এসএসবিঃ সূচনা পর্ব

১।
নিজের অফিসে আপন মনে চেয়ারে দোল খাচ্ছিল কায়সার। পুরো নাম মেজর কায়সার চৌধুরি। এসএসবির এক নম্বর এজেন্ট। গত কয়েক বছরের অমানবিক খাটা-খাটুনির পর আপাতত সে রিলাক্স টাইম পার করছে। এসএসবি মাঠে নামার পর বেইমানদের রীতিমত মূর্তিমান আতংকে পরিনত হয়েছিল সে। দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডে ওর নাম দেয়া হয়েছে ‘বাজ পাখি’। কারন, বাজের মতনই ও শত্রুদের উপর ছোঁ মেরে ঝাঁপিয়ে পড়ত। প্রয়োজনে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা ওরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। অবশ্য এর পেছনে আবেগও কিছুটা কাজ করেছে, কেননা ‘ঐ’ ঘটনায় ও হারিয়েছিল আপন বড় ভাই এবং ভাবীকে। নরপশুরা প্রথমে গুলি করে মেরেছিল, এরপর ছুরি দিয়ে…

অপারেশন ‘স্লগ সুইপ’ সফলভাবে শেষ হলেও একটু খুঁত রয়ে গেছে। বেইমানদের অন্যতম এক হোতাকে কোথাও পাওয়া যায় নি। ঘটনার পরপরই লোকটাকে তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রদূত করেছিল। পরবর্তীতে অবশ্য রাষ্ট্রদূত থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তানি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, কিন্তু কেমন করে জানি ব্যাটা টের পেয়ে পালিয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে ঐ লোককে ওরা ফাঁসিতে না ঝুলিয়ে রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিল। অবশ্য দেশে থাকলে ও যে কিছুতেই বাঁচতে পারবে না তা ভালোই বুঝেছিল, সে কারনেই মর্যাদায় নিচের দিকে থাকা পোষ্টে যেতেও পিছপা হয় নি…হারামজাদা!!!
‘পালিয়ে কতদিন থাকবি তুই??? ধরা তোকে পড়তেই হবে…আর যেদিন ধরতে পারব, সেদিন তোর বিচার আমি নিজের হাতে করব।’ আপন মনে গজরাতে থাকল কায়সার।

২।

উত্তরা সাত নম্বর সেক্‌টরের ১৮ তলা বিশাল বিল্ডিং এর বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এর ভেতরে কারা থাকে বা কি কাজ হয়, বাইরের সাইনবোর্ড যদিও বলছে বাড়িটির মালিক কোন এক রহমান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, কিন্তু তাদের কি ব্যবসা কিংবা কার্যক্রম সে ব্যাপারে আশপাশের মানুষদের কোন ধারনা নেই। বাড়িটির চারপাশে বেশ উঁচু দেয়াল। তার উপর আছে কাঁটাতারের বেড়া। বেড়ায় একটু পরপর বিপজ্জনক সাইন দেখে বোঝা যায় এটি ইলেক্ট্রিফাইড। দেয়াল এর পর ৫০-৬০ গজ যাবার পর বিল্ডিং এর কাঠামো শুরু। সে কারনে ২৪ ঘন্টা চালু থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো বাইরে থেকে দেখা যায় না। অবশ্য দেয়ালের কাঁটাতারের ফাঁকে ফাঁকে থাকা ক্যামেরাগুলো প্রায়ই সাধারন মানুষের কৌতুহলের উদ্রেক করে। কিন্তু কেউ যদি মিনিট খানেকের বেশি বাড়ির আশপাশে বিনা কারনে দাঁড়িয়ে থাকে, ভেতর থেকে দশাসই চেহারার লোক এসে তাকে ‘বিনীত’ভাবে সরে যেতে বলে।

কাগজে-কলমে রহমান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট এর ব্যবসা দেখালেও আসলে এটি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর হেডকোয়ার্টার। যার নাম রাখা হয়েছে এসএসবি বা সিক্রেট সার্ভিস অব বাংলাদেশ। ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারী মাসে ভয়াবহ পিলখানা ট্রাজেডির পর দেশের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস পুরো নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। এটা বোঝা যাচ্ছিল, দেশের তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ-এনএসআই, ডিজিএফআই, সিআইডি, ডিবি কিংবা এসবি এর কোনটাই আর স্বচ্ছ নেই। কিন্তু কে বা কারা বেঈমান তা বোঝার কোন উপায় ছিল না। নিরুপায় হয়ে দেশের হর্তাকর্তারা মিলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান একটি স্বতন্ত্র সংস্থা গড়ে তোলার। ব্যাপারটা অনেকটা নিজের লেখায় করা ভুল বানান অন্যকে দিয়ে শুধরানোর মতন।
এসএসবিকে গড়ে তোলা হয়েছে মূলতঃ যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই কিংবা সিআইএর মতন। এদের হাতে আছে অসীম ক্ষমতা এবং শক্তি, অর্থাৎ দেশের কেউ আনটাচেবল নয়। সংস্থাটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, তাদের জবাবদিহিতা আছে শুধুমাত্র দেশের প্রধানের কাছে। তবে, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধের জন্য এর চীফ করা হয়েছে এমন একজনকে যিনি সৎ, নির্লোভ, দেশপ্রেমিক এবং অবশ্যই তাঁর আছে কাজ ঠিক মতন আদায় করে নেবার কঠোর মানসিকতা…উপরন্তু নির্দিষ্ট সময় পর পর সংস্থাটির কাজ-কর্মের মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে, যেটি করে দেশের প্রধানের সুপারিশকৃত একটি কমিটি।

সবার নিরংকুশ সম্মতিক্রমে এসএসবি’র চীফ করা হয়েছে মেজর জেনারেল (অবঃ) আনিসুর রহমান (বীরপ্রতিক) কে। অন্যায়ের সাথে আপোসহীন এই
লোকটি দায়িত্ব নেবার আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলের নেত্রীর কাছ থেকে ‘তার কোন কাজে অন্যায় হস্তক্ষেপ করা হবে না’ -টাইপ একটি বন্ড সই করে নিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালে এসএসবির সদস্যরা শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীরই ছিল। পিলখানার ট্রাজেডীর পর প্রচুর জুনিয়র এবং মাঝারী সিনিয়র অফিসার চাকুরী থেকে অব্যহতির আবেদন করেছিল, এদের থেকে বেছে বেছে খুব সাবধানে রিক্রুট করা হয়েছে। বর্তমানে বেসামরিক লোকদেরও নেয়া হচ্ছে, অবশ্যই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে। তবে, ফিল্ডে যারা থাকে তারা সবাই সামরিক কর্মকর্তা বা কর্মচারী । শুরুতে এসএসবির কার্যক্রম ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় সদরগুলোতে থাকলেও বর্তমানে তা দেশের প্রতিটি জেলায় পৌঁছে গেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চল এর আয়তায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসএসবির সেকেন্ড ইন কমান্ড বা টুআইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান চৌধুরী। প্ল্যানিং সেকশনটা ইনিই দেখে থাকেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর মতন ব্রিলিয়ান্ট অফিসার খুব কমই আছে। জীবনে কোন কোর্সে তিনি সেকেন্ড হন নি, তা দেশেই হোক বা বিদেশে। এসএসবির সফলতার পেছনে লম্বা, সুদর্শন এবং বুদ্ধিমান এই অফিসারের অনেক কৃতিত্ব রয়েছে। আর্মিতে থাকলে খুব সহজেই এক সময় সামরিক বাহিনীর প্রধান হতেন বলে সবাই ধারনা করে, কিন্তু দেশের স্বার্থে সব ছেড়ে ছুঁড়ে এসএসবি’তে চলে আসাতেও কেউ অবাক হয় নি, কারন অন্য সব কিছুর মতন তাঁর দেশপ্রেমও সন্দেহাতীত। যদিও এসএসবিতে আসা মানে চাকুরি ছাড়া নয়, তবুও এখানে আসার পর আর যাই হোক এ জীবনে যে আর তাঁর আর্মি চীফ হওয়া হচ্ছে না সে ব্যাপারে ইমরান চৌধুরি নিঃসন্দেহ।

যাই হোক, প্রতিষ্ঠার পরপরই এসএসবি বিপুল বিক্রমে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তথাকথিত তদন্ত রিপোর্টকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক বছরে মাথায় তারা দোষীদের বেশিরভাগকে পাকড়াও করে। অনেকে বিদেশে পালিয়ে বেঁচেছে, কেউ বা আত্মহত্যা করেছে। বার জন এমপি এবং মিনিষ্টারসহ দেশের অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকেও গ্রেপ্তার করে শাস্তির আয়তায় আনা হয়েছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল তারা কেউই ছাড় পায় নি। এটা সত্যি যে, যা হয়েছে বা যা আমরা হারিয়েছি তার পূরণ কোনদিনই সম্ভব না…তবে, স্বান্ত্বনা একটাই- তাঁদের আত্মাদের কিছুটা হলে শান্তি দেয়া গেছে।

দেশের ভিতরকার শত্রুদের ঠান্ডা করে এসএসবির বর্তমান লক্ষ্য বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। এ লক্ষ্যে বছরে শুরুতেই দেশের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি দুটো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছে। এরা সার্বক্ষনিক দেশের উপর প্রদক্ষিণ করছে। স্যাটেলাইট দুটোর কারনে দেশের প্রতিটি বর্গসেন্টিমিটারে নজরদারি রাখা সম্ভব হচ্ছে। বলাই বাহূল্য, স্যাটেলাইট দুটি নিয়ন্ত্রণ করে এসএসবি! এছাড়া ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপুর্ণ শহরগুলোতে এসএসবির শাখা খোলার কাজ চলছে। কোথাও কোথাও হচ্ছে একাধিক শাখা।

৩।

ক্রিং ক্রিং।
টুআইসি’র ফোন। ভরাট কন্ঠে বললেন,
-‘কায়সার একটু স্যারের রুমে আস। আমিও যাচ্ছি’
তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠে প্রথমে ইন ঠিক করে নিল কায়সার। ‘কি এমন জরুরী ব্যাপার হতে পারে, যে স্যারের রুমে যেতে হবে’-এই সব আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে লিফটে উঠে ১৬ তলায় এল। এই ফ্লোরেই চীফের অফিস, এবং ইমরান স্যারেরও। পৃথিবীতে এই একটা লোকের সামনে যেতেই ও নার্ভাস ফিল করে। এর কোন ব্যাখ্যা ওর জানা নেই। খুব ইচ্ছে ছিল স্যারের পিএ ইলোরাকে জিজ্ঞেস করবে ব্যাটার মুড কেমন আছে, কিন্তু কপাল খারাপ ও ডেস্কে নেই। কি আর করা! রুমে ঢোকার ঠিক আগ মুহুর্তে এক পায়ের মোজায় অন্য জুতার সামনের অংশটুকু ঘষে নিয়ে নক করল।
-‘স্যার, আসব?’
-‘কাম ইন।’
কামরার ভিতরে ঢুকে ধীর পায়ে চেয়ারের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। চীফের রুমে আসবাবপত্র নেই বললেই চলে। বড় একটা চারকোনা টেবিল, টেবিলে একটা ডেস্কটপ, যার মনিটরটা এলসিডি টাচ্‌স্ক্রীন প্রযুক্তির। পাশে আর একটা ছোট্ট টেলিফোন রাখার টেবিল। যেখানে আছে তিনটি ফোন। আর টেবিলের চারপাশে আছে চারটি চেয়ার। ব্যাস!
-‘দাঁড়িয়ে আছ কেন? বস।’
-‘থ্যাঙ্ক ইউ, স্যার।’

ইমরান স্যার একটা হ্লুদ রঙের খাম থেকে কিছু ছবি বের করে চীফের দিকে দিলেন। কিছুক্ষণ একনাগারে ছবিগুলো দেখে এক সময় ওগুলো কায়সারের দিকে ঠেলে দিয়ে বললেন,
-‘দেখ তো চিনতে পার কিনা??’
ছবি হাতে নিয়ে চমকে উঠল কায়সার। একে না চেনার কি আছে??? কল্পনায় কতবার যে হারামিটাকে ও খুন করেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু…
-‘স্যার ছবিগুলো এই মাত্র আমাদের হাতে পৌঁছেছে। অবশ্য ওয়াশিংটনের দায়িত্বে থাকা এজাজ আমাকে আগেই জানিয়েছিল। আর সাথে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আছে স্যার। ডিএনএ টেস্ট এবং দাঁত দিয়ে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। পার্ফেক্ট ম্যাচ! শেষ পর্যন্ত ধরা তাকে পড়তেই হল…এজাজ বলেছে, ওখানকার পুলিশ এটাকে হিট এন্ড রান কেস বললেও ও নিশ্চিৎ এটা মার্ডার। আপনি তো জানেনই স্যার অনেক জুনিয়র ছিল যারা ওকে মেরে জেলে যেতেও প্রস্তুত ছিল। সম্ভবত তাদেরই একজন ওর খোঁজ পেয়ে যায়। আমরা কি এই ব্যাপারে কোন তদন্ত করব, স্যার???’
-‘দেখ, ইমরান- লোকটা আমার কোর্সমেট হলেও ওর মৃত্যুতে আমি একটুও কষ্ট পাই নি। কারন, আমি আগেই জানতাম এ রকম মৃত্যুই ওর কপালে আছে।
ইট ওয়াজ জাস্ট আ ম্যাটার অব টাইম। কায়সার তুমি কি বল?’
-‘ইয়ে মানে স্যার, আমি কি আর বলব…তবে ঘটনাস্থলে আমি নিজে উপস্থিত থাকতে পারলে খুব খুশি হতাম…’ চোয়াল শক্ত করে ও জানাল।

মেজর জেনারেল (অবঃ) আনিসুর রহমান মৃদু হেসে বললেন,
-‘সি, হোয়াট আই মেন্ট???’
-‘ইয়েস স্যার’
-‘তাহলে স্যার, অপারেশন ‘স্লগ সুইপ’ এখন অফিসিয়ালি ক্লোজ করার সময় এসেছে। এন্ড আই এম ভেরি হ্যাপি টু সে দ্যাট-ইট ওয়াজ এ গ্রেট সাকসেস,
স্যার!’
– ‘ওয়েল, ক্রেডিট গো’জ টু অল দ্যা বয়েজ। বিশেষ করে তুমি এবং মেজর কায়সার। ইউ টু ওয়্যার এক্সেপশোনাল।’
-‘থ্যাংক ইউ, স্যার!’
– ‘তবে, একটা কথা কি জান? আমাদের মিশন কিন্তু আসলে এখন থেকে শুরু হল। এতদিন যা করেছি তা ছিল ট্রেইলার মাত্র, এখন শুরু হবে আসল ছবি।
কারন, দেশের শত্রুর তো অভাব নেই, আবার কে কি প্ল্যান করছে কে জানে! আমাদের সবসময় এভাবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে।’
– ‘ইয়েস স্যার’-সমস্বরে ইমরান এবং কায়সার বলে উঠল।
-‘ওকে বয়েজ, দ্যাট্‌স ইট ফর নাউ…ইউ গো অন এন্ড সেলিব্রেট ইউর সাকসেস…কংগ্রাচুলেশন্‌স ওয়ান্স এগেইন!!! ক্যারি অন।’

দুই জন চীফের রুম থেকে বের হয়ে পড়ল। ইমরান স্যার কায়সারকে দু একটা ছোট-খাট নির্দেশ দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলেন। কায়সারও ধীর পায়ে লিফটের দিকে হাঁটা দিল।

……

ডিস্ক্লেইমারঃ মাসুদ রানা’র আদলে সিরিজ লেখার ইচ্ছে আমার অনেক দিন থেকেই। কিন্তু সাহসের অভাবে কখনো হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত সাহস করে প্রথম পর্ব দিলাম। আপনাদের ভাল লাগলে পরবর্তিতে আবারো হাজির হব, তবে সমস্যা একটাই কোন যুতসই নাম খুঁজে পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে এবং লেখার ব্যাপারে আপনাদের মূল্যবান মতামত আশা করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।

৪২ টি মন্তব্য : “এসএসবিঃ সূচনা পর্ব”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    জুনা......দারুন লিখছিস্‌! দারুন! :boss: :boss:
    আবার যেন মাসুদ রানা পড়ার থ্রিলটা পাচ্ছি। পরের পর্বগুলো দিতে দেরী করবি না, তাহলে খেই হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে।
    তোর এই সূচনা পড়ে এখনও কোন নাম খুঁজে পাচ্ছি না। পরে বলব নে।

    জবাব দিন
  2. রাশেদ (৯৯-০৫)

    ব্লগে সিরিজ লেখকরা সব সময়ই খেলাপী 😛 এইবার দেখি আপ্নে কোন পথে যান :grr:

    এইখানে কি মূল্য এক কোটি টাকা মাত্রর মত কিছু থাকার চান্স আছে 😀


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  3. তাইফুর (৯২-৯৮)

    বড়লোক হইলি ক্যাম্নে সেইটা আগে কইয়া ল ...
    (লেখা বরাবরের মত চ্রম হইছে ... শুশ্রুষা প্রকাশনী'র ব্যানারে দেখি তোর এই সিরিয়াল নিয়া কিছু করা যায় কি না)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
      • তাইফুর (৯২-৯৮)
        ঘটনার পরপরই লোকটাকে তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রদূত করেছিল।
        আপনি তো জানেনই স্যার অনেক জুনিয়র ছিল যারা ওকে মেরে জেলে যেতেও প্রস্তুত ছিল। সম্ভবত তাদেরই একজন ওর খোঁজ পেয়ে যায়।
        ’দেখ, ইমরান- লোকটা আমার কোর্সমেট হলেও ওর মৃত্যুতে আমি একটুও কষ্ট পাই নি। কারন, আমি আগেই জানতাম এ রকম মৃত্যুই ওর কপালে আছে।
        ইট ওয়াজ জাস্ট আ ম্যাটার অব টাইম।


        পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
        মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

        জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    কবীর ভাই,

    সত্যি কইতাছি-খুব চমৎকার একটা উদ্যেগ।প্লিজ প্লিজ প্লিজ বন্ধ করবেন না।কল্পনায় দেখতে দেখতেই একদিন তা বাস্তবে পরিণত হবে ইনশা আল্লাহ।লেখাটা খুব ভাল লাগছে।তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন প্লিইইইইইইইজ...

    অফ টপিক-আমারে এস এস বিতে ঠোলা থেইকা আসা একটা অফিসারের চরিত্র দিয়েন আমার ঠোলা হৈতে মঞ্চায় :shy:

    জবাব দিন
  5. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আমি জুনা... ;;)
    কাইয়ূম ভাই এর বাসা থেকে লিখছি... 😀
    আমি আপাতত কিছুদিন মনে হয় রেগুলার থাকতে পারব না... 🙁
    তবে শীঘ্রই আবার নিয়মিত হব ইনশাল্লাহ্‌... :dreamy:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  6. দিহান আহসান

    জুনায়েদ ভাইয়া, খুব ভাল হয়েছে। তোমাকে আবার ফর্মে দেখে খুব ভাল লাগছে। :tuski:
    আমাদের দেশে কবে এমন একটি সংস্থা হবে? :dreamy:
    দোয়া রইল, তাড়াতাড়ি অনেকগুলো পর্ব নিয়ে চলে আসো। 😀

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জাহিদ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।