আর দীর্ঘশ্বাস নয় (অনুবাদ কবিতা)

আর দীর্ঘশ্বাস নয়,
হে রমণীকূল, আর কোন দীর্ঘশ্বাস ফেলো না।
পুরুষেরা তো চিরকালই শঠ ছিলো;
তাদের এক পা থাকে সাগরে তো আরেক পা তীরে,
কোনও একটা কিছুতে তারা চিরবিশ্বস্ত থাকে না।
তাই কোন দীর্ঘশ্বাস ফেলো না।
তাদের যেতে দাও,
আর তোমরা প্রফুল্ল থেকো,
দুঃখের সকল ধ্বনিমালাকে তুচ্ছ করে।

আর কোন সাদাসিধে গান করোনা,
আর কোন বিষন্ন অবসাদের
ভারী গান গেয়োনা।
পুরুষের প্রবঞ্চনা সেই প্রথম
পল্লবময় গ্রীষ্মের শুরু থেকেই ছিলো।
তাই আর কোন দীর্ঘশ্বাস ফেলো না।
তাদের যেতে দাও,
আর তোমরা প্রফুল্ল থেকো,
দুঃখের সকল ধ্বনিমালাকে তুচ্ছ করে।

 

মূলঃ William Shakespeare

অনুবাদঃ খায়রুল আহসান

মূল কবিতাটি নিম্নে উদ্ধৃত হলোঃ
Sigh No More

Sigh no more, ladies, sigh no more,
Men were deceivers ever;
One foot in sea, and one on shore,
To one thing constant never.
Then sigh not so,
But let them go,
And be you blith and bonny,
Converting all your sounds of woe
Into Hey nonny, nonny.

Sing no more ditties, sing no mo
Of dumps so dull and heavy;
The fraud of men was ever so,
Since summer first was leavy.
Then sigh not so,
But let them go,
And be you blith and bonny,
Converting all your sounds of woe
Into Hey nonny, nonny.

 

ঢাকা
২১ নভেম্বর ২০১৪
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

১,৮৬৬ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “আর দীর্ঘশ্বাস নয় (অনুবাদ কবিতা)”

  1. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    অনুবাদের ২য় ও ৩য় অনুচ্ছেদ দুটি আসলে একই অনুচ্ছেদ। কবিতাটা প্রকাশ হবার পর একটু সম্পাদনা করতে গিয়েই ঘটলো এই বিড়ম্বনা।
    "পুরুষের প্রবঞ্চনা সেই প্রথম

    পল্লবময় গ্রীষ্মের শুরু থেকেই ছিলো।" - এই দুটো লাইনের মধ্যে হঠাৎ করে স্পেস পড়ে গেলো, কিছুতেই আর স্পেসটুকু উঠাতে পারছিনা। ব্যাকস্পেসে গেলে দুটো লাইন একলাফে এক হয়ে যাচ্ছে। ফলে কবিতার অঙ্গহানি ঘটছে। এই বিভ্রাটের থেকে উত্তরণের কোন পথ যদি কোন এডমিন মহোদয় কিংবা অন্য কোন ভাই বাৎলে দিতেন তবে খুব খুশী হ'তাম।

    এ ছাড়া নভিসেস ড্রিলে উল্লেখিত "আমার লকার" টাকে কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিনা। সেখানে আমার কতগুলো খসড়া লেখা সংরক্ষিত ছিলো। ওগুলোকে খুঁজে না পাওয়াতে চিন্তায় ছেদ পড়েছে। খসড়াগুলো পুনরুদ্ধারের উপায় কী, তা কি কেউ একটু বলে দেবেন?

    "সিক রিপোর্ট" এ উল্লেখ আছেঃ "কিংবা যে কোন সমস্যায় ই-চিঠি লিখতে পারেন এই ঠিকানায়: contact[এট]cadetcollegeblog.com"। কিন্তু ঐ ঠিকানায় ইমেল দিয়ে কোন জবাব পাই নি। সাইটটি আরেকটু ইউজার ফ্রেন্ডলি হোক, এটুকু প্রত্যাশা রেখে শেষ করছি।

    জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    কাল রাতে বন্ধু অর্পিতা আর আমি আবৃত্তি করছিলাম, ভাইয়া! আমি পড়লাম আপনার অনুবাদটা, ও পড়েছে মূল লেখাটি! চমৎকার সময় কেটেছে আপনার আয়োজনকে কেন্দ্র করে!

    আরো আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম, ভাইয়া!

    জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      আমার কোন কবিতা সাত সাগর মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কারও কন্ঠে ধ্বনিত হবে, তা কখনো আশা করিনি। তাই এই দুর্লভ সম্মানটুকু পেয়ে খুবই উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। এজন্য তোমাকে আর তোমার বন্ধু অর্পিতাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

      জবাব দিন
  3. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এই কবিতাটা আমি আগে পড়ি নাই।
    পড়তে বসে খুবই অবাক হলাম যে বিগত অর্ধ সহস্র বছরে পুরুষ চরিত্রে এতটুকুও পরিবর্তন হয় নাই?
    কি ভাবে সম্ভব????


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  4. সাইদুল (৭৬-৮২)

    শেক্সপিয়ার মহাশয় পুরুষ চিনেছিলেন, আপনি আমাদের কে সতর্ক করে দিলেন। খুব আত্মবিশ্বাসী অনুবাদ। খুব ভালো লাগলো


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  5. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    একটা বিশেষ উচ্চতায়ই অমন দর্পণে দৃশমান হতে পারে । যেখানে একজন শেক্সপিয়ার পৌঁছুতে পারেন অবলীলায় ।

    আর দুঃসাহসী এ অনুবাদ যথার্থ ও পরিপূর্ণ ভাবে মৌলিকের আস্বাদ দেবার ক্ষমতাধর।

    হ্যাটস অফ ভাই ।

    জবাব দিন
  6. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    এই কবিতাটা যেমন এক দিক থেকে নারীপক্ষে এক রকমের অনবদ্য উচ্চারণ । তেমনি এর ভেতর আছে এক অন্তর্নিহিত স্যাটায়ার ।
    সেই যে চিরায়ত এক কথা আছে, এমনকি অনেক জোকও আছে ...
    সেটার মতোন ।
    একজন নারীকে খুশী করার জন্য একশো একটা বিষয়ের অবতারনা আছে। আর বিপরীতে একজন পুরুষকে খুশী করার জন্য !
    leave him alone
    🙂
    ( no offense )

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।