সহজ ভাষায় ইংরেজী- পর্ব তিন (ক্রিকেট পর্ব)!!!

টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে। আজকের খেলা ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে, দি ফাইনাল…। ইরফান আর আমি আমাদের বাসায় বসে খেলা দেখছি। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ভাল একটা স্কোর করে ফেলল। পাকিস্তান ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুত কয়েকটা উইকেট পড়ে যাবার পর আমি ওকে বললাম, ‘তুই দেখতে থাক, আমি একটু নেট-এ বসি…’ ইরফান আবার পাকিস্তানের অন্ধ ভক্ত। বলল, ‘আচ্ছা যা, আমি দেখতে থাকি…’

আমি মেইলটা চেক করে, ফেসবুকে একটু ঢুঁ মেরে-শেষে অনলাইনে গেম খেলতে লাগলাম…এভাবে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাবার পর হঠাৎ ইরফান দৌঁড়ে এসে জানাল, ‘ম্যাটার্নাল আংকেল, গেম তো ফ্রিজ্‌ড!!! আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
-‘কেন রে, খেলা বন্ধ হল কেন??’
-‘আরে বন্ধ না, খেলা তো জমে গেছে…!!’
-‘তাই নাকি?’
-‘হ, মেজবাহ্‌ ইজ প্লেইং লাইক দ্যাট…সেইরকম!!! যেমনে হি ইস বিটিং দি বোলার্‌স…পাকিস্তান জিতেই যাবে মনে হচ্ছে…’
-‘চল তো দেখি…’

আমরা আবার খেলা দেখা শুরু করলাম। আসলেই মেজবাহ্‌ খুব ভাল খেলছে…চার-ছয় মেরে একাকার!!! এখন এমন অবস্থা- পাকিস্তান না জেতার কোন কারনই নেই…হঠাৎ করে বাজে একটা শট খেলতে গিয়ে মেজবাহ্‌ আউট হয়ে গেল…!!! ইরফান তো চিৎকার করে গালাগালি শুরু করল,
-‘সান অফ এয়ার!!! মেজবাহ্‌’র মাদার’স ফাদার…বিপ বিপ বিপ!!!’
– ‘মাদার’স ফাদার…???- এত কিছুর মাঝেও আমি প্রশ্ন না করে পারলাম না…!’
-‘হ, ওর মায়েরে বাপ…!!!!’

আমি আর কিছু বললাম না…মনে পড়ে গেল আগের খেলাটার কথা! দুই দলের স্কোর টাই হয়ে যাবার পর ‘বোল আউট’এ জয়-পরাজয় নিস্পত্তি হয়েছিল…ভারতের তিন জন স্ট্যাম্পে বল লাগালেও পাকিস্তানের কেউ পারে নি। খেলা শেষে ইরফানের কি ঝাড়ি,
– ‘ব্রাদার ইন ল’ গুলো সব পিগ! ফুল এম্পটি থ্রি স্ট্যাম্পস, বাট নো বডি কুড *ক!!!’
-‘কি???’- আমি আৎকে উঠেছিলাম!
-‘ঠিকই তো, ফাঁকা তিনটা স্ট্যাম্পেও কেউ ‘লাগা’তে পারল না…!!!’
-‘আচ্ছা!! তুই সেটা বোঝাতে চেয়েছিলি??? আর আমি ভাবলাম…’ -মিন মিন করে বলেছিলাম আমি।
-‘তোর মনে অনেক খোঁট…!!!’-ইরফানের কথায় ছিল অনুযোগ!

যাইহোক, শেষ পর্যন্ত ভারত পাঁচ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল…আর ইরফানের মুখ হয়ে গেল আঁধার কালো!
-‘ধুর!, খালি খালি এতক্ষণ খেলা দেখলাম!, যাইগা…’
-‘ঠিক আছে যা- বললাম আমি।’
দরজা দিয়ে বের হয়ে যাবার মুহূর্তে আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম,
-‘আচ্ছা দোস্ত, পাগলাগারদের ইংরেজী কি রে?’
-‘কি আবার? ম্যাড-গ্রিল!!!!’
-‘ম্যাড-গ্রিল??? ভালো ভালো…শোন্‌, একটা দরকারী কথা বলি-তোর জন্য পার্ফেক্ট জায়গা হচ্ছে ঐ ম্যাড-গ্রিল!!! ওখানে গেলে তুইও ভাল থাকবি, আর আমরাও শান্তিতে থাকতে পারব…আর তুই যদি না যাস, শেষে আমাদেরই মনে হয় দলবেঁধে চলে যেতে হবে…!’

টানা এতগুলো কথা বলে ও কিছু শুরু করার আগেই দরাম করে দরজা বন্ধ করে দিলাম। দরজার ওপাশ থেকে শুনতে পেলাম খাঁস বাংলায় বেশ কিছু বিশেষণ…’যাক, ওষুধে কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে’-ভেবে আমি আমার রুমে চলে গেলাম।

২,৪৭১ বার দেখা হয়েছে

৩১ টি মন্তব্য : “সহজ ভাষায় ইংরেজী- পর্ব তিন (ক্রিকেট পর্ব)!!!”

  1. তাইফুর (৯২-৯৮)
    ফুল এম্পটি থ্রি স্ট্যাম্পস, বাট নো বডি কুড *ক!!!
    ফাঁকা তিনটা স্ট্যাম্পেও কেউ ‘লাগা’তে পারল না…!!!

    তুই একটা ... :khekz: :khekz: :khekz:


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  2. তাইফুর (৯২-৯৮)

    এ্যাগেইন রিডিং-ইয়া,লাফিং গোইং ...
    (আবার পইড়া হাইসা গেলাম, তবে আমি তোরে ঠিক চিনতে পারি নাই। মালে নাকি মাল চিনে ... আমার তো তোরে চিনার কথাও না ...)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ভাই, আমি হলাম রাস্তা ধারে পড়ে থাকা কাঁচের টুকরা...মাঝে মাঝে সূর্য্যের আলো পড়লে একটু চকচক্‌ করি...এই যা!!!


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    ভাইরে জটিল :)) :)) =)) =)) :goragori: :goragori: :khekz: :khekz:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর(৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।