কালো ঘোড়ার আরোহী!!! শেষ পর্ব

পর্ব

১১।

ওদের দুজনকে ঘিরে সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দুইজনের অস্ত্রই জমা আছে রবার্ট এর কাছে। নিয়ম করা হয়েছে কোন একজন আত্মসমর্পন করা না পর্যন্ত লড়াই চলবে। স্পর্শকাতর জায়গায় যেমন চোখ, বেল্টের নিচে আঘাত করা চলবে না। পুরো লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকা পালন করবে রবার্ট।

মাইকের চেয়ে উইলিয়াম্‌স বিশ/পঁচিশ পাউন্ড বেশি হলেও উচ্চতার দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। প্রায় তিন ইঞ্চি মতন কম। উইলিয়াম্‌স এর সাথে জিততে হলে ওকে অবশ্যই শক্তির চেয়ে কৌশলের উপর বেশি নির্ভর করতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে আক্রমন না করে দুজন একে অন্যকে লক্ষ্য করতে করতে জনতার রিং ধরে ঘুরতে লাগল। এক পর্যায়ে এক দর্শক ধৈর্য্য হারিয়ে জোরে বলে উঠল,
-তোমরা এখানে না ঘুরে যদি ঘানি ধরে ঘুরতে, এতক্ষণে কেজি খানেক তেল পাওয়া যেত…!!!

কয়েকজন হেসে উঠল, কিন্তু রবার্ট সশব্দে শটগান লোড করতেই সবাই চুপ মেরে গেল।
-এরপর যে ফালতু কথা বলবে সেও রিং এর ভিতরে যাবে…গম্ভীরমুখে রবার্ট বলে উঠল।

উইলিয়াম্‌স এর আর তর সইল না। সে মাইকের দিকে তেড়ে এল। মাইকের মুখ লক্ষ্য করে ঘুসি মারতেই ও চট করে এক সাইডে সরে গিয়ে ডান হাতের উলটো পাশ দিয়ে হাল্কা চাটি মারল। আর এতেই উইলিয়াম্‌স হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল। ধুলো ঝেড়ে আবার উঠে দাঁড়ালো। আর বোকার মতন তেড়ে নয়, বরং ধীরে সুস্থে মাইকের দিকে এগোল। মাইক ডান হাত তুলতেই বা হাত দিয়ে ঠেকিয়ে ওর পেটে দরাম করে ঘুসি মেরে দিল। ব্যথায় মাইকের দেহ বাঁকা হয়ে গেল। পরক্ষণেই পটাপট কয়েকটা ঘুসি মেরে মাইকের মুখ, চিবুক রক্তাক্ত করে দিল। এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেল ও। জনতার মধ্যে হালকা গুঞ্জন উঠেই মিলিয়ে গেল। মাইককে লাথি মারতে যেতেই ও শুয়ে থেকেই খপ করে পা ধরে ফেলল। সেই সাথে অন্য পায়ে গায়ের জোরে লাথি মারল। মাটি কাঁপিয়ে পড়ে গেল উইলিয়াম্‌স। এই সুযোগে মাইক উঠে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে মুখের রক্ত মুছে ফেলল। মাথা ঝিমঝিম করছে দেখে ঝাঁকিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করল। ওদিকে উইলিয়াম্‌স আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। সময় না দিয়ে মাইকই ওর দিকে এগিয়ে গেল।

একেবারে সামনে গিয়ে হঠাৎ ঝপ করে বসে বেল্টের ঠিক উপরে ডান হাতের তালু দিয়ে ধাক্কা মারার মতন আঘাত করল। হুশ করে উইলিয়াম্‌স এর মুখ দিয়ে বাতাস বের হয়ে এল। এবার আক্ষরিক অর্থেই ওকে পেটানো শুরু করল মাইক। রিব, পেট, কিডনী, মুখ কিছুই বাদ গেল না। একের পর এক মারের চোটে দিশেহারা হয়ে উঠল বদমাশটা। রক্তাক্ত চোখে মাইকের দিকে তাকিয়ে খুনের নেশা দেখতে পেল। পরাজয় নিশ্চিৎ বুঝতে পেরে শেষ অস্ত্র হিসেবে নখ দিয়ে চোখে খোঁচা দিতে গেল। কিন্তু মাইককে আজ কে ঠেকায়! দু হাত দিয়ে ও উইলিয়াম্‌স এর হাত দুটো চেপে ধরে মুচড়ে দিয়ে বেশ কয়েকটা আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলেই সর্বশক্তি দিয়ে হুক করল। পশুর মতন চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল ও। মাইক লাফ দিয়ে ওর বুকের উপর বসে পড়ে পাগলের মতন একটার পর একটা ঘুসি মারতে থাকল। এক পর্যায়ে উইলিয়াম্‌স বলে উঠল,
-প্লিজ! আর মেরো না…আমি হার স্বীকার করছি!!!

কয়েকজন এসে মাইককে ধরে ওর উপর থেকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করল। কিন্তু মাইক যেন পাগল হয়ে গেছে!! এবার ডেভ ছুটে এসে ওকে নিবৃত্ত করল।
-ব্রাদার, ইটস ওভার!! ও হেরে গেছে…তুমি ওদেরকে শেষ করে দিয়েছ!!!

অনেকক্ষণ পর যেন মাইক ডেভ এর কথা বুঝতে পারল। মাথাটা ঝাঁকিয়ে ডেভ এর দিকে তাকিয়ে হেসে দিল।

এদিকে উইলিয়াম্‌স হঠাৎ করে পাগলের মতন হাসা শুরু করল। মুখ দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত পড়ছে, এমন অবস্থায়ও ও হাসছে!! ভয়ঙ্কর দৃশ্য!!!
-কি ভেবেছ?? আমাকে মারলেই সব শেষ হয়ে যাবে??? তোমাদের প্রিয় শেরিফকে গিয়ে প্রশ্ন কর, কে সব কিছুর হোতা? ও যদি জবাব না দেয়, তাহলে অফিসের দেয়ালে ওয়াশিংটনের ছবির পেছনে একটা ভল্ট আছে…জবাব পেয়ে যাবে…

হঠাৎ সবাই দেখতে পেল শেরিফ ঘোড়া নিয়ে পালাচ্ছে। কয়েকজন ‘ধর ধর’ করতে করতে ওর পেছনে ছুটল। মাইক দ্রুত রবার্ট এর কাছ থেকে ওর হোলস্টার নিয়ে, উইলিয়াম্‌স এর দিকে নজর রাখতে বলে জোরে একটা শীষ দিল। কোথা থেকে কে জানে, ব্লাক ছুটে সামনে চলে আসল। লাফ দিয়ে ওর পিঠে চড়ে এই মাত্র প্রাক্তন হয়ে যাওয়া শেরিফের পিছু ধাওয়া শুরু করল মাইক।

১২।

পালাচ্ছে মরগান।
মাইক যখন উইলিয়াম্‌সকে রাম ধোলাই দিচ্ছিল, তখনই ও বুঝে গেছে এই সময়। ও নিশ্চিৎ যে উইলিয়াম্‌স মুখ খুলবেই!! তাই আর দেরি করে নি। লুটের মাল ভর্তি বোঝাটা নিয়ে পেছন দরজা দিয়ে ভেগেছে। ওকে দেখে কয়েকজন ‘ধর ধর’ করে ছুটে আসছিল, তারমানে ওর আশংকাই ঠিক ছিল…উইলিয়াম্‌স মুখ খুলেছে…এখন কোনমতে শহর থেকে দূরে যেতে পারলেই হয়। এরপর ধীরে সুস্থে একেবারে নিউইয়র্ক। হ্যাঁ, নিউইয়র্ক! ওখানেই হবে ওর নতুন জীবনের শুরু…সাথে যে সম্পদ রয়েছে, তা দিয়ে রাজার হালে বাকিটা জীবন…!! অন্য একটা ঘোড়ার ডাক কানে আসতেই কল্পনা থেকে বাস্তবে এল ও। সর্বনাশ, মাইক পিছু নিয়েছে!!! চাবুক মেরে মেরে ঘোড়ার গতি আরো বাড়িয়ে দিল মরগান।

এদিকে প্রাণ-পণ ছুটছে ব্লাক। ধীরে ধীরে মরগানের সাথে ওদের দূরত্ব কমে আসছে। কিন্তু খুশি হবার বদলে মাইক আরো চিন্তিত হয়ে পড়ল। কারন এতক্ষনে খেয়াল করে দেখল ওরা উত্তর দিক বরাবর ছুটছে। অর্থাৎ পথেই কেটদের র‌্যাঞ্চ পড়বে। এখন যদি কেট বা টেরিকে দেখে মরগানের মনে কোন শয়তানি বুদ্ধি জাগে…ব্লাককে তাগাদা দিল,
-কাম অন, ব্লাকি…আরো জোরে…আরো জোরে…

সেই তীক্ষ্ম বাঁকটা ঘুরতেই দেখল ওর আশংকা সত্যি হয়েছে। মরগান এক হাতে কেটকে ধরে অন্য হাতে ওর দিকে পিস্তল তাক করে আছে।

-এসো মাইক। তোমারই অপেক্ষা করছিলাম!! ঘোড়া থেকে নেমে দাঁড়াও…
-আমি কিছু বুঝতে পারছি না মাইক! কি হচ্ছে এখানে??? মরগান কি হয়েছে তোমার?? পিস্তল ধরে আছ কেন?? হতভম্ব কেট বলে উঠল।
-মরগানই হচ্ছে জর্জটাউনের দুষ্টক্ষত! ওর কথাতেই উইলিয়াম্‌সরা সকল দুষ্কর্ম করত। শেরিফ হবার কারনে সব কিছু সামাল দেয়া খুবই সহজ ছিল ওর জন্য। কিন্তু আজ উইলিয়াম্‌স সব ফাঁস করে দিয়েছে। বেগতিক বুঝে শহর ছেড়ে পালাচ্ছিল, পথে তোমার সাথে দেখা হয়ে গেছে…

রাগে মুখ বিকৃত করে মরগানের মুখে থু থু দিল কেট। মুখটা হাত দিয়ে মুছে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে মরগান বলল,
-ডার্লিং, সময় নেই বলে তোমাকে শিক্ষা দিতে পারলাম না…তা না হলে তোমার নরম শরীরটাকে আমি ছিঁবড়ে ফেলতাম!!!

দু’হাত উপরে তুলে কিছুটা দূরেই ডাঁড়িয়ে আছে মাইক। পিস্তল ড্র করবে কি না- ভাবতেই মরগান-কেট দের পিছনে হালকা নড়াচড়া চোখে পড়ল। ভাল করে তাকিয়ে দেখতে পেল, টেরি হাতে একটা চেলা কাঠ নিয়ে ধীরে ধীরে ক্রল করতে করতে এগিয়ে আসছে।

মরগানকে ব্যস্ত রাখার জন্য মাইক কথা বলা শুরু করল,
-কিন্তু কেন মরগান?? কেন করলে এই কাজ??
-কেন?? তুমিই বল, কেন না?? আমার বয়স চল্লিশ পার হয়ে গেছে…এখনো আমার নিজের কিছুই নেই। শেরিফের কাজ করে যা পাই, তা দিয়ে এখন কি চলব আর ভবিষ্যতের জন্য কি রাখব?? কে দেবে আমার ভবিষ্যতের গ্যারান্টি?? তাই অনেক ভেবেই ওদের সাথে হাত মিলিয়েছি…এখন দেখো, আমার কাছে লক্ষাধিক ডলার…একটা জীবন নতুন করে শুরু করার জন্য যথেষ্ট! তোমাকে ধন্যবাদ জানাই, কারন তোমার জন্যই পুরোটার মালিকানা এখন আমার! এবার সুবোধ ছেলের মতন পিস্তল জোড়া হোলস্টার থেকে বের করে দূরে ছুড়ে ফেলে দাও…না না…ওভাবে না! আমি তোমাকে একশনে দেখেছি, তুমি ভয়ানক ফাস্ট! দু আঙ্গুল দিয়ে ধীরে ধীরে…তা না হলে আমি কিন্তু কেটকে কষ্ট দেব…বলে শয়তানী হাসি দিল মরগান।

এদিকে টেরি প্রায় কাছে চলে এসেছে। এটা দেখে মাইক দু আঙ্গুল এগিয়ে রেখে ধীরে ধীরে পিস্তলের দিকে হাত বাড়াল। আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড…

এমন সময় পেছনে নড়াচড়ার আভাস পেয়ে মরগান মাথা ঘুরিয়ে দেখতে গেল, সুযোগটা পেতেই মাইক পিস্তল ড্র করেই গুলি করল। মাথা ঘুরাতে গিয়েও নিজেকে সামলে রেখে মরগানও মাইকের দিকে গুলি ছুড়ল। মাইকের গুলিতে মরগানের মাথার খুলি উড়ে গেল আর ওর হাতের ধাক্কায় কেট ছিটকে পড়ে গেল। উঠে দাঁড়িয়েই কেট দেখতে পেল মাইক ধীরে ধীরে পড়ে যাচ্ছে। ও গুলি খেয়েছে!!! ছুটে মাইকের কাছে গিয়ে দেখল, সেই আগের ক্ষতটার কাছেই গুলিটা লেগেছে, তবে এবার আর ফুসুফুস মিস করে নি!!! মাইকের মাথাটা নিজের কোলে নিয়ে বসে পড়ল কেট।

প্রায় সাথে সাথেই ছুটন্ত অনেক ঘোড়ার আওয়াজ শোনা গেল। জল ভর্তি চোখে কেট তাকিয়ে দেখল ডেভ সহ শহরের অনেকে এসেছে। ঘোড়া থেকে নেমেই ডেভ দ্রুত মাইকের কাছে এল।
-মাইক, ভাই আমার…তোমার কিচ্ছু হয় নি…আমি এক্ষুনি তোমার অপারেশনের ব্যবস্থা করছি…

কি জানি বলতে গিয়েও বলতে পারল না মাইক। প্রবল কাশির দমকে ওর মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়তে লাগল। অবশেষে অনেক কষ্টে বলল,
-ডেভ, এবার আর হবে না…মিছেমিছি কষ্ট কর না…তারচেয়ে বরং শেষ ক’টা মুহুর্ত আমার সাথে থাকো…প্লিজ!!

এ কথা শুনে ডেভ হাউ-মাউ করে কান্না শুরু করে দিল। একজন ডাক্তার হিসেবে ও জানে, ওর আর কিছু করার নেই…!!! মাইকের ডান হাতটা দু হাতে চেপে ধরে কান্না কন্ঠে বলে উঠল,
-দেখো ভাই, আমি তোমার পাশেই আছি…তুমি হাল ছেড়ো না…কিচ্ছু হবে না তোমার…

এর কথায় কান না দিয়ে মাইক বলল,
-উইলিয়াম্‌সকে কে দেখছে?? ওকে আটকে রেখে এসেছ তো???
-ওর কথা আর না ভাবলেও চলবে, তুমি চলে আসতেই ও পালাবার চেষ্টা করেছিল। রবার্ট এর শর্টগানের গুলিতে একেবারে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে!
-তারমানে সত্যি সত্যি সব ঝামেলা মিটে গেছে???
-হ্যাঁ, সত্যি সত্যি…আর সব কিছুই হয়েছে তোমার জন্য…

এ কথা শুনে মাইকের মুখে এক ছোট্ট একটি হাসি দেখা দিয়েই মিলিয়ে গেল। ‘ব্লাককে দেখে রেখো’ বলে আবার কাশতে শুরু করল মাইক। হঠাৎ ওর কাশি থেমে গেল, এরপর ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে গেল।

***************************************

মাইকের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে শহরের সবাই উপস্থিত থাকল। অশ্রু ভেজা চোখে সবাই মিলে ওকে বিদায় জানালো। এপিটাফে বড় বড় করে লেখা হল-
মাইক টার্নার
কালো ঘোড়ার আরোহী
যে মৃতপ্রায় শহরটায় প্রাণ আনতে নিজের প্রাণ দিয়েছে…

ডেভ মাইকের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে পারে নি। কেননা, মাইককে কবর দেয়ার দু দিন পরেই হঠাৎ করে ব্লাক মারা গেল। মাইকের পাশেই ওকে কবর দেয়া হয়েছে। ব্যাপারটা ওর জন্য মন্দ হল না। যে অনন্ত কালের দিকে ওর যাত্রা শুরু হয়েছে, সেই যাত্রায় ব্লাকের চেয়ে ভালো সঙ্গী ওর আর কে হতে পারে????

৩২ টি মন্তব্য : “কালো ঘোড়ার আরোহী!!! শেষ পর্ব”

  1. রকিব (০১-০৭)

    এই পর্বটা ভালো হয় নাই; আমারে থুক্কু নায়করে মাইরা ফেলাইলেন ক্যান!! :(( :(( :((
    পরিশেষে স্বীকার করিয়া নিলাম, সিসিবির সেবা-মাস্টার হলেন জুনাদা। B-)


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. দিহান আহসান

    কিরে দা, তুইতো ছোট্ট্রে মাইরা ফেললি, এইটা কোন ইন্সাফ হইলো? :chup: :duel:

    তুইতো খুব সুন্দর করে লিখিস, আরেকটা ধারাবাহিক শুরু করে দে ;;)

    নয়ত তোর সহজ ভাষায় ইংরেজী'র পরের পর্ব দিয়ে দে ;))

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : দিহান ইসলাম

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।