তোমার কবিতাগুলো

তোমার কবিতাগুলো,
কোন মোহিনী নারীর নাকে বসে থাকা
অমূল্য হীরক কণার ন্যায় প্রতিভাত হয়।
ঝলসে ওঠা দ্যূতি হঠাৎ হঠাৎ বিচ্ছুরিত হয়,
আবার কখনো ছেয়ে যায়, ম্লান পেলবতায়।

তোমার কবিতাগুলো,
পড়ে ফেলার পরেও আমার অগভীর কর্ণকুহরে
দিকভ্রান্ত পাগলিনীর ন্যায় অবলীলায় কথা বলে,
কখনো তা অর্থহীন মনে হয়, কখনো বাঙময়।
কিভাবে ওসব লেখা হয়, তা এক অজানা বিস্ময়।

তোমার কবিতাগুলো,
পড়ে মনে হয় তুমি স্বচ্ছতার কবি, শান্তির কবি,
ভালোবাসার, স্নিগ্ধতার, মুগ্ধতার ও প্রকৃতির কবি।
যার হৃদয় পূর্ণিমা ও তমসায় সমভাবে পুলকিত হয়,
বহতা নদীর জলে ও জলধরে সমলয়ে প্রবাহিত হয়।

তোমার কবিতাগুলো,
বলে দেয় প্রকৃতির খেয়ালি আচরণ তুমি মেনে নাও,
যেভাবে বঙ্গনারীর বিচিত্র খেয়ালগুলো মেনে নেয়,
তাদের প্রেমাসক্ত দয়িতেরা। অযথা খুঁজতে যাওনা
বর্ণ্যাঢ্য প্রকৃতির হঠাৎ বর্ণহীন হওয়ার কারণগুলো।

তোমার কবিতাগুলো,
নিমেষেই হয়ে যায় স্নিগ্ধ সঙ্গীতের অশ্রুত গীতিকথা।
মনের গহীনে তুমি সর্বদাই সঙ্গোপনে লুকিয়ে রাখো
একটি দুটি গানের গোপন সুরলিপি, গেয়ে যাও তুমি
পাখীর সাথে, নদীর সাথে আপন খেয়ালে সেসব গান।

তোমার কবিতাগুলো,
বড় ভালবাসি। একটি নয়, দুটি নয়, সকল কবিতাই
একটি একটি করে বের করে আবৃত্তির ন্যায় পড়ে যাই।
একটিমাত্র শব্দ দিয়ে শান্তির যে বারতা তুমি রেখে যাও,
তারই পরশে দূর থেকে আমার কবিতাগুলো লিখে যাই।

পাদটীকাঃ কোন এক ভিন দেশী কবির কবিতা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এ কবিতাটি লিখেছি।

ঢাকা
০৩ অক্টোবর ২০১৩
কপিরাইট সংরক্ষিত।

১,৩০৪ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “তোমার কবিতাগুলো”

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।