আশা

কোন বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে
আশা যেন এক অন্তহীন কুজ্ঝটিকা,
বিভ্রান্তির আবহে এক অলীক কুহেলিকা।

কোমল যে হৃদয় একবার আশাহত হয়,
ভঙ্গুর কাঁচের ন্যায় খানখান হয়ে যায়,
তারে জোর করে জোড়ালেও দাগ রয়ে যায়।

পরাভূত মন, দহে অনুক্ষণ,
ব্যথিত হৃদয় পায় কিছু উপশম,
আশার উষ্ণ চাদর তারে ঢাকে যতক্ষণ।

ঢাকা
২৭ নভেম্বর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১,২৫৯ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “আশা”

    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      ধন্যবাদ সাইদুল, তুমি ঠিকই বলেছো। কথা প্রসঙ্গে জোড়া লাগার ব্যাপারে একটা সত্য ঘটনার অবতারনা করছিঃ
      আমাদের ফিজিক্স টীচার ছিলেন গফুর স্যার। খুবই কড়া লোক। এসএসসি পরীক্ষার প্র্যাকটিকালের ঠিক আগে আগে আমার এক বন্ধু দুষ্টামি করতে করতে প্র্যাকটিকাল খাতার একটি পাতার ঠিক মাঝখান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। পাতাটা যথাসাধ্য রিপেয়ার করে গফুর স্যারের কাছে কালোমুখ নিয়ে গেলাম। স্যার একটু নাকি সুরে কথা বলতেন। তিনি উল্টে পাল্টে দেখে বললেন, "হুঁ, ফাঁডা কঁপাল জোঁড়া লাঁগে ঠিঁকই, তঁবে দাঁগ থাঁইক্যা যাঁয়"।
      উল্লেখ্য, ঐ প্র্যাকটিকাল পরীক্ষায় আমার ক্লাসের অন্যান্য সবাই ২৫ এর মধ্যে ২৪/২৫ পেলেও আমি পেয়েছিলাম ২০। অবশ্য তাতেই আমি বেজায় খুশী ছিলাম, কারণ ফেল করালেও তো বলার কিছু ছিল না।

      জবাব দিন
      • সাইদুল (৭৬-৮২)

        গফুর স্যারের কথা আসাদের লেখায় পড়েছি "হুঁ, ফাঁডা কঁপাল জোঁড়া লাঁগে ঠিঁকই, তঁবে দাঁগ থাঁইক্যা যাঁয়"। তবে এই লাইনটি অসাধারণ। থ্যাঙ্কিউ স্যার, ফর শেয়ারিং


        যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

        জবাব দিন
  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    "আশা নিয়ে ঘর করি..
    আশায় পকেট ভরি...
    পড়ে গেছে কোন ফাঁকে চেনা আধুলি... "
    তাতে কি, তবুও তো আশা ছাড়ি না।
    ভাবি, বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে কেন তা কুজ্ঝটিকা বা কুহেলিকা হবে?
    হয়তো নিজে বিষাদগ্রস্ত না হলে তা বুঝতে পারবো না......


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    হৃদয় যখন বিষাদগ্রস্ত হয়, আশা ভরসার কথাগুলোকে তখন কুহেলিকাময় মনে হয় - মনের এই অনুভূতিটুকুই কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। অনুভূতিটা হয়তো সাময়িক ছিল, হতেও পারে...

    জবাব দিন
  3. আমার চেষ্টা ও আমার ভালবাসা।
    এরই মাঝে বেঁচে থাকে অন্তহীন আশা।
    অনেক টাকা হবে,মা কে আর পরের বাড়িতে কাজ করে বকুনি খেতে হবে না,
    অনেক বড় বাড়ি হবে, বর্ষা - ঝড়ে আর সারা রাত শুকনো জায়গার অভাবের কষ্টে নিজেকে জড়াতে হবে না,
    এরই মাঝে কথা দিয়েও ফাঁকি দিয়ে আড়ালে বিদায় নেয় জীবনের ভাষা।।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইদুল (৭৬-৮২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।