ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ- আর কতদিন চুপ থাকবেন?

মার্টিন নিমোলার সেই বিখ্যাত As they came… সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। প্রথমে জার্মান ভাষায় লেখা হলেও পরবর্তিতে তা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এটির বাংলা অনুবাদ/ভাবানুবাদ অনেকটা এরকম-

যখন নাৎসীরা কমিউনিষ্টদের
হত্যার জন্য এসেছিলো
আমি তখন নিরব ছিলাম
কারন আমি নিজে
কমিউনিষ্ট ছিলাম না।
যখন তারা গণতন্ত্রীদের
কারাগারে নিক্ষেপ করলো
আমি তখনও নিরব ছিলাম
কারণ আমি গণতন্ত্রী ছিলাম না।
যখন তারা শ্রমিক সংগঠকদের
গ্রেফতার করতে এসেছিলো
আমি কিছুই বলিনি
কারণ আমি শ্রমিক ছিলাম না।
যখন তারা ইহুদীদের হত্যার জন্য
এসেছিলো
আমি নিশ্চুপ ছিলাম
কারণ আমি ইহুদী ছিলাম না।
আর তারা যখন
আমাকে হত্যার জন্য এসেছিলো
তখন প্রতিবাদ করার জন্য
কেউ ছিলো না।
—-মার্টিন নিমোলার। (সংগৃহীত)

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে উপরোক্ত কথাগুলো খুব বেশি তাৎপর্যপুর্ণ। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে, সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক-সকল ক্ষেত্রেই প্রায় প্রতিনিয়তই আমরা এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হই।

রাস্তায় বের হয়েছেন চোখের সামনে ছিনতাই হল, আপনি চুপ করে থাকবেন। ভাববেন ‘আমার কি? আমি তো আর ছিনতাই এর শিকার হই নি!’
বস আপনার কলিগকে অকারনে ঝাড়ি দেন-আপনি চুপ করে থাকেন।
পাড়ার মাস্তানরা পাশের বাড়ির মেয়েকে ডিস্টার্ব করে -আপনি চুপ করে থাকেন।
আপনার বন্ধু চাঁদাবাজির শিকার হয় -তখনো আপনি কোন কথা বলেন না।
আপনার পরিচিত কেউ চাকুরিতে যোগদানের আগে ঘুষ দেয় বা নেয় -আপনি চুপ করে থাকেন।
আপনার সরকারী চাকুরিরত আত্মীয় কাজে ফাঁকি দেয়, দুর্নীতি করে -কিন্তু আপনি চুপ করে থাকেন।
দেশে গুম, খুন হয় -আপনি চুপ করে থাকেন।
সরকারী দল স্বেচ্ছাচারিতা করে, বিরোধীদল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী দেয়-তখনো আপনি কোন কথা বলেন না।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে দেশ বিভিন্ন মতে ভাগ হয়, রাজনীতি করা হয়- আপনি চুপ করে থাকেন।
একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দুই দল রাজনীতি করে- আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি, কিছু বলি না।
সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়, রানা প্লাজা, তাজরীন গার্মেন্ট ট্রাজেডির সময়েও আপনার কথা শোনা যায় না।
দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি এবং প্রকল্প চালু হয়-তখনো আপনি কোন কথা বলেন না।
একের পর এক বোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়-আপনি ভাবেন ‘ভাগ্যিস আমার কেউ পরীক্ষা দিচ্ছে না! সেকারনে চুপ করে থাকেন।
খাবারে ফরমালিন, কার্বাইড ইত্যাদি বিষ মেশানো হয়, ভেজালযুক্ত খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে বা মারা যায়, শিশুদের মেধা ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে-আপনি চুপ করে আছেন।

আপনি আর কতদিন চুপ থাকবেন? আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে সরাসরি না হলেও‘ওরা’ আপনাকেও আক্রমন করছে?

২।

বাংলাদেশের এখন অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ ও ভেজালযুক্ত খাবার। বড়দের খাবারে তো বটেই ছোট বা শিশুদের খাবারেও আজকাল বিষ/ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আশংকা আছে যে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে বিকলাংগ ও মেধাহীন ছেলে-মেয়ের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া ওজনে কম, বেশি দাম আদায়, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার বিক্রি ইত্যাদি সমস্যাতেও আমাদের দেশের ভোক্তাদের ভুগতে হয়।

বাংলাদেশে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে একটি উপযুক্ত ও কার্যকর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রনয়নের দাবি দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপিত হয়ে আসছিল। বিভিন্ন দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণজনিত নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে এরূপ কোন নির্দিষ্ট আইন ছিল না। দেশবাসীর এ দাবীর যৌক্তিকতা বিবেচনা করে বাংলাদেশের সর্বস্তরের ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯” প্রণীত হয়েছে।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর ওয়েব সাইটে লেখা আছে,

এ আইন ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণ,ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার লংঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি বিষয়ক একটি সুসংহত আইন,যা ৬ এপ্রিল ২০০৯ থেকে কার্যকর হয়েছে। এ আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দিকনির্দেশনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৬ এপ্রিল ২০১০ থেকে আইন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমানে বিভাগ, জেলা ও গুরুত্বপূর্ন বাণিজ্যিক এলাকায় বাজার মনিটরিং এবং প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভোক্তা সাধারণ সচেতন হওয়াসহ এ আইনের সুফল পেতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ৭টি বিভাগীয় কার্যালয় ও ৯টি জেলা কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। অধিদপ্তরটি পূর্নাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সমগ্র দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পুরোপুরি প্রয়োগ সম্ভব হবে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত আমরা এই আইনের সুফল পুরোপুরি লাভ করতে সমর্থ হই নি। এর কারন-
ক। বেশিরভাগ ভোক্তাই আইন সম্পর্কে জানেন কিন্তু সচেতন নন বা জানেনই না।
খ। অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে খুব কম।
গ। অভিযোগ করা হলেও আইনের প্রয়োগ কম হচ্ছে।
ঘ। অপরাধী সংখ্যায় কম হলেও সু-সংগঠিত, ভুক্তভোগীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হলেও তারা সংগঠিত নন।

৩।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি করতে পারি? আপনি হয়ত উপলদ্ধি করতে পারছেন না, কিন্তু যা করার আমাদেরকেই অর্থাৎ সাধারণ জনগণকেই করতে হবে এবং সুখের কথা হচ্ছে আমরা সেটা করতেও সক্ষম। কেননা একটি দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি তার অর্থনীতি, সমরাস্ত্র কিংবা খনিজ সম্পদ নয়। দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে সেই দেশের জনগণ। আমরা সবাই এক হলে করতে পারব না-এমন কাজ খুব কমই আছে! ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বাস্তবিক প্রয়োগের জন্য আমাদের প্রয়োজন-
ক। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯- নিজে জানুন এবং অন্যকেও জানতে উৎসাহিত করুন।
খ। ভোগান্তির শিকার হলে অভিযোগ করুন, প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিন।
গ। সেটা করতে না পারলে অন্ততঃ পক্ষে অন্যকে অবহিত করুন।
ঘ। ফেসবুক, টুইটার, ব্লগে লিখুন। এতে করে আপনার পাশাপাশি অন্যরাও সচেতন হবে এবং সেইসব প্রস্তু্তকারক, বিক্রেতা বা দোকান এড়িয়ে চলতে পারবে।
ঙ। ফেসবুকের Bangladesh Consumers Forum (BCF) যুক্ত হোন এবং সেখানে আপনার মতামত, পরামর্শ, অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। প্রয়োজনে আমরা একটি ডেটাবেজ তৈরি করব যেখানে কোন্‌ কোন্‌ দোকানে খাঁটি জিনিস পাওয়া যায় এবং কারা ভেজাল জিনিস বিক্রি করে তাদের একটি তালিকা থাকবে। এতে করে ভেজাল ও রাসায়নক পদার্থযুক্ত খাবার বিক্রয়কারী, প্রস্তুতকারী এবং সরবরাহকারীকে আমরা সামাজিকভাবে বয়কট করার পাশাপাশি আইনের আয়তায় আনার সুযোগ পাব।

পরিশেষে বলতে চাই- যুগে যুগে জাতি হিসেবে আমরা অনেকবারই এক হয়ে জাতীয় বিভিন্ন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছি, সমস্যার সমাধান করেছি। আজ আমরা অনেক বেশি বিভক্ত হলেও কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের জাতীয় ঐক্য থাকা জরুরী। সেই কিছু ব্যাপারগুলোর মধ্যে অন্যতম অবশ্যই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ। তাই আসুন, আমরা সোচ্চার হই, কথা বলা শুরু করি। মনে রাখবেন কোটি কন্ঠের মৃদু স্বরই কিন্তু হুংকার সৃষ্টি করতে সক্ষম!

যা করবেন নাঃ
দেশে এত সমস্যা আছে সেসব বাদ দিয়ে হঠাৎ ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ’ নিয়ে লাফালাফি করার দরকার কি- টাইপ কথা বলবেন না। দেশের সব সমস্যারই সমাধান করার প্রয়োজন, কিন্তু সব সমস্যা একবারে সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই, কেউ যখন নির্দিষ্ট একটি সমস্যা নিয়ে বলবে তাকে সমর্থন জানান। পছন্দ না হলে চুপ করে থাকুন, কিন্তু নেতিবাচক কথা বলে বাধা দেবার চেষ্টা করবেন না। কারন এরকম করলে কোন সমস্যারই সমাধান হবে না।

সংযুক্তিঃ
১। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯
২। আইনটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
৩। Bangladesh Consumers Forum (BCF)
৪। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর

১১ টি মন্তব্য : “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ- আর কতদিন চুপ থাকবেন?”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    এই আইনটিসহ আরো বেশ কয়েকটি আইনের মূল সমস্যা হলো আইন আদালতের পাশাপাশি সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করা। অর্থাৎ সরাসরি আদালতে‍ কথা বলার রাস্তা বন্ধ করা। এই কাজ গুলো আইন প্রণেতারা কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করে তা জানা নেই। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে কাজ করার কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে যখন ডঃ তুরিন আফরোজের সাথে রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে ছিলাম। সেই সময়ে আর ১০টা সরকারী অফিসের চেয়ে আলসেমীতে বিশাল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ান ছিল এই দপ্তরটি। এখন জানি না অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে কিনা। কিন্তু যেটা বললেন, এবং সাথে যুক্ত করি, সরাসরি আদালতের পথ যেহেতু বন্ধ, আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে। বিসিএফ একটি চমৎকার প্রচেষ্টা। উনারা বসে বসে মাছি মারা বন্ধ করতে সমন্বিত ও সংঘবদ্ধ চেষ্টার বিকল্প নাই। চমৎকার লেখা ভাই! :hatsoff:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    আপনি আর কতদিন চুপ থাকবেন? আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে সরাসরি না হলেও‘ওরা’ আপনাকেও আক্রমন করছে?

    :boss: :boss: :boss:


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

    ভাই প্রথমেই ::salute::

    আপনি আর কতদিন চুপ থাকবেন? আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে সরাসরি না হলেও‘ওরা’ আপনাকেও আক্রমন করছে?

    :hatsoff:

    আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই আমাদের দেশে এটা পুরোনো ব্যাপার।আর সেই সাথে ম্যানেজ করে চলা তো আরো পুরোনো ব্যাপার।
    নিজের অজান্তেই আমরা ধীরে ধীরে যে শেষ হচ্ছি এটা আমরা বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকি,সবার ওই একই অবস্থা ---- আমার একার কি,সবাই পারলে আমিও পারবো,কিন্তু এভাবেই যে আস্তে আস্তে আমরা নিজেদের জন্য আরো বড় বিপদ ডেকে আনছি তা কেউই চিন্তা করি না
    ইদানিং আরেকটা নতুন ট্রেন্ড আসছে ----- ভেজাল মুক্ত সাইনবোর্ড টানিয়ে ভেজাল বিক্রি করা। আমরাও নিশ্চিন্তে ভেজাল মুক্ত/ফরমালিন মুক্ত সাইনবোর্ড দেখলেই অইখান থেকেই কিনি কিন্তু আসলেই ওইটা ভেজালমুক্ত কিনা কয়জন চিন্তা করে দেখি।
    কিছুদিন আগে দেখলাম ঢাকার কোন এক ফরমালিন মুক্ত মাছের বাজারে ১০০% মাছে ফরমালিন পাওয়া গিয়েছে। এটাকে কি বলবেন???? আমি তো মনে করি এইগুলার শাস্তি আরো বেশি হওয়া উচিত।
    আর সব চাইতে আতংকের বিষয় হচ্ছে,এখানে অভিজান চালাতে গিয়ে ব্যাবসায়িদের বাধার মুখে পরতে হয় মোবাইল কোর্ট কে
    কই যামু?


    একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সচেতনতা ছাড়া এর থেকে পরিত্রাণের উপায় দেখি না, ভোক্তাদের ঐক্য বদ্ধ হয়ে ভেজাল বয়কটে যেতে হবে।

    আমাদের ভেজাল বিরোধী অভিজানগুলো আমার অর্থহীন মনে হয়। আমের উধাহরন দিয়ে বলা যায় এই অভিজানের মূল ভিক্টিম হয় খুচরা বিক্রেতারা যাদের হয়ত কার্বাইড বা ফরমালিনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, অথচ বাগান এলাকায় যেখানে মূল ক্যামিকেল গুলো প্রয়োগ করা হয় সেখানে কোন অভিজান হতে দেখলাম না এখনো


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।