ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা সেই মেয়ে

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা এক মেয়ে
প্লে গ্রুপে পড়তো যখন প্রিপারেটরী স্কুলে,
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনেটুনে রেডী করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে পানি,
তাইনা দেখে বাকী সবাই করতো কানাকানি।
ঐটুকু এক মেয়ে, তার মনেও কত মায়া,
সাথীর চোখের অশ্রু তাকে করতো অসহায়া।

পকেট থেকে টিস্যু নিয়ে মুছাতো চোখের জল
তার নরম কথায় ছিঁচকাঁদুনে মনে পেতো বল।
এ্যাদ্দিন পর ছিঁচকাঁদুনের পরলো বেজায় মনে
শিশুকালের সেই সাথীটার স্মৃতি সঙ্গোপনে!

ঝুমানা নামের মেয়েটিকে তার দেখতে ইচ্ছে হলো
খুঁজলো চষে এদিক সেদিক, যেথায় যাকে পেলো,
জনে জনে জিজ্ঞাসিল, কেউ খোঁজ কি তার জানে?
কেউ না জানাতে প্রসঙ্গটি সে ফেইসবুকেতেই আনে।

(ইতিপূর্বে ফেইসবুকে প্রকাশিত)

পাদটীকাঃ আজ সকালে ফেইসবুকের পাতায় স্মৃতিকাতর এক যুবকের একটা স্ট্যাটাস পড়ে কবিতাটা মাথায় আসে। সাধারণতঃ মেয়েরা ছিঁচকাঁদুনে হয়ে থাকে আর ছেলেরা তাদের চোখের জল মোছায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘটনাটা ব্যতিক্রম ছিলো আর যুবক এ ব্যাপারে কোন রাখঢাক করেনি। সেটাই আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। যে মেয়ে প্লে গ্রুপে থাকতে পরম মমতায় তার সাথীর চোখ মুছিয়েছে, আমার বিশ্বাস, সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, সারাজীবন ধরে সে কারো না কারো চোখ এভাবেই মুছিয়ে যাবে। কারণ একটা অতি স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল মন নিয়েই সে এ ধরায় এসেছে বলে আমার ধারণা।

ঢাকা
০৫ এপ্রিল ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১,৩৬৯ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছা সেই মেয়ে”

  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    স্যার, দ্বিতীয় লাইনের 'তারা' টা তুলে দেবেন নাকি? কোন কিছু বদলাবে না পড়ার মজাটা একটু বাড়বে। ফেস বুকেও ভালো লেগেছিলো। এখনও


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।