হাজার দিন বাদে লিখতে বসেছি তাই শিরোনাম দেওয়ার কিছু খুঁজে পাই নি। অন্তত ৪খানা শিরোনাম লিখে কেটে তারপর ভাবলাম শিরোনামের অভাবে বুঝি আমার লেখাটাই আর হবে না। শিরোনাম ছেড়ে তাই বিষয়ে মন দিলাম। আগে তো লিখে শেষ করি তারপর না হয় শিরোনাম।
দুদিন আগে সিসিবির একটা পিকনিক হল। সিসিবির ঐতিহাসিক প্রথম মিটিং এর পর এই আমার দ্বিতীয় অংশগ্রহণ। ২০০৮ সালের আগস্টে মনে হয় আমরা প্রথম মিট করেছিলাম। জনা ১৬ সিসিবিয়ান কে সেদিন সিটি কলেজের পাশের স্টারে বসে সিসিবির ব্যানারে তৈরি করা টিশার্ট গায়ে দিয়ে ব্যাপক ভাব মারতে দেখা যায়। আজো তাদের কেউ কেউ সেই টি শার্ট পরে নিজেদেরকে পুরান পাপী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে তা রায়হান আবীর কে দেখে বোঝা গেল।
আমি মোটেও ভাল করে পিকনিকের কাহিনী লিখতে পারব না। ইতিমধ্যেই দুইটা ব্লগ এসেছে পিকনিক নিয়ে যদিও একটা ছবিও কেউ আপ করে নি। রায়হান আবীর, রেজা শাওন এর দিকে তাকায় আছি। খুব তাড়াতাড়ি ফটোব্লগ চাই।
পিকনিকে যেতে ইতস্তত করছিলাম। বহুবহুদিন সিসিবিতে অনিয়মিত, কেউ চিনবে না এটা তো জানাই, আমিও কাউকে চিনব না, কোন টপিকে আলোচনা করতে পারব না এই টা ভেবেই অস্বস্তি লাগছিল। এ থেকে আমাকে বাচাল আমিন। ওর কাছে কনফার্মেশন পেলাম আমাদের সিসিবির স্বর্ণযুগের কিছু সেলিব্রিটি আসবেন। কিছুটা তাদের সাথে দেখা হবার লোভ, নতুনরা কিভাবে সিসিবিকে নিয়ে ভাবছে তা জানার জন্য আর একটা বিশাল পেন্ডিং কাজ করার জন্য অবশেষে গেলাম। পেন্ডিং কাজ হচ্ছে প্রিন্সিপ্যাল এর কাছে একটা হাজিরা দেওয়া। দেশে এসেছি দুইবছর প্রায় এখনো এই কাজ করিনাই এইটা মোটামোটি যে পাপের পর্যায়ে চলে গেছে সেটা বুঝলাম দেখার সাথে সাথে লাভলু ভাইয়ের অনুযোগ শুনে।
আমিন আর রাব্বি ভাই থাকাতে পুরানো দিনের বেশ গল্প হল। ছোটদের সাথে খেলায় যোগ দিতে পারলাম না বুঝলাম একটা স্টেজ পার করে দিয়েছি জীবনের। ৯৯-০৫ ব্যাচের ছেলেপিলেদের সাথে দেখা হল। এদের কে আলাদা ভাবে কেন যেন খুব কাছের মনে হয়।
তাইফুর ভাই আর রবিন ভাই দুই সেলিব্রিটি একেবারে সেলিব্রিটি স্টাইলই ফলো করল। একজন সবাইকে বসিয়ে বিকেল ৪ টার দিকে এসে হাজির হল আরেকজন শেষ মুহূর্তে শিডিউল দিতে পারল না। রিবিন ভিই এর সাথে তাই শেষ পর্যন্ত আমার দেখা হল কিন্তু কালোকুর্তা তাইফুর ভাই দেখা দিলেন না।
পিকনিকের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলাম না এই জন্য একটু আফসোস রয়ে গেছে তবে ফিরে আসতে আসতে এর চেয়ে বড় আফসোস লেগেছে সিসিবির সেই দিনগুলোতে আর কি ফিরে যাওয়া যায় না? অন্য অনেকে এসে হয়ত সিসিবি আরো অনেক বেশি রঙিন করে তুলছে, তুলবে, কিন্তু আমরা অনেকে অনেক অনেক বেশি কাছের হয়ে গেছিলাম এই সিসিবির কল্যানে। তাই তো এখনো ফয়েজ ভাই, কাইয়ুম ভাই, এদের সাথে চোখের দেখা না হলেও এমন ভাবে এদের কথা আমরা নিজেদের মধ্যে বলি যেন প্রতিদিনই একসাথে থাকতাম। মাস্ফ্যু টাকে নিয়ে আর কিছু বললাম না। ওর উপর অভিমান আছে অনেক।
ছোট্ট একটা বড় খবর দিয়ে শেষ করি।
অবশেষে টুপ করে একদিন আমি একা থেকে দোকা হয়ে গেছি। গত ১৬ ডিসেম্বর বিয়ে করলাম। দিব দিচ্ছি করেও সিসিবিতে খবরটা দেওয়া হল না। লাভলু ভাইর ফ্রিজে মিষ্টি আছে, সবাইকে ফ্রিজ খুলে মিষ্টি খাবার দাওয়াত দিলাম। আর যারা ফ্রিজ খোলার কষ্ট করতে চান না, তারা আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিতে সিএসই ডিপার্টমেন্টে এসে একদিন ঢুঁ দেন।
তাইফুর ভাই কিন্তু আসছিলো। আপনারা আর পনেরো মিনিট পরে গেলেই দেখা পাইতেন।
ফটো পোলাপান আজকাল সব ফেসবুকে আপলোড দেয়। এইখানে দেয়ার জন্য বলতে হবে পোলাপানকে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
খুব ইচ্ছে ছিল পিকনিক টায় যাওয়ার। সিসিবির সেই স্বর্ণযুগে আমি ছিলাম নীরব পাঠক। ছুটিতে এসে গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে কিংবা কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে চুরি করে ঢুকে সিসিবির লেখা পড়তাম। বলছি সেই ২০০৯ এর কথা.. বন্ধু শাহরিয়ার এক ছুটিতে সিসিবি র সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। মাঝখানে সামরিক ট্রেইনিং এর কারনে ২০১১/১২ তে কিছুই করতে পারিনি। অনেকদিন পর এসে দেখি সব পাল্টে গেছে কেমন জানি। সাহস করে রেজিস্ট্রার করে ছাই পাশ লিখা শুরু করলাম। আপনাদের লিখা পড়তে পড়তেই তো এই সাহসটুকু পাওয়া। আপনারা যারা "পুরোনো পাপী" ,তারা একটা লিখা দিলে আমাদের মতো নভিস রা আরো কিছু লেখার সাহস পায়... আপনার পোস্ট টা দেখে খুব ভালো লাগলো !
আর জীবনের সেকেন্ড ইনিংস এর জন্য শুভ কামনা রইলো ! আশা রাখি জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লুর মতো দেখে শুনে খেলবেন ! 😛 (সম্পাদিত)
দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে পিকনিকের নামে মৌজ মাস্তির মহোৎসবের বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালাম। পিকনিকে অংশগ্রহনকারী সবার আইপি সহ ব্যান চাই 😡
সিসিবিতে পুরোনো সেই রঙে ফিরত নিয়ে আসতে পারে তোর মত সব সেলিব্রেটি ব্লগারেরা এভাবে ব্লগে একটু নাড়াচাড়া দিলে, কিপ নাড়ানাড়িং 🙂
ওয়েলকাম টু দ্যা মরহুম ক্লাব 😉
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:bash:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
😀
ঠিকই কইসিস, ফয়েজ ভাইই মেইন পাপী 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কলেজে থাকতে শুনছিলাম। সিনিয়র কাজ করবে, জুনিয়র দৌড়ের উপর থাকবে। 😛 আশা করি তাই হবে 🙂
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
:clap:
তপু,
প্রথমেই বিশাল অভিনন্দন দোকা হবার জন্যে। ফ্রিজ খুলে কিংবা আফতাবনগর গিয়ে কোনভাবেই মিষ্টি খাবার সুযোগ নেই বলে নিজেই বিয়ারের বোতল খুলে চিয়ার্স করে নেবো।
আছো তো ভালো?
সিসিবির কোন গেট টুগেদারে যেতে পারিনি, দুবার ফোনে গিয়েছিলাম - সে এক অনন্য অনুভূতি। কখনো চোখে না দেখা মানুষও এমন আপন হয়ে যেতে পারে অজানা ছিলো। এবারেও ফোন করবো ভেবেছিলাম, কিন্তু সব মিলিয়ে কেমন যেন হয়ে পড়ছি জীবন আর জীবিকার চাপে -- পুরো পৃথিবীর সঙ্গেই যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিলাম সেদিন। তবে স্কাইপ বা অন্য কোনভাবে লাইভ যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলা সামিল হতাম।
আমি কুফি খাই। :goragori:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
x-(
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:gulti:
::salute::
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ