রিন্সিপাল আমাদের কলেজে বদলী হয়েছেন। তাঁর মত একজন ভালো ও জনপ্রিয় প্রিন্সিপালকে হারিয়ে আরসিসি’র ক্যাডেটরা দুঃখবোধ করছিলো বলে মনে হলো। ছুটি শেষে কলেজে ফিরে শুনি তথ্যটি সঠিক। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন প্রিন্সিপাল আমাদের মাঝে সশরীরে আবির্ভূত হলেন। তাঁর দেহাবয়ব প্রথম দর্শনেই ইমপ্রেস করার মত ছিলো। স্লিম, লম্বা গড়নের, ব্যাকব্রাশ করা আধাপাকা চুল। সদা সর্বদা স্মিতহাসি, স্মার্ট, পরিপাটি বেশভূষা পরিহিত থাকতেন। প্রথম যেদিন তিনি মুখ খুললেন, আমি সত্যিই একেবারে থ’ বনে গিয়েছিলাম! মানুষ এত সুন্দর উচ্চারণে ইংরেজী ভাষায় কথা বলে কিভাবে, যে ভাষা তার নিজ মাতৃভাষা নয়? তিনি ইংরেজী ফনেটিক্সে প্রশিক্ষিত ছিলেন হয়তো বা, নইলে তাঁর কথা একেবারে বিদেশীদের কথার মত শোনাতো কী করে? ইংরেজী think শব্দটির উচ্চারণ যে ঠিক থিঙ্ক নয়, বরং অনেকটা সিঙ্ক এর কাছাকাছি, সেটা তাঁর কাছেই প্রথম শিখেছিলাম। যদিও সেটা ঐ শেখা পর্যন্তই সীমিত, আমার মুখ দিয়ে কস্মিনকালেও ও ধরণের উচ্চারণ বেড়োয়নি, আর বেড়োবেও না। আমার ব্যাচমেট জামালউদ্দিন খুব তাড়াতাড়ি তাঁর এ নিখুঁত উচ্চারণগুলো রপ্ত করে ফেলেছিলো এবং সে মাঝে মাঝে ঐরকম উচ্চারণে আমাদের সাথেও কথা বলতো।

প্রিন্সিপাল কীয়ানি খুবই চটপটে স্বভাবের একজন ডায়নামিক লোক ছিলেন। সবকিছুতেই তাঁর প্রেজেন্টেশন গুলো বেশ পরিচ্ছন্ন ছিলো। তিনি রেডী উইটের অধিকারী ছিলেন, আপাদমস্তক একজন কৌতুকপ্রিয় মানুষ। তিনি কাজের লোক ছিলেন, কাজপাগল লোকদেরকে তাঁর আশেপাশে রাখতেন। তিনি এসেই প্রথম প্যারেন্টস’ ডে তে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করেছিলেন একজন উচ্চপদস্থ পিএএফ অফিসারকে। সম্ভবতঃ তিনি তখন ঢাকার বেস কমান্ডার ছিলেন, অথবা পাকিস্তানের বিমান সদর থেকে আগত কোন মাননীয় অতিথি। তাঁর নামধাম আজ কিছু মনে নেই, তবে এটুকু মনে আছে যে তিনি প্যারেড রিভিউ এর পরে এক চমৎকার বক্তৃতা দিয়েছিলেন। বক্তৃতার শেষে তিনি আমাদের সকলের জন্য জীবনে যেন “many soft landings” পেতে পারি, সেটা উইশ করেছিলেন। তখনই প্রথম জেনেছিলাম, কাউকে ঝঞ্ঝাহীন, বিপদমুক্ত জীবন উইশ করতে হলে এয়ারফোর্সের পরিভাষায় “soft landings” উইশ করা হয়ে থাকে।

প্রিন্সিপাল কীয়ানি এমসিসিতে পদার্পণ করার সাথে সাথে চারিদিকে সাজ সাজ রব পড়ে গেলো। কলেজ একাডেমিক ব্লকের সামনে একটা উঁচু গোলচক্কর ছিলো। তিনি ওটাকে ভেঙ্গে সমান করে একটা মনোরম বাগান বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই বদলী হয়ে যাবার কারণে তিনি সেটা শেষ করে যেতে পারেন নাই। পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল উইং কমান্ডার এ কে এম বদিউর রহমানের আমলে বাকী কাজটুকু শেষ করা হয়। তাঁর সময়েই আরো বেশ কয়েকটা নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিলো, যেমন কলেজ মাসজিদ আর ২৫ মিটার ফায়ারিং রেঞ্জ, যদিও রেঞ্জটা কোনদিন ব্যবহৃত হয়েছিলো বলে শুনিনি। তাঁর সময়েই প্রথম কলেজের অবস্ট্যাকল কোর্সটাও নির্মিত হয়। আগে আমাদের হাউসগুলোতে কোন ফ্লাইপ্রুফ নেটিং ছিলোনা। তিনি এসে সব হাউসের বারান্দা ও দরজা জানালাগুলোকে ফ্লাইপ্রুফ নেটিং করেছিলেন। আমাদের বেডগুলো আগে ছিলো কাঠের ফ্রেমের উপর ‘টেপ নেওয়ার’ এর ফিতে দিয়ে তৈরী, তার উপর একটা পাতলা তোষক থাকতো। তিনি এসে বেডগুলোকে উন্নত করলেন। ফিতের পরিবর্তে কাঠ লাগলো, পাতলা তোষকের জায়গায় মোটা জাজিম এলো। পাতলা সাদা বেডশীটের বদলে স্ট্রাইপড শীট দেয়া হলো, সাথে হাউস কালারের সাথে মিলিয়ে মোটা গুলটেক্সের বেড কভার। সাধারণ মানের পিটি সু এর বদলে দেয়া হলো উন্নত মানের বাটার পিটি সু, সাথে উন্নত মানের মোজা। খুব দ্রুত এ ধরণের উন্নয়নে সকলের মনোবল খুব চাঙ্গা হয়ে উঠতে থাকলো এবং কলেজটা অনেকটা অফিসার্স মেস এর ন্যায় একটা উন্নত মানের আবাসিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে গেল। এসব উন্নয়নের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন শিক্ষক, ছাত্র, স্টাফ, বেয়ারা, বাবুর্চি সবার চলনে বলনে একটা সপ্রতিভ ভাব লক্ষ্য করা গেলো। ঘানিটানা জীবনেও যে কৌতুক ও হাস্যরস একটা অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হতে পারে, তা অনেকেই প্রথমবারের মত উপলব্ধি করলো। সেনাবাহিনীর রাফ এন্ড টাফ কিন্তু আটপৌরে জীবন প্রণালীর তুলনায় এয়ারফোর্সের শৈল্পিক ও পরিশীলিত মনোভঙ্গী আমার মত লোকের আনাড়ি চোখকেও এড়াতে পারে নাই। আমি ক্রমেই মুগ্ধ হতে থাকলাম।

প্রিন্সিপাল কীয়ানি আসার পর কলেজে আরেকটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসলো। সেটা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। তিনি বেশ কিছু ক্লাব করে দিয়েছিলেন, যেমন ডিবেটিং ক্লাব, ড্রামা ক্লাব, ফটোগ্রাফী ক্লাব, হিচ হাইকিং ক্লাব ইত্যাদি। আন্তঃ হাউস ক্রস কান্ট্রি দৌড় প্রতিযোগিতাও তাঁর সময়েই প্রথম চালু হয়। তিনি আসার পর কলেজে বেশী করে নাটক মঞ্চস্থ হতে শুরু করে। তিনি কিছু নতুন নতুন প্রতিযোগিতার প্রচলন করেন, যার কথা আমরা আগে কখনো শুনিনি। যেমন আন্তঃ হাউস স্পেলিং বী (Spelling Bee) প্রতিযোগিতা, বাংলা ও ইংরেজীতে উপস্থিত বক্তৃতা (Extempore Speech) প্রতিযোগিতা, ইত্যাদি। এছাড়া তাঁর আরেকটা গুণ আমাকে খুব আকৃষ্ট করতো, সেটা হচ্ছে তাঁর সময়ানুবর্তিতা। কলেজে কখনো কোন অনুষ্ঠান প্রিন্সিপালের বিলম্বে উপস্থিতির কারণে দেরীতে শুরু হয়নি। তাঁর আমলেই প্রথম দেখেছিলাম, কোন অনুষ্ঠানের সময়সূচী একেবারে মিনিটের কাঁটা ধরে প্রণয়ন করা হতো। উদাহরণ স্বরূপঃ অভ্যাগত অতিথিদের আসন গ্রহণঃ ১১ টা ৫৩ মিনিটে। আমাদের কলেজ থেকে মাত্র ৫ মাইল দূরে মির্জাপুরে অবস্থিত “ভারতেশ্বরী হোমস” নামে আমাদেরটার মতই আবাসিক এক নারীশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। সেখানকার শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন প্রিন্সিপাল কীয়ানির মতই একজন স্মার্ট, প্রথিতযশা, চল্লিশোর্ধ্ব অবিবাহিতা (তখনো পর্যন্ত) নারী, তাঁর নাম মিস জয়া পতী। তিনি একজন অত্যন্ত বিদুষী ও মহিয়সী নারী ছিলেন। এছাড়া তাঁর বংশগত পরিচয়, তিনি ছিলেন কুমুদীনি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা নামে অধিক পরিচিত) এর সুযোগ্যা কণ্যা। প্রিন্সিপাল কীয়ানি তাঁর সাথে যোগাযোগ করে এই দুই প্রতিষ্ঠানের মাঝে এক সেতুবন্ধন গড়ে দিলেন। শুরু হলো দুই প্রতিষ্ঠানের মাঝে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, সেই সাথে হয়তোবা কারো কারো মাঝে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আত্মিক যোগাযোগও বটে। আমরা তাদের নাটক দেখতে গেলাম, তারাও একবার আমাদের এখানে এলো। ক্যাডেট কলেজের পরিবেশটা দিনে দিনে বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠতে লাগলো। সেই সাথে ক্যাডেটদের মনোবলও বেশ চাঙ্গা হতে শুরু করলো। অবশ্য সিনিয়র ক্লাসের ভাইদের, বিশেষ করে তৎকালীন স্মার্ট কলেজ ক্যাপ্টেন শফিক চৌধুরী ভাইয়ের এবং ব্যাচেলর এ্যডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিক এর মনোবল চাঙ্গা হবার আরেকটা কারণ ছিলো, সেকথা নাহয় আরেকদিন বলা যাবে! আশাকরি, তখন এ লেখাটা তাঁদের বা তাঁদের শুভানুধ্যায়ী কোন সতীর্থের নজরে এলে আমাকে তারা এ বয়সে ফ্রন্ট রোল দিতে বলবেন না ।

চলবে….

একটি অনুরোধঃ স্মৃতির সম্ভার থেকে হাতড়িয়ে ৪৮ বছরের পুরনো আলোচনায় কিছু তথ্যগত ভুল থাকাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তাই, এমিসিসি’র ছোট বড় ভাইদের এবং আমার সতীর্থদের কাছে অনুরোধ থাকলো, আমার লেখায় যদি আপনারা কোন তথ্যগত ভুলভ্রান্তি কিংবা অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করেন, তবে দয়া করে আমাকে khairulahsan@yahoo.com এই ঠিকানায় জানালে বিশেষ উপকৃত হবো এবং কৃ্তজ্ঞ থাকবো।

ঢাকা
০৭ অগাস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

২,২৮৩ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “জীবনের জার্নাল – ১৮”

  1. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap: :clap: :clap:

    আপনি আমাকে জীবনের জার্নাল শুরুর গল্প বলেছিলেন, ভাইয়া 😀

    আপনার নির্মেদ ভাষার গাঁথুনি পাঠককে ধরে রাখতে পারছে এখনো! আমি বরাবরের মতোই মুগ্ধতা রেখে গেলাম!

    জবাব দিন
  2. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    আপনার জীবনের জার্নাল সিরিজের ১ম-১৮তম পর্ব থেকে একটানা পড়ে এইমাত্র শেষ করলাম, স্যার। স্যাল্যুট ফ্রম আ নাদান এক্স-ফজলুলিয়ান। আপনার স্মৃতিশক্তি সত্যিই বিস্ময়কর, নইলে এত বছর আগের এত খুঁটিনাটি মনে রাখা সহজ কম্মো নয়।

    লেখার মান নিয়ে নতুন কিছু বলা বাহুল্য। শুধু বলবো, এই সিরিজের অনেক আগ্রহী পাঠকের সাথে আমিও সানন্দে যুক্ত হলাম।

    জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      জীবনের জার্নাল সিরিজের ১ম-১৮তম পর্ব একটানা পড়ে শেষ করার জন্য আমার কাছ থেকেই বরং তোমার একটা লম্বা স্যাল্যুট প্রাপ্য। তাই সেটা খুশী মনেই দিলাম। ::salute::
      স্মৃতিটা জাগরূক থাকতে থাকতেই লেখাটা শেষ করতে চাই। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন, ৪৮ বছর আগের এন্ট্রান্স পরীক্ষার রোল নম্বর মনে রাখলাম কী করে! তাদের আমি বলি, আমার ক্লাসের প্রত্যেকের ক্যাডেট নাম্বার এখনো আমি একটানে বলে যেতে পারি, এমনকি এইট নাইনে যারা কলেজ ছেড়ে চলে গিয়েছিলো তাদেরও। চলে যাওয়া এমন একজনের সাথে মাসখানেক আগে এক পার্টিতে দেখা। তাকে একজন তার ক্যাডেট নম্বর জিজ্ঞাসা করাতে সে বলতে পারেনি। তখন আমি তাকে সাহায্য করলাম।
      এন্ট্রান্স পরীক্ষাটা ছিলো জীবনের এক অন্যতম মাইলফলক, এক টার্নিং পয়েন্ট। তাই হয়তো সেটা আজও স্মৃতির মণিকোঠায় জ্বলজ্বল করে জ্বলে। কিন্তু তার ৩/৫ বছর পরের ঘটনা এসএসসি কিংবা এইচএসসি'র রোল নম্বরতো মোটেও মনে নেই।

      জবাব দিন
  3. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    তথ্যগত ভুল থাকতেই পারে। ঠিক বলেছেন।
    কিন্তু তথ্য কোন ফরম্যাটে আপনার স্মৃতিপ্রকোষ্ঠে এমন বিস্রৃত সম্ভারে এতো দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষিত থাকলো !
    সেটা অবাক হয়ে ভাববার বিষয়।
    ক্যাডেট কলেজের স্মৃতি মনে হয় মরে গেলো মস্তিস্কের ভেতর জেগে থাকবে।
    কিন্তু এতো বিস্তারিত ও খুঁটিনাটি ! সত্যিই অভাবনীয় ...
    :clap: :clap:
    :boss: :boss:

    জবাব দিন
  4. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    জীবনটাকে বড় ভালোবাসি লুৎফুল, তাই হয়তো জীবনের এতকিছু খুঁটিনাটি মনে থাকে।
    ক্যাডেট কলেজের জীবনটাকে সাধারণতঃ দুই ধরণের ক্যাডেটরা শতভাগ উপভোগ করে থাকে। এক, যারা পড়াশোনা আর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে খুব ভালো, আর দুই, যারা খেলাধূলা আর এ্যথেলেটিক্সে খুব ভালো। দূুর্ভাগ্যবশতঃ আমি এই দুই দলের কোনটাতেই পড়িনা। কিন্তু তবুও, ক্যাডেট কলেজের জীবনটাকে খুব প্যাশোনেটলী ভালোবেসেছিলাম বলেই হয়তো জীবনের ঐ অধ্যায়টা আজও অন্তরে সমুজ্জ্বল। তবে অন্যান্য অনেকের মত আমিও কিছু ব্যাড প্যাচের মধ্য দিয়ে ক্যাডেট জীবনটাকে টেনে নিয়ে যাই। সেসব কথা ক্রমান্বয়ে বলতে পারবো বলে আশা রাখি।
    তোমার মন্তব্যে অনেক প্রীত হ'লাম।

    জবাব দিন
  5. ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

    বাহ :clap:

    [ ক্লাবগুলো এখনও প্রথাগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু আছে, হাইকিং ক্লাবে ঢোকার জন্য সকলেই আগ্রহী থাকতাম (যদিও, শিকে ছিঁড়ত অল্প ক'জনের ভাগ্যে)। প্রতিবেশী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সামাজিক যোগাযোগটা এখন আর হয় না, হওয়া উচিত। ]



     

    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

    জবাব দিন
  6. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    পড়তে দেরী করে ফেললাম।
    লাভ হলো এই যে অনেকগুলো মন্তব্যসহ পড়তে পারলাম।
    খুব ভাল লাগলো এত সব খুটি নাটি জেনে...
    :boss: :boss: :boss: :boss:


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  7. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    আমার এই সিরিজটার পাঠকদের মধ্যে সিংহভাগই এক্সক্যাডেট। কেউ কেউ হয়তো নন এক্স ক্যাডেটও হতে পারেন। এক্সক্যাডেটদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ নানারকমের মন্তব্য মূল লেখার চেয়ে বেশী আকর্ষক বলে আমি মনে করি।
    মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, পারভেজ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।