অন্য সুর

অন্য সুর, অন্য সুর,
শুনি শুধু অন্য সুর।
উদাসী ঘুঘুর ডাক,
স্তব্ধ করে দেয় দুপুর।
অলস মগনে শুনি,
কেবলি এক অন্য সুর!

সৈকতে যে ঢেউ আসে,
সেখানেও অন্য সুর।
দু’পায়ে পরশ বুলায়,
দু’কানে সুর শোনায়,
মিলিয়ে যায় বহুদূর,
বাজিয়ে দিয়ে অন্য সুর।

ধারাপাত বদলে গেছে,
সাথে সুর নামতারও।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,
হিসেব করার অঙ্কটাও।
এ যেন এক অচিনপুর,
সবখানেতে অন্যসুর!

রাগ রাগিণী বিস্মৃত,
মল্লারী সুর তিরোহিত,
পাখিদের কন্ঠে বাজে,
অশ্রুত সব নতুন সুর,
মোটেই নয় শ্রুতিমধুর।
অন্য সুর, অন্য সুর!

ঢাকা
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১২,৩০৮ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “অন্য সুর”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    হিসেবের মুদ্রা উধাও,
    হিসেব করার অঙ্কটাও।
    এ যেন এক অচিনপুর,
    সবখানেতে অন্যসুর!

    - অন্য সুরের অবাক অচিন বাজনাতে
    টান পড়ে কোন হৃদপুকুরের ফাতনাতে ।

    জবাব দিন
  2. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    বোধকরি কিছুটা বুঝতে পারলাম। এমন অনুভবই কি জীবনানন্দকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল,

    একটা মোটরকারের পথ- মোটরকার
    সবসময়ই আমার কাছে খটকার মতো মনে হয়েছে,
    অন্ধকারের মতো।

    অথবা,
    একটি মোটরকার গাড়লের মতো গেল কেশে
    অস্থির পেট্রল ঝেঁড়ে; সতত সতর্ক থেকে তবু
    কেউ যেন ভয়াবহভাবে প'ড়ে গেছে জলে।

    (সম্পাদিত)


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।