কোন পন্য বা সেবা কেনার আগে, সময় বা পরে আমরা যে সার্ভিস পাই সেটাই কাস্টোমার কেয়ার বা গ্রাহক সেবা। “Customer service is a series of activities designed to enhance the level of customer satisfaction – that is, the feeling that a product or service has met the customer expectation.”-Wikipedia
আমার বয়স যখন ৫/৬ বছর তখন আমার বাবার পোস্টিং ছিল ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানায়। সেই সময়ে চুল কাটাবার আমাদের বাসা থেকে অনেকটা দূরের এক দোকানে যেতাম, কেননা যিনি চুল কাটতেন তিনি অনেক আদর করতেন আর সুন্দর করে কথা বলতেন। আমার এখনো মনে আছে- মোটর সাইকেলে করে বাবার সাথে ঐ দোকানে গেলে একটা ছোট্ট কাটের তক্তা চেয়ারের হাতলের উপর দিয়ে তার উপরে আমাকে বসিয়ে দিতেন, এরপর চুল কাটতেন। বাসা থেকে অত দূরে কেন যেতাম?? উত্তরটা সহজ। মফস্বল এলাকায় সবার চুল কাটার পদ্ধতি বা মান মোটামুটি একই রকম, তাই ওখানে যেতাম মূলত ওনার সুন্দর ব্যবহারের জন্য।
উপরের ঘটনাটি একারনেই বললাম যে আমরা নিজেরা উপলব্ধি না করলেও কাস্টমার কেয়ার কিন্তু আমাদের জীবনের ছোট-বড় সব ধরনের কেনা-কাটায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আমাদের দৈনন্দিন কেনা-কাটা, কাঁচা-পাকা বাজার, এমনি চা বা সিগারেট খাবার জায়গাটিও আমরা কিন্তু মনের অজান্তেই এভাবেই নির্বাচন করি। একজন ক্রেতা হিসেবে আমাদের চাওয়া কিন্তু খুব বেশি থাকেনা। আমরা চাই, কষ্টের টাকা দিয়ে যে জিনিস বা সেবা কিনছি তা যেন ভাল হয় এবং বিক্রেতা আমাদের যথাযথ সময় দিয়ে, সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে তা বিক্রি করবে। সুন্দর ব্যবহার পেলে অনেক সময় আমরা বেশি দাম দিয়েও জিনিস কিনতে পিছপা হই না। অথচ বাংলাদেশের বেশিরভাগ সরকারী এবং অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও এই ব্যাপারটির উপর তেমন জোর দেয়া হয় না। দীর্ঘ লাইন দিয়ে, অনেক অপেক্ষা করে, মুখ গোমড়া করে থাকা সেবাদানকারী/বিক্রেতার মুখ দেখতে দেখাটা আমাদের দেশে খুব সাধারন ঘটনা। যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার গুরুত্বপূর্ণ একটি এসেট আমাদের দেশে অনেকাংশেই অবহেলিত। গ্রাহক হিসেবে আমরাও দিনে দিনে এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন’ নামে যে আইনটি আমাদের দেশে আছে- অন্য অনেক কিছুর মতই তার কোন ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই।
গত সপ্তাহে আমি লিঙ্কডইন এর কাস্টমার কেয়ারে একটি সমস্যার কথা জানিয়ে মেইল দিয়েছিলাম। আমি আশাও করিনি ওরা কোন রিপ্লাই দেবে, কেননা সাড়ে ২২ কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে আমার মেইলের জবাব দেবে- এত বড় আশা শেষবার করেছিলাম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যখন ওরা রিপ্লাই দিল- আমি আক্ষরিক অর্থেই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম! বিশ্বের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু শুধু এত বড় হয় নি। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার রয়েছে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইতোমধ্যেই বা অচিরেই পণ্য বা সেবা প্রদান করছেন/করবেন। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ গ্রাহক সেবার উপর আপনারা যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করবেন। এটা শুধুমাত্র গ্রাহকের অধিকারই না, আপনাদের ব্যবসা প্রসারের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই সেমিস্টারের একটা কোর্সের নাম পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট। যা বললেন মোটামুটি এই নিয়া পড়াশোনা করতে হবে এই কোর্সে। সরকারের জনসেবামূলক কর্মকান্ড গুলোতে বিজনেস মডেল স্থাপন করে সেবার মান উন্নত করার প্রচলন কিন্তু বেশীদিন আগের নয়। ৯০ এর দশকে আমেরিকায় এই বিপ্লবটা শুরু হয়েছে বলা যেতে পারে। মানে তখন থেকে এই লাইনের বড় বড় রথী-মহারথী কাবিলেরা চিন্তাভাবনা ও লেখা শুরু করে। আপাদত এইটুকুই পড়া হইসে। পরের দিকে আরে জ্ঞান অর্জন করা মাত্রই এই পোস্টে ঝাঁপায় পড়বো! 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মিস্টির দোকানের মালিকানা যেরকম ভাগবাটোয়ারা হয়ে মেঝো ও ছোট ছেলে মিলে নতুন ব্যবসা খুলে, "নিউ সরকার সুইটস" নামে, পাবলিক ম্যানেজমেন্টের বুড়াগুলারে কাঁচকলা দেখায়েও নতুন থিওরী দিসিলো এই বিদ্রোহী কাবিলেরা যার নাম দিসে, "নিউ পাবলিক ম্যানেজমেন্ট" :goragori: :goragori:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এই পোস্টে না, ভাল করে নতুন একটা ব্লগ লিখিস... 😀
তোর পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম... :dreamy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
দিলেন তো ঘাড়ে চাপায়! 🙁 এইসব ভালো বুঝি না। ঠেলায় পড়া লাগতেসে! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ঠেলায় পড় বা ভ্যানে পড়...আমি যত্ন নেই না (আই ডোন্ট কেয়ার... :grr: )
দ্রুত লেখা চাই...নাইলে... 😡
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:bash: :bash: :bash: এইরকম বোরিং জুকস করলে তো মারা যামু! :((
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙂
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি তো শেষে আইসা একটা জুনা ভাই মার্কা টুইস্ট আশা করতেসিলাম। 🙁 খুব হাসি হাসি মুখ করে ব্লগটা পড়ে মুখটা হা হয়ে গেল। 🙁 🙁 পুরাই ধরা।
তোদের জ্বালায় আমি কখনো তারকা ব্লগার হইতে পারব না... 🙁 সব কিছুতে টুইস্ট চাস...ব্লগর ব্লগর এ আবার টুইস্ট কি বে??? 😡
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😀