এ ট্রিপ টু রিমেমবার – শেষ পর্ব

এই জীবনে কখনোই লেখালেখি করিনাই। কিন্তু এবার নেপাল ভ্রমন করছি এমন কিসু বন্ধুর শাথে যারা সবাই একেক জন উচ্চ মানের লেখক। সবাই যখন মোটামুটি লিখে ফেল্লো, তখন ই আমি বিপদ এ পরে গেলাম। আমাকে নাকি শেষ পর্ব লিখতে হবে | আমি সিসিবি তেই নতুন| কেবল কমেন্ট দেওয়া শুরু করছি. কিন্তু টুম্পা আর তানভির এর পিরাপিরি তে লিখতে বসলাম।

যাই হোক, নাগর কোট এ সূর্যোদয় দেখে একটা জম্পেশ নাস্তা সেরে সবাই হোটেল এ ফিরে এলো. আমি অবশ্শ জানায় কারণ সারাং কোট এ সূর্যোদয় দেখার পর আমার আর সকালের ঘুম তা নষ্ট করতে ইচ্ছা হয়নি. সবাই যখন ফিরল আমি তখন ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেতে গেলাম আর রবিন পিরা গেল. টুম্পা যথারীতি জো এর বলেত খালি করায় তত্পর হয়ে গেল. আমি নাস্তা সেরে বেরিয়ে পরলাম থমেল আবিষ্কারে. এইদিকে সাছেন (সাজ্জাদ) পুরাপুরি কিংকর্তব্ববিমূর. কি করবে বুঝ্তেসেনা. অতপর সে তানভীর এর পথ অনুসরণ করে ঘুমানোই ঠিক মনে করলো. এরপর আমরা ঠিক করলাম জাদুঘর দর্শন করব এবং তারপর লান্চ করব. কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আমরা দুপুর ১ টায় যেয়ে দেখি জাদুঘর বন্ধ হয়ে গেসে. ভগ্ন হৃদয়ে তাই জাদুঘরের সামনে ছবি তুলেই লান্চ এর জন্য রওনা দিলাম. ভেনু: kFC।

DSC04495DSC04494
DSC04498
DSC04499

লান্চ শেষ করে আমরা বেরিয়ে পরলাম আমাদের শেষ দিনের ভ্রমন এ. গন্তব্য তিনটা মন্দির. দেশে থাকতে মসজিদ এর চেহারা শুক্রবার ছাড়া দেখা হয়না অথচ নেপাল গিয়া মন্দির দেখার উত্সাহ চোখে পরার মত ছিল. আমরা ২ ঘন্টায় ৩ টা মন্দির দেখে ফেললাম র যথারীতি প্রচুর পরিমানে ছবি তুললাম.

DSC04536

DSC04575

DSC04589

মন্দির দর্শন শেষে সবাই হোটেল এ ফিরে এলাম. কেউ কেউ হোটেলে থেকে গেল আর আমি এবং রবিন বেরিয়ে পরলাম শেষবারের মত রাতের কাঠমন্ডু আবিষ্কারে. বরাবরের মত এবার সাসেন আমাদের কাছ থেকে আমাদের গতিবিধি সম্পর্কে জেনে নিল এবং আমাদের অবাক করে দিয়ে বলল যে “তরা যা, আমি আর আজকে যাবনা.” এর কারণ হলো আগের দিন রাতে সাসেন তার মাথার টুপি চুরে মেরেছে এই দুক্ষে যে নেপাল আইসা তার পুরা টাকাটাই লস হইছে.

যাইহোক, আমি আর রবিন একটা কাসিনো তে যেয়ে ঢুকলাম. রবিন ৫০০ রুপী দিয়ে তার খেলা শুরু করলো. রবিন বিজ্ঞ বেক্তির মত খেলতে থাকলো আর আমি পাশে দাড়িয়ে খেলা দেখতে থাকলাম যদিও তার এক বিন্দুও আমি বুঝলাম না. ১ ঘন্টার ভিতরে আমাদের বিখ্যাত রবিন বীর এর মত ১৫০০ রুপী লাভ করে কাসিনো থেকে বের হলো. আবার মানতে হল, রবিন দি পিরা – আসলেই উচু মানের খেলোয়ার.

হোটেলে ফিরে এসে আমরা আমাদের কাঙ্খিত নেপাল ভ্রমণের এইটি টানলাম. পরদিন সকালে উঠে টুকটাক সপ্পিং করে আমরা বেরিয়ে পরলাম এয়ার পোর্টের উদ্দেশ্শে. এয়ার পোর্ট যাবার পর ওখানে হালকা স্নাচ্কস খেয়ে আমরা ইমিগ্রেশন শেষ করে যেই ফ্লাইট এর দিকে যাব তখন দেখি তানভির নাই. খোজাখুজি করে দেখা গেল ওর পাসপোর্ট এ ইমিগ্রেশন অফিসার সিল দেয়নি. বেচারা বেশ কিসুক্কন দৌড়াদৌড়ি করে শেষমেষ আমাদের মাঝে ফিরে এলো এবং আমরা ফ্লাইট এ উঠলাম.
DSC04618

দেশে ফিরে আবার আমাদের সেই পুরানো জীবনে ফিরে গেলাম কিন্তু এখনো আমরা একসাথে হলে আমাদের হিন্দী ভাষা টাকে ঝালাই করে নেই. কিছু বিখ্যাত হিন্দী আমাদের ভ্রমণের: আইশ কার, সো যাও, হায় (এইটা অমিতাভ বচ্চন এর হায়).

২,৫৯৫ বার দেখা হয়েছে

৪৪ টি মন্তব্য : “এ ট্রিপ টু রিমেমবার – শেষ পর্ব”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ১ ঘন্টার ভিতরে আমাদের বিখ্যাত রবিন বীর এর মত ১৫০০ রুপী লাভ করে কাসিনো থেকে বের হলো

    সিসিবি পরিবারের একজন পেশাদার জুয়াড়ী হইছে।ছ্যাঁ ছ্যাঁ :grr: (কপিরাইট-তৌফিক ভাই)

    জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    যাক, সমাপ্তিটা ভালো হইছে। 😀
    চালায়ে যাও শানে...... 😛

    শোন, এইটা তো তোর প্রথম পোস্ট। বড় ভাইদের, বিশেষ করে লাবলু ভাইকে এই পোস্টে এড়ায়ে চলবি, উনি এখানে আসা মাত্রই পালায়ে যাবি। 😀

    জবাব দিন
  3. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    ইমরান,
    অবশেষে সিসিবি'তে লিখা শুরু করলে। চালায়া যাও।
    (বানানের ব্যাপারটা খেয়াল রেখো)।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        আইচ্ছা এই আঁধারের প্রকৃত পরিচয় কি?আপনি সিনিয়র হইলে-" না ভাইয়া মানে আমি এই আপনাকে যাতে আর সম্মান দেখাতে পারি সেজন্য পরিচয় জানতে চাইছিলাম"।ফেরেন্ড হইলে-" ওই **** খাড়া তোরে কিলিক লাগানোর মজা বুঝাইতেছি" আর জুনিয়র হইলে-"যা সিএমেইচে নিজের জন্য সিট বুকিং দিয়া তারপর একটা লাঠি নিয়া আমার সামনে হ্যান্ডস ডাউন হ"...

        জবাব দিন
  4. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    দুস্ত, একটু ভুল করছিস।
    কিন্তু টুম্পা আর তানভির এর পিরাপিরি তে লিখতে বসলাম।
    এই জায়গায় হবে
    রবিন এর পিরাপিরি তে লিখতে বসলাম।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  5. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    লেখা তো নামাইলা...চান্দু... :clap:
    অহন কিয়ামত তক্‌ :frontroll: দিতে থাকো... 😡 x-( 😡
    প্রথম লেখা দিলা...মাগার :frontroll: দিবা না... তা-ই কি হয়!!!!!!! :awesome:

    অঃটঃ :just: ফেরেন্ড-দের নিয়া জম্পেশ লেখা দিবার পারলে...আপনা আপনি উইঠ্যা যাইও... :dreamy:
    নাইলে কিন্তু... লুঙ্গি পড়াইয়া লং আপ করানো হইবে!!!!!! :grr: :grr:
    *** জাহিদ...বিলাডি...!!!!!!! তুই অইন্যদের সতর্ক করানোর অফ্রাদে... পাগড়ি পিরা :frontroll: :frontroll: দিতে থাক্‌...!!!!!
    ****** আন্ধার মিয়া... তাড়াতাড়ি নিজের পরিচয় দিলে ভাল হয়... নাইলে কিন্তু ফিলিপ্‌স বাত্তি আইন্যা লাগানো হইবে...এবং পরিচয় হইবার পরে...সম্পর্কে কাভার করিলে কিয়ামত তক্‌ :frontroll: এবং লুঙ্গি পিরা লং আপ...উভয় শাস্তি-ই কার্যকর করা হইবেক্‌।


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন
  6. সামীউর (৯৭-০৩)

    আন্ধার ভাই অথবা বোন অথবা মধ্যের কিসু! অফ লাইনে থাইকা এতো কমেন্ট চালাচালি করলেন মাগার পরিচয় টা দিতে লইজ্জা কেন? সবের লগে পরিচিত হোন, রকিবের দোকানে মাশরুফের ছায়ায় চা খান, মাগার পরিচয় দিয়া।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।