পৃথিবীতে একদিন…! [পর্বঃ ১]

ভ্রু কুচকিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে ইভানা। কোথাও কোনও প্রাণের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ স্পেস-শীপ গুলোর থেকে এই শীপটা একটু আলাদা। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হাজার হাজার বাটন-এর ঝামেলা নেই, টাইটেনিয়াম কেব্‌ল, উপরে নিচে চতুর্দিকে এটা সেটার রেগুলেটর সুইচ, কিংবা জায়গায় জায়গায় মনিটরেরও বালাই নেই। মহাশূণ্যে প্রবেশের পর ওজনহীনতার ব্যাপারটাকেও কম্প্রোমাইজ করা হয়েছে নতুন এই ফেকন-4i শীপটায়। এখনি ল্যান্ড করা হবে কিনা কোন নির্দেশনা আসেনি এখনো। মেইন প্যানেল থেকে ৫টা অবজার্ভার রোবট পাঠানো হয়েছে। কোনরকম প্রাণের আভাস পেলে সাথে সাথে সিগন্যাল পাঠানোর কথা। কনফারেন্স রুমের বড় মনিটরটায় সেই সিগন্যালের আশায়ই তাকিয়ে আছে ইভানা। রোবটগুলোকে এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ইভানার কাছে অনেকটা ভিডিও গেমস্‌এর মত লাগে ব্যাপারটা। খুব আনন্দের সাথে এই কাজটা করে ইভানা।

 

শীপে ইভানা একাই মেয়ে না।  রাহান, তাজিন, মিনি এরাও আছে। এর মধ্যে মিনি আর রাহান ছাড়া বাকি সবারই এবারই প্রথম কোন স্পেস রিসার্চ প্রোগ্রামে অংশ নেয়া।

রাহান জুপিটারের স্বনামধন্য বড় বড় জুয়োলজিস্টদের একজন, যে কোনও ঝুকিপূর্ণ আর একটু এ্যাডভেঞ্চারাস অভিযান পেলে অনেকটা জোর করেই নিজের নামটা লিস্টে দিয়ে দেয় রাহান। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। সাহস আছে বলতে হয়। আর ওর সাথে তর্কে পারে এমন আরেকটা প্রাণী সারা জুপিটারে আছে কিনা সন্দেহ। অন্তঃত আমি তো রীতিমত ভয় পাই ওর সাথে কথা বলতে।

 

ক্যাপ্টেন তাজিন স্পেস রয়াল একাডেমী থেকে সদ্য বের হওয়া ৭ জন তরুণীদের একজন। আর্মফোর্সে মেয়েদের খুব একটা দেখা যায় না আজকাল, কিন্তু তাজিন ব্যতিক্রম। ছোট থেকেই তার শখ স্পেস আর্ম ফোর্সের অফিসার হবে একদিন। এই ধরণের মানুষগুলোর গ্রহে গ্রহে ঘুরে বেড়ানো, লোমহর্ষক সব অভিযানে একদিন নেতৃত্ব দেওয়া, এলিয়েনদের সাথে যুদ্ধ এইসব হাবিযাবি স্বপ্নেই বিভোর হয়ে থাকার কথা। এটাই ওর প্রথম অভিযান। গায়ে আর্মির রক্ত বইলেও মেয়েটাকে মোটেই দুর্ধর্ষ কিংবা জাদরেল মনে হয়নি কখনো।

 

আর মিনি পেশায় একজন ডাক্তার। খুব ভালো আর নির্ভরযোগ্য একজন নিউরোলোজিস্ট হলেও এখন পর্যন্ত তাকে সব-ধরণের রোগের চিকিৎসা দিতেই দেখা গেছে। আজকালকার সব স্পেস রিসার্চ প্রগ্রামেই ক্যান জানি একজন নিউরোলজিস্ট নতুবা একজন সাইক্রিয়াটিককে কেন পাঠানো হচ্ছে!! আমাদেরকে মানসিক রোগী বিবেচনা করা হয় নাকি কে জানে। আমাদের চীফ সাইফুনো আর ঐ ইফতান ছাড়া আর কাউকেই তো এই ধাচের মনে হয় না তেমন একটা!

 

ইভানা ওদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ। ফেকন-4i এর মত অত্যাধুনিক এই যানটির পাইলট সে। অটোরেগুলেটর থাকায় তাকে অবশ্য বেশিরভাগ সময়ই ককপিটে পাওয়া যায় না, যার জন্য অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও মাঝে মাঝেই ঝাড়ি দিয়ে বসি মেয়েটাকে। বয়সে তরুণ বলেই হয়তো পাইলটের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও অন্যান্য সব বিষয়েই তার আগ্রহের মাত্রা সীমাহীনের থেকেও সামান্য বেশি। আপাতত সে গভীর মনযোগের সাথে মনিটরে প্রাণের চিহ্ন খুজতে ব্যস্ত। এই কাজের জন্য যে মাইক্রোবায়োলজিস্ট সাহেবকে নিযুক্ত করা হয়েছিলো সে কাজ ফাকি দিয়ে কোথায় গেছেন কে জানে।

 

ইফতান-এর কোনকালেই মাইক্রোবায়োলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছে ছিলো না। অবশ্য ছোট থেকেই তার শখ যেটা ছিলো সেটাও আজীব গোছের। কেউ জানতে চাইলেই বলতো নামি-দামি হ্যাকার হবো। ইথারনেটে দিনরাত গুটুরমুটুর কী কী সব যেন করতে দেখা যায় ইফতানকে। ল্যাপটপের চল উঠে গেছে আজ থেকে কম করে হলেও আড়াইশ বছর আগে। ন্যানোটেকনোলজির বদৌলতে কর্ণিয়ায় LESD স্ক্রীন বসিয়ে নেয়ার প্রযুক্তিও আজকাল যেখানে পুরোনো হওয়ার পথে সেখানে ইফাতানকে এখনো সেই কোন এক মিউজিয়াম থেকে এত্তগুলো টোকার খরচ করে কেনা পুরোনো একটা ল্যাপটপ হাতে দেখা যায়। অতিরিক্ত আধুনিক কর্ণিয়া তার পছন্দ না। অবশ্য অতিরিক্ত কোনকিছুই তার পছন্দ না। এই যেমন করাকড়ি নির্দেশ থাকা স্বত্ত্বেও ল্যাব-আওয়ারে সে এপ্রন ছাড়া চলাফেরা করছে! আপাতত এই মহামনীষী স্টোর রুমের জঞ্জালের চিপায় বসে ল্যাপটপ হাতে কি যেন করছেন। এই সময় দরজায় ঠক ঠক ঠক, তিনটা টোকা পড়লো। তারপর এক সেকেন্ড থেমে আবারো দুইটা টোকা। সাথে সাথে ল্যাপটপ রেখে তড়িঘড়ি করে উঠে দরজার দিকে পা বাড়ালো ইফতান। প্রফেসর সাইফুনো এইদিকেই আসছেন খুব সম্ভবত। ইভানাকে এমনি শিখিয়ে-পড়িয়ে রাখা হয়েছে। জাদঁরেল সাইফুনো’র আভাস পেলেই যেন থ্রী-টু টোকা পদ্ধতিতে তাকে আগাম জানান দেওয়া হয়। বে-আইনী হলেও এই ইফতানের আদেশ ইভানাকে স্ট্রীকটলী মানতে দেখা যায়, তার কারণ- এর জন্যই তো কিছু সময়ের জন্য হলেও মনিটরের পর্দায় ভ্রু-কুচকানো চোখ রেখে বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব নেয়ার একটা স্কোপ পাওয়া যায়।

 

দরজা খুলতেই সামনে ইভানা ইয়া বড় একটা হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে! যাক, সাইফুনো না। এপ্রন গায়ে দিতে দিতে ইফতান করিডোর দিয়ে হাটা শুরু করলো ইভানার সাথে।

-“তুমি কী জানো? আজ প্রফেসর সাইফুনো তোমাকে আদর করে কোলে তুলে নিতে পারে!!” -মুখের হাসি তখনো যায় নি ইভানার।

-“মানে? কী করেছিস? ভাবটা এমন, যেন সত্যিই প্রাণের খোজ পেয়ে গেছিস অল-রেডি!! যাহ্‌ পাইলটগিরি কর গিয়ে”।–

 

-“ও.কে. তুমিই দেখো, কী আবিষ্কার করেছি…”

মনিটরের দিকে তাকাতেই ইফাতান-এর চোখ বড় বড় হয়ে গেলো!! রেডিও স্ক্যানিং ইন্ডিকেটরে ৫ সে.মি.-র-এরও বড় মাপের সিগন্যাল দেখাচ্ছে! মানে নিঃসন্দেহে একাধিক জীবন্ত প্রাণীর সম্ভাবনা শতভাগ। এনাউন্সিং স্পীকারে সাথে সাথেই অনেকটা চিৎকার করে জানিয়ে দিলো ইফতান।

 

সুদীর্ঘ পাঁচটা বছর ধরে এই গ্রহটা নিয়ে রিসার্চ চলছে। তার মধ্যে চীফ সাইফুনোর টীম-এর প্রায় দেড় বছর হলো। এর আগে যে দুইটি টীমকে পাঠানো হয়েছিলো তাদের আর খোজ পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা বিভাগ এই ব্যাপারটা বেমালুম চেপে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় এটা সাইফুনো ছাড়া আপাতত টীম-মেম্বারদের আর কেউই জানে না। গ্রহটা ঠিক কত পুরোনো এখনো পুরোপুরি বের করতে পারেনি বিশেষজ্ঞরা। এই গবেষণার দায়িত্বে আছেন মহাকাশ গবেষণা ইন্সটিউটের আরেক তরুণ রিসার্চার প্রফেসর তৌফিন। তরুণ হলেও এখানে সাইফুনোর পরে বয়সে আর অভিজ্ঞতায় তৌফিন দ্বিতীয়। সাইফুনোর নির্দেশে তড়িঘড়ি করে সবাই ২ মিনিটের মাথায় কনফারেন্স রুমে এসে হাজির। তাজিন আর রাহান এখনো এসে পৌছায় নি, ওদের কপালে বোধহয় আজকে সাইফুনের রাম-ঝাড়ি লেখাই আছে। সাইফুন চিন্তিত ভঙ্গিতে মনিটরের দিকে মুখ করে চোখ বুঝে আছেন। প্রাণের খোজ পাওয়া গেছে এ নিয়ে সবার চোখে মুখে খুশি খুশি ভাব। কিন্তু সাইফুনের কী হলো? নাকি প্রাণের সাইন পাওয়া কোনও খারাপ লক্ষণ?? আগামাথা কিছু না বুঝে আমি, ইভানা, ইফতান আর প্রফেসর তৌফি একজন আরেকজনের মুখ-চাওয়া চাওয়ি করছি। ও, এই ফাকে আমার পরিচয়টা সেরে ফেলা যাক।

 

আমি জিকোন। স্পেস-রিসার্চ কিংবা মহাকাশ-এর সাথে আমার সরাসরি কোনও যোগাযোগ নাই। এ্যপ্লাইড ফিজিক্সে পড়াশুনা করেছি। একটা ভার্সিটিতে জয়েন করেছি খুব বেশিদিন হয় নি। শখের বসে এমনি টুকটাক পত্রিকায় লেখালিখির অভ্যাস আছে। কিন্তু ঠিক কীসের ভিত্তিতে মহাকাশের মত ব্যাপারে  আমাকে সাইফুনো সিলেক্ট করে ধরে এনেছেন এখনো ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারিনি!!

 

এতক্ষণে রাহান আর তাজিন পা টিপে টিপে পেছনের দরজা দিয়ে এসে আমাদের পেছনে দাড়ালো। চোখে-মুখে ভীতু ভীতু ছাপ আর দুজনেরই জিহবা দাতে কামড়ানো। ভুল করলে কিংবা গিল্ট ফিলিংস-এ জিহবাকে কামড়ে ধরার এই বিষয়টা আমার কাছে ক্লিয়ার না, সময় করে একবার মিনি-কে জিজ্ঞেস করে ব্যাপারটা শুনতে হবে। হঠাৎ হল রুম কাপিয়ে দরাজ কন্ঠে সাইফুনোর ভয়েজ শোনা গেলো। রাহান আর তাজিন-এর ডাক এসেছে। ভয়ে ভয়ে এক স্টেপ সামনে গিয়ে দাড়ালো ওরা। সাইফুনো বলে উঠলো, “১ সে.মি. মাপের ইন্ডিকেটর সিগন্যাল কী ইন্ডিকেট করে, রাহান বলো?”

রাহান ভেবাচেকা খেয়ে কি বলবে বুঝতে পারলো না। এই ব্যাপারে ইফতানের জানার কথা। রাহানকে কেন জিজ্ঞেস করা হচ্ছে আমারও মাথায় ঢুকলো না। ইফতান অবশ্য পেছন থেকে ফিসফিস করে বলে দিয়ে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিলো।

-১ সে.মি. মানে কমপক্ষে ১০ ইন্ডিভিজুয়াল।

এতক্ষণে মাথা খুলে গেলো আমাদের সবার। মনিটরে ইন্ডিকেটরের পরিমাপ ৫সে.মি.-রও বেশি। যার মানে দাঁড়ায় ওই নির্দিষ্ট জোনে কম করে হলেও ৫০জন মানুষ/প্রাণীর থাকার কথা! অবশ্যই এই পরিমাণ মোটেই কম না, অন্ততঃ ট্রেস করার জন্য যথেষ্ঠর থেকেও বেশি! আনুমানিক ৫০০ বছরেরো বেশি আগে এই গ্রহটা পরিত্যাক্ত হয় বলে ধারণা করা হয়। এখানকার অধিবাসীরা এটাকে ডাকতো আর্থ (Earth). আমাদের বিজ্ঞানীরা এর নাম দেন Hauka-13. Hauka প্রাচীন লিতানো ভাষার শব্দ, যার অর্থ ‘অযথা’, ‘অবর্ণণীয়’। ঠিক কিভাবে এই গ্রহ পরিত্যক্ত হলো বা এর আদি-অন্ত কারো কাছে আজো পরিষ্কার না বলেই বোধহয় এমন উদ্ভট নামকরণ। অবশ্য বিজ্ঞানীদের কাজই এমন। সহজ নামকরণে তাদের আত্মার শান্তি হয় না, যে যত বড় বিজ্ঞানী, তার নামকরণের পদ্ধতি তত জটিলতর হতেই হবে। এত বছরের পুরোনো পরিত্যাক্ত এই গ্রহে পঞ্চাশেরও বেশি প্রাণের খোজ পাওয়া চুড়ান্ত অসম্ভব হলেও মেনে নিতে হবে ভাবিনি কখনো। সাইডস্ক্রীনে দেখানো তথ্য অনুযায়ী সিগন্যালটা যেখান থেকে আসছে তার থেকে আমরা কম করে হলেও ৫০০ কিলোমিটার দূরে। মানে পৌছাতে বড়জোর ২০ সেকেন্ড তো লাগবেই। চীফ সাইফুনো কথা বলেন কম। চোখের ইশারাতেই বুঝে গেলাম আমাদের তৈরি হতে বলা হয়েছে। আবিষ্কারের উত্তেজনায় আর কারো কি অবস্থা দেখি নি, তবে আমি সিওর ইভানার বি.পি. নির্ঘাত বেড়ে গেছে। ওর হাতের বি.পি. ওয়াচার দুইবার বিপ দিয়ে ফেলেছে সেদিকে তার খেয়ালও নেই :p

 

 

ইন্ডিকেটরের ঠিক ১০০মিটার দূরে  ফেকন-4i ল্যান্ড করানোর আগে সর্বশেষ প্রস্তুতি চলছে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ!!! অদ্ভুত সুন্দর একটা ভালো লাগার মত চারদিক!! দূরে কোত্থেকে যেন তীব্র পখর আর শক্তিশালী লাইট সোর্সের সাহায্যে চারদিক টা আলোকিত করে রাখা হয়েছে। ভেবে অবাক হলাম, নিশ্চই আমাদের চেয়েও উন্নত কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে নির্ঘাত! আরেকটু ভালো করে তাকাতেই লক্ষ্য করলাম সবুজ গুলোর উৎস। একেকটা ধুসর বর্ণের লম্বা লম্বা কিছুর আগায় বিশালাকার সবুজ সবুজ কী দিয়ে যেন ঢাকা। একটা দুটা না, পুরা জায়গা জুড়ে এরকম জিনিস দিয়ে একটা সাইড ভর্তি। জিনিসগুলো নিশ্চই খুব ভয়ানক কিছু, কই আমাদের জুপিটারে তো এমন কিছু দেখিনি, কোনও লাইব্রেরি আর্কাইভেও পড়িনি এমন কিছু!! ইতোমধ্যেই দুটা রোবো ফাইটার কে নিচে পাঠানো হয়েছে। সবুজ জিনিসগুলো আদৌ ক্ষতিকর কিছু কিনা তাও জানা যাবে নিশ্চই কিছুক্ষণের মধ্যেই। ইফতানকে খুব বেশি অবাক হতে দেখা যাচ্ছে না সবুজ বিচিত্র ওগুলোকে দেখে! ভাবটা এমন যেন সে এগুলা এর আগেও অনেক দেখে দেখে অভ্যস্ত!!

 

হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি একবার ড্রপ করেই আবার চলে আসলো কয়েক সেকেন্ডেই!! এমন এর আগে কখনো হয় নি! একটু অবাকই হলাম! আর এর পরপরই এলার্ম সাইরেন বেজে উঠলো পুরো যানে!! কিছু বুঝে না উঠেই সবাই অনেকটা দৌড়েই গেলাম কনফারেন্স রুমের মনিটরের সামনে! সিগন্যাল তো দূর!! পুরো মনিটর জুড়ে ফাকা স্ক্রিন!! দুটা কারণই হতে পারে! কেউ এন্টেনার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, যেটা আক্ষরিক অর্থে অসম্ভব, আমরা সবাই একসাথেই ছিলাম, ভুল করেও কারো এটা করা সম্ভব না। আর অবজার্ভার রোবোট-গুলোকে অচল করে দেয়া হয়েছে!!! মানে ইন্ডিকেটর ট্রেস করা তো দূর, স্পেস সেন্টারে যোগাযোগ করারও আর কোনও পথ নেই আর!

মুখের কোনা থেকে এবার সত্যিই হাসি উবে গেলো!!!……

(To be cont..)

৮ টি মন্তব্য : “পৃথিবীতে একদিন…! [পর্বঃ ১]”

মওন্তব্য করুন : ইফতেখার (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।