শেকড়

কখনো কখনো আমি ইউক্যালিপ্টাস গাছের মত
তরতরিয়ে বেড়ে উঠি।
সতীর্থদের ছেড়ে মাথা উঁচু করে আকাশ দেখি,
সবার আগেই আকাশ দেখি।
তবে যতই উপরে উঠিনা কেন, আমার পাতারা
সব ভূমিমুখী হয়ে ঝুলে থাকে,
আমার ডালপালাগুলো হঠাৎ হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে,
আমি শেকড়ে ফিরে আসি।

কখনো কখনো আমি লতাগুল্মের ন্যায় কান্ড খুঁজি,
উপরে ওঠার পথ খুঁজি।
মহীরুহকে আঁকড়ে ধরি, সরু বৃক্ষও জড়িয়ে ধরি,
তরতরিয়ে বেড়ে উঠি।
তবে যতই উপরে উঠিনা কেন, কোন এক সময়ে
আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
বৃদ্ধ বিটপীর রুক্ষ শীর্ষে উঠে আমি আনত হই,
আমি জটা হয়ে শেকড়ে ফিরে আসি।

ঢাকা
২৪ জুন ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১,৪০০ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “শেকড়”

  1. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম; কুঁড়িতে নয়, ফুলের মাঝে নয়, গাছেদের সব আলো লুকিয়ে থাকে তাদের শেকড়েই! Deep in roots, flowers keep the light. অন্যদিকে আমরা সারাজীবন যতোই ঘুরে ফিরে বেড়াই না কেন সেইতো ফিরে আসতেই হয় মায়ের কাছে, মাটির কাছে, আমাদের উৎসমূলের কাছে!

    কবিতা পড়তে মন্দ লাগেনা কিন্তু স্বল্প জ্ঞানবোধের কারণে কবিতার ব্লগে মন্তব্য করতে গেলে আমার হাত পা জমে যায় প্রায়। সিসিবি এখন কবিদের পদচারণায় মুখর। কবিতায় আড্ডাও চলছে জোরসে। নীরব সিসিবিয়ান হয়ে আমি নিজেকে এডুকেট করতে চেষ্টা করি নিয়তই!

    চমৎকার লাগলো পড়তে!

    জবাব দিন
  2. সাইদুল (৭৬-৮২)

    স্যার আপনার প্রতিটি কবিতাতেই গভীর অনুভূবের একটা ব্যাপার থাকে। যা আমার মত ভোতা মানুষকেও নাড়িয়ে দেয়।
    আমাদের ফিরে আসতেই হয়।


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।