বিডিআর বিদ্রোহঃ সর্বশেষ সংবাদ

দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার সর্বেশেষ সংবাদ হচ্ছে বিডিআর ডিজির বাসভবনে দুজন বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলার ডেডবডি পাওয়া গেছে। তাদেরকে সনাক্ত করা যায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা লেঃকঃ দেলোয়ার হোসেন (অবঃ) এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম। উনারা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে ডিজির বাসায় উঠেছিলেন। লিঙ্ক এখানে
সামিয়াপুর আব্বুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বিপুল সেনা অফিসার সহ ১৩৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। আমরা সবার জন্য প্রার্থনা করি উনারা ফিরে আসবেন। কোন তালা মারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে এইটাই দেখার জন্য ইচ্ছা করছে। গত দেড় ঘন্টা ধরে কেউ কোন খবর দিচ্ছে না। বিডিনিউজ মারফত জানতে পারলাম নিখোঁজ দের তল্লাশী চালানো হচ্ছে। সেটার কোন খবর জানলে কেউ দিন প্লিজ।

৬১ টি মন্তব্য : “বিডিআর বিদ্রোহঃ সর্বশেষ সংবাদ”

  1. লেঃকঃ দেলোয়ার হোসেন (অবঃ) এবং লাভলী বেগম আমাদের এহসান ভাইয়ের (৮৯-৯৫) ফুপা-ফুপি।

    একের পর এক পরিচিত মানুষের মৃত্যু সংবাদ পেতে পেতে আর সহ্য করতে পারছিনা। নার্ভেরও তো একটা সহ্য লিমিট আছে।

    এহসান ভাই মনটা শক্ত করুন।

    জবাব দিন
  2. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    বিডিআর গতকাল সকাল ১১টার দিকে দুজন আর্মি অফিসারকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে সাতকানিয়াতে। তাদের কি হয়েছে রাতের ৮টা পর্যন্ত জানা যায়নি।
    (দৈনিক ডেইলী স্টার)

    জবাব দিন
  3. রেদওয়ান (৯৫-০১)

    এই ঘটনাটি একজন আর্মি অফিসার বন্ধুর কাছ থেকে শোনা। ২৪ তারিখ বিডিআর সদর দফতরে অবস্থানরত (ওই মুহুর্তে ঘটনাস্থলে আত্মগোপোনকারী) সেনা কর্মকর্তা মোবাইলের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন আমার আর্মি অফিসার বন্ধুর কাছে। তাঁর বর্ণনা মিডিয়া এবং সরকার কর্তৃক উপস্থাপিত তথ্য থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

    ২৪ তারিখ সকাল নয়টার কিছুক্ষন আগে দেশের বিভিন্ন বিডিআর ক্যাম্প থেকে আগত সর্বমোট ১৬৫ জন আর্মি কর্মকর্তা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এসেমব্লিতে শুধুমাত্র একজন অস্ত্রধারী অবস্থায় (বিডিআর চীফ মে জ়ে শাকিল আহমেদের দেহরক্ষী) উপস্থিত ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, কোন এসেমব্লিতে অস্ত্র বহন করার কোন নিয়ম না থাকায় কোন আর্মি অফিসার সশস্ত্র ছিলেন না। ৯টার দিকে দরবার হলে এ আলোচনা চলাকালীন অবস্থায় হঠাৎ করে দেহরক্ষী তার অস্ত্র বিডিআর-প্রধানের দিকে তাক করে। ঠিক একই সময় অতর্কিতে আরো কিছু বিডিআর সদস্য সশত্র অবস্থায় এসেমব্লিতে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের মুখে উপস্থিত সকল অফিসারদের বন্দী করে ফেলে। এখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। অতঃপর অস্ত্রের গুদাম থেকে বিডিআর সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে অপারেশনে নেমে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অনেক আর্মি অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয়। এরপর তারা অফিসারদের স্ত্রী ও পরিবারবর্গকে গণহারে ধর্ষণ করা শুরু করে। এ ধর্ষণের ঘটনা কিছু জনসমক্ষে , কিছু অফিসারদের বাসভবনে ঘটানো হয়। ধর্ষণের পর তাদেরকে নগ্ন এবং মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এর মধ্যে উল্লেখ্য যে, বিশেষ এবং নির্বাচিত কিছু অফিসারদের স্ত্রীদের ধর্ষণকার্য দরবার হলে সমস্ত অফিসার, তাদের শিশু সন্তান এবং তাদের পরিবারের সামনে ঘটানো হয়। বিডিআরের ডিজি-এর স্ত্রীকে আনুমানিক চল্লিশজন ধর্ষন করে। সর্বমোট ১৪০ জন সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে, পিটিয়ে, গাছে ঝুলিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলি ২৪ তারিখ সকাল নয়টা থেকে সণধ্যা পর্যন্ত চলে। উল্লেখ্য যে, দুপুর দুইটার পরে প্রধানমন্ত্রী বিডিআর সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এদিকে মোবাইল নেটোয়ার্ক চালু থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীপ্রধান এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ভেতরের এই নিপীড়ণ সম্বন্ধে প্রথম থেকে(২৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে) অবগত ছিলেন।

    এতো বড় একটা হত্যাযজ্ঞ এবধষণের ঘটনা কোনভাবেই অপরিকল্পিত বিদ্রোহ নয়। এবং সম্পূর্ণরূপে কোন এক শক্তিশালী চক্রের মদদপুষ্ট ঘটনা। মিডিয়ার উপস্থাপনায় বিডিআর সদস্যরা সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা নিপীড়িত এবং দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে এই বিদ্রোহের পথ বেছে নিয়েছে- এধরণের একটি ধারণা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এধরণের পাশবিক লুণ্ঠন, হত্যা ও ধর্ষণের পথ বেছে নেওয়ার নজির ইতিহাসে নাই। স্বল্পশিক্ষিত উচ্ছৃংখল এইসব বিডিআর সদস্যরা এতোবড় একটি ঘটনা এমন দলবদ্ধভাবে ঘটাবে তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। নিপীড়ন ও দূর্নীতির ঘটনা একেবারে যে অসত্য তা নয়। তবে এরকম একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ঠ নয়। যথেষ্ঠ পরিমাণ উষ্কানি ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র এ ঘটনার পেছনে না থাকলে এটি হত না। পরিকল্পনা ও পূর্বপ্রস্তুতি ছারা এতোগুলো লাল কাপড়ে ঢাকা মুখও দেখা সম্ভব নয়, ১৫০০০ লাল কাপড় তো অপ্রস্তুত কোনো ঘটনা হতে পারে না। আমার বন্ধু ঘটনাটি বলার সময় উল্লেখ করে যে, যৌথো বাহিনীর মুল পরিকল্পনাকারি কিছু দক্ষ অফিসারকে(যেমনঃ বি.জে. বারী, কর্নেল গুলজার RAB থেকে) ফেব্রুয়ারী মাসের কয়েক মাস আগে বিনা নোটিশে বিডিআর এ পোস্টিং দেয়া হয়, যা যথেস্ট সন্দেহজনক।

    আমরা সিভিলিয়ানরা অনেকেই আর্মিকে সবসময় নিষ্ক্রিয় বিচ্ছিন্ন সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বলে মনে করি। অথচ তারা সিভিলিয়ান শহরের নিরাপত্তা রক্ষা করে, সিভিলিয়ান্দের ভোটার তালিকা তৈরি করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণবিতরণ করে, যেগুলো কোনভাবেই তাদের করার কথা নয়। উপযুক্ত ও যোগ্য লোকবলের অভাবে তারা এসব করতে বাধ্য হয়। তাদের মূল দায়িত্বের কথা না হয় নাই বলা হল। বেতন পায় সরকারি স্কেলে। এই ঘটনা প্রমাণ করল তারা সিভিলিয়ান্দের মতই রক্ত-মাংসের মানুষ যাদের লাশ ইদানিং স্যুয়ারেজ লাইনেও পাওয়া যায়।

    জবাব দিন
    • কামরুলতপু (৯৬-০২)
      যৌথো বাহিনীর মুল পরিকল্পনাকারি কিছু দক্ষ অফিসারকে(যেমনঃ বি.জে. বারী, কর্নেল গুলজার RAB থেকে) ফেব্রুয়ারী মাসের কয়েক মাস আগে বিনা নোটিশে বিডিআর এ পোস্টিং দেয়া হয়, যা যথেস্ট সন্দেহজনক।

      আপনি যেদিকে ইংগিত দিয়েছেন আমি আপনার সাথে একমত না। কারণ এই অবস্থায় সবচেয়ে বিপদে ছিল সরকার। আর্মি অনেক সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে নইলে সরকারের কিছুই করার থাকত না।
      আপনার কমেন্টের অনেক কিছুই অসমর্থিত এবং এখনো পরিষ্কার হয়নি আসলেই সেরকম হয়েছে কিনা। অফিসার রা বের হয়ে এসে সবাই নিজের কথাই বলেছে এবং এটা বলেছে নিজের জীবন বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিলেন পুরো ঘটনা বলা সম্ভব হয়নি ওনাদের। আর ফ্যামিলি নির্যাতনের ব্যাপারটা এখন পর্যন্ত অনুমান নির্ভর এবং অনেকটাই আর্মি অফিসার যারা অন্যান্য জায়গায় আছেন কিংবা ক্যান্টনমেন্টে আছেন তাদের থেকে আগত। সত্যতা এখনো জানা যায়নি। বিশ্বাস এবং আশা করি সত্য নয়।

      জবাব দিন
  4. তৌফিক (৯৬-০২)

    দেশ থেকে অনেক দূরে পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ একটি দেশের নিরাপদতম শহরে পড়ে আছি। দেশের ঘটনাগুলো ওয়েবে আতিঁপাতিঁ করে খুঁজে দেখছি আশাপ্রদ কোন খবরের আশায়। আমার সরাসরি পরিচিত কেউ ছিলেন না পিলখানায়। যারা ছিলেন তারা আমার বন্ধু, সিনিয়ার এবং জুনিয়ারদের পরিচিত। তবু বুকের মধ্যে দলা পাকানো কান্নায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। এই নৃশংসতা ২৫শে মার্চের কাল রাত্রির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে আমাকে।

    গুগলে একটা করে পরিচিত নাম টাইপ করি, প্রাসংগিক আরো কিছু সার্চ টার্ম ঢুকিয়ে সার্চ দেই। সম্পর্কিত কোন লিংক আসে না। পরিচিত নিউজ সাইটগুলোতে যাই, তাড়াতাড়ি খোঁজার জন্য ফায়ারফক্সের সার্চটুলটা ব্যবহার করি। দুটো বর্ণের পরই লাল হয়ে যায় টেক্সট বক্সটা। নেই তারা কোথাও।

    সংবাদ মাধ্যমগুলি থম মেরে পড়ে আছে। নিখোঁজদের খোঁজ নাই। আমরা একটা খবরের জন্য এখন কোথায় যাব?

    জবাব দিন
  5. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    যারা বাংলাদেশ থেকে আছেন তারাও কিছু বলছেন না। এই নীরবতা অসহ্য ঠেকছে। সানা ভাই মনে হয় ২ দিন পর আজ বাসায় গিয়েছেন। উনি যে কি করেছেন গত ২ দিন তা এই নীরবতা দেখে বুঝতে পারছি। গত ২ দিন প্রায় প্রতি মূহুর্তের খবরই পেয়েছি। এখন কিচ্ছু জানতে পারছি না।

    জবাব দিন
  6. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    ফৌজদারহাটের ২২ তম ব্যাচের লে কর্নেল কায়সার ভাই বেজন্মা বিডিআরদের হাতে শহীদ হয়েছেন । উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।

    কায়সার ভাই, মাজহার ভাই, হায়দার ভাই, হুমায়ুন ভাইদের হাজার সালাম । আমার কিছু বলার ভাষা নেই, ফিল কলিন্স এর ওই গানটার মত শুধু বলতে পারি

    ইউ উইল বি ইন আওয়ার হার্ট
    নো ম্যাটার হোয়াট দে সে
    ইউ উইল বি ইন আওয়ার হার্ট, অলওয়েজ

    জবাব দিন
  7. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    ইনশাদ ভাইয়ের ব্যাপারেও মুক্তি পাওয়া একজন অফিসার নেগেটিভ খবর দিলেন । এখন নাকি মাত্র দুইশ বিডিআর আছে ভেতরে, সব পালিয়েছে । আসল ****** দের কি তাহলে কিছুই হবে না? এই দেশের নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত ।

    জবাব দিন
  8. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    Tanks, troops enter BDR HQ

    সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪

    কেউ কি এই নিউজটা কনফার্ম করবেন কাইন্ডলি?


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  9. আশিক (১৯৯৬-২০০২)

    কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার ঃ

    সকালে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আজ সকালে আরও একজন সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাৎক্ষণিক ভাবে নিহতর পরিচয় জানা যায়নি৷

    এদিকে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল পিলখানার প্রধান পানি নিষ্কাশনের নালায় উদ্ধার কাজে নেমেছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, নালায় লাশ আটকে থাকতে পারে৷ আর নালায় কোন লাশ যেন না আটকে থাকেত পারে এ জন্য বাইরে থেকে জোর বাতাস প্রবাহের ব্যাবস্থা করা হয়েছে৷

    সূত্রঃ প্রথম আলো

    জবাব দিন
  10. আশিক (১৯৯৬-২০০২)

    শুক্রবার সকালে আরো ছয়টি লাশের পরিচয় মিলেছে।

    স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ১১টি লাশের মধ্যে দুটি হল অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগমের।

    অন্যরা হলেন- মেজর হুমায়ন, সুবেদার আবুল কাশেম, নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিন, ল্যান্স নায়েক মানিক, সহকারী পরিচালক (এডি) খন্দকার আব্দুল আওয়াল, কর্ণেল আফতাব, বিডিআর'র এক সদস্য, দুটি শিশু।

    নায়েক সুবেদার বছির উদ্দিনকে সনাক্ত করেছেন তার ভাই মো: আব্দুল মোতালেব, মেজর হুমায়নকে সনাক্ত করেছেন তার চাচা শ্বশুর আবুল কাশেম, সুবেদার আবুল কাশেমকে সনাক্ত করেছে লালবাগ থানা পুলিশ, ল্যান্স নায়েক মানিককে তার মামা, কর্নেল আফতাবকে তার শ্যালক শাহাবুদ্দিন সনাক্ত করেছে।

    সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪

    জবাব দিন
  11. আশিক (১৯৯৬-২০০২)
    'স্বপন ভাই ম্যানহোল থেকে বেরিয়ে আসুন, বিপদ নাই'

    গোলাম মর্তূজা অন্তু
    প্রতিবেদক, বিডিনিউজ ২৪ ডটকম

    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম) - ম্যানহোলের ভেতর মাথা ঢুকিয়ে টর্চ মেরে এক ব্যক্তি চিৎকার করছিলেন- "স্বপন ভাই আমি বাপ্পি, ভেতরে থাকলে বেরিয়ে আসেন, এখন আর বিপদ নাই।"

    বিডিআর এক নম্বর ফটকের সামনে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দৃশ্য এটি।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাপ্পি তার ভগ্নিপতি মেজর গাজী মোছাদ্দেক হোসেন স্বপন এর সন্ধান করছেন।

    বাপ্পি বলেন, "বৃহস্পতিবার সকালে মেজর স্বপন ম্যানহোলের ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে সেনানিবাসের সহকর্মীদের কাছে লিখিত বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তাকেসহ গুরুতর আহত আরও চার সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচানোর অনুরোধ জানান তিনি।"

    তিনি বলেন, "সন্ধ্যা পার হয়ে রাত নামলেও স্বপন ভাইয়ের কোন খোঁজ না পাওয়ায় আমরা নিজেরাই চাঁন মিয়া নামে এক ভবঘুরেকে ভাড়া করে শাবল-গাইতি নিয়ে ম্যানহোলগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছি।"

    এভাবে কতক্ষণ তল্লাশি চালাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, "যতক্ষণ না তাকে পাই তল্লাশি চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে সকালে আরও লোকজন নিয়ে খোঁজ করব।"

    ফটকে প্রহরারত পুলিশ সদস্যরা জানান, পিলখানার ভেতরে দমকলকর্মীরা পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপে পানি দিচ্ছেন। যাতে ভেতরে কারো লাশ বা কেউ আটকে থাকলে ভেসে বাইরে আসতে পারে।

    সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪

    জবাব দিন
  12. এইমাত্র কথা হলো রায়হানের সাথে।
    ও আর সামিয়া আছে বিডিআর গেটে। আঙ্কেলের খোঁজ চলছে।
    এখানে না পেলে যাবে কামরাঙ্গীচর।

    রায়হানের সাথে কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম। সামিয়ার সাথে কথা বলার সাহস হলো না।

    নিখোঁজ বাবার ছবি হাতে নিয়ে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে যে মেয়ে, তার সাথে কথা বলার সাহস প্রকৃতি আমাকে দেয় নি।

    জবাব দিন
  13. আলম (৯৭--০৩)
    নিখোঁজ বাবার ছবি হাতে নিয়ে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে যে মেয়ে, তার সাথে কথা বলার সাহস প্রকৃতি আমাকে দেয় নি।

    ওর কেমন যে লাগছে, ভাবতেই গা শিউরে উঠে। আল্লাহ যেন শেষমেষ ওর উপর একটু রহম্ করে।

    জবাব দিন
  14. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ফৌজদারহাটের ২২তম ব্যাচের লে. কর্নেল কায়সার আহমেদ ভাই সহ আরো সাত শহীদ অফিসারের জানাজা নামাজ আজ সাড়ে চারটায় ঢাকা ক্যান্ট. কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে।
    ১৮তম ব্যাচের লে. কর্নেল ইনশাদ আমীন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দরবার হল থেকে বেচে ফিরে আসা লে. কর্নেল কামরুজ্জামান, কিন্তু তার মৃতদেহ এখোনো খুজে পাওয়া যায়নি।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  15. এইমাত্র বিডিআর সদর দপ্তরের ভিতরে উদ্ধার অভিযানে থাকা বিগ্রেডিয়ার শহিদুল্লাহ এনটিভি সরাসরি ফোনে জানালেন মাটি খুঁড়ে অনেক অফিসারের সারিবদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের সবাই ইউনিফর্ম পড়া, দরবার হলের লাল কাপড় দিয়ে সবাইকে মুড়িয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিলো।

    এরা বেশির ভাগ কর্নেল/লে, কর্নেল পদমর্দাযার।

    জবাব দিন
  16. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    বাড়িতে যেতে হয়েছিল। দেশের খবর কিছুই জানতাম না। শুধু কাল রাতে শুনলাম বিডিআর এর আত্মসমর্পণ এর কথা।
    সিসিবিতে এসে এত মন্তব্য আর পড়তেও পারছি না। কি বলব ভেবেও পাচ্ছি না।

    সামিয়ার বাবা সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসুন, এই কামনা করছি।

    জবাব দিন
  17. জিহাদ (৯৯-০৫)

    সাভারে বিভিন্ন বাস এ তল্লাশী চালিয়ে RAB সদস্যরা প্রায় পঞ্চাশজন বি ডি আর সদস্যকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা এবং পঁচিশ ভরি স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

    সূত্র: রেডিও এবিসি।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  18. এহসান (৮৯-৯৫)

    ফৌজদারহাটের এনশাদ ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। এই মাত্র আমার বাবা কনফার্ম করল।

    এছাড়া আমার বাবা ও অন্যান্যরা আমার ফুপি ও ফুপা লেঃ কর্নেল (অবঃ)দেলোয়ারের লাশ গ্রহন করছেন এবং এখন সি,এম,এইচ যাচ্ছেন। বাবার কাছে যা শুনলাম লাশগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ। বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে মুখ, বুক বিকৃত করে ফেলেছে। দেলোয়ার ফুপাকে চেনা গেলেও ফুপিকে চেনা যাচ্ছে না। আর ডিটেইল লিখতে পারছি না।

    জবাব দিন
  19. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আরেকটা নিখোঁজ সংবাদ।

    আমার কাজিন, লে: কর্ণেল লুৎফর রহমান, (কলেজ প্রিফেক্ট, ১৪তম ব্যাচ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ), তাকেও পাওয়া যাচ্ছেনা। আম্মার ফোনে মাত্র জানলাম উনিও পিলখানাতে ছিলেন।

    কেউ কি তার ব্যাপারে আপডেট করতে পারবেন, প্লীজ?


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  20. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানিয়েছেন হত্যাকান্ডের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তারা সাধারণ ক্ষমার আয়তার বাইরে...

    সম্প্রতি যে গণকবর পাওয়া গেছে, সেখানে প্রায় ৪৫ টি লাশ ছিল...বেশির ভাগই কর্ণেল ও লে কর্ণেল র‌্যাংক এর...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  21. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    দি এডিটর নামে একটা সাইটের লিংক দিয়ে সামহোয়ারইনে কে যেন লিখল: মঈন উ আহমেদ পদত্যাগ করছেন। এটা সত্যি কি-না কেউ বলতে পারবেন? অন্য কোথাও পাচ্ছি না। এদিকে আবার অতিরিক্ত হিটের কারণে দি এডিটরের সাইটে ঢুকছে না।

    জবাব দিন
  22. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    কিছুক্ষণ আগে মন্ত্রিসভার একটা বৈঠক হয়েছে। সেটা শেষে সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি আরো বলেন, আইএসপিআর শিগগিরই একটা বিজ্ঞপ্তি মিডিয়ায় পাঠাবে। এখানে সেনা প্রধানের বক্তব্য শুনুন :

    রাতে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকের পর সেনা প্রধানের ব্রিফিং


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  23. আশিক (১৯৯৬-২০০২)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছি, তবে সব বাহিনীর নিজস্ব আইন আছে। সেই আইনমতই সব চলবে। এঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।

    সূত্রঃ প্রথমআলো

    আমার বোন জানাল আজকে নাকি আর লাশ খোঁজা হবে না, আবার কালকে......

    জবাব দিন
  24. ইউসুফ (১৯৯৮-২০০৪)

    নিউ ইয়রকে এখন পোনে পাঁচটা বাজে... দু ঘন্টা আগে বিছানায় গিয়েছিলাম ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে, ভাবলাম রায়হানকে (কনক) ফোন করি... দেশের খবর নেই... অর কাছেই শুনলাম CCB তে লেটেস্ট আপডেট আছে... পড়তে পড়তে সময় আর চোখের জল যে কিভাবে গড়িয়েছে টের ও পাইনি।

    মৃত সবার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। আর নিখোজ সবাইকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাবে এই আশা করছি। সামিয়ার জন্য খুবই খারাপ লাগছে... আল্লাহ যেন আংকেলকে সুস্থভাবে ঘরে ফিরিয়ে আনেন সেই দোয়া করছি।

    জবাব দিন
  25. তৌফিক (৯৬-০২)
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৭ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- বিডিআর সদরদপ্তরে সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার পরিজন আটক থাকা অবস্থায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে সরকারের কৌশলগত বিরাট ভুল বলে মনে করছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

    পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপার্সন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। (বিস্তারিত)

    শুক্রবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

    বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, "পিলখানায় সেনাসদস্য ও তাদের পরিবার পরিজন আটক থাকা অবস্থায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কৌশল বিরাট ভুল হয়েছিল বলে আমি মনে করি। এতে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে। এটা স্পষ্ট যে পিলখানায় আটক সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের উদ্ধার অভিযানের অনুমতি দিতে দেরি করা হয়েছে।"

    তিনি বলেন, "বিডিআর সদরদপ্তরে রক্তক্ষয়ী ঘটনার পেছনে দেশবিরোধী শক্তির ইন্ধন ছিল। ইতোমধ্যে তার আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।"

    খালেদা জিয়া অবিলম্বে এই 'ষড়যন্ত্র' উদঘাটনের দাবি জানান।

    বিএনপি চেয়ারপার্সন বিডিআরের 'পুনর্গঠন' ও এই বাহিনীতে 'চেইন অব কমান্ড' প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেন ।

    তিনি বলেন, "পিলখানার ঘটনায় দেশজুড়ে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যে অসন্তোষ ও অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে তা জাতীয় স্বার্থে দ্রুত নিরসন করতে হবে। এখন প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার সময় নয়। আমরা জাতি হিসেবে বিরাট ঝুঁকির মুখে পড়েছি। এখন দরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ঐক্য।"

    তিনি অভিযোগ করেন, জওয়ানদের সঙ্গে আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ ও জুনিয়র পর্যায়ের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিলখানার ঘটনাবলীর সুস্পষ্ট তথ্য প্রকাশের দাবি জানান সরকারের কাছে।

    সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "জাতি জানতে চায় সাধারণ ক্ষমার পর অস্ত্র সমর্পণ করে হত্যাকারীরা কীভাবে পালিয়ে যেতে পারলো।"

    বিডিআর সদর দপ্তরে নিহতদের স্মরণে জাতীয় শোক পালনে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "বিলম্বে হলেও নিহতদের স্মরণে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।"

    লিখিত বক্তব্যে খালেদা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে গিয়ে নিহত সেনাসদস্যদের মুক্তিপ্রাপ্ত পরিবার পরিজনদের দেওয়া বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, "আহত ও নিহত সেনাসদস্যদের পরিবারবর্গ যে পৈশাচিক ঘটনাবলীর বিবরণ দিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।

    "তারা বলেছেন, হত্যার পরও লাশের ওপর বেয়নেট দিয়ে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন করে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনায় আমাদের শৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম ও ঐতিহ্য যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা অপূরণীয়।"

    সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সাইফুর রহমান, চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সহ সভাপতি এম কে আনোয়ার, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এসএম/জিএমএ/এইচএ/২২২২ঘ.

    জবাব দিন
  26. তৌফিক (৯৬-০২)
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৮ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম) - বিডিআর বিদ্রোহের সূচনালগ্নে দরবার হলে উপস্থিত মেজর ইশতিয়াক আহমেদ খান তার প্রাণে বেঁচে যাওয়ার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ওদের মধ্যে কোনো নেতৃত্ব ছিল না। একদল এসে বলতো মেরে ফেলবো, পরক্ষণেই আরেক দল এসে তাদের থামাতো।

    সেনা সদরে শনিবার রাতে সেনা বাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ হোসেইনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মেজর ইশতিয়াক বলেন, "আমি দরবার হলের পিছনের দিকে ছিলাম। মূল হত্যাকাণ্ড দেখতে পাইনি। তার আগেই দরবার থেকে বেরিয়ে আসি।"

    তবে মুল হত্যাকাণ্ড ওই সময়ই ঘটেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে পরে জানতে পেরেছি যে বিডিআর মহাপরিচালককে মেরে ফেলা হয়েছে। এ সময় আমি লুকিয়ে ছিলাম।"

    মেজর ইশতিয়াক বলেন, "আমি দরবার হল থেকে বের হয়েই দৌড়াতে থাকি। তখন এক সৈনিক বললো- স্যার আপনাদের মেরে ফেলবে। আমার বাসায় আসেন দেখি কি হয়।"

    তিনি বলেন, পরদনি সকালে ওরা তল্লাশি শুরু করে। আমি আবার বেরিয়ে যাই। বের হওয়ার পর একজন বিডিআর সদস্য আমার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে বলি- আমি মেজর ইশতিয়াক। আমাকে টানা-হেঁচড়া করো না, এখানেই গুলি করো, আমি এখান থেকে নড়ব না। কিন্তু তিনি বলেন- আপনি গতকাল বেঁচে গেছেন আপনি মরবেন না, আপনার জান আছে। তিনি আমাকে আরেকটি দলের হাতে তুলে দেন। তারা আমাকে কোয়ার্টার গার্ডে নিয়ে যায়।"

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল সালাম বলেন, "দরবার হলে ১৬০ জনের মতো কর্মকর্তা ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাপরিচালক যখন বক্তব্য দিচ্ছেন তখন অস্ত্র হাতে বাম দিক দিয়ে কয়েকজন দরবার হলে ঢোকে। এরপর দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। আমি বাইরে বের হলাম। এ সময় বিডিআর সদস্যরা আমাকে ঘিরে ধরে। তারা আমাকে তাদের কোয়ার্টারে নিয়ে যায়। পথে ব্যাপাক মারধর করে।"

    তিনি বলেন, "আমি ৩০ ঘণ্টা কিছু খাইনি। ওদের কোয়ার্টারে একজন মহিলা আমাদের পানি দিয়েছিল। ওই মহিলা একটি মোবাইল দিলে আমি বাইরে ফোন করে জানাই যে আমাদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে আটকে আছেন। পরে সেখান থেকে আমাকে কোয়ার্টার গার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।"

    আবদুল সালাম বলেন, "এ নির্মমতা নজিরবিহীন। এটা আমার পাওনা ছিল না।"

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এমআরএফ/এএনএস/টিআর/ডিডি/০২০০ ঘ.

    জবাব দিন
  27. তৌফিক (৯৬-০২)
    পিলখানায় সেনা সদস্যের গুলিতে বিডিআর সুবেদার আহত

    Sun, Mar 1st, 2009 1:06 am BdST
    ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৮ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- বিডিআর সদরদপ্তরে শনিবার সন্ধ্যায় সেনা সদস্যের গুলিতে সুবেদার আব্দুল মালেক (৫৬) নামে একজন বিডিআর সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহত বিডিআর সদস্য মালেককে হাসপাতালে লালবাগ পুলিশের জিম্মায় সোপর্দ করা হয়েছে।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের উপ-পরিদর্শক মোফাজ্জেল জানান, শনিবার মাগরিবের নামাজের সময় সেনা কর্মকর্তা মেজর কামরুল ইসলাম সুবেদার আব্দুল মালেককে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে যান। মালেকের বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে।

    তাকে সন্ধ্যায় অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয়েছে বলেও জানান উপ-পরিদর্শক মোফাজ্জেল।

    আব্দুল মালেক ৩৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নে কর্মরত রয়েছেন।

    মেজর কামরুল ইসলাম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি তার লোকজন নিয়ে পিলখানার ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। তল্লাশি দলটি বিডিআর হাসপাতালের পাশের চামেলি ভবনে একটি ফ্ল্যাটের দরজা লাথি দিয়ে খুললে আব্দুল মালেককে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় দেখা যায়। মেজর কামরুল বলেন, সেনাসদস্যদের দেখতে পেয়েই মালেক কক্ষে থাকা একটি এসএমজি তুলে নিতে গেলে 'আত্মরক্ষার্থে' সেনাসদস্যরা তার পায়ে গুলি চালান।

    আব্দুল মালেকের ডান হাঁটুর নিচে গুলি লেগেছে।

    তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে।

    মেজর কামরুল লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আজাদকে আব্দুল মালেকের দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়ে যান।

    সন্ধ্যায় উপ-পরিদর্শক আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, তখনো এ বিষয়ে কোনও মামলা হয়নি। তিনি শুধু চিকিৎসাধীন বিডিআর সুবেদারের ওপর নজর রাখছেন। এছাড়া শাহবাগ থানার পুলিশও রয়েছে।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/জিএমএ/এএল/এসকে/০০১২ঘ.

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      এই ঘটনাকে অনেকে অনেকভাবে দেখতে পারেন। আমি পজিটিভলি দেখব। যেদেশে ক্রস ফায়ারে মৃত্যু নৈমত্তিক ঘটনা, সেইদেশে পায়ে গুলি করে একজনকে অস্ত্র তুলে নেয়া থেকে বিরত রাখা অনেক বড় ঘটনা। সহকর্মী হারানো সেনাসদস্যদের এরকম ধৈর্য্য ধারণ করা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। একটা প্রাসংগিক ঘটনা না বলে পারছি না, আমেরিকায় পুলিশরা এই মাস ছয়েক আগে গুলি করে এক নিরস্ত্র লোককে হত্যা করে। লোকটি মাতাল ছিল এবং পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে পকেটে হাত ঢুকিয়েছিল। আমেরিকার আদালত পুলিশকে দায়মুক্তি দিয়েছিল। কারণ, সেইদেশের আইন ব্যবস্থা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ঝুকিঁটুকু বোঝে। পকেট থেকে পিস্তল বেরুলে দায়িত্বরত পুলিশই যে মারা পড়তেন না কে বলতে পারে।

      প্রথম আলোর বরাতে আরেকটা খবরঃ নওয়াবগঞ্জ স্লুইস গেট থেকে আরো একজন কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উনার পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : redwan

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।