কালো ঘোড়ার আরোহী!!! পর্ব এক

[ প্রখ্যাত মনীষী আলফ্রেড মুইকিহনু বলেছেন, ‘কিছু কিছু সাহিত্যকর্ম আছে রচনা করা খুবই সহজ- যেমন রসময় গল্প(!), ওয়েস্টার্ন গল্প ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এর কোনটাকেই মৌলিক দাবী করা শুধু কঠিনই নয়, বোকামীও। স্থান, কাল, পাত্র আলাদা হলেও কাহিনী সাধারণত ঘুরে ফিরে একই হয়…’
যেহেতু আমি খুব চালাক, তাই এই গল্পটিকে এক্কেবারে মৌলিক দাবী করছি না…কেউ যদি তার জীবনে পঠিত, শুনিত বা দেখিত কোন কাহিনীর সাথে এর কোন অংশের মিল পান, জেনে রাখবেন সেটা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত।]

১।

সামনের শহরটা আর মাইল খানেকের বেশি নেই বুঝতে পেরে মাইকের মনটা ভাল হয়ে গেল। গত সাত দিন এক নাগাড়ে পথ চলছে ও। মাঝে মধ্যে খাবার এবং হালকা বিশ্রামের সময়টুকু বাদ দিলে প্রায় পুরোটা সময়ই ঘোড়ার উপর কেটেছে। এমন নয় যে শহর ওকে খুব টানে, তবে গত ক’দিন পথ চলতে এত বেশি কষ্ট হয়েছে যে দুই একদিনের জন্য কোথাও থেমে বিশ্রাম না নিলেই নয়।

আপন মনে নিজের কথা ভাবতে লাগল মাইক টার্নার। উনত্রিশ বছরের এই জীবনে বন্ধু খুব কমই জুটেছে। রক্তের সম্পর্কের বা পিছুটান হবে এমন কেউ এই পৃথিবীতে নেই। নাহ্‌, ভুল হল এক আংকেল আছেন। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ২৭/২৮ বছর আগে সেই যে তিনি ঘর ছেড়ে চলে গেছেন, আর তার কোন খবর নেই। ওনার কথা মনে না থাকলেও, চেহারা ও চেনে। ফ্যামিলি ফটোতে দেখেছে। আপন কেউ না থাকার কারনেই ওর জীবনটাও লাগামহীন, লক্ষ্যহীন। সবসময় বলতে গেলে পথ চলার উপরেই থাকে। টাকা-পয়সার টানা-টানি পড়লে কোথাও কিছুদিনের জন্য ছোট-খাট চাকুরী…এরপর আবার বেড়িয়ে পড়া…এভাবেই চলছে।

বর্তমানে বন্ধু বলতে একজনই আছে, ওর ঘোড়া ব্লাক। কুচকুচে কালো বর্ণের কারনেই ওর এমন নাম। ঘোড়াটাকে বছরখানেক আগে এক শাইয়ান ইন্ডিয়ান বুড়োর কাছ থেকে কিনেছিল মাইক। ব্লাকের মধ্যে এমন কিছু একটা আছে যা যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। বুড়ো ব্যাটা দাম বেশি হাঁকানোয় কেউ আর কেনার আগ্রহ দেখায় নি। কিন্তু ঘোড়াটাকে দেখে মাইক আর দাম নিয়ে ভাবে নি। নগদ ৪০ ডলার দিয়ে কিনেছিল। অথচ সাধারণত ঘোড়ার দাম পনের/বিশ ডলারের বেশি হয় না।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হয়েছিল ঘোড়াটি কেনার পর। বুড়োকে টাকা দিতেই সে বিড়বিড় করে কি জানি পড়ে ঘোড়ার কানে ফুঁ দিল। এরপর মাইককে বলল, ‘এবার ঘোড়ার মুখ দু’হাতে আলতো করে ধরে ওর মাথায় তোমার মাথা ছোঁয়াও!!’
-তাহলে কি হবে???
-আগে ছোঁয়াও তারপর বলছি…।

কথা না বাড়িয়ে বুড়োর নির্দেশমত করতেই সে জানালো,
-এখন তুমি ঘোড়াটার মালিক হয়ে গেলে…
-সে তো আমি তোমাকে যখন টাকা দিলাম, তখনই হয়েছি…
-টাকা দিয়ে তুমি জানতে তুমি মালিক, এখন ও-ও জানল। তাছাড়া এখন ও তোমার বন্ধুও হয়ে গেল। বিপদে-আপদে সবসময় তোমার
পাশে থাকবে।

বুড়োর কেরামতি, না কি- কে জানে?? কিন্তু ওরা আসলেই খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেছে। মাইকের কথা-বার্তা তো বটেই চিন্তা-ধারাও যেন ব্লাক বুঝতে পারে। যারা কিছুটা হলেও ঘোড়া চেনে, তাদের কাছে ব্লাক চরম আরাধনার বস্তু। ভাল কথা, মাইকের আরেকটি বন্ধু আছে, আসলে আরেকটি না বলে আরেক জোড়া বলাই সমুচিৎ…ওর সিক্সশুটার দু’টো। সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং উপকারী বন্ধু!!!

-পা চালা রে ব্লাকি! যত তাড়াতাড়ি শহর পৌঁছব, তত তাড়াতাড়ি বিশ্রাম…!!

খুশিতে মাথা ঝাঁকিয়ে, দু’তিনবার হ্রেস্বা রব তুলে ছোটার গতি বাড়িয়ে দিল ব্লাক।

২।

শহরে নাম জর্জটাউন।
পশ্চিমের আর দশটা শহরের মতনই সাধারন এবং জীর্ণ-শীর্ণ। বলতে গেলে একটা রাস্তার দু’ধারে কয়েকটা ছোট-বড় দালান কোঠা নিয়ে শহরটা। বড় একটি আস্তাবল, দু’টো জেনারেল ষ্টোর, দু’টো সেলুন, ব্যাংক, পোষ্ট অফিস, রেল ষ্টেশন, শেরিফের অফিস কাম জেলখানা, আর কয়েকটা কাঠের তৈরি বাড়ি…ব্যাস, এই হল জর্জটাউন। ও হ্যাঁ, অন্য অনেক শহর থেকে এখানে একটি জিনিসই আলাদা, তা হল বড় করে একখানে লেখা আছে ‘ডাক্তারের চেম্বার’! পশ্চিমে খুব বেশি শহরে এরকম ঘোষণা দিয়ে কোন ডাক্তার সাধারণতঃ দেখা যায় না…!!!

ঘোড়াটাকে আস্তাবলে রেখে ফ্লানেল শার্ট ও জিন্স প্যান্টের ধুলা ঝাড়তে ঝাড়তে মাইক কাছের সেলুনের দিকে হাঁটা আরম্ভ করল। সুইঙ্গিং ডোর ধাক্কা দিয়ে ঢুকতেই তামাকের কটু এবং অ্যালকোহলের মিষ্টি গন্ধ একসাথে ওর নাকে এসে বাড়ি দিল।

কাউন্টারে গিয়ে বারটেন্ডারকে হুইস্কির অর্ডার দিয়ে তীক্ষ্ণ চোখে কামরার ভেতরটা দেখতে লাগল মাইক। সাপ্তাহিক পে’ডে হবার কারনে সন্ধ্যার মধ্যেই সেলুন বেশ জমে উঠেছে। ভবঘুরে, মাতাল কাউহ্যান্ড এমনকি দু’একজন পরিপাটি চেহারার মানুষসহ নানা কিসিমের লোকজন ওর চোখে পড়ল। তবে, স্বস্তির সাথে লক্ষ্য করল এদের মধ্যে ‘ঝামেলাবাজ’ কেউ নেই। তবে অভিজ্ঞতা থেকে ও জানে, প্রতি শহরেই এমন কিছু লোক থাকে যারা গায়ে পড়ে অন্যের সাথে ঝামেলা বাঁধায়। বিশেষ করে যারা আগন্তুক- তাদের সাথে। এই মুহুর্তে তেমন কাউকে দেখা না গেলেও, দেখা যে হবেই- এ ব্যাপারে মাইক পুরোপুরি নিঃসন্দেহ!

হুইস্কি শেষ করে ও বারটেন্ডারকে জিজ্ঞাসা করল,
– তোমার এখানে কি সাপারের ব্যবস্থা আছে???
– শিওর, তবে বেশি কিছু আশা কর না…হরিণের মাংসের স্যুপ, বেকন, বিন এবং কফি।
– আরে বাহ! আমার জন্য যথেষ্ট!! আর রাতে থাকার জন্য কামরা পাওয়া যাবে??
– দেয়া যাবে, দোতলায় থাকার মতন কয়েকটা কামরা আছে। তবে ভাড়া কিন্তু বেশি পড়বে। প্রতি রাতের জন্য দু’ডলার এবং সেটা আগেই পরিশোধ করতে হবে।
– তুমি লোকটা বেশ সাবধানী, ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কাউন্টারের পেছনে রাখা শটগানের দিকে তাকিয়ে মাইক জানাল।
– এই পেশাতে বিশেষ করে পশ্চিমে সাবধান না থাকলে টিকে থাকা মুশকিল!

এমন সময় হৈ হৈ করতে করতে তিনিজন লোক সেলুনের ভেতরে প্রবেশ করল। তারা ভেতরে ঢুকতেই কামরার কোলাহল কেমন মিইয়ে গেল। ওদের দিকে তাকাতেই মাইক বুঝে ফেলল ওদের ধরণ। বিড়বিড় করে বলে উঠল ‘ঝামেলাবাজ’! ওর কথা শুনে বারটেন্ডার নিচু গলায় জানাল,
– এরা এই শহরের তিন ত্রাস। সামনের দশাশই লোকটা দলের নেতা, নাম উইলিয়াম্‌স। খালি হাতে মারপিটে ওস্তাদ। ডানপাশের ছোটখাট দেখতে ইঁদুর মুখোটার নাম রেমন্ড- বন্দুকে পাকা হাত। আর সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে লালচুলো ফিলিক্স ওরফে ফিলি। পিস্তলবাজ, দারুন ক্ষীপ্র। এদের হাতে প্রায়ই নিরীহ মানুষ মারা পড়ে। স্টেজ ডাকাতি থেকে শুরু করে ব্যাংক লুট, ছিনতাই এরকম অনেক অভিযোগ আছে…কিন্তু প্রমান নেই। ওদের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ পর্যন্ত করে না।

– তোমাদের শেরিফ কিছু করে না?? মাইক জানতে চাইল।
– কে? ঐ বুড়ো মরগান?? ফুঁ! ওর এত সাহস নেই যে ঐ তিনজনকে কিছু বলে। তাছাড়া ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এমন কেউ এ শহরে নেই। আশপাশের বড় র‌্যাঞ্চারদের এরা ঘাটায় না বলে, র‌্যাঞ্চাররাও ওদের নিয়ে মাথা ঘামায় না। ফলে দিন দিন বদমাশ গুলোর সাহস বেড়েই চলেছে। তুমি বাপু একটু সাবধানে থেক। কারন নতুন কাউকে দেখলে ওরা আরো পেয়ে বসে…!!!

বারটেন্ডারের দিকে বরফ শীতল চোখে তাকিয়ে মাইক বলল,
-তোমার নাম কি?
-রবার্ট।
-রবার্ট, সাবধান করে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আমি ঝামেলা পছন্দ করি না। তবে যেচে পড়ে কেউ ঝামেলা বাঁধাতে আইলে তাকে নিরাশও করি না। বুঝতে পেরেছ???
-আমার কি? তোমাকে সাবধান করার ইচ্ছে হল, করেছি। এখন মানা না মানা তোমার ব্যাপার’ আপন মনে বকতে বকতে রবার্ট
অন্যদিকে সরে গেল।

**************************************************

নিচু গলায় কথা বলে সঙ্গী দু’জনকে একটা টেবিলের দিকে ইশারা করে উইলিয়াম্‌স বারের দিকে এগিয়ে গেল।

-হাউডি!
-হাউডি। শুষ্ক কন্ঠে উইলিয়াম্‌স এর অভিবাদনের জবাব দিল মাইক।
-শহরে নতুন দেখছি মনে হয় তোমাকে??
-ঠিক ধরেছ।
-বেশ বেশ…ভাল কথা, আস্তাবলের কালো বিশাল স্ট্যালিয়নটা কি তোমার? দারুন ঘোড়া!!
-হ্যাঁ, ওটা আমারই ঘোড়া, কেন?
-ঘোড়াটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ওটার জন্য কত চাও?

মেজাজটা গরম হয়ে গেলেও তা প্রকাশ না করে মাইক জানালো,
-ওটা বিক্রির জন্য না…।
-দেখ আমি দামাদামি পছন্দ করি না, পুরো ৫০ ডলার দেব, ঠিক আছে??
-তুমি কানে কম শোন নাকি?? বললাম না, ওটা বিক্রির জন্য না। ৫০ কেন ৫,০০০ ডলার দিলেও না…!!!

দপ করে চোখ জোড়া জ্বলে উঠল উইলিয়াম্‌স এর। কদাকার চেহারাটা রাগে বিকৃত হয়ে আরো কদাকার হয়ে উঠল। মুঠো পাকিয়ে সামনে এগোতে গিয়েও শেরিফ মরগানের গলা শুনে থেমে গেল।
-কি হচ্ছে এখানে?
-আরে শেরিফ যে! কখন এলে?? তেমন কিছুই হচ্ছে না এখানে, শহরে নতুন লোক এসেছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি…!

দু’জনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মরগান বলল,
-যাই কর, আমার শহরে কোন বিশৃংখলা যেন না হয়…।
-কি যে বল না তুমি শেরিফ! তুমি তো জানই আইন এবং আইনের লোকদের আমি কত শ্রদ্ধা করি!!
-তেমনটি হলেই ভালো। বলে শেরিফ সেলুন থেকে বেরিয়ে গেল।

ঠান্ডা চোখে কিছুক্ষণ মাইকের দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে ‘আবার দেখা হবে’ বলে উইলিয়াম্‌সও বের হয়ে গেল, সাথে তার দুই সাগরেদও।

এতক্ষণ বারের অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল বারটেন্ডার রবার্ট। মাইকের কাছে এসে উত্তেজিত কন্ঠে সে বলল,
-তোমার বাপু সাহস আছে! আজ পর্যন্ত কাউকে এভাবে উইলিয়াম্‌স এর সাথে কথা বলতে দেখি নি!!
-তুমি যদি কথা কম বল, তাহলে বেশিদিন বাঁচবে, আর সেক্ষেত্রে আরো অনেক কিছুই দেখতে পাবে, বুঝেছ????

ইঙ্গিতটা ধরতে পেরে রবার্ট চুপ করে সাপার সার্ভ করা শুরু করল।

৪৭ টি মন্তব্য : “কালো ঘোড়ার আরোহী!!! পর্ব এক”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    জুনা ভাইর লেখা পড়লেই আমার সমস্যা হয়। আমি খালি টুইস্টের অপেক্ষায় থাকি। এইটাতেও ভাবছিলাম লাস্টে আইসা নরমাল ওয়েস্টার্ণের আড়ালে কোন টুইস্ট থাকব। যাই হোক ডিসক্লেমার ভাল ছিল নইলে অনেক কথা ছিল এখন আর নাই।

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সিরিয়াল নাকি?

    তাইলে পুরাটা একলগে পড়ুম।

    অফটপিকঃ
    আমার পক্ষ থেকে আন্টিরে একবার সরি বলিস। অথবা আন্টি সামনে থাকলে আমারে একবার ফোন দিস। 🙁


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ‘ঝামেলাবাজ’ , বুড়ো মরগান, ব্ল্যাক স্ট্যালিয়ন :dreamy: :dreamy:
    জুনারে পুরা নস্টাল্মুজিব বানায়া দিলিরে :dreamy:
    সিসিবি'র প্রথম ওয়েস্টার্ণ :thumbup: :thumbup:

    সিরিজ লেইখা সমাপ্তি টানার ব্যাপারে জুনায়েদের সুনাম আছে :thumbup: সো শেষ কর দারুণ ভাবে, মাইক মিয়া শেষ মেশ কোন বুইড়া র‌্যাঞ্চারের মাইয়ারে বিয়া করে সেইটা দেখার আশায় B-)


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. তৌফিক (৯৬-০২)

    ক্লাসিক ওয়েস্টার্ন ওপেনিং। আপনার ওপেনিংটা পড়ে ইস্টউডের হাই প্লেইন ড্রিফটার মুভিটার কথা মনে পড়ে গেল। (মুভি বা বইয়ের ঘটনা, চরিত্র এগুলোর অনেক ডিটেইল মনে থাকলেও নামের মতো সিম্পল জিনিস মনে থাকে না, নামটা ভুল হইতে পারে।) 🙂

    জবাব দিন
  5. জাহিদ (১৯৯৯-২০০৫)

    কমেন্ট করার তো কিছুই পাইলাম না। :bash: :bash: ঐতিহাসিক (সিসিবির প্রথম ওয়েস্টার্ন) :awesome: এই পোস্টের অংশ হতে পেরে গর্বিত।
    আশা করি দেরি না করে তাড়াতাড়ি শেষ করবেন। :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।