দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার সর্বেশেষ সংবাদ হচ্ছে বিডিআর ডিজির বাসভবনে দুজন বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলার ডেডবডি পাওয়া গেছে। তাদেরকে সনাক্ত করা যায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা লেঃকঃ দেলোয়ার হোসেন (অবঃ) এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম। উনারা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে ডিজির বাসায় উঠেছিলেন। লিঙ্ক এখানে
সামিয়াপুর আব্বুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বিপুল সেনা অফিসার সহ ১৩৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। আমরা সবার জন্য প্রার্থনা করি উনারা ফিরে আসবেন। কোন তালা মারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে এইটাই দেখার জন্য ইচ্ছা করছে। গত দেড় ঘন্টা ধরে কেউ কোন খবর দিচ্ছে না। বিডিনিউজ মারফত জানতে পারলাম নিখোঁজ দের তল্লাশী চালানো হচ্ছে। সেটার কোন খবর জানলে কেউ দিন প্লিজ।
লেঃকঃ দেলোয়ার হোসেন (অবঃ) এবং লাভলী বেগম আমাদের এহসান ভাইয়ের (৮৯-৯৫) ফুপা-ফুপি।
একের পর এক পরিচিত মানুষের মৃত্যু সংবাদ পেতে পেতে আর সহ্য করতে পারছিনা। নার্ভেরও তো একটা সহ্য লিমিট আছে।
এহসান ভাই মনটা শক্ত করুন।
ইয়াল্লা... কিছু বলতে পারছিনা। তবে এইট ধারণা করা হচ্ছে। সত্য নাও হতে পারে।
আল্লাহ, আর কতো শুনবো?
বিডিআর গতকাল সকাল ১১টার দিকে দুজন আর্মি অফিসারকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে সাতকানিয়াতে। তাদের কি হয়েছে রাতের ৮টা পর্যন্ত জানা যায়নি।
(দৈনিক ডেইলী স্টার)
এই ঘটনাটি একজন আর্মি অফিসার বন্ধুর কাছ থেকে শোনা। ২৪ তারিখ বিডিআর সদর দফতরে অবস্থানরত (ওই মুহুর্তে ঘটনাস্থলে আত্মগোপোনকারী) সেনা কর্মকর্তা মোবাইলের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন আমার আর্মি অফিসার বন্ধুর কাছে। তাঁর বর্ণনা মিডিয়া এবং সরকার কর্তৃক উপস্থাপিত তথ্য থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
২৪ তারিখ সকাল নয়টার কিছুক্ষন আগে দেশের বিভিন্ন বিডিআর ক্যাম্প থেকে আগত সর্বমোট ১৬৫ জন আর্মি কর্মকর্তা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এসেমব্লিতে শুধুমাত্র একজন অস্ত্রধারী অবস্থায় (বিডিআর চীফ মে জ়ে শাকিল আহমেদের দেহরক্ষী) উপস্থিত ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, কোন এসেমব্লিতে অস্ত্র বহন করার কোন নিয়ম না থাকায় কোন আর্মি অফিসার সশস্ত্র ছিলেন না। ৯টার দিকে দরবার হলে এ আলোচনা চলাকালীন অবস্থায় হঠাৎ করে দেহরক্ষী তার অস্ত্র বিডিআর-প্রধানের দিকে তাক করে। ঠিক একই সময় অতর্কিতে আরো কিছু বিডিআর সদস্য সশত্র অবস্থায় এসেমব্লিতে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের মুখে উপস্থিত সকল অফিসারদের বন্দী করে ফেলে। এখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। অতঃপর অস্ত্রের গুদাম থেকে বিডিআর সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে অপারেশনে নেমে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অনেক আর্মি অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয়। এরপর তারা অফিসারদের স্ত্রী ও পরিবারবর্গকে গণহারে ধর্ষণ করা শুরু করে। এ ধর্ষণের ঘটনা কিছু জনসমক্ষে , কিছু অফিসারদের বাসভবনে ঘটানো হয়। ধর্ষণের পর তাদেরকে নগ্ন এবং মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এর মধ্যে উল্লেখ্য যে, বিশেষ এবং নির্বাচিত কিছু অফিসারদের স্ত্রীদের ধর্ষণকার্য দরবার হলে সমস্ত অফিসার, তাদের শিশু সন্তান এবং তাদের পরিবারের সামনে ঘটানো হয়। বিডিআরের ডিজি-এর স্ত্রীকে আনুমানিক চল্লিশজন ধর্ষন করে। সর্বমোট ১৪০ জন সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে, পিটিয়ে, গাছে ঝুলিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলি ২৪ তারিখ সকাল নয়টা থেকে সণধ্যা পর্যন্ত চলে। উল্লেখ্য যে, দুপুর দুইটার পরে প্রধানমন্ত্রী বিডিআর সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এদিকে মোবাইল নেটোয়ার্ক চালু থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীপ্রধান এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ভেতরের এই নিপীড়ণ সম্বন্ধে প্রথম থেকে(২৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে) অবগত ছিলেন।
এতো বড় একটা হত্যাযজ্ঞ এবধষণের ঘটনা কোনভাবেই অপরিকল্পিত বিদ্রোহ নয়। এবং সম্পূর্ণরূপে কোন এক শক্তিশালী চক্রের মদদপুষ্ট ঘটনা। মিডিয়ার উপস্থাপনায় বিডিআর সদস্যরা সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা নিপীড়িত এবং দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে এই বিদ্রোহের পথ বেছে নিয়েছে- এধরণের একটি ধারণা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এধরণের পাশবিক লুণ্ঠন, হত্যা ও ধর্ষণের পথ বেছে নেওয়ার নজির ইতিহাসে নাই। স্বল্পশিক্ষিত উচ্ছৃংখল এইসব বিডিআর সদস্যরা এতোবড় একটি ঘটনা এমন দলবদ্ধভাবে ঘটাবে তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। নিপীড়ন ও দূর্নীতির ঘটনা একেবারে যে অসত্য তা নয়। তবে এরকম একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ঠ নয়। যথেষ্ঠ পরিমাণ উষ্কানি ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র এ ঘটনার পেছনে না থাকলে এটি হত না। পরিকল্পনা ও পূর্বপ্রস্তুতি ছারা এতোগুলো লাল কাপড়ে ঢাকা মুখও দেখা সম্ভব নয়, ১৫০০০ লাল কাপড় তো অপ্রস্তুত কোনো ঘটনা হতে পারে না। আমার বন্ধু ঘটনাটি বলার সময় উল্লেখ করে যে, যৌথো বাহিনীর মুল পরিকল্পনাকারি কিছু দক্ষ অফিসারকে(যেমনঃ বি.জে. বারী, কর্নেল গুলজার RAB থেকে) ফেব্রুয়ারী মাসের কয়েক মাস আগে বিনা নোটিশে বিডিআর এ পোস্টিং দেয়া হয়, যা যথেস্ট সন্দেহজনক।
আমরা সিভিলিয়ানরা অনেকেই আর্মিকে সবসময় নিষ্ক্রিয় বিচ্ছিন্ন সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বলে মনে করি। অথচ তারা সিভিলিয়ান শহরের নিরাপত্তা রক্ষা করে, সিভিলিয়ান্দের ভোটার তালিকা তৈরি করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণবিতরণ করে, যেগুলো কোনভাবেই তাদের করার কথা নয়। উপযুক্ত ও যোগ্য লোকবলের অভাবে তারা এসব করতে বাধ্য হয়। তাদের মূল দায়িত্বের কথা না হয় নাই বলা হল। বেতন পায় সরকারি স্কেলে। এই ঘটনা প্রমাণ করল তারা সিভিলিয়ান্দের মতই রক্ত-মাংসের মানুষ যাদের লাশ ইদানিং স্যুয়ারেজ লাইনেও পাওয়া যায়।
আপনি যেদিকে ইংগিত দিয়েছেন আমি আপনার সাথে একমত না। কারণ এই অবস্থায় সবচেয়ে বিপদে ছিল সরকার। আর্মি অনেক সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে নইলে সরকারের কিছুই করার থাকত না।
আপনার কমেন্টের অনেক কিছুই অসমর্থিত এবং এখনো পরিষ্কার হয়নি আসলেই সেরকম হয়েছে কিনা। অফিসার রা বের হয়ে এসে সবাই নিজের কথাই বলেছে এবং এটা বলেছে নিজের জীবন বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিলেন পুরো ঘটনা বলা সম্ভব হয়নি ওনাদের। আর ফ্যামিলি নির্যাতনের ব্যাপারটা এখন পর্যন্ত অনুমান নির্ভর এবং অনেকটাই আর্মি অফিসার যারা অন্যান্য জায়গায় আছেন কিংবা ক্যান্টনমেন্টে আছেন তাদের থেকে আগত। সত্যতা এখনো জানা যায়নি। বিশ্বাস এবং আশা করি সত্য নয়।
আমারো মনে হয় যে, এই ধরণের(গণধর্ষণ ইত্যাদি)নিউজগুলা ক্যান্টনমেন্ট ও অন্যান্য জায়গার আর্মি অফিসারদের থেকে আগত...এই পরিস্থিতিতে অবশ্য এইটাই স্বাভাবিক...
দোয়া করি, এইসব গুজব যেন নিছক গুজব হয়েই থাকে...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আমার ভয় কি জান?
এই পর্যন্ত যতগুলো গুজব শুনেছি সময়ে সবই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আই এ্যাম রিয়েলি অ্যাফ্রেড................
Life is Mad.
দেশ থেকে অনেক দূরে পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ একটি দেশের নিরাপদতম শহরে পড়ে আছি। দেশের ঘটনাগুলো ওয়েবে আতিঁপাতিঁ করে খুঁজে দেখছি আশাপ্রদ কোন খবরের আশায়। আমার সরাসরি পরিচিত কেউ ছিলেন না পিলখানায়। যারা ছিলেন তারা আমার বন্ধু, সিনিয়ার এবং জুনিয়ারদের পরিচিত। তবু বুকের মধ্যে দলা পাকানো কান্নায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। এই নৃশংসতা ২৫শে মার্চের কাল রাত্রির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে আমাকে।
গুগলে একটা করে পরিচিত নাম টাইপ করি, প্রাসংগিক আরো কিছু সার্চ টার্ম ঢুকিয়ে সার্চ দেই। সম্পর্কিত কোন লিংক আসে না। পরিচিত নিউজ সাইটগুলোতে যাই, তাড়াতাড়ি খোঁজার জন্য ফায়ারফক্সের সার্চটুলটা ব্যবহার করি। দুটো বর্ণের পরই লাল হয়ে যায় টেক্সট বক্সটা। নেই তারা কোথাও।
সংবাদ মাধ্যমগুলি থম মেরে পড়ে আছে। নিখোঁজদের খোঁজ নাই। আমরা একটা খবরের জন্য এখন কোথায় যাব?
যারা বাংলাদেশ থেকে আছেন তারাও কিছু বলছেন না। এই নীরবতা অসহ্য ঠেকছে। সানা ভাই মনে হয় ২ দিন পর আজ বাসায় গিয়েছেন। উনি যে কি করেছেন গত ২ দিন তা এই নীরবতা দেখে বুঝতে পারছি। গত ২ দিন প্রায় প্রতি মূহুর্তের খবরই পেয়েছি। এখন কিচ্ছু জানতে পারছি না।
Gang rape seems to be an outrageous allegation. Please make sure that you get this info from authentic source. At this moment such news will burn the flame of anger more strongly!
ফৌজদারহাটের ২২ তম ব্যাচের লে কর্নেল কায়সার ভাই বেজন্মা বিডিআরদের হাতে শহীদ হয়েছেন । উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।
কায়সার ভাই, মাজহার ভাই, হায়দার ভাই, হুমায়ুন ভাইদের হাজার সালাম । আমার কিছু বলার ভাষা নেই, ফিল কলিন্স এর ওই গানটার মত শুধু বলতে পারি
ইউ উইল বি ইন আওয়ার হার্ট
নো ম্যাটার হোয়াট দে সে
ইউ উইল বি ইন আওয়ার হার্ট, অলওয়েজ
ইনশাদ ভাইয়ের ব্যাপারেও মুক্তি পাওয়া একজন অফিসার নেগেটিভ খবর দিলেন । এখন নাকি মাত্র দুইশ বিডিআর আছে ভেতরে, সব পালিয়েছে । আসল ****** দের কি তাহলে কিছুই হবে না? এই দেশের নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত ।
Can we compile a list of ex-cadets died ?
22 ex-cadets have been died.
আমি এই বিদ্রোহের সঠিক বিচার চাই ...সব নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি
Tanks, troops enter BDR HQ
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
কেউ কি এই নিউজটা কনফার্ম করবেন কাইন্ডলি?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার ঃ
সকালে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আজ সকালে আরও একজন সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাৎক্ষণিক ভাবে নিহতর পরিচয় জানা যায়নি৷
এদিকে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল পিলখানার প্রধান পানি নিষ্কাশনের নালায় উদ্ধার কাজে নেমেছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, নালায় লাশ আটকে থাকতে পারে৷ আর নালায় কোন লাশ যেন না আটকে থাকেত পারে এ জন্য বাইরে থেকে জোর বাতাস প্রবাহের ব্যাবস্থা করা হয়েছে৷
সূত্রঃ প্রথম আলো
শুক্রবার সকালে আরো ছয়টি লাশের পরিচয় মিলেছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ১১টি লাশের মধ্যে দুটি হল অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগমের।
অন্যরা হলেন- মেজর হুমায়ন, সুবেদার আবুল কাশেম, নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিন, ল্যান্স নায়েক মানিক, সহকারী পরিচালক (এডি) খন্দকার আব্দুল আওয়াল, কর্ণেল আফতাব, বিডিআর'র এক সদস্য, দুটি শিশু।
নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিনকে সনাক্ত করেছেন তার ভাই মো: আব্দুল মোতালেব, মেজর হুমায়নকে সনাক্ত করেছেন তার চাচা শ্বশুর আবুল কাশেম, সুবেদার আবুল কাশেমকে সনাক্ত করেছে লালবাগ থানা পুলিশ, ল্যান্স নায়েক মানিককে তার মামা, কর্নেল আফতাবকে তার শ্যালক শাহাবুদ্দিন সনাক্ত করেছে।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
এইমাত্র কথা হলো রায়হানের সাথে।
ও আর সামিয়া আছে বিডিআর গেটে। আঙ্কেলের খোঁজ চলছে।
এখানে না পেলে যাবে কামরাঙ্গীচর।
রায়হানের সাথে কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম। সামিয়ার সাথে কথা বলার সাহস হলো না।
নিখোঁজ বাবার ছবি হাতে নিয়ে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে যে মেয়ে, তার সাথে কথা বলার সাহস প্রকৃতি আমাকে দেয় নি।
আল্লাহ,
আমাদের বোনটার যেন কামরাঙ্গীরচর যাওয়া না লাগে...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
চোখটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে নিজের অজান্তে। ......................
নিখোঁজদের ব্যাপারে তথ্য দিতে একটি অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে বিডিআর সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
ওর কেমন যে লাগছে, ভাবতেই গা শিউরে উঠে। আল্লাহ যেন শেষমেষ ওর উপর একটু রহম্ করে।
ফৌজদারহাটের ৩৪ তম ব্যাচের মেজর শোয়েব ভাই এর খবর পাওয়া যাচ্ছে না । উনি খাগড়াছড়িতে কর্মরত ছিলেন । ঐ পোষা বুদ্ধিজীবীরা এখনো নির্বিকার?
ফৌজদারহাটের ২২তম ব্যাচের লে. কর্নেল কায়সার আহমেদ ভাই সহ আরো সাত শহীদ অফিসারের জানাজা নামাজ আজ সাড়ে চারটায় ঢাকা ক্যান্ট. কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে।
১৮তম ব্যাচের লে. কর্নেল ইনশাদ আমীন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দরবার হল থেকে বেচে ফিরে আসা লে. কর্নেল কামরুজ্জামান, কিন্তু তার মৃতদেহ এখোনো খুজে পাওয়া যায়নি।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
এইমাত্র বিডিআর সদর দপ্তরের ভিতরে উদ্ধার অভিযানে থাকা বিগ্রেডিয়ার শহিদুল্লাহ এনটিভি সরাসরি ফোনে জানালেন মাটি খুঁড়ে অনেক অফিসারের সারিবদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের সবাই ইউনিফর্ম পড়া, দরবার হলের লাল কাপড় দিয়ে সবাইকে মুড়িয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিলো।
এরা বেশির ভাগ কর্নেল/লে, কর্নেল পদমর্দাযার।
মেজর শোয়েব ভাই এর খবর পাওয়া গেছে । উনি লুকিয়ে ছিলেন ।
আলহামদুলিল্লাহ, এখনো আশা আছে।
বাড়িতে যেতে হয়েছিল। দেশের খবর কিছুই জানতাম না। শুধু কাল রাতে শুনলাম বিডিআর এর আত্মসমর্পণ এর কথা।
সিসিবিতে এসে এত মন্তব্য আর পড়তেও পারছি না। কি বলব ভেবেও পাচ্ছি না।
সামিয়ার বাবা সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসুন, এই কামনা করছি।
নয়া দিগন্তের এই লিঙ্কটা বিদ্রোহের কারণ আর পরিকল্পনা নিয়া লিখছে।
ভালই প্ল্যান করসিলো শালারা।
সফল বিদ্রোহ, এখন সফলভাবে ওদের বিচার করতে হবে।
সাভারে বিভিন্ন বাস এ তল্লাশী চালিয়ে RAB সদস্যরা প্রায় পঞ্চাশজন বি ডি আর সদস্যকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা এবং পঁচিশ ভরি স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
সূত্র: রেডিও এবিসি।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আবারো কথা বললাম রায়হানের সাথে।
মাটি খুঁড়ে যাদের লাশ পাওয়া গেছে (২৬ জন মনে হয়) তাদের মধ্যে সামিয়ার বাবা নেই।
কাইয়ূম ভাই , আমি আর শোয়েব যাচ্ছি পিলখানায়। রায়হান আর সামিয়ার কাছে। দেখি আঙ্কে কে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা ।
সবাই প্রার্থনা করো।
ফৌজদারহাটের এনশাদ ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। এই মাত্র আমার বাবা কনফার্ম করল।
এছাড়া আমার বাবা ও অন্যান্যরা আমার ফুপি ও ফুপা লেঃ কর্নেল (অবঃ)দেলোয়ারের লাশ গ্রহন করছেন এবং এখন সি,এম,এইচ যাচ্ছেন। বাবার কাছে যা শুনলাম লাশগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ। বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে মুখ, বুক বিকৃত করে ফেলেছে। দেলোয়ার ফুপাকে চেনা গেলেও ফুপিকে চেনা যাচ্ছে না। আর ডিটেইল লিখতে পারছি না।
তারপরেও ঐ বুদ্ধিজীবীরা ******** সাধারণ ক্ষমার কথা বলে? আমারই তো একটা বন্দুক নিয়ে ওদের মারতে বের হতে ইচ্ছা করতেছে । 🙁
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজেউন। ফুপাফুপির রূহের মাগফিরাত কামনা করি।
আরেকটা নিখোঁজ সংবাদ।
আমার কাজিন, লে: কর্ণেল লুৎফর রহমান, (কলেজ প্রিফেক্ট, ১৪তম ব্যাচ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ), তাকেও পাওয়া যাচ্ছেনা। আম্মার ফোনে মাত্র জানলাম উনিও পিলখানাতে ছিলেন।
কেউ কি তার ব্যাপারে আপডেট করতে পারবেন, প্লীজ?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
উনি যেন সেফ থাকেন সেই দোয়াই করছি 🙁
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানিয়েছেন হত্যাকান্ডের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তারা সাধারণ ক্ষমার আয়তার বাইরে...
সম্প্রতি যে গণকবর পাওয়া গেছে, সেখানে প্রায় ৪৫ টি লাশ ছিল...বেশির ভাগই কর্ণেল ও লে কর্ণেল র্যাংক এর...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বিডিআর মহাপরিচালক এর লাশ পাওয়া গেছে।
সূত্রঃ এবিসি রেডিও
গণকবরের ৪৫/৪৭ টা লাশের ভেতর কতজনকে সনাক্ত করা হয়েছে বা করা গিয়েছে এই ব্যাপারে কারো কোন আপডেট আছে?
topu ami ekhon onuvob korsi je amra onek kisu hariesi.
দি এডিটর নামে একটা সাইটের লিংক দিয়ে সামহোয়ারইনে কে যেন লিখল: মঈন উ আহমেদ পদত্যাগ করছেন। এটা সত্যি কি-না কেউ বলতে পারবেন? অন্য কোথাও পাচ্ছি না। এদিকে আবার অতিরিক্ত হিটের কারণে দি এডিটরের সাইটে ঢুকছে না।
এখন পর্যন্ত গুজব। বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া এই গুজবের ওপর চলে। মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক শেষে মইন উ'র কয়েক মিনিট আগে একটা ব্রিফিং করেছেন। এর অডিও লিংক করছি শিগগিরই।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
মুহাম্মদ,
দি এডিটরের প্রতিবেদনটাই এখানে তুলে দিলাম-
সুত্র- http://the-editor.net/details.php?cat=191
আপনি ভুল জানেন ভাই, উনি এখনও পদত্যাগ করেন নাই।
কিছুক্ষণ আগে মন্ত্রিসভার একটা বৈঠক হয়েছে। সেটা শেষে সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি আরো বলেন, আইএসপিআর শিগগিরই একটা বিজ্ঞপ্তি মিডিয়ায় পাঠাবে। এখানে সেনা প্রধানের বক্তব্য শুনুন :
রাতে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকের পর সেনা প্রধানের ব্রিফিং
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
পদত্যাগের বিষয়টা বোধহয় সম্পূর্ণ ভূয়া ছিল। ব্রিফিং শুনে তো সেরকম কিছুই মনে হল না। দি এডিটর সাইটের হিট বাড়ানোর জন্য বোধহয় এই কাজ করেছে।
এটা দেখো
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছি, তবে সব বাহিনীর নিজস্ব আইন আছে। সেই আইনমতই সব চলবে। এঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।
সূত্রঃ প্রথমআলো
আমার বোন জানাল আজকে নাকি আর লাশ খোঁজা হবে না, আবার কালকে......
শাহনেওয়াজ ভাইয়ের ফ্যামিলির কথা চিন্তাও করতে পারছি না। দোস্ত, তুই বিদেশ থাকিস একা। শক্ত থাকিস।
নিউ ইয়রকে এখন পোনে পাঁচটা বাজে... দু ঘন্টা আগে বিছানায় গিয়েছিলাম ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে, ভাবলাম রায়হানকে (কনক) ফোন করি... দেশের খবর নেই... অর কাছেই শুনলাম CCB তে লেটেস্ট আপডেট আছে... পড়তে পড়তে সময় আর চোখের জল যে কিভাবে গড়িয়েছে টের ও পাইনি।
মৃত সবার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। আর নিখোজ সবাইকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাবে এই আশা করছি। সামিয়ার জন্য খুবই খারাপ লাগছে... আল্লাহ যেন আংকেলকে সুস্থভাবে ঘরে ফিরিয়ে আনেন সেই দোয়া করছি।
এই ঘটনাকে অনেকে অনেকভাবে দেখতে পারেন। আমি পজিটিভলি দেখব। যেদেশে ক্রস ফায়ারে মৃত্যু নৈমত্তিক ঘটনা, সেইদেশে পায়ে গুলি করে একজনকে অস্ত্র তুলে নেয়া থেকে বিরত রাখা অনেক বড় ঘটনা। সহকর্মী হারানো সেনাসদস্যদের এরকম ধৈর্য্য ধারণ করা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। একটা প্রাসংগিক ঘটনা না বলে পারছি না, আমেরিকায় পুলিশরা এই মাস ছয়েক আগে গুলি করে এক নিরস্ত্র লোককে হত্যা করে। লোকটি মাতাল ছিল এবং পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে পকেটে হাত ঢুকিয়েছিল। আমেরিকার আদালত পুলিশকে দায়মুক্তি দিয়েছিল। কারণ, সেইদেশের আইন ব্যবস্থা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ঝুকিঁটুকু বোঝে। পকেট থেকে পিস্তল বেরুলে দায়িত্বরত পুলিশই যে মারা পড়তেন না কে বলতে পারে।
প্রথম আলোর বরাতে আরেকটা খবরঃ নওয়াবগঞ্জ স্লুইস গেট থেকে আরো একজন কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উনার পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
আজকের ডেইলি স্টার পত্রিকায় ফৌজিয়ান মামুন রশীদ ভাইয়ের কলাম,
O captain! My captain!
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ব্লগের পাতাগুলো কতকিছুর সাক্ষী হয়ে যে থাকে......