উন্মাদের উল্লাস

অথবা এও হতে পারে,

তোমার খোলা চুলে

জোৎস্নার খেলা দেখে

জীবনকে প্রশ্ন করেছিল সে

“আবার কেন এলে?”

পাল তোলা নৌকার

পরিস্রমী মাঝিদের

কোন এক অক্লান্ত ভোরে

মাছ না পাওয়ার হাহাকারে

আমারও দুফোটা ঘাম ছিল।

দুর্দান্ত প্রতাপশালী সূর্যকে

বিকেল বেলায় অসহায় মনে হয়েছিল।

বাতাসের গায়ে এসিড ক্ষত

আমাকেও কাদিয়েছিল।

জীর্ন পাখিদের কদাচিৎ মেলামেশায়

বাগানের ফুলেদের বেদনায়

আমিও করেছি মাতম।

ঘুমতে জাইনি কত রাত

জেগে জেগে জোনাকিদের

দেখেছি জাতায়াত।

শিশুর মুখে অন্ন না জোটার জাতনায়

মায়ের কান্নায় হয়েছি শামিল।

পথে পথে হেটেছি ভিক্ষারির সাথে

শুনেছি তার গল্প, ছেরা বস্ত্রের স্বপ্ন।

কত রাত গেছে শুধু সেই সব ভেবে।

চোখ বুজে কতবার

চেয়েছি মেলাতে মহাশুন্যে।

এ সবের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে

কতবার খুজেছি তোমায়

দাত কামরে আছড়ে পড়েছি

ঘাসের ছায়ে

নিস্তার না পেয়ে

আবার হেটেছি নগ্ন পায়ে

এভেবেই ছুটেছি এতদিন

অবলা পাষানের মত, অন্তহীন

মেনেইত নিয়েছি, অকপটে, প্রশ্নহীন।

তবে আবার কেন এলে?

নিয়ে নীল স্বপ্নের অন্তমীল?

ভেবেছো সব ভুলে

আমার এত কালের গল্প

হোক তা বাস্তব, হোক তা কল্প

মেলাব তোমার কলে?

ভেবেছো এক হাসিতেই করে নেবে জয়

আমার ঘুনে খাওয়া অলিন্দের ক্ষয়?

পারবে ফেরাতে উত্তাল সেই ঢেউ?

ভোরে দিতে মাঝিদের শুন্য খেও

পারবে ফেরাতে সূর্যের হাসি?

পাখিদের যৌবন, বাতাসের প্রান

গোলাপের রেনুর রাশি?

এনে দেবে জোনাকির ঝাক?

মায়ের কলে শুয়ে শিশুর প্রশান্তির ডাক?

ভিক্ষারির ছেরা বসনে পশমের আলত পরশ

পারবে ফেরাতে তার জীবনে হরষ?

যদি না পার, তবে ফিরে এসে কোন লাভ নেই

কোন ছলনাতেই ভুলবোনা তোমার বরবরতা

আমি চাই মুক্তি,

আমি চাই শক্তি,

তোমাকে ছাড়া বাঁচবার।

এই পৃথিবীকে আরও একবার

নিজের করে দেখবার।

৪৫৯ বার দেখা হয়েছে

১টি মন্তব্য “উন্মাদের উল্লাস”

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।