১।
সিসিবিতে লেখা হয় না অনেকদিন। আমার ছোটভাই জিজ্ঞেস করে তোমার কি হল ভাইয়া সিসিবিতে আর আসোনা যে? কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে সিসিবির আবেদন কমে গেল নাকি তপু? আমি তাও সাড়া দিতে পারি না। দুটো প্রশ্নের উত্তর দেবার কোন প্রয়োজন নেই। সিসিবিতে আমার কোনরকম চিন্তাভাবনা করে আসা লাগে না। ব্রাউজার খুলে একটু পরে এমনিতেই সিসিবির এড্রেস লিখে ফেলি আর আবেদন আদৌ কি কোনদিন কমবে? তাও আমার সিসিবিতে লেখা হয় না। আমি এমন কিছু লেখি না যে টপিক লাগবে কিন্তু ইদানিং লেখার সময় করে উঠতে পারি না। আজ লেখতে গিয়ে দেখি আজ ও আন্দলিবের সাথে একসাথে লেখা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। ওর সাথে আমার লেখার সাইকেল এর মিল আছে দেখি। তবে ক্ষতিটা হয়ে যায় আমার। তারকা ব্লগার দের সাথে লেখা দেওয়ায় আমার ব্লগের হিট যায় কমে।
২।
থিসিসের সময় আসলে মনে হয় সবারই আমার মত অবস্থা হয়। প্রতি সপ্তাহে আমার রুটিন এখন স্যারের সাথে ২-৩ বার মিটিং করা আর রাতে এসে থিসিস শম্বুকের গতিতে আগানো। আবার যেটুকু আগাই সেটুকু আবার পরের মিটিং এ স্যার লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে আবার পিছিয়ে দেয়। আমার অবস্থা তাই এখন তৈলাক্ত বাঁশে বেয়ে উঠা বানরের মত। সময় ও বেশি নাই আর এখনো সিম্যুলেশন এর রেজাল্ট বের করা হয়নি। সেটা দিয়ে পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে হবে। আগামী বেশ কিছুদিন মনে হয় তৈলাক্ত বাঁশ বাওয়া ছাড়া আমার উপায় নেই। আমি আবার মাস্টার্স এ ইউনিভার্সিটি চেঞ্জ করছি তাই আমার স্যার এমনিতেই আমার উপর ক্ষেপে আছে। প্রথমদিকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যেন ওনার ল্যাব না ছাড়ি। শেষে একবার হুমকিও দিয়েছিল আমার পাশ করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। এখন হাল ছেড়ে দিয়ে আমাকে দিয়ে যতটুকু সম্ভব কাজ করানোতে মনোযোগ দিয়েছে। ওনার সাথে আমার এখন দুরকমের মিটিং হয়। যেদিন ভাল কোন আপডেট থাকে সেদিন উনি আকারে ইংগিতে আমাকে বোঝায় যে এখানে থাকলে আমার পিএইচডি পর্যন্ত সুবিধা হত আর যেদিন আপডেট থাকেনা সেদিন বলে যে ঠিক মত পাশ করতে পারব তো। অনেক পড়ালেখার কথা বলে ফেললাম।
৩।
শুধু যে ল্যাব নিয়েই ব্যস্ত তা না অবশ্য। শনি,রবি আবার এখানে ওখানে অনেক রকমের দাওয়াত নিয়ে কেটে যায় যার কারণে কোন কিছু এগিয়ে রাখা যায় না। তার মধ্যে গত সপ্তাহ দোকানদারিতে কেটে গেল। ইউনিভার্সিটির ওপেন ক্যাম্পাসে বাংলাদেশিরা মিলে একটা বাংলাদেশি খাবার দোকান দিয়ে দিল। মোটেও উৎসাহ ছিল না এইসব ঝামেলার কাজে কিন্তু সবার চাপে পড়ে আমাকেও কাজ করতে হল। দুজন ভাবী ছিল ওনারা রান্নার দায়িত্বে ছিলেন। আমরা ছেলেরা করলাম সব বিদঘুটে কাজ। সিংগাড়া বানাবার জন্য ময়দা মলা, রুটি বানানো সব কষ্টের কাজ করে শেষ পর্যন্ত শুনি সিংগাড়া বানাবার সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট নাকি প্যাচ দেওয়া , যথারীতি স্বাদের সব ক্রেডিট মেয়েদের। তবে দোকানদারিতে ব্যাপক সম্ভাবনার ইংগিত দিলাম। চিল্লাফাল্লা করে একেবারে জমিয়ে দিলাম স্টল। আশেপাশের দোকান কে খালি রেখে যখন আমাদের স্টলের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছিল তখন দেখতে আসলেই ভাল লাগছিল।
৪।
কতদিন দেশে যাই না। একটু একটু করে বিষাদ ভর করছে, ইচ্ছা করছে ১ সপ্তাহ হলেও একটু ঘুরে আসি। কিন্তু সামনে কোন আশা দেখতে পারছি না। মনে হয় অগাস্টের আগে আর যাওয়া হবে না। এতগুলা দিন কিভাবে যে যাবে। আগামী সপ্তাহে আবার ঈদ আমার ১২ নম্বার প্রবাসী ঈদ। আবার শুনি সিসিবি নাকি বিশাল ২য় বর্ষ উদযাপনের প্ল্যানে আছে। অনেক ইভেন্টই মিস করি আর সেই সাথে মিস করি অনেক গুলা প্রিয়জনকে প্রতিনিয়ত। কতদিন ঈদের নামাজ পড়ে এসে আম্মুকে জড়িয়ে ধরি না। মনটা আরো খারাপ হয়ে যাবার আগে আগেই লেখা শেষ করে দেই দিনের শুরুতেই মন খারাপ করা খুব একটা ভাল কাজ হবে না।
আগাম ঈদ মোবারক ভাইয়া 🙂
ঈদ মোবারক ভাবী। কেমন আছেন?
আল্লাহ'র রহমতে ভালো আছি, তোমার খবর কি?
আগাম ঈদ মোবারক।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ধন্যবাদ আপু, আপনাকেও ঈদ মোবারক।
তপু ব্যপার্স্নারে, মন খারাপ করিসনা। সিসিবি গেট টুগেদার তেমন বেশি কিছু হবেনা, খুব বেশি হলে ঢাকায় বা এর আশেপাশেই একটা স্পট এ বিশাল মাহফিল হয়ে ব্যাপক খানাদানা হবে, সাথে তুমুল আড্ডা আর মাস্তি হবে, এর চেয়ে বেশি কিছু হবেনা, নিশ্চিন্তে থাকতে পারিস 😛
ঈদের শুভেচ্ছা এডভান্স। আমাদের জন্য তোদের স্টলের সিঙ্গারা পাঠাইস।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাইয়া তুই আড্ডাবাজি আর মাস্তিগিরী করতে পারবি?? 🙁 :((
আরে আপু আমিতো আমার কথা না, সিসিবি'র প্রোগ্রামের কথা কই। একমাত্র বোনরে ছাড়া আর কতগুলা গেট টুগেদার যে করতে হবে 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সেটা অবশ্য আমি জানি :hug:
দোয়া করতে থাক যাতে শিগগির আসতে পারে।
ভাইয়া
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে নাই
তাহলে নুনের ছিটা কোথায় কোথায় দিতে আছে :grr: :grr: :grr:
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
লংআপ হয়া থাক x-( দেশে নাই আর একের পর এক মাস্তি । একটা তীব্র প্রতিবাদ জানাব নাকি ভাবতেছি ।
তপু লেখার শেষ অংশ পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। ব্যাপার না... দেখতে দেখতে দেখবা অগাস্ট মাস চলে আসছে। আশাকরি ভাবীদের দাওয়াত খেতে খেতে প্রবাসে ১২ নম্বর ঈদটাও ভালোই কেটে যাবে। ভালো থেকো... ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
তপু লেখার শেষ অংশ পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। ব্যাপার না… দেখতে দেখতে দেখবা অগাস্ট মাস .....
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দেখতে তো আছিই, আর কত দেখা লাগবে ভাইয়া...
আপনাদের সবাইকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
নিজের উপর বেশি প্রেশার নিস না। অভিজ্ঞতা থেকে কই, এইটা বিরাট রকম কাউন্টার প্রোডাক্টিভ। ভালো থাকিস। বহুদিন পর লেখা দিলি 🙂
ঠিক কইছস। ফাঁকি দিলে দেওয়া যায়, কাজ দেখাইলেই স্যারের দরকার বাড়ে। তুই কেমন আছিস। বহুদিন দেশে মজা করতেছিস। সহ্য হচ্ছে না এক্কেরে।
সেইদিন একজনের সাথে আপনাকে নিয়ে কথা হচ্ছিল; মজার ব্যাপার হচ্ছে আজকে ল্যাবে বসে সিসিবি ওপেন করতেই আপনার লেখায় ঢুকেছিলাম; পাশ থেকে এক বাঙ্গালী তন্বী আপনার প্রোফাইল ফটুক (পেন্সিল ঘষা যেইটা) দেখে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, উনি কে? আমি কলার উঁচাইয়া জব্বর ভাব নিয়া বললাম, উনি আমার বড় ভাই; ফার্ষ্ট স্ট্যান্ড করা পাবলিক। B-) মাইয়া কয় ভাইয়ারে বড় হ্যান্ডসাম লাগে, উনার রঙ্গিন ফটুক দেখাও। :bash: :bash:
বহুদিন পর লিখলেন ভাইয়া।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওই তন্বীরে কইয়া দিস তপু ভাইয়ের সাথে জাপানী রমনীদের বড়ই দহরম-মহরম,আমি ভুলায় ভালায় কয়েকটা সেইরকম পোজে ছবিও ম্যানেজ করছি উনার কাছ থিকা 😀 😀
একজন টা কোনজন। রঙিন ছবি নিব নাকি প্রোফাইলে।
মাসরুফ তুই কি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক হইছস?
নিজের পায়ে কুড়াল তো না একেবারে চেইন স :grr: :grr:
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
অনেক অনেক দিন পর লেখা দিলা তপু।
এতো বেশি মন খারাপ কইর না মিয়া, দেখবা হুট করেই অগাস্ট চলে আসবে, সেই সাথে তুমিও চলে আসবা দেশে। আমরা তখন সিসিবির আরেকটা গেট-টুগেদার করব যেটাতে তুমি চু্টিয়ে মজা করতে পারবা। 🙂
ঈদ মোবারক।
ভাইয়া, লেখা দিব দিব করেও দেওয়া হয়নি। আপনারা সবাই মজা করেন বেশি করে। আমরাও একদিন যোগ দিতে পারব আশা করি।
আশাকরি তুমি এখন পুরোপুরি সূস্থ আছো।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হ্যা ভাইয়া এখন আল্লাহর রহমতে তেমন কোন সমস্যা নাই। নিজে নিজের উপর প্রেশার না নিলে একেবারেই সাউন্ড থাকতে পারি।
তপু,
মন খারাপ করিস না। দেখতে দেখতে দিন চলে যাবে।
(অ।ট । তোর নাম্বার কি আগেরটাই আছে?)
আপনিও দেখি আমাদের সাথে সাথে লেখা দেন। চিমটি।
নাম্বার আগেরটাই আছে ভাইয়া।
আরে দোস্ত বিয়াপার না ..... দেখতে দেখতে দিন চলে যাবে ইনশাল্লাহ.... ভালো থাকিস, সুস্থ থাকিস....
ধন্যবাদ দোস্ত। তোর কি অবস্থা ?
মন খারাপ করে কি লাভ 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
🙂 কেমন আছেন তপু ভাই?
বেশি প্রেশার নিস না, নিজে আগে ভাল থাক, তারপর বাকি সব।
( সেঞ্চুরি মারার পর থেকেই তুই চরম ফাঁকিবাজ হইয়া গেছস)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সেঞ্চুরি মারার পর একটা দায়িত্ব আইসা গেছে না যেনতেন লেখা কি আর দিতে পারি।
আছিস কেমন?
আগাম ঈদ মোবারক...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঈদ মোবারক ভাইয়া
মেলবোর্নের একটা বৈশাখী মেলায় একবার আমরা কয়েকজন মিলে একটা খাবার দোকান দিয়েছিলাম। আগের দিন রাত জেগে সবার সে কি পরিশ্রম, এটা বানাও, সেইটা ভাজো। সবচেয়ে পরিশ্রমের কাজটা করেছিলাম আমি, দোকানের জন্যে একটা নাম ঠিক করেছিলাম বসে বসে। নাম দিয়েছিলাম- হাউ মাউ খাউ। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
কিরে কেমন আছিস? ঈদ মোবারক । বিদেশে তো সময় তাড়াতাড়ি যায় তাই মন খারাপ করিস না ।