ছোটদি (১)

[ প্রথমেই বলে রাখি আমি পুরোদস্তুর একজন পাঠক। লেখালেখি আমার কর্ম নয়। ভাল লেখিও না। কিন্তু মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। যেমন পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবের আর কপিলা কোথায় গেল কিংবা সাতকাহনে দীপাবলি কি একাই কাটিয়ে দিল বাকি জীবন। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য। অনেকদিন ধরে মনে হচ্ছে নিমাই এর মেমসাহেব উপন্যাস (আমার খুবই প্রিয় একটা বই ) এর কথা। মনে হচ্ছিল সেখানে মেমসাহেবের ছোটভাই খোকন এর একটা গল্প বুঝি লুকিয়ে আছে। তার জবানীতে যদি মেমসাহেবকে বের করা আনা যেত। তাই আমার এই চেষ্টা। লেখার হাত আমার তত ভাল নয়। তাই আমার এই প্রচেষ্টায় যে কারো সমালোচনা উপদেশ সানন্দে গ্রহণ করব]

journalist
আমার এ চিঠি পেয়ে অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই। প্রেরকের জায়গায় খোকন নামটি পরিচিত ঠেকলেও চিনে উঠতে পারছেন না। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি আমার খুব আপনজনই হতেন। আপনার মেমসাহেব কাহিনীখানা পড়ার পর থেকেই আপনাকে লেখব ভাবছি। কিন্তু কিভাবে লেখব তা ঠিক করে উঠতে পারছিলাম না। আমার জন্য আমার ছোটদি মারা গেছে এই অপরাধবোধ থেকে কখনোই আমি বের হয়ে আসতে পারিনি। আপনার অবস্থা আমি কখনো চিন্তা করিনি। সত্যি বলতে কি আপনাকে আমি কখনোই পছন্দ করতে পারিনি। দিদি যখন আপনার কথা বলত তখন ঈর্ষায় জ্বলতাম আমি। আপনার সাথে পরিচয় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার দিদির সবটুকু জুড়ে ছিলাম আমি। সদ্য কৈশোর পেরুনো আমার তাই আপনার আগমন একদমই ভাল লাগেনি। আপনার কাহিনী পড়ে তাই বুঝতে পারলাম পোড়ামূখী অসম্ভব সুখীদের মধ্যে একজন হতে পারত।এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝেছেন আমি আপনার মেমসাহেবের ছোটভাই খোকন।

আপনার জন্য আমার কখনোই খারাপ লাগেনি। অন্য সবার মত কিছুদিন দেবদাস সেজে থেকে ঠিকই আপনি আবার একজন মনের মানুষ জুটিয়ে ফেলবেন , এই ছিল আমার ধারণা। প্রেম করলেই প্রেমিকা পাওয়া যায়, বিয়ে করলে বউ, কিন্তু বোন হারালে কিভাবে আর পাওয়া যায় বলতে পারেন? ছোটবেলা থেকে যে দিদিকে পাশে দেখে বড় হয়েছি হঠাৎ করে সেখানে সে নেই , শূন্যতা কতটুকু বুঝতে পারেন? আপনার লেখা পড়ে তাই আমার ভুল ভেংগেছে। আমার দিদিটা জানলই না কত সুখ জমে ছিল তার জন্য।

আমি ওর আপন ভাই ছিলাম না। কিন্তু কোনদিন টের পাইনি আপন দিদি আর কতটা বেশি কিছু হয়। মায়ের কোন স্মৃতি নেই আমার। শুনেছি জন্মের সময় মা মারা যাবার পর পাশের বাসার এই দিদিরা আর ওনাদের মা যাকে আমি বড়মা ডাকি তারাই কোলে তুলে নেয় আমাকে। স্ত্রী হারিয়ে বিপর্যস্ত আমার বাবাও স্বস্তি পায় সন্তান পালনে ওনাকে আর কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি ওনাকে। ও বাড়িত কোন ছেলে না থাকায় আমার আদর, আধিপত্য সেখানে একচ্ছত্র হয়ে উঠে। তিন মেয়ের সবাই বেশ বড় হয়ে উঠায় আমি হয়ে উঠলাম সবার আদরের। ও বাসাতেই থাকতাম আমি। হঠাৎ হঠাৎ মনে হলে পিতাকে একবার দর্শন দিয়ে যেতাম হয়তবা। আমার জন্য কোন চিন্তাই করতে হয়নি আমার জনকের। চিন্তার জন্য যে তিনি অধীর ছিলেন এমনটাও কখনো মনে হয়নি। বাবা একজন থাকতে হয় তাই শুধু জানতাম আমি। আমার ছিল আমার বড়মা, আর তিন দিদি। আমি তাদের ঘরের পুতুল। আমাকে ছাড়া তাদের ঘর খালি হয়ে থাকে। ছোটবেলায় ঐ বাড়িতেই বড় হয়েছি আমি। বড়মাকে মা বলে জেনেছি। বড়দিকে বেশিদিন পাইনি তখনই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল দিদির কিন্তু ও যখন বাড়ি আসত আমার পছন্দের জিনিস কখনোই বাদ পড়তনা। মেঝদি আর ছোটদি আমার বাল্যকালের সাথী। ওদের দুজনের কোলে চড়েই বড় হয়েছি আমি। আমাকে নিয়ে দুজনের চলত কাড়াকাড়ি। আমি কার কাছে কি আবদার করব সেটার অপেক্ষায় থাকত তারা। আমি যেন কিছু চেয়ে ওদের একজনকে জিতিয়ে দিতাম আরেকজনের কাছে। ওদের ভালবাসায় আমিও হয়ে উঠেছি আহ্লাদী। বড়মা নিজেও আমাকে আদর করতেন কিন্তু মেয়েদের ভালবাসার আতিশয্য দেখে ওনার হয়তবা কখনো মনে হত একটু শাসন করা দরকার। প্রাণে ধরে তাই কখনো যদি বা একটু শাসন করলেন সেইদিনই তাকে পড়তে হত দিদিদের তোপের মুখে। দিদিরা আসার সাথে সাথেই তাদের কাছে বিচার দেয়া হয়ে যেত আমার। ফলাফল যেটার জন্য শাসন করা হল সেটা তো পেতামই উপরি হিসেবে পেতাম বাড়তি আদর। আমার অবশ্য বাড়তি বলে মনেই হতনা। এসবই যেন আমার ন্যয্য অধিকার। বড়মা হয়তবা বলতেন তোদের আদর পেয়েই ছেলেটা উচ্ছন্নে যাবে। মেঝদির চটপট উত্তর, এই বাচ্চা ছেলে উচ্ছন্নের পথই এখনো চেনেনা বড় হোক তখন শাসন কর।

পরদিন দিদিরা স্কুলে চলে গেলে আমি আস্তে করে এসে বড়মার পিছনে গলা জড়িয়ে ধরতাম। বড়মা রাগ করে বলতেন , থাক আর লাগবে না আমার কাছে আসা। দিদিরা আসলে তখন আদর নিও। আমি তখন বলতাম ঠিক আছে আমি তাহলে চলে যাচ্ছি ঐ বাসায় দিদিরা আসলেই আসব। জানতাম আমাকে ছাড়া খালি বাসা সহ্য হবে না বড়মার। পিছন থেকে বলতেন ওরে আমি কি তাই বলেছি আয় এদিকে আয়। কিচ্ছু খাসনি নিশ্চয়ই। আমি তখন আদর বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলতাম নাশতা খেয়েছি না সকালে। সেই কখন খেয়েছিস বলে কাছে ডেকে আদর করে খাওয়াতেন আমাকে বড়মা। আপন মা থাকলে আর কিভাবে আদর করত আমি জানিনা। এইভাবেই আমার শৈশব কাটে। মায়ের জন্য কখনো আফসোস হয়নি আমার।

একটু বড় হলাম আমি। তখন আমার ৭-৮ বছর বয়স। বাইরে পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলতে যাই। মেঝদি তখন কলেজে ভর্তি হওয়ায় ছোটদির বেশি কাছঘেঁষা হয়ে গেলাম আমি। মেঝদি বাসায় আসতে দেরি হত ততক্ষণে আমি ছোটদির দলে ভিড়ে যেতাম। মেঝদি আসার পর তার কাছ থেকে চকলেট মুখে পুরেই আমি আবার ছোটদির কোলে চলে আসতাম। মেঝদি প্রায়ই বলত তুই আমার থেকে ছোটকে বেশি ভালবাসিস তাই না পিচ্চি। ভালবাসার মর্ম আমি তেমন বুঝিনা তখন। মেঝদির চকলেট খেতে খেতেই তখন বলতাম আমি ছোটিদিকে ভালবাসি। ছোটদি মনে হয় মেঝদিকে খুশি করার জন্যই বলত এতক্ষণ তো খালি মেঝদি কখন আসবে তাই জিজ্ঞেস করছিলি।

সেদিন আমি বাইরে খেলতে গিয়ে বিশুদের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে ফেললাম। ওদের শাঁসিয়ে বললাম আসুক আমার ছোটদি ওকে বলে দিব তোকে আচ্ছা মত মেরে দিবে। বিশুটা মুখ বাঁকিয়ে বলল , ছোটদিকে বলে দিব ইশশ ছোটদি, ছোটদি কি তোর আপন বোন। জানিনা এই কথা শুনে কেন যে আমার এত খারাপ লাগল প্রচন্ড কান্না পেয়ে গেল আমার। সেদিন আর বড়মার কাছে গেলাম না। বাসায় এসে কান্না শুরু করলাম। আমার বাবা অসময়ে আমাকে বাসায় দেখে এমনিতেই হতবাক তার উপর ক্রন্দনরত ছেলেকে কিভাবে সামলাতে হয় তার জানা ছিলনা। অনভ্যস্ত হাতে আমাকে আদর করার চেষ্টা করে বলছিলেন কি খোকা কি হয়েছে। একরাশ অভিমান গ্রাস করছিল আমাকে। কিছুক্ষণ পর ছোটদি এসে স্বস্তি দিল আমার বাবাকে। বাবা অসহায়ের মত বললেন , দেখ তো মা সেই তখন থেকে কাঁদছে আমি তো কিছুই বুঝছিনা।

ছোটদি এমনিতেই স্কুল থেকে বাসায় এসে আমাকে না দেখে থাকতে পারেনা। আমি বাইরে থাকলেও ওর ফেরার সময়ে একবার এসে ওর সাথে দেখা করে যেতাম। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যার পরও আমি না আসাতে বড়মাও চিন্তায় পড়ে গেলেন। চিন্তিত ছোটদি যখন বিশুর কাছে শুনতে পেল আমি অনেক আগেই বাসায় চলে এসেছি তখন আমার ছোটদি কাঁদোকাঁদো হয়ে বাসায় ফিরে আসল। বড়মাই তখন বললেন এই বাসায় দেখতে। আমাকে দেখে ছোটদির জান ফিরে আসল কিন্তু আমার কান্না বেড়ে গেল দ্বিগুন। ও এসে আমাকে আদর করছে কেউ মেরেছে কিনা জিজ্ঞেস করছে আমি কারো কথাই শুনছি না। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কিনে আনা খেলনা দিয়েও আমার কান্না থামাতে পারলনা ও। আমাই সব ছুড়ে ফেললাম , লাগবে না আমার কিছু।বালক আমি কিভাবে বুঝাব আমার অভিমান। পেছন পেছন বড়মা আর মেঝদি এসেও হাজির হল। বড়মাই শেষ পর্যন্ত থামাল আমাকে। অনেকক্ষণ কেঁদে আমিও ক্লান্ত। মেঝদি এসে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছিলরে পিচ্চি তোর। আমি তখন ছোটদির দিকে তাকিয়ে বললাম ,” বিশু কেন বলল ছোটদি আমার আপন বোন না”। এতক্ষণ ধরে আমার কান্না দেখে ছোটদির চোখ ও ছলছল করছিল এইবার সেখানে রাগ দপ করে জ্বলে উঠল। বলল, তোর আর খেলতে হবে না কোনদিন বিশুর সাথে। বড়মা আমাকে ধরে আস্তে করে বললেন, বোকা ছেলে এই জন্য এত কাঁদা লাগে। বলতো আপন আর পর কি দিয়ে হয়। জন্মের পরদিন থেকে তোকে কোলে তুলে নিয়েছি তোর আপন মা থাকলে এর থেকে কোন জিনিসটা বেশি করত। বিশু বাচ্চা ছেলে ও বুঝেনি। আর কোনদিন বললে জিজ্ঞেস করবি ওর আপন বোন কোন জিনিস করে যেটা তোর ছোটদি করে না। তুই আস্তে আস্তে বড় হবি তখন দেখবি আপন পর জন্ম দিয়ে ঠিক হয় না। অন্তর দিয়ে আপন পর চিনতে হয় । ছোট্ট আমি এত কিছু বুঝিনা। শুধু বড়মাকে বলেছিলাম তুমি বিশুকে বলে দিবা ছোটদি আমার আপন বোন। বড়মা হেসে বলেছিলেন হ্যা বলে দিব। মেঝদি হেসে বললেন ছোটদি আপন হলেই হবে আমি কেউ না? দৌড়ে ওর কোলে উঠে বলেছিলাম তুমিও আমার আপন বোন।

আজ আর লেখতে পারছি না। চোখ বুজলে আজো আমার ছোটদির মায়াবী মুখখানা আমার চোখের সামনে ভাসে। এক মুহূর্ত ও শান্তি দেয়না ও আমাকে। এখনো আমাকে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যায়। চোখের জল কেন যে আমার শেষ হয় না। তবুও আপনাকে আমার দিদির কাহিনী জানাব আমি। আপনার কাছে হয়ত আমি অপরাধী। কোন এক খোকনের জন্য আপনার স্বপ্ন উলটপালট হয়ে গেল। কোথা থেকে শুরু করে কিভাবে লেখব জানিনা। আপনি সাংবাদিক মানুষ লেখালেখি করাই আপনার কাজ। আপনার লেখায় আমার দিদি মেমসাহেব হয় সবার মনে অবস্থান করেছে। কিন্তু আমার পক্ষে এত গুছিয়ে বলা সম্ভব নয়। তবুও আপনাকে শোনাব আমার দিদির কথা।

৪,৮৪৮ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “ছোটদি (১)”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ধন্যবাদ ভাইয়া। এখানে আরেকজন কামরুল ভাইয়া আছেন। আমাকে সবাই তপু নামেই ডাকে।
    @যারা মেমসাহেব পড়েনি
    মেমসাহেব নিমাই এর লেখা একটা উপন্যাস। সেখানে এক সাংবাদিক তার বৌদির কাছে নিজের প্রেমিকা মেমসাহেব এর কাহিনী বলে। মেমসাহেব বিয়ের কিছুদিন আগে মারা যায়। রাজনৈতিক গন্ডগোলে খোকন গুলি খেয়েছে শুনে মেমসাহেব রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল খোকনের খোঁজে। সেখানেই গুলি খেয়ে মারা যায়।

    জবাব দিন
  2. সমালোচনা চেয়েছ জন্য বলছি, ডিটেইল গুলো বেশি, যার জন্য বেশ ধীর লয়ের মনে হয়েছে আমার, অল্প কথায় অনুভুতির প্রকাশ করা যায়,

    অবশ্য একেক জনের জন্য একেক ষ্টাইল, উপদেশ ইগনোর করতে পার।

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    কিছুটা ধীর লয়ের হলেও পড়তে কিন্তু খুব আরাম লেগেছে। তপু যতই বিনয় দেখাক, ওর লেখাগুলো কিন্তু আসলেই খুব আবেগী এবং মায়াময় হয়। :boss:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    এই বইটা আমার খুবই পছন্দের কারন এই বই পড়ার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না যে আমার আব্বু আমার আম্মুকে কেন মেমসাহেব আর আম্মু আব্বুকে কেন সাহেব বলে।

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      আরে জোস তো!!!!!!মাশা আল্লাহ আঙ্কেল আন্টি এখনো কত রোমান্টিক!!
      আমার আব্বা আম্মা গতবছর তাদের ২৫তম বিবাহবার্ষীকি উপলক্ষে দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমা করতে বেড়াতে গেছিল, আমাকে আর আমার বোনকে না নিয়ে 🙁

      আমরা চিল্লাপাল্লা করাতে বলেছে-তোদের বিয়ে শাদি হলে তখন নিজের জামাই বউকে নিয়ে যাস, আমাদের মধ্যে কাবাব-মে-হাড্ডি হবার কোন দরকার নাই 🙁

      জবাব দিন
  5. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    তপুর মায়াভরা লেখাগুলা খুব মিস করি ইদানিং। সিসিবিতে প্রথম যখন আসি তখন জিহাদদের গ্যাংটার সাথে সাথে মাস্ফ্যু আর তপুরা দুই ভাই বেশ জমায়া লেখা দিতো। ছেলেটা কি ব্যস্ত হয়ে গেলো, কোনো খবরই নাই আর 🙁


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়েজ (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।