ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম

[ পৌরাণিক সপ্তাহ চলছে সিসিবির। এর শুরু আমারই হাত ধরে । আমি এর ফাঁকে একটা অল্প পুরান কাহিনী দিয়ে দেই, জীবন থেকে নেওয়া কেন যেন হঠাৎ লেখতে ইচ্ছা হল। একেবারে নতুন এর আগে এটা নিয়ে কোথাও কখনো লেখিনি আমার নিজের ডায়েরিতেও না একেবারে টাটকা লেখা অনলি ফর সিসিবি]
পূর্বকথাঃ
বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্যালাইনের ফোঁটা গুনি। সকাল থেকে চলছে । গতকাল রাতে হঠাৎ করে প্রচন্ড পেটে ব্যাথায় অজ্ঞান টাইপ হয়ে যাওয়ার সময় পাশের বাসা থেকে দুলাভাই এসে ঘুমের ওষুধ সিরিঞ্জ পুশ করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে এই স্যালাইন চালু করে দিয়ে গেছেন। অলরেডি একটা শেষ হয়েছে এখন আরেকটা যাচ্ছে। এটাই নাকি শেষ এরপর চলাফেরা করতে পারব। বন্ধুরা এসেছিল দেখতে আম্মু ভীষণ রকম চিন্তিত। সবাই বলছে পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে এই চিন্তাতেই নাকি আমার এরকম হয়েছে। হতেও পারে তবে চিন্তা কি আসলেই করছি। কাল এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে। গত একটা বছর এই দিনটার জন্য যা খাটাখাটুনি করেছি অবশেষে তার ফল বের হবে। চিন্তা হওয়াটা একেবারেই অমূলক কিছু না। তবে আমার পরীক্ষা দিয়ে আমি সন্তুষ্ট এবার হয়ত আর আমাকে এসএসসির মত সবাইকে হতাশ করতে হবে না। এসএসসি তে বাসায় সবাই চলে এসেছিল দুর্দান্ত একটা রেজাল্টের অপেক্ষা করে সেলিব্রেশন করার জন্য। আমাদের ফ্যামিলিতে একটা নতুন কিছু হবে সেই চিন্তায় সবাই খুব এক্সাইটেড ছিল। কিন্তু রেজাল্ট শুনে সবাই বড়ই হতাশ হয়েছিল। সবাইকে হতাশ করার দুঃখে আমি চুপ মেরে গিয়েছিলাম অনেক। সেদিন ভেবেছিলাম আর একটা চান্স আছে আমার একটাই। কাল সেইদিন। পরীক্ষা দিয়ে নিজের কোন ভুল বের হয়নি আমার কাছে বলা যায় যা যা লিখেছি সব আমার হিসেবে ঠিক উত্তর দিয়ে এসেছি টেস্ট পরীক্ষার চেয়েও ভাল হয়েছে পরীক্ষা তাও যদি না হয় … । মর্তুজা বলছিল তপুর যদি না হয় তাহলে বোর্ডের সামনে গিয়ে অনশন করব চিন্তা কইরেন না আন্টি। আম্মু এসে আমাকে বলে যাচ্ছে এত চিন্তা করিস না আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন। অথচ আমি জানি আমার আম্মুই সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করে আছেন আমার রেজাল্ট শোনার জন্য।
মূলঘটনাঃ
সকাল থেকে উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি। আগের রাতেও ছিলাম বিছানায় শোয়া কিন্তু এই সময়ে কি আর রেস্ট নেওয়া যায়। কিভাবে কখন খবর পাওয়া যাবে তাই নিয়েই ভাবছি। মর্তুজার বাবা মোটামোটি কিভাবে যেন সকালেই খবর পেয়ে যান তাই আশায় আছি উনি কিছু একটা খবর জানাবেন। ১১ টা বেজে গেল দেখে এখন আবার শঙ্কা ভর করেছে আমার মাঝে, আবারো… । ফোন দিলাম মীমকে শুনতে পারলাম মর্তুজার বাসায় এখন নাকি সাংবাদিক ওর রেজাল্ট জানলাম ওদের রেজাল্ট জানলাম আর মীমকে বললাম দেখ তো আমার রেজাল্ট জানতে পারিস কিনা। জানার সাথে সাথে আমাকে জানাবে বলল ও, নিজের রেজাল্ট উদযাপনে ব্যস্ত ও। অপেক্ষার প্রহর আর কাটে না। ৪ টা বাজলে কলেজে ফোন করে জানা যাবে তার আগ পর্যন্ত কিভাবে সময় কাটাই। গোসলে ঢুকলাম তখন আম্মু এসে খবর দিল মর্তুজা,মীম, মহিউদ্দিনের রেজাল্ট। মর্তুজার বাবা আম্মুকে ফোন করে জানিয়েছে এখনো আমার রেজাল্ট জানতে পারেন নি জানতে পারলে জানাবেন। হেসে বললাম তাহলে মনে হয় এবারও হয়নি মা এই জন্য আঙ্কেল জানাচ্ছে না। আম্মু মুখ কাল করে ফেললেন। আমি গোসলখানার দরজা আবার বন্ধ করে দিলাম।
গোসল করে বের হয়ে খাওয়া দাওয়া করেছি কিনা মনে নেই। ঘড়ি নিয়ে বসে ছিলাম কখন ৪ টা বাজে। আমার মামা যিনি ফেনীতে থাকেন তাকে দেওয়া হয়েছিল কলেজের ফোন নম্বর উনি ফোন করে খবর নিবেন আমাদের বাসায় ফোন নেই তাই খবর জানার জন্য মামার অপেক্ষায় বসে থাকি আমি। ৪ টা বেজে গেলেও কোন খবর আসে না আমি অস্থির হয়ে উঠি। ওদিকে আমার ছোটমামা যে কিনা তার চারপাশের সবাইকে আমার কথা আগে থেকেই বলে রেখেছে উনি একটা লিস্ট করে রেখেছেন তপুর রেজাল্ট পাওয়ার পর কাকে কাকে জানাতে হবে একটা বিশাল কাগজে, আমাদের অনেক বড় ফ্যামিলি সবাইকে যে সাথে সাথে সুখবরটুকু দেওয়া লাগবে। মামা ফোন দিলেন কলেজে। কলেজ থেকে জানানো হল স্টার ৪ লেটার। আর কিছু না। আমার মামা বিশ্বাস করতে পারেন নি আবার জিজ্ঞেস করেন একই উত্তর। মামা প্রথমেই কুটি কুটি করে ছিড়েন সকালে বানানো লিস্টটুকু। এরপর আমার মেঝখালা যিনি ফেনীতেই থাকেন তাকে ফোন করে দুঃসংবাদ দিলেন। খালা সাথে সাথে ঢাকা আসার প্রস্তুতি নিলেন আমাকে এবং আমার মা কে স্বান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। মামা নিজে অপারগতা প্রকাশ করলেন আমার মাকে খবর জানাবার জন্য ।উনি জানালেন আমার খালাত ভাই জামশেদ ভাইয়াকে। ওনারা দুজন আলাপ করে অবশেষে জামশেদ ভাইয়া ফোন দিল আমাদের বাড়িওয়ালার বাসায়। আম্মু ফোন ধরতে গেল আর আমি সিড়িমুখে অপেক্ষা করছি। হঠাৎ দেখলাম আম্মু নামছে সেখানে খুশির কোন চিহ্ন নেই। আমি কিছু জিজ্ঞেস করি না আম্মু আমাকে নিয়ে ঘরে ঢুকেন আমি বললাম আমি একটু বের হই। আম্মু কাঁদছে আর আমাকে ধরে রেখেছেন বেরুতে দিবেন না। আমি বললাম আরে মা চিন্তা কইরেন না শুধু স্টার পাব তা হতেই পারে না একটা না একটা প্লেস তো পাবই আমাকে একটু বের হতে দেন। আম্মু বের হতে দেয় না আমি কি করব কে জানে এই জন্য। আমি বের হই জোর করে। বের হয়ে দেখি জামশেদ ভাইয়ার বউ কোথায় যেন যাচ্ছে ওনাকে বললাম মোবাইলটা দিয়ে যাও আমাকে। ও বলল টাকা নাই ১০ টাকা আছে নাও রাখ। ৭ টাকা মিনিটের যুগে একটার বেশি কল করতে পারব না বুঝতে পারলাম। সেটা হাতে নিয়ে দোকানে গেলাম। কলেজে ফোন করে পেলাম না লাইন। এরপর ফোন দিলাম এক ফ্রেন্ড কে ও ও বলল দোস্ত প্লেসের কথা তো কিছু বলল না শুধু বলল স্টার ৩ লেটার।পরে জানতে পেরেছিলাম আমাদের ভিপি স্যার প্লেস এর লিস্ট না নিয়ে শুধু রেজাল্ট নিয়েই কলেজে ফিরে এসেছিলেন তাই প্রথমে কাউকে রেজাল্ট বলা হচ্ছিল না। পরে অনেক ফোন পেয়ে ওনারা প্লেস ছাড়া রেজাল্ট বলা শুরু করেছিল। বাসায় ফিরে এসে ভাবছিলাম কি করি। এরই মধ্যে আমার মায়ের কান্নায় চারপাশের মানুষে আমাদের বাসা ভরে গেছে। সবাই ভেবেছে আমার কি না কি হল কারণ তার আগের দিনও আমি স্যালাইন নিয়ে শুয়ে ছিলাম।
আমার একটা ছোটবেলার বন্ধু আছে নাম রাজীব ও আবার আমার আম্মুর দিকের আত্মীয় । ও এসে বসে ছিল আমার পাশে। ও কে বললাম কি করি বল তো? বলল কারো ফোন নম্বর নেই তোর কাছে? আমি আমার ফোন বুক খুলে বসলাম একটা একটা নাম ওকে পড়ে শোনাই। পড়তে পড়তে মোস্তফা মামুন ( সিকক ) ভাই এর নাম বলি। ভাইয়া তখন প্রথম আলোর স্পোর্টস রিপোর্টার। রাজীব বলে ওনাকে ফোন কর। আমি বললাম টাকা নাই মিসকল দিতে পারব কিন্তু উনি আমার নম্বর চিনবেন না। তাও কি মনে করে মামুন ভাইকে মিসকল দিলাম। ২ মিনিট পরেই ফোন বেজে উঠল আমার মোস্তফা মামুন ভাই। আমি ফোন ধরেই গড়গড় করে ভাইয়াকে আমার পরিচয় দিলাম ভাইয়া আমি সিলেট ক্যাডেট কলেজ রিইউনিয়নে আপনার সাথে পরিচয় হয়েছে কামরুল নাম। এটুকু বলতেই ভাইয়া আমাকে বলল, ” আরে কামরুল , কংগ্রাচুলেশন ম্যান…… আমি তো জানতাম তুমি শুধু কথাই বলতে পার “। মামুন ভাইকে কখনো বলা হয়নি ভাইয়া ধন্যবাদ কারণ এটুকু বলে বোঝানো যাবে না আমার কৃতজ্ঞতা। ভাইয়া আজীবন মনে রাখব আপনাকে যতদিন বেঁচে থাকব।
তখন বাজে সাড়ে ৫ টা। ফোন কানে ধরেই আমি আম্মুর কাছে আসলাম ফোন রেখে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম বললাম আম্মু আমি পেরেছি। এরপরের কিছু মিনিটের কথা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। আমার মা আবারো কাঁদলেন এবার খুশিতে। আমার জীবন সার্থক হয়ে গেল। ছোট বেলা থেকে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম মনের গহীন কোনে। আমার মনে হল আমি পৃথিবীতে আর কিছু চাই না আমার আর কিছু লাগবে না। ওদিকে আমার মামা লিস্টটা ছিড়ে ফেলেছেন দেখে আফসোস করতে করতে এবং তাড়াহুড়ো করে যাকে যাকে পারলেন খবর দিলেন। আর আমি তখন স্বপ্নের রাজ্যে সেসময়ের অনুভূতি, ঘটনা পুরোটা চোখ বুঝে দেখতে চাইলে এখনো চোখে ভেসে উঠে কিন্তু প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

পত্রিকার পাতায় আমি

পত্রিকার পাতায় আমি


সত্যিই এরকম দিন সারাজীবনে একবারই আসে। জীবনের একটা দিন ফিরে পেতে চাইলে এই দিনটি হুবহু এইভাবেই আমি চাইব।

৬৪ টি মন্তব্য : “ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    ইসসসস.........বোর্ডে ফার্স্ট হওয়ার খবর যদি এত কষ্ট করে জানতে হয় তাহলে তো খুব খারাপ ব্যাপার......
    যাই হোক, তুমি তোমার কষ্টের ফল তো পেয়েছ।

    আর আমি তখন স্বপ্নের রাজ্যে সেসময়ের অনুভূতি, ঘটনা পুরোটা চোখ বুঝে দেখতে চাইলে এখনো চোখে ভেসে উঠে কিন্তু প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সত্যিই এরকম দিন সারাজীবনে একবারই আসে। জীবনের একটা দিন ফিরে পেতে চাইলে এই দিনটি হুবহু এইভাবেই আমি চাইব।

    চমৎকার তপু, চমৎকার! এরকম সুখের দিন তোমার আরও আসুক এই শুভকামনা রইল।

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বাসি অভিনন্দন দোস্ত... লেখাটাও ঝাক্কাস হইছে...

    এইচএসসি রেজাল্টের আগেই আইএসএসবি হয়ে যাওয়ায় রেজাল্ট নিয়া কোন চিন্তা ভাবনাই ছিল না, শুধু মুখ রক্ষা করার ব্যাপারটা ছিল... নিজে মোটেই আশাবাদি ছিলাম না, তবে শেষ পর্যন্ত কোন মতে মান রক্ষা হয়েছিল ...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আমার ঘটনা ছিল অন্যরকম। এসএসসি ও এইচএসসিতে মানবিকে আমরা ছিলাম চারজন। এসএসসিতে মামুন (প্রধান নির্বাহী, সিটি ব্যাংক এনএ) নবম হলো। আমি হলাম ১৪তম। জাহাঙ্গীর (স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, চট্টগ্রাম) হলো ১৭ বা ১৯তম........ এরকম কিছু। আর বরকত (সিটি ব্যাংক এনএ, নিউইয়র্ক) পেল দ্বিতীয় বিভাগ। এই ফল আমি আশা করিনি। প্রথম বিভাগটাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু ২০ জনে জায়গা পাওয়ায় মনে হলো, আরে এটাতো কঠিন কিছু না!

    এইচএসসির ফল ঘোষণার দিন ছিলাম চট্টগ্রামে। ঢাকায় বাসায় বাবা-মা টেনশন করছেন। আমার কিছুই নাই। এক সময় শুনলাম মামুন দ্বিতীয় হয়েছে, বরকত চতুর্থ। এইবার আমার টেনশন হওয়া শুরু হলো। নিজের ফল পাই না। আবার এইটাও চিন্তা ঢুকলো, বরকত দ্বিতীয় বিভাগ থেকে একেবারে চতুর্থ! আমার কি হবে? দ্বিতীয় আর চতুর্থের মাঝে জায়গা মাত্র একটা! কেম্নে কি? বেশ কয়েক ঘণ্টা পর খবর পেলাম মাঝের ওই জায়গাটায় আমিই আছি। কি যে স্বস্তি সেটা! আর জাহাঙ্গীর জায়গা পেল ১০-এর পর।

    আর কলেজের জুনিয়ররা আমি তৃতীয় হয়েছি শুনে নাকি মনে করেছে, তৃতীয় বিভাগ পেয়েছি! আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমার সম্পর্কে তোমাদের ধারণা এতো খারাপ কেন? ওরা বলেছিল, আপনারে তো পড়াশুনা করতে দেখি নাই!! হায়রে কপাল!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম বললাম আম্মু আমি পেরেছি। এরপরের কিছু মিনিটের কথা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। আমার মা আবারো কাঁদলেন এবার খুশিতে। আমার জীবন সার্থক হয়ে গেল। ছোট বেলা থেকে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম মনের গহীন কোনে।

    তপু ভাই,
    এই অংশটুকু পড়ে কেন যেন আমার দুই চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল... কী জানি কেন এমন লাগলো! এরকম কি হওয়া উচিত?

    অনেক দেরিতে হলেও আবারও কংগ্রাচুলেশন...

    ক্যাডেট কলেজে গিয়ে এই জাতীয় একটা স্বপ্ন দেখতে শিখেছিলাম বড় ভাইদের দেখে দেখে... সেই স্বপ্ন কোনদিন পূর্ণ হবেনা জানি-- হতে পারেনা।

    সেই স্বপ্নজয়ী মানবকে দেখে বোধকরি ভিতরের ভালোলাগাগুলো হৃদয় আলোড়িত করে কেঁপে উঠলো...

    ধন্যবাদ ভাইয়া এত্তো সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা বলার জন্য......

    জবাব দিন
    • কামরুলতপু (৯৬-০২)

      এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনদিন লেখতে পারিনি যতবার চেষ্টা করেছি দেখি হয় না কোনভাবেই আজ ও ঠিকমত হয়ত পারি নি তবে লেখতে গিয়ে আমার ও চোখ ভিজেছে। স্বপ্নজয়ী কথাটা অনেক বড় এক্ষেত্রে খাটবে কি? আমি অবশ্য আমার স্বপ্ন পূরণ করেছিলাম। তবে কি জীবনের বেশি তাড়াতাড়ি স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেলে জীবনে আর কিছু পাবার তাড়না মরে যায় অনেকটাই।

      জবাব দিন
  5. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    তপু,
    অভিনন্দন।

    ফোন রেখে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম বললাম আম্মু আমি পেরেছি। এরপরের কিছু মিনিটের কথা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। আমার মা আবারো কাঁদলেন এবার খুশিতে। আমার জীবন সার্থক হয়ে গেল। ছোট বেলা থেকে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম মনের গহীন কোনে।

    চোখ ভিজে গেল এইটুকু পড়ে...

    সত্যিই এরকম দিন সারাজীবনে একবারই আসে। জীবনের একটা দিন ফিরে পেতে চাইলে এই দিনটি হুবহু এইভাবেই আমি চাইব।

    অনুভূতির অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ...

    তোমার আর আন্টির এই ছবিটিকে আমার কাছে মনে হচ্ছে, পৃথিবীর সেরা কিছু ছবির মধ্যে একটি...

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    আইডিয়াল স্কুলে পড়ি, ক্লাস টু কিংবা থ্রীতে। আবদুল্লাহ আল মামুন বলে একজন ছাত্র সেবার পুরো বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ফার্ষ্ট হলো। চোখের সামনে তাকে দেখে একটা অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছিল। তপু ভাই, আপনি বস। সানা ভাইও বস। :salute:
    :salute: :salute: :salute: :salute: :salute:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. শালার জিপিএ সিস্টেমের প্রথম বাঁশ খাওয়া ব্যাচ আমরা, কলেজের অনার বোর্ডে আমাদের ব্যাচের কারো নাম নাই ( সিপি বাদে)- বড় আশা ছিলো দাঁড়াবো। কিন্তু জিপিএ কোমরডা ভাইঙ্গা দিলো। হতাশার ইমো খুইজ্জা পাইতাসি না!

    জবাব দিন
  8. মহিব (৯৯-০৫)

    তপু ভাই, লেখাটা অস্মভব রকম ভালো লাগলো। একেবারে মিশে গেলাম। আর আপনার আসল রেজাল্ট জানতাম না দেখে আবেগের সাথে যে উত্তেজনা যুক্ত হইছে পড়ার সময়- তার তুলনা নাই।

    জবাব দিন
  9. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    আমার আর তপু ভাইয়ের ঘটনা মোটামুটি একই রকম মনে হচ্ছে। আমি এস.এস.সি. তে ৪.১৩ পেয়ে পুরাপুরি থম ধরে গিয়েছিলাম। এরপর এইচ.এস.সি. তে ৫ পাওয়ার পর বাসায় অসাধারন একটা দৃশ্যের অবতারনা হয়েছিল।

    জবাব দিন
  10. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    জাস্ট ফোর্থ সাব্জেক্টের এত্তগুলা নাম্বার না কাইট্যা নিলে সেইসময় আমরাও ;)) ;))

    তপু ভাইডি, ইমোশনাল কাহিনি পিড়া এক্কেবারে আবেগে আরো ডাবল ইমোশনাল হয়া গ্যালাম। দেশে আইলে খাওইয়া দিস হক্কলরে :thumbup: :thumbup:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কুচ্ছিত হাঁসের ছানা (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।