সেই বায়বীয় হস্তলিপির কথা

হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।

চারিদিকে ঔৎসুক্যের অভাব ছিলনা, সবারই
জিজ্ঞাসা, কি লিখি? সহাস্যে এক কথাই বলতাম,
ঐকিক নিয়মের এক কঠিন সমাধান খুঁজছিলাম!
কথাটা সবাই বিশ্বাস করতো, কেবল তুমি ছাড়া!

এর পর জীবনে অনেক নাম এসেছে আর গেছে,
আর কারো নাম তেমন করে আঙুলে ভাসতোনা।
এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে, পকেটে হাত রেখে
সে নাম লিখার কথা, সেই বায়বীয় স্বাক্ষরের কথা।

ঢাকা
১৫ মার্চ ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১,৭২৬ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “সেই বায়বীয় হস্তলিপির কথা”

  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
    কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
    হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
    আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।

    স্যার, এই চারটি লাইন লেখার পর আর সারাজীবন কিছু না লিখলেও চলে। অসাধারণ।


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।