জীবনের জার্নাল – ৪

ভেবেছিলাম, এখান থেকেই চলে যাবো আমার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার কাহিনীতে। কিন্তু না, আমাদের ক্লাসের আরেকজন ছাত্রের ব্যাপারে কিছুই না বলে চলে যাওয়াতে মন কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না। আর সেটা আরও প্রবল হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ‘জীবনের জার্নাল – ২’ পড়ে করা এক পাঠকের মন্তব্যে। কি করে যে সে বুঝতে পারলো আমার মনের কথাটা কে জানে। সে লিখেছে, “আপনাদের ক্লাসের সবচেয়ে অবহেলিত ছেলেটির কথা জানতে চাই।“

আমিও তার কথাটা একটু বলতে চেয়েছিলাম। সে ছিলো যেমন সবচেয়ে অবহেলিত, তেমনি সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিভা। যে ক’টা বছর ঐ স্কুলে ছিলাম, দুই সেকশন মিলে তাকে বরাবরই প্রথম হতে দেখেছি। শিক্ষকগণ যেমনি তাকে ভালোবাসতেন, আমরাও তেমনি। আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে দুষ্ট ছেলেরাও কোনদিন তার সাথে দুষ্টামি করতোনা। তার প্রথম নামটাই শুধু আজ মনে আছে- শহীদ। মোটা পুরু ফ্রেমের সস্তা চশমা পড়তো। প্যান্ট শার্টে তালি রিপু থাকলেও তা পরিস্কার থাকতো। মুখে লেগে থাকতো বিনম্র হাসি। অত্যন্ত নম্র ভদ্র ছেলে। কখনো খেলার মাঠে যেত না। ক্লাস শেষে তড়িঘড়ি করে বাড়ী দৌড়াতো। প্রথমে বুঝতে পারিনি, তাই কারণ জিজ্ঞেস করতাম। জবাবে পেতাম শুধুই তার একটা বিনম্র হাসি। পরে ফাহিয়ানের কাছে জেনেছিলাম, বাড়ীতে তার সৎ মা ছিলো। তাকে স্কুলে পড়তে শুধু এই শর্তে অনুমতি দেয়া হয়েছিলো যে সে স্কুলে যাবার আগে পরে বাড়ীর ধোয়া পাকলা, সাফ সুতরোর মত ডমেস্টিক কাজগুলো করবে। মোটকথা, বাসার সবার কাপড় কাচা, থালা বাসন ধোয়া, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, বাজার করা ইত্যাদি ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। এর মাঝে যেটুকু সময় সে পেতো, সেটুকুই অধ্যয়নের কাজে ব্যবহার করে ক্লাসে প্রথম হতো। তবে একটু উপরের ক্লাসে উঠে সে তার এই স্থানটা আর ধরে রাখতে পারেনি। শুনেছিলাম, মেট্রিক পরীক্ষায় সে শুধু সাধারণ একটা ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে স্বাধীনতার ঠিক আগে আগে স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক) একটা নিম্ন পদের চাকুরীতে যোগ দিয়েছিলো। নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে সে কোথায় যে হারিয়ে গেলো, তার খোঁজ আর কেউ রাখেনি। আসলে তার কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলনা, যাকে জিজ্ঞেস করে কিছু জানতে পারতাম। ওর পরিস্থিতিতে কারো সাথে বন্ধুত্ব রাখাটাও বড় কঠিন বিলাসিতা ছিলো, তা আজ বেশ সহজেই বুঝি।

স্মৃতি আজকাল বড়ই প্রতারণা করে। তাই ভুলে যাবার আগে আমি এই পর্যায়ে কিছু ভালোলাগা বন্ধুদের নামোল্লেখ করতে চাই এই আশায়, যে হয়তো পরিচিত কারো নজরে লেখাটা পড়ে গেলে তাদের সাথে একটা যোগসূত্রের সম্ভাবনা দেখা দিলেও দিতে পারে। ইগ্নিশিয়াস গোমেজ ওরফে বিজু নামে আমার একজন ভালো বন্ধু ছিলো। নামেই বোঝা যায়, সে খৃষ্টান ছিলো। নিবাস কর আর সুবাস কর নামে দুই ভাই ছিলো। ওরা হিন্দু ছিলো। পূজো পার্বনে বাতাসার ভাগ পেতাম। ওদের বড় বোন দীপালী কর আমার বোনেরও বান্ধবী ছিলেন। মহীউদ্দীন আব্দুল কাদের নামে আমাদের চেয়ে বয়সে বড় একজন নামাযী ছেলে ছিলো, খুবই ভদ্র। রেজাউল করিম নামে একজন চঞ্চল প্রকৃ্তির বন্ধু ছিলো। আর ইকবাল নামে আরেক বন্ধু ছিলো, যার সাথে পরে যোগাযোগ হয়েছিলো তার ছোটভাই ইসতিয়াক এর মাধ্যমে। তার বড় বোন লাইলীও আমার বড় বোনের বান্ধবী ছিলেন।

এখন ফিরে আসছি আবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার কথায়। ফরম পূরনের পর থেকে মূলতঃ আব্বার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানেই আমার প্রস্তুতি পর্ব শুরু হলো। আব্বা অঙ্ক আর ইংরেজীটা খুব ভালো পড়াতেন। অঙ্ক এমন করে বুঝাতেন যে একবারেই বুঝে যেতাম। ইংরেজী ট্র্যান্সলেশনের উপর খুব জোর দিতেন। ওটা করতে গিয়েই স্টক অব ওয়ার্ডস বেড়ে যেত। বাসায় ইংরেজী পেপার রাখা হতো রেগুলার। সেখানেও ইংরেজী চর্চার উপকরণ পাওয়া যেতো। তখনকার দিনে “গেট এ ওয়ার্ড” নামে পেপারে একটা সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা হতো। সেখান থেকেও নতুন নতুন কঠিন ইংরেজী শব্দের সাথে পরিচিত হওয়া যেতো, তবে কাঠিন্যের কারণে ওটা আমার ততটা কাজে দেয়নি এবং আমিও মোটেই উৎসাহী ছিলাম না। আব্বার দেখিয়ে দেয়া টেকনিক ধরেই আমি অনুবাদ করতাম এবং ক্লাসে সবসময় অনুবাদের জন্য সর্বোচ্চ নম্বরটা আমারই জন্য বরাদ্দ থাকতো। বড় হয়ে একদিন আব্বাকে লেখা পোস্ট কার্ডে (তখনকার দিনের দুই পয়সার) আমার দাদার ইংরেজীতে লেখা একটা চিঠি পড়ে বুঝতে পেরেছিলাম, আব্বার ইংরেজী শেখাটাও আমার দাদার কল্যানেই হয়েছিলো। অথচ আমার দাদার শিক্ষাগত ডিগ্রী খুব বেশী ছিলনা। তিনি দেওবন্দে আরবী ও ধর্মশিক্ষায় শিক্ষাগ্রহণ করে নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আরবীর শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং অবসর গ্রহনের পর আমাদের বাড়ীর কাছের মাসজিদে আজীবন ইমামতি করে গেছেন। তিনি আমার জন্মের আগেই প্রয়াত হন, সে কারণে তাঁকে চোখে না দেখলেও তাঁর একটা ইমেজ আমার মনে গেঁথে আছে। তিনি আরবী ও ফারসী ভাষায় একজন বিজ্ঞ ও পারদর্শী ব্যক্তি হিসেবে দূরদূরান্তে বেশ সুপরিচিত ছিলেন বলে লোকমুখে শুনেছি।

একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখি সবাই খুব উৎসাহ নিয়ে কিছু একটা আলাপ করছে। বুঝতে পারলাম, আমার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু হবে। আব্বার হাতে একটা লম্বা খোলা হলুদ খাম ধরা। আমাকে দিলেন। খামের উপরটা মনোনিবেশ সহকারে পড়লাম। আমাদের বাসার ঠিকানা লেখা, আর খামের বামদিকে একটা সীলমোহরে “MOMESHAHI CADET COLLEGE” কথাটা গোল করে লেখা। মোমেনশাহী নামটা শুনতে আমার খুব ভাল লাগতো, এর ইতিহাস কিছুটা জানা ছিলো বলে। লক্ষ্য করেছিলাম, সীলে ইংরেজী N অক্ষরটা মিসিং ছিলো। অনেকদিন ঐ সীলটা ওভাবেই ব্যবহৃত হয়েছিলো। বোধকরি, স্বাধীনতার পরে সব সীল বাংলায় পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত ওটা ওভাবেই ছিলো। খাম খুলে দেখি সেখানে আমার ছবি সম্বলিত একটা এডমিট কার্ড। ভেতরে ভেতরে একটা আশঙ্কা এবং সেই সাথে চ্যালেঞ্জের অনুভূতি স্পর্শ করে গেলো।

ঢাকা
০৭ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

চলবে…

২,৭৩০ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “জীবনের জার্নাল – ৪”

  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    উপরে একটা সীলমোহরে “MOMESHAHI CADET COLLEGE” কথাটা গোল করে লেখা। মোমেনশাহী নামটা শুনতে আমার খুব ভাল লাগতো, এর ইতিহাস কিছুটা জানা ছিলো বলে। লক্ষ্য করেছিলাম, সীলে ইংরেজী N অক্ষরটা মিসিং ছিলো।

    স্যার, আপনার লেখার সবচেয়ে মজার দিকহচ্ছে এই খুটি নাটি


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    সাইদুল, জীবনে "এই খুঁটিনাটি" বিষয়গুলো দেখতে গিয়েই মূল অবয়বটা কতবার যে দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে ফেলেছি, তার ইয়ত্তা নেই।
    আমার লেখার প্রতি তোমার এই সূক্ষ্ম মনযোগ আমার সবসময়ের বাড়তি অনুপ্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  3. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    আমার অনুরোধ রেখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

    স্মৃতি আজকাল বড়ই প্রতারণা করে।

    স্মৃতি শুধু প্রতারকই নয়, নিষ্ঠুর পীড়কও বটে। কখনো কাঙ্ক্ষিত, কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত, কখনো বা অবাঞ্চিত!


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
  4. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    ভাইয়া আপনার ধারাবাহিক লেখাটি খুব ভালো লাগছে। আমি যখন খুব ছোট, ৫/৬ বছর বয়স, আমাদের এলাকাতেই এক বড় ভাই থাকতেন, তিনি মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়তেন, দু'এক সময় আমাদের বাড়ীতেও উনাকে দেখেছি, খুব স্মার্ট লাগতো। তারপর জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগীতায় দেখতাম মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে-এর ক্যাডেটদের বুদ্ধিদীপ্ত ও ধারালো বক্তৃতা। একবার জুলফিকার বিটিভিতে 'ওই আমি বাঘ শিকার যাইমু' গানটি গেয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। উনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, "তুমি কোথায় পড়ো?" তিনি উত্তরে বলেছিলেন, "মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে"। আরেকটু বড় হয়ে দেখলাম ঢাকা বোর্ডের সন্মিলিত মেধা তালিকার এক থেকে বিশের মধ্যে প্রায় সবই পায় "মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে"। এইসব থেকে ঐ কলেজের প্রতি একটা দুর্বলতা তৈরী হয়েছিলো। তবে ঢাকার ছেলে হয়েও শেষমেশ আমি চুজ করেছিলাম 'সিলেট ক্যাডেট কলেজ'।

    জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      ধন্যবাদ রমিত, বুকটা ফুলে গেলো। "মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ" নামটা আমার কানে চিরমধুর, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ততটা নয়। আমাদের কলেজের প্রথম তিনটে ব্যাচ সত্যি সত্যিই খুব প্রতিভাবান ছিলো। আর আমরা কিছু অসাধারণ শিক্ষক পেয়েছিলাম। একজন তো আমার জীবনে কিংবদন্তীর মত। আশাকরি ধীরে ধীরে তাদেরকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারবো। অন্ততঃ চেষ্টা করে যাবো।
      লেখাটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
  5. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    আপনাদের ক্লাসের সবচাইতে অবহেলিত ছেলেটির কথা লিখেছেন। পড়ে মন খারাপ হলো। মির্জাপুর থেকে আমাদের কলেজে আসা শিক্ষক ও খ্যাতিমান লেখক রফিক কায়সার স্যার আমাদের পৌরাণিক কাহিনী পড়িয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন কিছু মানুষ থাকে অর্জুনের মত চিরভাগ্যবান, আর কিছু মানুষ থাকে কর্ণ-এর মত চির-অভাগা। ব্যবহারিক জীবনে গিয়ে দেখেছি, বিষয়টা সেরকমই।

    জবাব দিন
  6. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    আপনাদের কলেজের মাজহারুল হক স্যার আমার প্রিয় শিক্ষকদের একজন। পদার্থবিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও ইতিহাসের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহের প্রথম কারণ মাজহারুল হক স্যার। স্যারই প্রথম ইতিহাস বিষয়ে আমার আগ্রহ জাগিয়েছিলেন। স্যারের আরো একটি বিষয় প্রশংসনীয় ছিলো, স্যার অত্যন্ত রুচিশীল ও পরিপাটি ছিলেন। স্যার ইন্তেকাল করেছেন, উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। / আপনাদের কলেজের আবদুল্লাহ আল আমীন স্যার আমার প্রথম উপাধ্যক্ষ ছিলেন। আল আমীন স্যারকেও ভীষণ ভালো লাগতো।/ আপনাদের কলেজের মাসউদ হাসান স্যারও আমাদের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষক ছিলেন তিনি, উনার সময়েই সিলেট ক্যাডেট কলেজ প্রথমবারের মত বোর্ডের সেরা ফলাফল করেছিলো। শুনেছি মাসউদ হাসান স্যার রেজাল্ট হাতে নিয়ে টেবিল চাপড়ে বলেছিলেন, "আমি ফৌজদারহাটকে হারিয়েছি।" / অসাধারন এইসকল মানুষ গড়ার কারিগররাই ক্যাডেট কলেজগুলোকে গৌরবান্বিত করেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

    জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      এই তিনজনই আমারও অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ছিলেন। তাদের কথায় এক এক করে আসবো বলে আশা রাখি। মরহুম মাযহারুল হক স্যার সম্পর্কে তুমি যা বলেছো, তার অতিরিক্ত এখানে শুধু এটুকু বলে রাখতে চাই, যে তিনি একজন সত্যিকার অর্থে প্রেমিক পুরুষ ছিলেন। প্রথম যৌবনে, যখন থেকে আমরা তাকে দেখেছি, শুধু মেদবহুল ভুঁড়িটুকু ছাড়া তিত্নি অত্যন্ত সুদর্শন ও বিনম্র স্বভাবের অধিকারী ছিলেন। অসংখ্য প্রেমের কবিতা তার মুখস্থ ছিলো, এবং তিনি একজন কোটেশন মাস্টার ছিলেন। আমাদেরকেও তিনি বড় বড় লেখক, কবি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ইতিহাসবেত্তাদের কোটেশন মুখস্থ করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। যদিও তার ব্যক্তিজীবনটা অনেক দূর থেকে দেখেছি, অথাপি আমার মনে একটা ইম্প্রেশন জন্মেছে যে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে অনেক প্রেম প্রীতি স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে ঘিরে রাখতেন। মৃত্যুর মাত্র বছর খানেক আগে তিনি সপরিবারে আমার তৎকালীন কর্মস্থল কুমিল্লার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

      জবাব দিন
  7. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    খায়রুল ভাই, টানা চারটি পর্ব পড়লাম।
    পড়তে খুব খুব খুব ভাল লাগছে।
    আমাদের ছোটবেলাও প্রায় একরকমই ছিল। সহজ, সরল, নির্ঝঞ্ঝাট।
    ভিন্ন জেনারেশন হলেও একটি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সবার ছোটবেলাই মোটামুটি একই রকম ছিল মনে হয়।
    বাবার চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন মফস্বল শহরে থাকার কারনে স্বাধীনতা একটু বেশিই পেতাম।

    '৯০ এর পর থেকে পরিবর্তনগুলো বড্ড বেশি দ্রুত ও নাটকীয় হওয়া শুরু হয়েছে।
    এখনকার বাচ্চাদের শৈশব দেখলে রীতিমত কান্না আসে। জীবনের শুরুটাই হচ্ছে কি নিদারুণ রসকষহীন ও পরাধীনভাবে!

    পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম! :dreamy:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  8. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ভাই, বেয়াদবি না নিলে একটি কথা বলি।
    আমার জানামতে ণত্ব-বিধান অনুসারে বিদেশি শব্দে মুর্ধণ্য ন হয় না। সেক্ষেত্রে, জার্নাল শব্দে দন্ত্য ন হবার কথা।
    ভুল হলে আগেই ফ্রন্টরোল দিয়ে নিচ্ছি! :frontroll:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      একদম ঠিক কথা বলেছো। প্রথমে আমি জার্নালই লিখেছিলাম। পরে একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিকে দেখলাম, 'জার্ণাল' লিখতে। মনে করলাম, আমিই বোধহয় ভুল করেছি, তাই মনের সন্দেহে শুদ্ধ বানানটিকে ভুল করে লিখলাম। আমার এক সিনিয়র ভাই, যিনি আমার লেখায় ভুল বানান পেলেই সাথে সাথে বার্তা পাঠান, তোমার মত তার কাছ থেকেও একই রকম পরামর্শ পেলাম। পেয়ে সব জায়গাতেই এবং আমার লেখার মূল কপিতে সংশোধন করলাম। এখানেই সেটা বাদ পড়ে গেছে। 'জার্ণাল' বানানটা আমার চোখেও খুব কটকটা লাগছিলো।
      যাই হোক, এখনই এডিট করে নেব। অনেক ধন্যবাদ, ভুলটুকু ধরিয়ে দেবার জন্য।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।