ফুলের বাগানে সাপ…!!!

ঝনঝন শব্দ শুনে মাথাটা তুলে একটু বোঝার চেষ্টা করল নিশি, ‘আবার কি ভাংগলো?’। সকাল থেকে দু’বার এরকম শব্দ শুনেছে সে…একবার চায়ের কাপ ভাঙ্গার এবং অন্যবার টর্চলাইট। এবার বোধহয় বড় কিছু হবে, কারণ সংগে সংগে থাপ্পরের শব্দ এবং শ্বাশুড়ির সুললিত কন্ঠ স্বরও কানে এল। বুঝতে বাকি রইল না, ঝড় উঠে আসছে…আস্তে করে মাথাটা আবার বালিশে রেখে খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকানোর চেষ্টা করল। মাথাটা যেন কাজই করছে না, তবে চোখের কোণদুটো ঠিকই ভিজে আসছে। ইদানিং এমনই হচ্ছে। হয়ত ওর কিছু করার নেই বলেই…

অথচ সবার আগে তো ওরই শব্দ শুনে ছুটে যাবার কথা। বাচ্চার কোথাও লাগল কিনা, কেটে গেল কিনা অথবা ভয় পেল কিনা। ও যাই করুক না কেন, যত বড় ক্ষতিই হোক না কেন- নিশি সবার আগে বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে বুঝানোর চেষ্টা করে, ‘সোনা এমন করে না, তুমি না বড় হচ্ছ? তুমি না লক্ষ্মী ছেলে???’ অনুভূতিহীন বোবা-সরল দৃষ্টি নিয়ে তখন বুবুন মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে…আজও হয়ত বুবুনের কোথাও কেটেছে বা মার খেয়ে ব্যাথা পেয়েছে…অথচ দেখা যাবে কিছুই না বুঝে বোধহয় ব্যালকনির এককোণে বসে বা দাঁড়িয়ে আছে, নয়ত কোন একটা খেলনা নিয়ে একমনে নাড়াচাড়া করছে…

নিশি জানে, এখন কাজের মেয়েকে ডেকে কোন লাভ নেই। খুব সম্ভবত রান্না করছে, ওদিকে শ্বাশুড়িও হয়ত ঠান্ডা হয়ে নাতির শুশ্রুষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে…অথচ শুধু ওরই কিছু করার নেই…ডাক্তার টানা তিন মাস শুয়ে থাকতে বলেছে, কোমরের হাড় বলে কথা! অবহেলা করে করে আজ এই অবস্থা…সেও তো ঐ বুবুনের জন্যেই…ইদানীং বড্ড বেশি জেদী হয়ে যাচ্ছে। সেদিন টুথপেষ্ট খাওয়ার সময় হাত থেকে কেড়ে নেওয়ায় ধাক্কা দিয়েছিল, সামলাতে না পেরে টি টেবিলটার কোণাটায় কোমর লেগে…তখন এতটা বুঝতে পারেনি নিশি, কয়েকদিনেই ব্যথা সেরে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিন আবার রিক্সা থেকে বুবুন হাত ছুটে দৌঁড় দেবার পর, ওর পিছু নিতে গিয়ে পা’টা ড্রেনে পড়ে যায়। আর কপালটা কি খারাপ! কোমরের ঠিক আগের জায়গায় আবার আঘাত লাগে…তবে এবার ফলাফল আগের চেয়ে খারাপ, হাড়টা নড়ে গেছে। ডাক্তার ভাই অনেক রাগ করেছিল, সেদিন আকাশও অনেক বকেছিল। অথচ ওদেরকে নিশি কি করে বোঝায়- ঐ সময়ে দৌঁড়ে না গেলে ওদের বুবুন সোনা যে বাসের নিচে চাপা পড়তে পারত…ওদের স্বপ্ন চিরদিনের মতন গুড়িয়ে যেতে পারত…

এখন অবশ্য লক্ষ্মী মেয়ের মতন কথা দিয়েছে, আগামী তিন মাস ও কোন ভাবেই বিছানা থেকে উঠবে না। এত কিছু করা, তাও তো ঐ বুবুন সোনার জন্যই…সুস্থ না হলে কে ওকে দেখবে? আকাশ ছিল নিশির স্বপ্নের চাবিকাঠি। যার ছোঁয়ায় নিশি রাজকন্যার মতন ঘুমতে যেত, ঘুম থেকে উঠত। সেই আকাশ ইদানীং মেঘে ঢাকার মতন অবস্থায়, দিনে দিনে তার উজ্জ্বলতা-উচ্ছ্বলতা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে…শ্বাশুড়িও আগের মতন স্বান্ত্বনা দেন না, হাই প্রেসার বেড়ে যাবার কারণে তার ধৈর্য্যও কমে গেছে। কাজের মেয়ে ছয় মাসের বেশি থাকে না। আত্মীয়-স্বজন এড়িয়ে চলে। বাড়িওয়ালাও যেন বড়ি ভাড়া দিয়ে মস্ত ভুলে করেছে…সব ছাপিয়ে এমন সন্তান জন্ম দেবার জন্য নিশির নিজেকেই অপরাধী মনে হয়…নইলে সেদিন একটা অনুষ্ঠানে সামান্য একটা ঘটনায় কেন এত ভেঙ্গে পড়ল সে? কত সুস্থ বাচ্চাই তো মারামারি করে, তবে কেন বুবুন ঐ বাচ্চাটাকে একটু মারার পর তার মা এত কথা শোনাল??? কথাগুলো এখনো কানে বাজে…অটিষ্টিক বাচ্চা নিয়ে নাকি ওসব অনুষ্ঠানে যেতে নেই…কেন??? ওরা কি তবে সমাজে অস্পৃশ্য???? ওটা ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বেশিরভাগ মা-বাবা ই বাচ্চাসহ এসেছিল। বসার জায়গা নিয়ে কি এক কারনে বুবুন ভদ্র(!)মহিলার বাচ্চাটিকে চড় মেরেছিল…আর এতেই মহিলাটি বলল এসব পাগল-ছাগল বাচ্চাকে নাকি ঘরে আটকে রাখা উচিৎ। আর এদের মায়েদের বোঝা উচিৎ অন্য বাচ্চারা এদের দেখে ভয় পায়- তাই এসব জায়গায় বুবুনকে এনে অন্যদেরকে বিব্রত না করাই ভাল…অথচ মহিলার চিৎকার করে বলা কথা শুনে বুবুনই ভয়ে নিশিকে জড়িয়ে দু’হাত দিয়ে কান ঢেকে ছিল, আর থরথর করে কাঁপছিল। এর আগে অনুষ্ঠানচলাকালে মহিলার বাচ্চা যখন দুষ্টামি করছিল, বুবুন তখন এক মনে দেখছিল…গান,নাচ শেষে সবার সাথে হাত তালিও দিচ্ছিল। পোশাক পরিচ্ছদে মহিলাটিকে যথেষ্ট শিক্ষিত ও বড় ঘরেরই মনে হয়ে ছিল। কিন্তু নিশির মতন মায়েদের জন্য তার মনে একটুও সহানুভূতি জাগল না!!!! মহিলা বাচ্চা কি কারো সাথে মারামারি করে না?? বুবুনরা কি তবে সমাজচ্যুত??? অন্য আর দশটা বাচ্চার মতন এই শিশুরা কি সমাজে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের অধিকার পাবে না??? নিশার মতন মায়েরা এই সব অসুস্থ বাচ্চাদের জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করেছে, করছে এবং জীবনভর করে যাবে…কিন্তু সমাজ, সংসার বা রাষ্ট্রের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই??

কত রঙ্গীন স্বপ্ন ছিল। ভার্সিটিতে থাকতে বন্ধু-বান্ধবসহ ক্লাস শেষে যখন নিশিরা আড্ডা দিত, ও-ই থাকত আসরের মধ্যমনি। ভালো রেজাল্ট…রুপে-গুণে অনন্যা…ক্লাসের সেরা ছাত্র আকাশের সাথে চুটিয়ে প্রেম…এরপর ভাল চাকুরি…এবং বিয়ে। নিশি-আকাশের সাজানো সংসার!! কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই শ্বাশুড়ির বায়না- ‘মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে…তোমরা দুজনেই অফিসে চলে যাও…সারাদিন বাসায় একা থাকি…আমাকে বেঁচে থাকার একটি অবলম্বন দাও।’ সবার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত দুজনে সন্তান নেবার ব্যাপারে সম্মত হল। নিশির এখনো মনে আছে, যেদিন আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা গেল যে ছেলে সন্তান আসছে…ওদের ঘরে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। ননদরা খেলনা পাঠায়, দাদি কাঁথা সেলাই করে, আকাশ ‘নবজাতকের সুন্দর নাম’ এর বই আনে…বাচ্চাকে কে কি বানাবে তা নিয়েও চলে খুন-সুটি!!! আকাশ ওর মত ইঞ্জিনীয়ার বানাবে, নিশি চেয়েছিল বাচ্চা যেন সাহিত্যিক হয়, দাদি চান ও অনেক বড় শিক্ষক হবে। ফুফুরা কেউ ডাক্তার বানায়, কেউ বিদেশে নিয়ে যাবে- কত কিছু…!!! ১২/১৪ মাস পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এর পরপরই আস্তে আস্তে অসংগতি ধরা পড়তে থাকল। পুরোপুরি বুঝে ওঠার আগেই কেটে গেল ২/৩টি বছর। ততদিনে নিশিকে চাকুরি ছাড়তে হয়েছে…আকাশের চিন্তিত, ক্লান্ত মুখে স্থায়ীভাবে পড়েছে বিষন্নতার ছাপ। আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দূরত্ব বেড়ে গেছে। শ্বাশুরড়ির সেই উচ্ছ্বলতা আর নেই, সেখানে আছে শুধুই অসহায়ত্ব। মাঝে মাঝে তিনি নামাজ শেষে বুবুন সোনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কি কি বলেন, দোয়া পড়ে ফুঁ দেন গায়ে-মাথায়…আকাশ মাঝে মাঝে বড় বড় ডাক্তারের কাছে যেত, ফিরত বিষন্ন মুখে। নিশি অবশ্য আগেই ওর এক প্রবাসী ডাক্তার বান্ধবীর কাছ থেকে অটিজম এর ব্যাপারে অনেক কিছু জেনেছে- এই রোগের নাকি কোন প্রতিষেধক নেই। মূলতঃ প্রয়োজন এই সব শিশুদের সেবা, যত্ন ও সার্বক্ষণিক রক্ষণাবেক্ষণ। বাবা-মা’কে হতে হবে ধৈর্য্যশীল, সংযমী এবং সচেতন। নিশি ছোটবেলা থেকেই ধৈর্য্যশীল মেয়ে। জীবনে যখন যা কিছু করেছে, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথেই করেছে। আর এখন বুবুন সোনাকে মানুষ করা- ও অনেকটা ব্রত হিসেবে নিয়েছে। কিন্তু আকাশ কেন যেন ইদানীং আর পারছে না।

নিশি যখন বান্ধবীর পরামর্শমতন মফস্বল শহর ছেড়ে ঢাকা আসতে চাইল- ছেলেকে স্পেশাল স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য, আকাশ প্রথমে রাজি ছিল না। পরে অবশ্য বুবুনের নানি ও দাদি’র অনুরোধে আর না করে নি। শ্বাশুড়ি নিজে ওদের সাথে থেকেছেন, এখনো আছেন। সেদিক থেকে অন্যান্য অটিষ্টিক বাচ্চার মা এর চেয়ে নিজেকে ওর বরং ভাগ্যবতীই মনে হয়। কারণ বেশির ভাগ মায়ের কাছেই শুনেছে, তারা পরিবার থেকে বলার মতন সহযোগিতা পান না। অবশ্য সবার বাচ্চাই যে একরকম- তা কিন্তু নয়। কেউ কেউ খুব দূরন্ত, আবার কেউ খুবই শান্ত। মাঝে মাঝে নিজের চেয়েও অন্যান্য মায়েদের জন্য ওর বেশি চিন্তা হয়, তারা না শেষে পাগল হয়ে যান…অনেকের একাধিক সন্তান। সবকিছুর পাশাপাশি এই রকম অসুস্থ বাচ্চা সামলানো যে কঠিন…কত কষ্টের, কত নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। বিসর্জন দিতে হয় জীবনের কত সুখ, শান্তি, আনন্দ…তবুও এই বাচ্চাগুলোই যখন স্কুল শেষে সব মায়েদের কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে আদর করে…তখন মনে হয় ‘আহ! কি শান্তি!!!’ ওদের মুখের নিষ্পাপ হাসি যেন স্বর্গসুখ এনে দেয় পৃথিবীতে।

নিশিদের মতন অনেক পরিবারেই আছে এরকম হাহাকার। ফুলের মতন সাজানো সংসারে এই ‘অনিশ্চয়তা’ অনেকটা সাপের মতনই…এই সাপকে মারার জন্য চাই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র-তথা সকল স্তরের মানুষের সাহায্য, সহযোগিতা, সহনশীলতা, ভালবাসা এবং এড়িয়ে যাবার প্রবনতা পরিহার। মনে রাখতে হবে মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য..

[ লেখাটি আমার নিজের নয়, সামান্য সম্পাদনা করেছি মাত্র। দুইজন এক্স-ক্যাডেটের জননী, এই লেখিকার ইচ্ছানুযায়ী লেখাটি সবার সাথে শেয়ার করলাম…]

৩,৬৬৬ বার দেখা হয়েছে

৪০ টি মন্তব্য : “ফুলের বাগানে সাপ…!!!”

  1. চমৎকার গল্পের জন্য আন্টিকে :salute:

    এ ধরনের বাচ্চাদের আমরা শুধুই সহানুভূতির চোখে দেখি। কিন্তু আসলে দরকার এদের স্বাভাবিক হবার জন্যে আশেপাশের সবার সহযোগিতা।

    সবার ভালোবাসা আর সহযোগিতা পেলে এরা স্বাভাবিক জীবনে অনেকটাই ফিরে আসতে পারে। 'তারে জামিন পার' ছবিটার গল্প এজন্যেই আমাকে মুগ্ধ করেছিলো।

    সুন্দর সম্পাদনার জন্যে জুনাকেও :thumbup:

    জবাব দিন
  2. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    এমন বাচ্চাদের জন্য আমাদের সমাজ এখনও বড় নিষ্ঠুর। কিন্তু আমাদের নিজেদের পরিবারেই বা আশেপাশেই এমন বাচ্চারা আছে যাদেরকে একটু সহযোগিতা করলেই তারা স্বাভাবিক দশটা শিশুর মত বেড়ে উঠতে পারে। লেখাটার জন্য জুনা কে ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  3. রহমান (৯২-৯৮)

    দারুন একটি কাজ করেছ জুনা। আমার নিজের দেখা এরকম বেশ কটি পরিবার রয়েছে যাদের সাথে আমি খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশেছি। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো এর মধ্যে একটি বাচ্চা তার চারপাশের সবার সহযোগিতায় এখন প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ্য। আমাদের একটু ধৈর্য্য, যত্ন ও বন্ধুসুলভ স্বাভাবিক আচরন, ফুলের বাগানের এই সাপকে মারার জন্য অনেক বড় ভুমিকা পালন করতে পারে।

    আন্টিকে :salute: এবং তোমাকে :hatsoff: এই লেখাটির জন্য

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    জুনা, আমি তোর লেখা আর কমেন্ট, দুইটারই চরম ভক্ত।
    দারুন লেখা।
    আন্টি আর তার দুই সন্তানকে :salute:

    অফটপিকঃ তুই আসার আগে যে লেখাটা দিয়ে আসছিস আগে বলবিনা? তাইলে তোর লেখা নিয়াও আলোচনা করা যাইত। 😀

    জবাব দিন
  5. তাইফুর (৯২-৯৮)
    লেখাটি আমার নিজের নয়, সামান্য সম্পাদনা করেছি মাত্র। দুইজন এক্স-ক্যাডেটের জননী, এই লেখিকার ইচ্ছানুযায়ী লেখাটি সবার সাথে শেয়ার করলাম...

    আন্টিকে ধণ্যবাদ, সুন্দর লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা অনুভব করায়। :salute:
    চমৎকার বিষয়ের উপর হৃদয়স্পর্শী লেখা।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  6. সামিয়া (৯৯-০৫)

    অসাধারণ একটা মেসেজ। আপনার গল্পের এই জিনিসগুলা আমার খুব ভালো লাগে, একটা স্মুথ গল্প, হঠাৎ করে একটা মেসেজ পেয়ে যাই, যেটা ভালই চিন্তায় ফেলায় দেয়। লেখার সাবলীলতার কথা নাই বললাম। আপনাকে :salute:

    আইচ্ছা যান, পায়েস আর রানবো না। :thumbup:

    জবাব দিন
  7. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    দূর কি যে হইল সিসিবিতে, খালি সিরিয়াস আর মন খারাপের গল্প......।

    দূর ভালই লাগে না.........।।

    লেখাটা সিরকম হইছে জুনা :boss:


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  8. জ়ে এম সারোয়ার মুজিব ( এডিসন) (১৯৭৯-১৯৮৫)

    জুনায়েদ তোমার মেসেজটা সবাইকে জানানোর মতো। এই লিখাটা পড়ে সত্যি চোখে পানি এসে যায়। আমীর খানের তারে জমীন পর কি দেখছো ?ওদের প্রয়োজন ওরকম কেয়ার নেয়া। মানুষ ছবি দেখে পুরস্কার দেয় কিন্তু অনেকে এটাকে মনে ধারন করে না। এটাই দুঃখ।

    জবাব দিন
  9. জিহাদ (৯৯-০৫)

    ওয়াও! এইটা আন্টির লেখা?!

    আমার শেষ লাইন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল এটি আপনি লিখেছেন। দু জনের লেখার ঢংটা একই রকমের। আর একই রকমের সুন্দর।

    :hatsoff:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  10. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    জুনা ও আন্টি,
    এরকম একটা ইস্যু সিসিবিতে তুলে আনার জন্য :hatsoff:
    গত এক সপ্তাহে সিসিবি আমাকে অনেক কিছু শিখাইসে...
    সিসিবিকেও :hatsoff:


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রবিন (৯৪/ককক)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।