(অ)মানবিক!!

১।

-ডক্টর আনিস! ডক্টর আনিস!

অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পর অবশেষে সোফি আনিসের ঘুম ভাঙ্গাতে সমর্থ হল। বেচারা গতকাল অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছিল। সে কারনেই বোধহয় গভীর ঘুমে আচ্ছ্বন্ন হয়ে পড়েছিল।

-কি ব্যাপার সোফি? এত ডাকাডাকি করছ কেন? তুমি জান না আজ আমি ভার্সিটি যাব না, ছুটি নিয়েছি?
-মাফ করবেন, ডক্টর আনিস। আমি জানি আজ আপনি ছুটিতে আছেন। কিন্তু ডক্টর সোহরাব অনেকক্ষণ ধরে আপনার সাথে কথা বলতে চাইছিলেন। বলেছেন, ব্যাপারটি নাকি খুব খুব গুরুতর…
-ঠিক আছে, ওর সাথে কানেক্ট করে দাও।

মুহুর্তের মধ্যে ঘরের আবহ পরিবর্তিত হয়ে গেল। এতক্ষণ ধরে ঘরের দেয়াল জুড়ে সমুদ্র সৈকতের ভার্চুয়াল দৃশ্য ছিল, সেটা সরে গিয়ে ডক্টর সোহরাবের চিন্তিত মুখ ভেসে উঠল।

-আ আনিস…দোস্ত, বিশাল এক দুর্ঘটনা হয়ে গেছে…

সোহরাবের তিলকে তাল করার বদভ্যাস আছে। সুতরাং আনিস খুব একটা পাত্তা দিল না, বিশাল এক হাই তুলে জানতে চাইল,
-তা কি এমন তোর বিশাল দুর্ঘটনা? ব্রেকফাস্ট করার সময় হাত থেকে ব্রেড পড়ে গেছে? নাকি শেভ করতে গিয়ে গাল কেটে ফেলেছিস?
-ব্যাটা ফাজলামি করিস না, আমাদের ল্যাব থেকে এ এইচ-১ হারিয়ে গেছে…!!!

তড়াক করে লাফ দিয়ে আনিস বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো। এ এইচ-১ অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল হিউম্যান- ওদের এবারের প্রযুক্তি উৎসবের বিষয় ছিল। রোবটিক্স এর ইতিহাসে সবচেয়ে উন্নত ভার্শন ওরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। কোন সাধারন মানুষের সাধ্য নেই ওদেরকে রোবট বলে সনাক্ত করতে পারবে। কিন্তু এ এইচ-১ এখনো পুরোপুরি জনসমক্ষে আসার মতন তৈরি হয় নি, বেশ কিছু জিনিসের ফিনিশিং টাচ দেবার প্রয়োজন ছিল। সুতরাং ওর ল্যাব থেকে হারিয়ে যাওয়া আসলেই গুরুতর। কোনমতে এই খবর লিক হয়ে গেলে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে। তাছাড়া মিডিয়া, সরকার, প্রযুক্তি বিরোধীরা ব্যাপারটি আরো ঘোলাটে করে তুলতে পারে।

-কিভাবে হল এটা? তুই না ল্যাবেই ছিলি? আর এসিস্ট্যান্টগুলো কি করছিল?
-আ…আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কিভাবে হল…তুই তো জানিসই আজ ওর রিফ্লেক্স টেস্ট করার কথা ছিল। সবাই সেটা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু ও যে অন করা অবস্থায় ছিল-সেটা আমাদের খেয়াল ছিল না। দোস্ত, এখন কি হবে? আমার খুব ভয় লাগছে…
-দাঁড়া, এত চিন্তা করিস না…এক কাজ কর-কোন কিছুতে হাত দিস না। আমি এখনই রওনা করছি। ভাল করে চিন্তা করে পরবর্তী করনীয় ঠিক করব। তুই ল্যাবের সিকিউরিটি ক্যামেরা চেক কর। দেখ ও কোন দিকে গেল কোন ধারনা পাওয়া যায় কিনা…আমি আসছি…
-ঠিক আছে, তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়…’ বলার পরই সোহরাবের চেহারা অদৃশ্য হয়ে গেল।

-সোফি, গাড়ি বের কর। আমি ভার্সিটি যাচ্ছি…
-ওকে ডক…ব্রেকফাস্ট করবেন?
-নাহ্‌, বাইরে করে নেব…

দ্রুত প্রাতঃকালীন কাজকর্ম শেষ করে ১৫ মিনিটের মাথায় আনিস গাড়ির কাছে পৌঁছল। গাড়িতে ওঠার আগে সোফিকে বলল বাসার সিকিউরিটিকে ‘অটো’ মোড করতে। ‘ইয়েস ডক্টর, বাই দ্যা ওয়ে-হ্যাভ আ নাইস ডে’ বলল সোফি। রোবট হলেও ওর সৌজন্যবোধ অনেক প্রখর!

গাড়িতে উঠে বসতেই ইঞ্জিন স্টার্ট হয়ে গেল। প্রায় সাথে সাথেই শোনা গেল,
-গুড মর্নিং ডক্ট আনিস। আজ ১১ ই মে ২০৪৮। বাইরের তাপমাত্রা এই মুহুর্তে…

বাধা দিয়ে আনিস বলে উঠল,
-কিম, এই সবের সময় নেই…তুমি দ্রুত বুয়েট চল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব…
-স্যার, সেক্ষেত্রে গাড়ি ম্যানুয়াল চালানোই ভাল হবে। কেননা আমি গাড়ির গতি ৬০ কিমি উপরে তুলতে পারব না। আপনিই আমাকে ঐভাবে প্রোগ্রাম করেছেন।
-ঠিক আছে, আমিই চালাচ্ছি। বলে আনিস গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়ল। পিছনে ধীরে ধীরে বাসার গেট বন্ধ হয়ে গেল।

২।

উত্তরা থেকে শাহবাগ আসতে প্রায় আট মিনিট লাগল। উড়াল সেতু দিয়ে আসার কারনে এত দ্রুত আসা সম্ভব হল। ঢাকা ভার্সিটি এলাকার মধ্য দিয়ে আনিস যখন নীলক্ষেত পৌঁছল, বুয়েটের ছেলেমেয়েরা ততক্ষণে ক্লাস করার জন্য হল থেকে বের হওয়া শুরু করেছে। ভীড়ের মধ্যে প্রচুর বিদেশি ছেলে-মেয়ে দেখে গর্বে ওর বুক ভরে গেল। গত এক দশক ধরে বাইরে থেকে অনেক ছেলেমেয়ে এখানকার ভার্সিটি-কলেজগুলোয় পড়াশোনা করতে আসছে। এবং প্রতি বছরই তাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে…

গাড়ি পার্ক করে আনিস দ্রুত ল্যাবের দিকে ছুটল।

-তারমানে রোবটটা তোর কাপড় পড়ে বের হয়েছে?
-হ্যাঁ। তুই তো জানিস বাসার চেয়ে ল্যাবেই আমি বেশি সময় ধরে থাকি। একারনে বেশ কয়েক সেট কাপড় ল্যাবেই রাখি।
-তাহলে তো আমরা পুলিশের কাছে ওর বর্ণনা দিয়ে ‘নিঁখোজ’ রিপোর্ট করতে পারি?

মুখ কালো করে সোহরাব জানাল,
-তুই কি ভাবছিস, আমি পুলিশে রিপোর্ট করি নি? তোর সাথে কথা বলেই আমি রিপোর্ট করেছি। তবে খুব বেশি কিছু আশা করতে পারছি না, এ এইচ-১ এত স্মার্ট যে এখান থেকে বের হয়ে প্রথমেই ও পোশাক এবং ওর চেহারা বদলে ফেলবে…
-হুম! আচ্ছা, ওর জিপিএস কি আমরা এখান থেকে অন করতে পারব?
-নাহ, জিপিএস এর কাজ এখনো শেষ করতে পারি নি। ওর মানবীয় অংশটুকু নিখুঁত হলেও, রোবটিক অনেক কিছুর ফিনিশিং টাচ দেয়া হয় নি। জিপিএস, রিমোট কন্ট্রোল, অন লাইন কানেক্টিভিটি…কিছুই শেষ করা হয় নি…অথচ কথা-বার্তা, হাঁটাচলা, হাসি-কান্না- এসমস্ত মানবীয় জিনিসগুলো ওর মধ্যে পুরোপুরি আছে।
-এর কারন হচ্ছে ঐ সাইডটা আমি দেখেছি, তোর মত ফাঁকিবাজি করিনি…এত কিছুর মধ্যেও সোহরাবকে খোঁচা দেবার এই সুযোগ ছাড়ল না আনিস।
-এই সময়েও তোর ফাইজলামি গেল না, আগে চিন্তা কর ঐ নিখুঁত মানব এবং প্রায় নিঁখুত রোবটকে আমরা কিভাবে খুঁজে পাব…
-একটা জিনিস কিন্তু তুই বারবার ভুল করছিস, সোহরাব। এ এইচ-১ কিন্তু নিখুঁত মানব নয়, ওর মধ্যে আমি কিছু খুঁত রেখে দিয়েছি…আর খুঁতের মাধ্যমেই ওকে আমরা খুঁজে বের করব…

পরবর্তী দুই ঘন্টা ধরে ওরা অনেক শলা-পরামর্শ করে নিজেদের করনীয় ঠিক করে ফেলল।

৩।

পরদিন বিকাল বেলা।

-স্যার, আমি সাব-ইন্সপেক্টর রইস বলছি। আপনার দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী আমরা সারাদেশে সাত জনকে স্পট করেছি। তারা সবাই এখন আমাদের সার্বক্ষনিক নজরে আছে। আপনি বললেই সবাইকে এরেস্ট করে আমরা ঢাকায় নিয়ে আসতে পারি…
-ন্‌ না…ভুলেও এরেস্ট করার কথা ভাববেন না…আপনার লোকদের বলে দিন ওরা যেন কোন মতেই সাস্পেক্টদের নজরে না আসে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন রকমে যদি টের পেয়ে যায়, আমরা যাকে খুঁজছি সে একেবারে হাওয়া হয়ে যাবে।
-চিন্তা করবেন না, স্যার। আমাদের লোকেরা তাদের কাজ ভাল করেই জানে…
-সেরকম হলেই ভালো। এবার এক কাজ করুন, সাত জনের উপর সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা ফিট করতে বলুন যাতে করে আমরা এখান থেকে লাইভ ফিড পেতে পারি। করার পর আমাকে জানান।
-ওকে স্যার।

আধা ঘন্টা পর সাব-ইন্সপেক্টর রইসের গ্রিণ সিগন্যাল পাওয়া গেল। ফলে বুয়েট ল্যাব থেকেই ওরা সাত জনকে লাইভ দেখতে পেল। ‘এর মধ্যে কোনজন আমাদের রোবট?’ বিড়বিড় করে পাশ থেকে সোহরাব বলে উঠল।

-মিষ্টার রইস, এবার আপনাদের সিমুলেশন করতে হবে। অর্থাৎ সাত জনের সামনেই এমন দৃশ্য তৈরি করুন যাতে মনে হয় আশপাশে কোথাও আগুন লেগেছে এবং আগুনের মধ্যে ছোট্ট একটি শিশু আটকা পড়ে আছে। ফায়ার ব্রিগেড বা অন্য কেউ সেখানে যাবার সাহস করতে পারছে না। বুঝেছেন? এটা দেখে সাতজন কিভাবে রিয়াক্ট করে তা দেখতে চাই। ভাল কথা, আগুনের জন্য নিরাপদ রাসায়নিক ব্যবহার করবেন, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে না যায়।
-ঠিক আছে, স্যার।

প্রায় ঘন্টা খানেক পর ওদের মনিটরে হঠাৎ ‘আগুন! আগুন!’ বলে চিৎকার শোনা গেল। একে একে সাত জায়গাতেই প্রায় একই রকম দৃশ্যের অবতারনা হল। এরমধ্যে দেখা গেল শুধুমাত্র রাজশাহীর ‘লোকটি’ বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর সে ছোট্ট বাচ্চাটিকে নিয়ে আগুন থেকে বের হয় এল, ওর জানার কথা না-বাচ্চাটি কয়েক ভার্শন পুরনো একটি রোবট! সবাই উদ্ধারকারী ‘লোকটি’কে বাহবা দিতে লাগল।
-মিষ্টার রইস, আপনার রাজশাহীর ইন-চার্জকে বলুন ধন্যবাদ দেবার নাম করে ‘লোকটি’র পিঠ চাপড়ে দিতে। আর ঠিক ঐ সময়েই মাথার একেবারে উপরিভাগে হাতের তালু দিয়ে যেন জোরে চাপ দেয়। মনে থাকবে তো?
-রাইট স্যার।

মনিটরের দিকে রুদ্ধশ্বাসে আনিস এবং সোহরাব তাকিয়ে রইল। এবার একজনকে দেখা গেল ওদের কথামতন উদ্ধারকারী ‘লোকটি’র মাথায় চাপ দিতে এবং সাথে সাথেই ও মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।
-স্যার, সর্বনাশ হয়ে গেছে! ঐ ব্যাটা তো মাটিতে পড়ে গেল…!
-মিষ্টার রইস, ওটা ঐ লোক নয়…ওটা একটি রোবট…এই মাত্র আপনার লোক তাকে নিষ্ক্রিয় করে দিল। এবার বাকি এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে দিয়ে রাজশাহীর স্পটটা সিকিউর করে ফেলুন। আমরা একটু পরই আসছি।

এদিকে খুশিতে সোহরাবের দাঁত বের হয়ে গেছে। কিন্তু ঘটনা পুরোপুরি না বোঝার কারনে ও আনিসকে জিজ্ঞাসা করল,
-এবার বল, তুই কিভাবে বুঝতে পারলি রাজশাহীর ঐ ব্যাটাই আমাদের রোবট?
-খুব সহজ! আমি বলেছিলাম না ওর মধ্যে আমি কিছু খুঁত রেখে দিয়েছি? এখনকার মানুষগুলো জেনেটিক্যালিই অনেক লজিক্যাল এবং রেশনাল। ফলে তারা কোনভাবেই নিজের ক্ষতি করে অপরের উপকার করার কথা, এমনকি চিন্তাও করবে না। অথচ আমাদের তৈরি রোবট নিজের ক্ষতি করে হলেও অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ঠিক আগেকার মানুষগুলো যেমন করত। সুতরাং সেই অর্থে তুই এই এ এইচ-১ কে পুরোপুরি নিখুঁত মানব বলতে পারিস না। বুঝলি রে গাধা?
-বুঝলাম! তবে একটা জিনিস খুব ভাল হয়েছে। আজ বুঝলাম, যত যাই হোক ফাইনাল ভার্শনেও ম্যানুয়ালি অফ করার একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে, কি বলিস?
-অবশ্যই! ভাল একটা শিক্ষা হল!

কথা বলতে বলতে ওরা ভার্সিটির সামনের চত্ত্বরে পৌঁছে গেল। যেখানে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে একটি আল্ট্রা চপার, যা ওদেরকে ১০ মিনিটের মধ্যে রাজশাহী নিয়ে যাবে।

৪৫ টি মন্তব্য : “(অ)মানবিক!!”

  1. রকিব (০১-০৭)

    কিছু তিক্ত সত্যের মোড়কে চমৎকার একখানা সায়েন্স ফিকশন ঝুনাদা। আরেকটু বড় করলে বোধহয় আরো জমতো; স্বাদ পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল 😛


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    দুর্দান্ত জুনা ভাই... :hatsoff: :hatsoff: আপনার হাতে ( কী বোর্ডেও হতে পারে) জাদু আছে


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    স্পাই থ্রিলার (এসএসবি), ওয়েস্টার্ন(কালো ঘোড়া...) এর পরে এই রকম সায়েন্স ফিকশন, সাথে রম্য, রোমান্স, স্মৃতি কথা ইত্যাদি ইত্যাদি... আপনি তো "গরীবের কাজী আনোয়ার হোসেন" হয়ে গেছেন... আপনার ফ্যান ক্লাব খোলা ফরজ হয়ে গেছে :boss: :boss:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. নাজমুল (০২-০৮)

    কিছু তিক্ত সত্যের মোড়কে চমৎকার একখানা সায়েন্স ফিকশন ঝুনাদা। আরেকটু বড় করলে বোধহয় আরো জমতো; স্বাদ পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল 😀
    স্পাই থ্রিলার (এসএসবি), ওয়েস্টার্ন(কালো ঘোড়া…) এর পরে এই রকম সায়েন্স ফিকশন, সাথে রম্য, রোমান্স, স্মৃতি কথা ইত্যাদি ইত্যাদি… আপনি তো “গরীবের কাজী আনোয়ার হোসেন” হয়ে গেছেন… আপনার ফ্যান ক্লাব খোলা ফরজ হয়ে গেছে :boss: :boss:

    জবাব দিন
  5. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    ইন্টেরেস্টিং ...... আমরা নিজেদের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার জন্যে এই সব জিনিস তৈরি করি, আবার পরে এদেরকে ভয় পাই।

    খুবই দারুন লাগলো জুনায়েদ। তবে আরেকটু বড় হলে আরো ভালো লাগতো। অনেকক্ষন পর্যন্ত মনে করছিলাম, সোহরাব সাহেবই আসলে রোবট।

    জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ভালো লিখছিস :clap:
    মানুষরে জেনেটিক্যালি রেশনাল আর লজিক্যাল অমানুষ বানায়া রোবট হালারে পুরাই মানুষ বানায়া দিলি দেখি।
    তয় থিম নাইস। আরো বড় না, আরেকটু ব্যাপ্তি বাড়াইতে পারতি কাহিনিটার।

    একখান ডাউট, আল্ট্রা চপার দিয়াও রাজশাহী যাইতে ৪৫ মিনিট লাগলে হইলো কুস্তা? ৪\৫ মিনিট দরকার আছিলো :dreamy:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  7. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    কিছু তিক্ত সত্যের মোড়কে চমৎকার একখানা সায়েন্স ফিকশন ঝুনাদা। আরেকটু বড় করলে বোধহয় আরো জমতো; স্বাদ পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল
    স্পাই থ্রিলার (এসএসবি), ওয়েস্টার্ন(কালো ঘোড়া…) এর পরে এই রকম সায়েন্স ফিকশন, সাথে রম্য, রোমান্স, স্মৃতি কথা ইত্যাদি ইত্যাদি… আপনি তো “গরীবের কাজী আনোয়ার হোসেন” হয়ে গেছেন… আপনার ফ্যান ক্লাব খোলা ফরজ হয়ে গেছে :boss: :boss:
    একখান ডাউট, আল্ট্রা চপার দিয়াও রাজশাহী যাইতে ৪৫ মিনিট লাগলে হইলো কুস্তা? ৪\৫ মিনিট দরকার আছিলো 😉

    জবাব দিন
  8. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    😀

    কোন এক সাইন্স ফিকশনে পড়ছিলাম, এক বিজ্ঞানী সুন্দর মত এক মাইয়া রোবট বানাইয়া, বাসায় বউরে থুইয়া সেইটার লগে ভাব-ভালোবাসা শুরু করছে। বউ আবার সেইটা সন্দেহও করছে।

    যাউজ্ঞা, ভালো ছিল, অবকাশও ছিল।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  9. তাইফুর (৯২-৯৮)

    আমি রাজশাহী থেকে বলছি ...
    সংবাদটি ভুয়া
    রাজশাহী রেঞ্জে সাব-ইন্সপেক্টর রইস নামে কেউ নাই ...


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  10. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
    ইসসিরে মেল্লা পোস্ট, কোনটা বাদ্দিয়া কোনটা পড়ি দিশা পাই না/ টাইমো নাই, কাইল্কা পরীক্ষা, কেস স্টাডি/ দূর, বিজি হইয়া গেলাম

    (কপিরাইট : ফয়েজ)
    নিজেরে ফয়েজের জায়গায় খুঁজে পেলাম!! কোনটা ছাইড়া কোনটায় মন্তব্য করি!! ~x(


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নাজমুল (০২-০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।