আবার শালা জ্যাম! শালার ঢাকা শহরের কবে যে উন্নতি হবে! ৩০ মিনিট ধরে নিউমার্কেটের জ্যামে আটকা আছি। হেঁটে গেলে এতক্ষণ ৪ বার টিএসসি যাওয়া-আসা করা যেত! পারলে যেতাম। কিন্তু রিকশায় ওর পাশে বসা হবে না। গতরাতে ভাল করে ঘুম হয়নি। হঠাৎ ফোন,ভাইব্রেশনে শুধু ফোন না,আশেপাশের সবকিছুই যেন ভাইব্রেট করছে! রাশেদ ফোন দিল নাতো! ওর হাতটা ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করলাম। আম্মুর ফোন। “বাবু,তুই কই?” “আমি আজিমপুর”,সচরাচর এটাই আমার উত্তর। “তোর আব্বু খুব অসুস্থ। তাড়াতাড়ি চলে আয়। পারলে আজকের মধ্যে।” বুঝলাম সিরিয়াস কিছু। টিএসসি যেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করলাম। ও বলল,”আজ বিকেলের বাসেই তুমি সিরাজগঞ্জ চলে যাও”। এবারের শপিং মনে হয় আর করা হল না!
৫ টার লাস্ট বাস ধরে বাসায় চলে যাই। আরও ৩ দিন ঢাকা থাকার কথা ছিল। ওর জন্য মনটা খারাপ হয়। আবার যে কবে দেখা হবে! আবার আব্বুর জন্য টেনশনও হয়,এই মানুষটাকে যে আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসি! এমন কি আর্জেন্ট ঘটনা ঘটতে পারে!?
বাসায় এসে যা দেখি,সপ্নেও ভাবিনি। আব্বু বেডে শুয়ে। চাচারা এসেছেন। গতরাতে পরপর ২ বার স্ট্রোক করে আব্বুর পুরো বাম পাশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে। মুখের বাম পাশও বাঁকা হয়ে গেছে। কথা বলতে পারছে না। বাবা-মার একমাত্র সন্তান আমি। যে মানুষটার কোলে চড়ে সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছি,সেই মানুষটা আজ ছোট্ট শিশুর মত বিছানায় শুয়ে আছে! বাইরে এসে চাচাদের সাথে বসে ঠিক করলাম,কি করা যায়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত হার্ট স্পেশালিষ্ট ড: মঞ্জুর কাদের প্রতি সপ্তাহে সিরাজগঞ্জ আসেন। কিন্তু তার আসার এখনো ৩ দিন বাকী! সিদ্ধান্ত হল। এ্যপয়নমেন্ট ঠিক করলাম। আপাতত ফোনে আব্বুর ট্রিটমেন্ট চলল।
ডাক্তার বলে,”এযাত্রা বেঁচে গেছে। ২ বার। থেরাপী আর ওষুধ কন্টিনিউ করতে হবে। ফুল বেড রেস্ট। আর কোনভাবেই উত্তেজিত হওয়া যাবে না।পরেরবার…….”
তিন মাসের মাথায় আব্বু মোটামুটি সুস্থ হয়ে যায়। আমি খুলনা ব্যাক করি। পড়ালেখার অনেক গ্যাপ পড়ে গেছে। কুয়েট কিনা!
প্রতিদিনই নীলার সাথে ফোনে কথা হয়। ওর অসুখের কথা আমার আর জিজ্ঞেস করা হয় না।
(চলবে…)
দুনিয়াজুরা পচুর অসুখ।
রিকসা চড়তে ভালো লাগে বুঝলাম। কিন্তু কখন? বৃষ্টির দিনে না তো আবার? 😉
দুইডাই মজার 😛
ধুর্...
খালি অসুখ আর অসুখ... :thumbdown:
তুমি তো মিয়া টেনশনে ফালায়া দিতেছ... 😕
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সামান্য মাথা ব্যাথা। চিন্তার কিছু নাই মনে হয়। তাই না জাবীর?
😐
ঘাবরাও মাত......**** আভি আভি ফ্রি হ্যায়..... 😉
আমি কি প্রথম?
বিশাল কঠিন প্রশ্ন কর্লেন ভাই। দাঁড়ান সানাউল্লাহ ভাইরে জিজ্ঞেস করে আসি ...
না। ৩য় 😀
ব্যাপার নাহ্ । প্রথম হওয়া না বরং অংশগ্রহণ করাটাই... 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সহমত.... :))
ঐ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ওই তোর প্রব্লেম কি? এতো দিন পর মাত্র এই টুকু লেখসোস?
কাইল সারা রাইত ধইরা মাইক্রোপ্রোসেসরের প্র্যাকটিক্যাল লিখছি। ৪০ পৃষ্ঠা। :(( :((
হাতে খুব ব্যাথা :(( :(( :((
এর আগের কয়দিন হাত দিয়া কি করছোস? x-( x-(
নীলা লেখছি.....৪টা কবিতা লেখছি....খাইছি...মাউস টিপছি.....ক্লাসনোট লেখছি....আরো একটা লেখা লিখতাছি সিসিবির জন্য(নাম কমু না)......আরো কইতে হইবো,রবিন ভাই 😀
কথা কম ক, পরের পর্ব দে
আইজ রাইতেই পাইতে পারেন। নইলে কাইল 😀
এই নীলার খারাপ কোন সংবাদ দিবি শেষ পর্যন্ত এইটাই সমস্যা।
আরে না, দিব না। সব খারাপ বাপ-মার উপ্রে দিয়া যাইব বুঝতে পারছি, নীলা সেফ সাইডে আছে। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তাই যেন হয়।
মেগাসিরিয়াল ভালই চলছে :clap:
:hatsoff:
ভারতীয় মেগাসিরিয়াল আবার যেন না হয়.........কাহিনী যেন অন্য দিকে মোড় না লয়।
ইনস্ল্লাহ, হবে না। 🙂
বেশ ইন্টারেস্টিং। :dreamy: :dreamy:
আমিও :dreamy: :dreamy: :dreamy:
হুম
:no: