জীবনের জার্নাল – ১৬

ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব এম এ ওয়াহাবঃ
আমাদের সময় এমসিসি’র ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন জনাব এম এ ওয়াহাব। তিনি ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স মাস্টার্স করেছিলেন। তবে অন্যান্য কারিশমাটিক স্যারদের তুলনায় তাকে বেশ ম্লান মনে হতো। তাকে যতদিন কলেজে পেয়েছিলাম, ততদিন তার কোন উজ্জ্বল বা উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। তিনি ভালো ইংরেজী জানতেন, তবে তা ছিল নিতান্তই বুকিশ। মাঝে মাঝে তিনি আমাদের দুই একটা ইংরেজী ক্লাস নিতেন, ওগুলো খুব বোরিং মনে হতো। আমার ব্যাচের হয়তো কারো কারো মনে থাকতে পারে, তিনি একদিন ক্লাসে এসে আমাদেরকে একটা সাইক্লোস্টাইল করা কাগজ ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাতে একটা বড় কবিতা লেখা ছিলো, যার নাম “There is a log in the middle of the sea”। তিনি সুর করে কবিতাটা পড়ছিলেন আর আমাদেরকে তাঁর সাথে কন্ঠ মিলাতে বলছিলেন। আমাদের তা করতে ভালো না লাগলেও আমরা গলা মিলাচ্ছিলাম। তিনি মৃদুভাষী ছিলেন, পোষাকে আশাকেও বিশেষ কেতাদুরস্ত ছিলেন না। তাঁকে দেখে আমাদের মনে হতো, তিনি প্রিন্সিপালকে খুব ভয় পেতেন। তাঁর আচরণ অনেকটা মোসাহেবী ধরণের ছিলো। এ্যসেম্বলীতে তিনি মাঝে মাঝে প্রিন্সিপালের অনুপস্থিতিতে বক্তৃতা দিতেন, তবে সেগুলো মোটেই চিত্তাকর্ষক হতোনা।

এ্যডজুট্যান্টঃ
এমসিসিতে আমরা প্রথম এ্যডজুট্যান্ট হিসেবে পাই ক্যাপ্টেন জিয়াউদ্দিনকে। তিনি খুব নম্র ভদ্র মেজাজের ছিলেন এবং দেখতে অনেকটা নাদুস নুদুস টাইপের ছিলেন। খুব সম্ভবতঃ তিনি এডুকেশন কোরের ছিলেন। তার ওয়ার্ডস অব কমান্ড চিকণকন্ঠে বের হতো, তাই ততটা ইম্প্রেসিভ ছিলোনা। তবে ঠান্ডা মেজাজের কারণে তিনি ক্যাডেটদের কাছে মোটামুটি জনপ্রিয় ছিলেন। তাকে আমরা বেশীদিন পাইনি। কিন্তু তিনি চলে যাবার পর আমরা যাকে পেয়েছিলাম, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন গরম কাকে বলে। তার নাম ছিলো ক্যাপ্টেন এম আনোয়ার হোসেন। তিনি আর্টিলারী কোরের ছিলেন। তখন থেকে প্রায় ১৭ বছর পর সেনাসদরে আমার তাঁর সাথে স্টাফ অফিসার গ্রেড-২ (কো অর্ড) হিসেবে চাকুরী করার সৌভাগ্য হয়। কিন্তু ততদিনে তাঁর সম্বন্ধে আমার মনে সেই ছোটবেলায় যে ইমাজ গড়ে উঠেছিলো, তার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তখন তিনি একজন মেজর জেনারেল। এর পর পরই তিনি মালয়েশিয়ায় আমাদের হাই কমিশনার হিসেবে বদলী হন। সেখান থেকে তিনি ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানীতেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছিলেন।

ক্যাপ্টেন আনোয়ার প্রথম রাতেই বিড়াল মেরেছিলেন। প্রথম আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের দিন যখন কলেজ ক্যাপ্টেন তার কাছে প্যারেড স্টেট হ্যান্ড ওভার করছিলেন, তখন এ্যটেনশন অবস্থায় কোন একজন ক্যাডেট একটু নড়াচড়া করে উঠলে তিনি জলদ গম্ভীর কন্ঠে হুংকার ছেড়েছিলেন, “ডোন্ট মুভ ইওর ব্লাডি বলস!” তাঁর গলা ছিলো খুব ভারী আর ভাষা খুব কমান্ডিং। তাঁর মুখে কথায় কথায় স্ল্যাং এর খই ফুটতো। আমরা যারা বাংলা মিডিয়াম থেকে এমসিসিতে গিয়েছিলাম, তারা প্রথম প্রথম ওসব অনেক কিছু বুঝতে না পারলেও অচিরেই তার কল্যানে আমাদের স্ল্যাং এর ভান্ডারও খুব সমৃদ্ধ হয়ে উঠলো। সতীর্থদের সাথে আলাপে সালাপে আমরাও রাতারাতি বেশীরভাগ শব্দের সাথে ব্লাডি কথাটা যোগ করতে শুরু করলাম। ওনার কিছু কিছু স্ল্যাং বেশ ন্যাস্টি ছিল, তাই সেগুলো আর এখানে উল্লেখ করলাম না। কিছুদিনের মধ্যেই বুঝে নিয়েছিলাম, ওটাই ছিলো সামরিক কথোপকথনের স্বীকৃ্ত কালচার।

ক্যাপ্টেন আনোয়ার দেখতে শুনতে আর আচার আচরণে বেশ রাফ এ্যান্ড টাফ ছিলেন। তিনি আসার পর কলেজের ওস্তাদরাও বেশ নড়েচড়ে উঠেছিলেন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরাও মকরামি বাদ দিয়ে সোজা হতে শুরু করেছিলো। বাঙালী এ্যাডজুট্যান্ট হয়েও তাঁকে মাঝে মাঝে স্বয়ং পাকিস্তানী প্রিন্সিপালের সাথে পাঙ্গা নিতে দেখে আমরাও বেশ উৎফুল্ল হ’তাম। তাঁর সময়েই প্রথম গোটা কলেজের গ্রুপ ছবি তোলা হয়েছিলো। সোহরাওয়ার্দী হাউসের সামনের বিরাট গাছটার নীচে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। তাঁর এরেঞ্জমেন্ট সম্পর্কে প্রিন্সিপাল আনসারী এসে কি যেন একটা নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন, যা আমার এখন ঠিক মনে নেই। তবে তিনি প্রায় তিনশ’ ক্যাডেট এবং সকল শিক্ষকদের সামনে এর একটা যুতসই জবাব দিয়ে প্রিন্সিপালকে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন। এটা আমরা খুব উপভোগ করেছিলাম। ফটোগ্রাফার একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পডের উপর রাখা তার ক্যামেরার লেন্সটাকে একটা লাল কিংবা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন। ক্লিক করার আগে তিনি একটা ফানি ভয়েসে হুঁশিয়ারী দিতেন, “গেট রেডী প্লীজ!” এর পর থেকে বহুদিন ধরে “গেট রেডী প্লীজ!” কথাটা আমাদের মুখে মুখে ঘুরতো।

গড নোজ এভ্রিথিং, ম্যান ইজ মর্টাল স্যারঃ
আমাদের একজন ব্যাচমেট ছিলো যে প্রথম থেকেই তার বাচালতা ও অবিবেচক এর মত কথাবার্তার জন্য একটা কালো চতুষ্পদ প্রাণীর নামে টাইটেল পেয়েছিলো। সে একবার পিটিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে ধরা খেয়েছিলো। এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন আনোয়ার তাকে টী ব্রেক এর সময় (আমাদের সময় মিল্ক ব্রেক বিকেলে হতো) তাঁর অফিসে দেখা করতে বললেন। নির্দিষ্ট সময়ে সে হাজির হলো। তার পরিণতির কথা ভেবে আমরা সবাই বেশ চিন্তিত হয়ে উঠছিলাম। কিছুক্ষণ পর সে ঘর্মাক্ত অবয়বে বের হয়ে এলে আমরা তার সাথে কি কি কথোপকথন হয়েছে তা জানতে চাইলাম। সে বললো যে সে তার নিজস্ব ইংরেজী স্টাইলে এ্যাডজুট্যান্টকে তার পরিস্থিতির কথা বোঝাতে চেয়েছিলো কিন্তু তবুও তিনি সেটা না বুঝে তাকে তিন দিনের এক্সট্রা ড্রিল দিয়েছিলেন। এই শাস্তি পাবার পর সে মনের দুঃখে এ্যাডজুট্যান্টকে বলে এসেছিলো, “গড নোজ এভ্রিথিং, ম্যান ইজ মর্টাল স্যার”! অর্থাৎ, তিনি না মানলেও আল্লাহ জানেন যে সত্যি সত্যি তার জ্বর এসেছিলো। আর সব মানুষকেই একদিন মরতে হবে, তখন সবাইকেই আল্লাহ’র সম্মুখীন হতে হবে। অবিশ্বাস্য হলেও আমরা তার এই সাহসী উচ্চারণকে বিশ্বাস করেছিলাম, কারণ পাগলে কিনা বলে! উল্লেখ্য যে আমাদের সেই বন্ধুটি ময়মনসিংহের সানকি পাড়া এলাকায় একজন উঠতি নায়ক হিসেবে তখন পরিচিতি পেতে শুরু করেছিলো।

এ্যাডজুট্যান্ট এর বিয়েঃ
আমাদের কলেজের এ্যাডজুট্যান্ট থাকা অবস্থাতেই ক্যাপ্টেন আনোয়ার ১৯৬৯-৭০ সালের দিকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডঃ সুলতানা একজন উচ্চশিক্ষিতা বিদুষী মহিলা ছিলেন। তিনি বহুদিন ঢাকার সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড এ কর্মরত ছিলেন। এ্যাডজুট্যান্ট এর বিয়ে হলে ক্যাডেটদের কি? তাই এ নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা ছিলোনা। কিন্তু একদিন বিকেলে যখন দেখলাম যে কলেজ থেকে বাসভর্তি বরযাত্রী নিয়ে একটা দল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলো, তখন অন্ততঃ ঐ রাতের জন্য আমরা একটা অপ্রত্যাশিত কিন্তু ক্ষণস্থায়ী ফ্রীডম অনুভব করেছিলাম। ঢিলেঢালা ভাবে প্রেপ টাইম শেষ করে আমরা পিলো ফাইটসহ নানা কিসিমের দুষ্টুমিতে নিমগ্ন হয়েছিলাম।
হোয়েন দ্য ক্যাট ইজ এওয়ে, দ্য মাইস প্লে এরাউন্ড!

চলবে…

ঢাকা
২৬ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

৩,৬৮২ বার দেখা হয়েছে

২৮ টি মন্তব্য : “জীবনের জার্নাল – ১৬”

  1. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    খুব ভালো লাগলো, ভাই। আমি আপনার এই জার্নাল সিরিজের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। আজকে জানায়ে গেলাম।


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  2. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    কতো কতো টিচার, এডজুট্যান্ট, প্রিন্সিপ্যাল, স্টাফ ... আর অমন হাসির ডিপো ক্যাডেট ... স্মৃতির সমুদ্র নাড়া দিয়ে গেলেন আপনার অনিন্দ্য লেখনীতে।
    অনেক কিছুর মাঝে এ দু'টা লাইন মনে পড়লো খুব ...
    "দেয়ার ওয়াজ আ গ্যাঞ্জাম স্যার"
    আর
    "হোয়াই আর ইউ মাইন্ডিং ভাই"
    😀 😀

    জবাব দিন
      • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

        ভাই স্কুবা ডাইভিং-এর গল্প আর ক্লাসে প্রথমটুকু শোনার পরের কাহিনী ভর করেছে।
        তাই ফাঁকি-ঝুকিতে এগোচ্ছিলাম।
        আর গল্পগুলো তো আমাদের সবার অনুমেয়, বা কাছাকাছি কিছু ভাববেই সবাই।
        তাই ...
        [ প্রথমটা ভীষণ জটিল ডিসিপ্লিনারি কেসে পুরো ক্লাসকে টিচিং ব্লকের সামনে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন চট্টগ্রামের জিওসি। তারপর আংগুলটি তুললেন তিনি সবচেয়ে নরম আর নিরীহ ক্যাডেটটির দিকে। তখন কিছু বানিয়ে বলার কৌশল খুঁজতে খুঁজতে এইটুকুন উত্তর দিয়ে থেমে গেলো সে। আর পুরো ক্লাস কসরৎ করতে থাকলো হাসি চেপে রাখবার জন্য। ~ "দেয়ার ওয়াজ আ গ্যাঞ্জাম স্যার"
        দ্বিতীয়টা বন্ধুকে ক্ষেপিয়ে চরম অবস্থায় নিয়ে এক্যখন মার খাওয়ার উপক্রম। তখন আলতো করে এই অভিনব ইংরেজী লাইন ছুঁড়ে রাগের বরফ গলাবার কৌশল। উল্লেখ্য, ও মাঝে মধ্যেই নানান বানানো শব্দ জুড়ে দিতো ইংরেজীতে কথা বলার সময়। যা শুনে অনেকেই প্রথম চোটে ভিমরি খেতো অজানা শব্দের সন্ধান পেয়ে। পরে পরে রাখাল বালকের মতোন অবস্থা। সত্যি সত্যি ডিকশনারী খুঁজে জটিল ব্যবহার বর্জিত শব্দ বলা শুরু করলো সে। অথচ এবার সবাই হাসে আর বললেও বিশ্বাস করে না যে শব্দটা ডিকশনারীতে আছে। তার পেটেন্ট ডায়ালগ ছিলো এটা। ~ "হোয়াই আর ইউ মাইন্ডিং ভাই"

        ফাঁকিবাজির অপরাধে ~ :frontroll: :frontroll:

        জবাব দিন
  3. ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)
    বাঙালী এ্যাডজুট্যান্ট হয়েও তাঁকে মাঝে মাঝে স্বয়ং পাকিস্তানী প্রিন্সিপালের সাথে পাঙ্গা নিতে দেখে আমরাও বেশ উৎফুল্ল হ’তাম।

    :goragori:



     

    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

    জবাব দিন
  4. সাইদুল (৭৬-৮২)

    কাল মোবাইলে পড়েছি। মোবাইলে মন্তব্য লিখে মজা পাই না। আর জীবনের জার্ণালের মন্তব্যতো মোবাইল দেওয়াই যাবে না। জেনারেল আনোয়ারকে গতবারের (১৪২১)বৈশাখী মেলায় পেয়েছিলাম। থার্ড বেঙ্গলের যুদ্ধ নিয়ে অনার সাথে বসার কথা ছিলো। অনেক কষ্টে রাজীও করিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বসা হয়নি।
    লেখা অনবদ্য। বরাবরের মতই


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  5. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ভাইয়া,

    আমি পড়ি আপনার এই সিরিজ। বই আকারে প্রকাশ করার কথা ভেবে দেখেছন কি? না হলে এখন থেকে ওদিকটাও খেয়াল রাখতে পারেন। বই মেলা এসে কিন্তু এসে যাচ্ছে 🙂

    আমাদের সমইয়ের একটা বাংলিশ শেয়ার কয়রে যাই- আমার এক বন্ধু ধরা খেয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার কে আমতা আমতা করছিল কেন তা বলতে গিয়ে বলেছিল- আই ওয়াজ 'ঘাবরিফাইড', মানে ঘাবড়ায়ে গেছিল। আমরা এই শব্ধটা এখনো ব্যবহার করি। 🙂 (সম্পাদিত)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      বই বের করার একটা সুপ্ত ইচ্ছে তো আছেই, তবে কিভাবে এগুবো সেটাই ভাবছি। কোন কিছুই তো সহজে করা যায় না।
      ঐ বয়সে ভাইস প্রিন্সিপালের মত সিনিয়র কারো কাছে ধরা খেয়ে "আই ওয়াজ 'ঘাবরিফাইড'" বলাটা সঙ্গত ছিল, এটা বলাই যায়।
      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
  6. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    গেল সপ্তাহান্তে বন্ধুর বাড়ি কল করেছিলাম। বন্ধুটি সিলেটি; নিত্যদিনের কথাবার্তায় এখনো খ এর আধিপত্য। খিতা মাতুইনরে বা' তার নিত্যদিনের বোলচালে প্রাধান্য পায়। আমার ফোনটি রিসিভ করেছে সাত বছরের বন্ধুকন্যা ইয়ার্দা। এটা সেটা বলার পর ওর মাকে চাইলে সে উত্তর দিলো, মাই মাম ইজ টেকিং গোশলা অর্থাৎ মা গোসল করছেন!

    জবাব দিন
  7. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    হা হা...
    শেষের লাইনটা দুর্দান্তভাবে মানিয়ে গেছে।

    এডজুট্যান্ট কলেজে না থাকলে কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব বিরাজ করত! 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  8. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অন্য পর্বগুলোর মতই দারুন লাগলো স্যার। আপনার এই সিরিজ নিয়মিত পড়া হয়, কিন্তু সময়ের অভাবে মন্তব্যে সেটা জানানো হয় না।

    পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  9. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    "ফার্স্ট হি কিল্ড মি, দেন আই কিল্ড হিম"
    মারামারির অভিযোগে অভিযুক্ত ক্লাস সেভেনের ক্যাডেটকে ঘটনা বিবৃত করতে বলার উত্তর ছিল এইটা।
    অবাক কান্ড হলো, সেই ক্যাডেটই বছর কয়েক পর ইংরেজী বক্তৃতায় প্রথম হয়েছিল।
    - এবারের পর্বের টুকরো গল্পগুলো শুনে, এই ঘটনাটা মনে পড়লো...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  10. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ভাইয়া আপনার এই সিরিজটা আগ্রহের সাথে ফলো করি। এই গল্পের প্রতিটি জায়গা চিনি বলেই গল্পগুলো অনেক আপন মনে হয়। বাংলিশ নিয়ে একটা মজার গল্প মনে পড়লো।

    ডিটেইলস প্রসঙ্গটা মনে নেই। তবে আমাদের সিনিয়র এক জেপি হঠাৎ রেগে গিয়ে " দিস ইজ দ্যা প্রেস্টিজ অফ " এতটুকু বলে বাক হারা হয়ে যান। তারপরে কিছুটা কমনীয় ভাবে রিপট করে বাক্যাটা শেষ করেন 'দিস ইজ দ্যা প্রেস্টিজ অফ আমাদের'

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।