অবাস্তব আকাঙ্খা

তুমি কেন এত সুন্দর?
কোন্ অপার্থিব নীলিমায় সৃষ্টি?
অস্পৃশ্যতার আড়ালে অনুভূতির ছোঁয়া
অবাস্তবতার সুস্পষ্ট দেয়াল
যাকে ভাঙতে আমি অপারগ।

তোমায় খুঁজে ফিরি আমি-
অদৃশ্যালোকে,তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশে
তোমার প্রত্যক্ষ আস্তিত্বিক প্রকাশ।
যেভাবে খুঁজে ফেরে জ্যোতির্বিদ;
নীহারিকা, দূর নক্ষত্রালোকে।

আমার ব্যার্থতায় আমার বিরহ
প্রতিক্ষণে আমার আর্ত হাহাকার
প্রতিটি রাত, দুঃস্বপ্নময়।
দূর হতে ভেসে আসা কন্ঠস্বর-
চিনিয়ে দেয় নিজেকে।

আমার আকাঙ্খার মাঝে তুমি
নারী নও, কোন এক মায়াবী সত্তা;
তোমাকে পাবার আকাঙ্খায় আমি
বেঁচে রব জন্ম থেকে জন্মান্তরে।

তবু জানি, পাবনা তোমায়
কোনদিনই-
কেননা তোমাকে শুধুই অনুভব কবা যায়,
ভোগ করা যায় না।

*************************************************

কবিতাটি ক্লাস ১০ এ(২০০৪) লেখা।আমার ৪৭নং কবিতা ।

১,৪৭৮ বার দেখা হয়েছে

১৮ টি মন্তব্য : “অবাস্তব আকাঙ্খা”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    জাবীর তোমার নাম্বারিং উলটা পালটা ক্যান? একবার দাও ৫৩, এর পর ৭১, এর পর ৬১, এখন আবার ৪১? কেসটা কি?

    "কোপানী" কেমন হইতেছে তোমার? পুরা ক্যাম্পাসে মাইয়া কয়জন এখন? গুইনা শেষ করা যায়? আমাদের সময় আমরা তো গুইনা শেষ করতে পারতাম, এখনো কি মরুভূমি নাকি জায়গাটা?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • জাবীর রিজভী (৯৯-০৫)

      মাইয়া মোটামুটি ভালই....তয় চাইয়া দেখন যায় না 🙁

      গত দুই বছর আগেও সবগুলা মাইয়ারে চিনতাম 😀 ..আর এখন এতো বেশি যে ২০-৩০ টা ছাড়া কাউরেই চিনি না।রোকেয়া হল ২ বার এক্সটেনসন করছে....সামনে আবার করবে....

      তারপরো ধু ধু মরুভূমি......২০:১ 🙁

      আর আমার ফেব্রিট কবিতাগুলাই আপাতত দিচ্ছি.....তাই উল্টাপাল্টা...মাইন্ড কইরেন না,প্লিজ.... 🙂 🙂

      আর কোপানি জোশ্ চলতেছে...... 😉 🙂 🙂 🙂

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        রোকেয়া হলে আবার এক্সটেনশন হয় নাকি?

        আমাদের সময় হল ছিল না, একটা বিল্ডিং এ ওরা থাকত, আমরা কইতাম ৫ নম্বর। চারটা ছেলেদের হল, প্রতিটার নাম আছে, একটা মেয়েদের হল, নাম নাই, তাই ওইটার নাম ৫ নম্বর। ছাত্র-শিক্ষক তো বটেই, ফুলবাড়িগেটের সবাই ওইটারে ৫ নম্বর কইয়া ডাকত।

        এর পর মেয়েদের হল হইল, রুম খালি, রুম আছে থাকার লোক নাই, এই অবস্থা। এর এখন এক্সটেনশন করে, নাহ তোমরা সুখেই আছ দেখি।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • জাবীর রিজভী (৯৯-০৫)

          ৫ নম্বর এখন ইতিহাস......প্রায় ৪০০ এর মতো মেয়ে আছে এখন রোকেয়া হলে।তারা সারাদিন কিচির মিচির করে। আমাদের এখানে এখন অনেক অনুষ্ঠান হয়।প্রধানগুলো বাদে-নারী দিবস,কবিতার আসর,নবীন বরণ,বিদায় অনুষ্ঠান, আন্ত: হল ইনডোর গেমস,সাইবার গেমস,ডিপার্টমেন্টের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান........সব সময় ক্যাম্পাস একেবারে "হট কেক" হয়ে থাকে।আমি শিওর,আপনি ক্যাম্পাসে আসলে কিছু চিনতেই পারবেন না। 🙂

          রশীদ হলের(আমার হল) সামনে আড্ডাটা সন্ধ্যায় ভালই জমে! 😉

          এতকিছুর পরও সেশনালের রিপোর্ট তৈরী করতে হয়......ক্লাস টেস্টও দিতে হয়। 🙁

          জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়েজ (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।