অপু’র তিথি


[এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয়, কাজেই বাস্তবের কারও সাথে মিলে যাইতেই পারে। খেপে গিয়া আমারে গাইলায়েন না। আমার কিচ্ছু করার নাই] 😛 ;;;

অপুরা নতুন বাসায় উঠেছে খুব বেশিদিন হয়নি। নতুন জায়গা, নতুন বাসা, কাল থেকে নতুন স্কুল-সব মিলিয়ে যার-পর-নাই এক্সসাইটেড অপু। মূলতঃ অপুর বাবা খন্দকার সাহেবের কারণেই সেই টাঙ্গাঈল থেকে ট্রান্সফার হয়ে মানিকগঞ্জ আসা অপুদের। খন্দকার সাহেব বিরাট নীতিবান লোক। এই যুগে জায়গামত একটু টাকা-পয়সা খাওয়াতে পারলে ট্রান্সফার অর্ডার হল্ট করা কোনো ব্যাপার-ই না। কিন্তু তিনি যে কোনো কিছুতেই সেটা করতে নারাজ। রিজিওনাল একটা নামিদামী NGO কোম্পানির Health সাইডের বেশ বড়সড় পোস্টে আছেন খন্দকার সাহেব। কিন্তু অতিমাত্রায় সৎ থাকার কারণেই হোক আর যে কারণেই হোক এখন পর্যন্ত কোনো একটা জায়গায় গিয়া স্থায়ী হতে পারেন নাই। অবশ্য সেটা নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথাও নাই অপুর।হাজার হলেও নতুন জায়গা, নতুন স্কুল, নতুন বন্ধু, নতুন আনন্দ… সব মিলিয়ে এলাহী কারবার।

ক্লাসের প্রথম দিন থেকেই স্কুলটা বেশ ভাল লেগে গ্যাছে অপুর। কিন্তু তার কারণ এটা না যে, ক্লাসের টিচার-রা খুব ভালো, কেয়ারিং, বন্ধুসুলভ, রোজ হোমওয়ার্ক দেন না। ভালো লাগার কারণ অন্য। এবং অবভিয়াসলি কারণটা একটা মেয়ে। ক্লাস ফাইভের একটা বাচ্চা ছেলের মধ্যে এই টাইপ রোমিও টাইপ ভাব ক্যামনে চলে আসছে সেইটা একটা ভাবার বিষয়। ওই যে, এ যুগের সন্তান বলে কথা। একটা সময় ছিলো, কাউকে ভাল্লাগ্লে ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’ অবস্থা হতো। এই যুগের সন্তানদের কথা ভিন্ন। এখন বুক ফাটার আগে মুখ ফুটে সারা। একবার বুক ফাটলে তো বিপদ, পরে সেকেন্ড টাইম বুকে আরেকজনের জায়গা দেবে ক্যামন করে? অবশ্য অপুর মুখ এখনো ফোটেনি। কিন্তু ক্লাসে মেয়েটাকে দেখে অলরেডি বুক ফাটা শেষ। কাহিনীটা বলি।

প্রথম ক্লাসে আসা। New Comer হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দিনটা একটু বিভিষিকাময়-ই যায়। সবার সামনে হেটে যেতে ক্যামন একটা uneasy লাগে। দ্রুত চোখ বুলিয়ে দেখে নিতে হয় কোন সীটটা ফাঁকা, যার পাশে বসবো তার মতিগতি কি টাইপের হতে পারে, সে কতটুকু কোঅপারেটিভ হবে…খুব দ্রুত মনিটরিং করে নিতে হয় এক ঝলক। বহুত ভ্যাজাইল্যা কাজ। আরো বিরক্তির চ্যাপ্টার হলো, সব ক্লাসমেট নতুন চিড়িয়ার দিকে অদ্ভুত একটা দৃষ্টি দিয়ে কী জানি খোঁজে। “এই অদ্ভুত মালটা আবার কোত্থেকে পয়দা হইল”-এই টাইপ চাহনি সবার মাঝে। এদের মধ্যে at least একটা পাংকু গ্রুপতো অবশ্যি থাকবে, যারা প্রচন্ড অপমানজনক কোনো খারাপ কমেন্ট করবে, আর সবাই(বিশেষ করে মেয়েরা)হো হো করে একসাথে হেসে উঠবে, বুঝুক না বুঝুক হাসতে তাদেরকে হবেই। মেয়েদের হাসাইতে পারলেই সেই গ্রুপের বিশ্বজয়। কাজেই খুব সাবধানের সাথে এগুতে হবে। প্যান্টের জিপারটা ঠিকঠাক লাগানো আছে কি না-এইটা চেক করে নেয়া তো must. প্রথম ক্লাস বলে কথা। এইসময় নিয়ম হলো মাথা ঠান্ডা রেখে প্রতিটা স্টেপ এগিয়ে যেয়ে চুপচাপ কোনো হেজিটেট না হয়ে ডিরেক্ট একটা সীটে গিয়া বসা। মুখে ভয় ভয় ভাব প্রকাশ পেয়ে গেলে বিপদ আছে। একবার ইমেজ নষ্ট হইলে আজীবন ঐ ভাংগাচোরা ইমেজ নিয়েই কাটায় দিতে হবে।মান-ইজ্জতের ব্যাপার। অপু সব স্টেপ skill-এর সাথে fullfill করে সামনে হাটা দিলো। মনে মনে সমানে দোয়া চলছে-‘ইয়া আল্লাহ, লাফাঙ্গা পোলাপাইন-এর হাসি থেইক্যা আমারে রক্ষা কইরো, মাবুদ’। না এখন পর্যন্ত কোনো হাসির রোল উঠে নাই। লক্ষণ ভালো। ক্লাসের পোলামাইয়াগুলান বেশ ভালো মনে হচ্ছে। কিন্তু হায় খোদা, কোথাও সীট খালি নাই, শুধুমাত্র যে সীট-টা খালি ওইটায় একটা মেয়ে বসে আছে, মাথা ঘুরিয়ে পেছনের আরেকটা মেয়ের সাথে গল্প করছে আর অনবরত হাসছে…( আচ্ছা,মেয়েরা এত্ত হাসে ক্যান?)। কোনো পথ নাই, ওর পাশে বসা ছাড়া। প্রথম দিন থেকেই লেডিস একজনের পাশে বসা শুরু করলে না জানি কত লাঞ্চনা-বঞ্চনা আর টীজ-টোন খাইতে হয় পোলাপানের…আল্লাই জানে। অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো হাসাহাসি না হওয়ায় অনেকটা আশা আছে।নাহ, এই পোলাপাইনগুলা আসলেই ভালো। নিশ্চিন্তে গিয়া বসল অপু মেয়েটার পাশে। আর আমাদের কাহিনীর শুরু এখান থেকেই… 😡 😡

মানুষ এত্ত সুন্দর কিভাবে হতে পারে!!! O..my..God…!!! :O মেয়েটা এত্ত সুন্দর কেনো! বব-কাট চুল, হরিণের মত বড় বড় চোখ, ফুটফুটে সুন্দর একটা ডানা-ছাড়া পরী যেন ওর পাশে বসে আছে। অপু কী করবে বুঝতে পারছে না। সুন্দরী মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলে এই এক সমস্যা। কোত্থেকে যেন একগাদা ভয় আর একগাদা doubt এসে জড়ো হয় মনের মধ্যে। যদি পাত্তা না দেয়? যদি মনে করে পটানোর ধান্দআ করতেসি?…etc etc. তার চেয়ে বড় প্রবলেম হচ্ছে মেয়েটা খুব বেশি মাত্রায় সুন্দর। একটানা বেশিক্ষণ তাকায় থাকা যায় না। এইসব নানা ক্যালকুলেশন করতে করতে হঠাৎ চমকে উঠল অপু। মেয়েটা অপুকে ডাকছে-“এই তোমার নাম কী?…হু?” অপু কী বলবে বুঝতে পারছেনা। তার ঘোর তখনো কাটেনি পুরোপুরি।
>অ্যাঁ…হুম… আমাকে বলছো? ( মেয়েটা খিলখিল করে হেসে উঠল। অপু সম্ভবত একটু insult feel করলো। তার কান লাল হয়ে গ্যাছে অলরেডি।)
>হ্যা…তোমাকেই তো বলছি…!
>হু, আমি অপু। তোমার নাম?
>আমি তিথি (বলেই হাতটা বাড়িয়ে দিলো তিথি, ফর ‘Shake Hand’)
অপু বেশ বিব্রত। এমনিতেই কিছুক্ষণ আগে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হয়েছে, আবার এখন হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মেয়েটা, হোক না সেটা শুধুই ফর ‘shake hand’, মেয়ের হাত বলে কথা…
আর বেশি কথা বলতে পারেনি অপু। কারণ মিস্ চলে আসছেন ক্লাসে। অপু বেটা…মেয়ে রাখো,ক্লাসে মন দাও…নিজেই নিজেকে সামলে নিলো অপু।

সেদিনের কথা অই পর্যন্তই। এর পর থেকে ক্লাসে এসেই তিথিকে খুজঁতো অপু, আর কোথাও বসবে না সে। ওর পাশেই যেন বসতে হবে তার। এ যেনো ক্যামন এক অদ্ভুত মায়ার জালে আটকা পড়েছে অপু। আর তিথিকে বেশ ভালোও লেগে গেছে একয়দিনে।অনেক মিশুক একটা মেয়ে। অনর্গল কথা বলতে পারে।Always স্মাইলিং ফেস, সবার সাথেই বেশ বন্ধুসুলভ। এককথায় Opu iz Crashed totally.

প্রতিদিন বিকেলে কলোনীর ছেলেমেয়েরা পুকুরের পাশের ছোট্ট মতন মাঠটায় খেলতে নামতো।তিথি, অপুও যেতো। ছোয়া-ছুয়ি, বরফ-পানি, কানা-মাছি, ছী-বুড়ী, Hide n Seek এগুলো তখন বেশ পপুলার লেডিস টাইপ গেমস। অপুর আরো বেশি ভাল্লাগতো তার কারণ তিথির সাথে দ্যাখা হতো ওখানে। দেখতে দেখতে দারুন সখ্যতা গড়ে উঠলো ওদের মাঝে। একসাথে স্কুল যাওয়া থেকে শুরু করে, শচীন স্যারের কাছে প্রাইভেট, বিকেলে ছী-বুড়ি খেলা…সবখানেই তিথির সাথেই দেখা যেত অপুকে। সন্ধ্যার আগে আগে খেলা শেষে চলে আসার সময় কী যে খারাপ লাগতো ওর… এভাবেই কেটে যেতে লাগলো দিনগুলো… ক্লাসের অন্যরা ইতোমধ্যেই ওদেরকে নিয়ে বেশ tease করা শুরু করে দিয়েছে। অপুকে একা পাইলেই মাসুম (ফাজিল এক পোলা, কিন্তু বেশ ভালো বন্ধু অপুর) খেপানো শুরু করতো ওকে- “কীরে, তোর ইয়ে কই? একা একা ক্যান?” অপু লজ্জায় লাল হওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারতো না।মেয়ে ঘটিত যে কোনো ব্যাপার, প্রেম-পিরীতি এইসব বিষয়ে বেশ এক্সপার্ট মানা হয় মাসুমকে। ‘লাভ-গূড়ু’ টাইপ ব্যপার-সেপার।যদিও এই ‘লাভ-গূড়ু’-রে ক্লাসের মেয়েরা দুই চোক্ষে সহ্য করতে পারতো না।যাহোক, মাসুম সারাদিন অপুকে ঘুতায়- “আই,ওরে I Love U বলছস এখনো। এখনো বলস নাই…!!হায় হায়, তুই কী ছেলে? তুই তো পুরুষ জাতির কলঙ্ক একটা… হাবিজাবি…”।অপুর খুব রাগ লাগতো। কিছু বলতে পারতো না।But ও মনে মনে ঠিকই চাইতো, তিথিকে একদিন I Love U ঠিকই বলবে সে।কিন্তু তিথি শুনে রাগ করবে না তো? যদি রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেয়? আর তাই সাহসও হয় না অপুর। At Least এখন তো ওরা খুব ভালো বন্ধু। পরে যদি সেটাও হারায়???

সেদিন ছিলো শুক্রবার। সারারাত ধরে অপু কাল ঠিক করেছে তিথিকে আজ I Love U বলেই দেবে। (সে তো হাজার হোক একজন ছেলে। পুরুষ জাতির কলঙ্ক হয়ে আর কতোদিন, তাই না?)ঠিক করেছে, আজ সকালে সবাই খেলা শেষে যখন চলে যাবে, তখন তিথির কাছে জাবে,একটা গোলাপ ফুল দেয়া যায়।তারপর ওই কথাটা বলবে ও। সিনেমা-নাটক অনুযায়ী এইটাই তো নিয়ম। যা হয় হবে। দুরু-দুরু বুকে আজ মাঠে খেলতে গিয়েছে অপু।পুরোটা সময় শত দুশ্চিন্তা নিয়ে কাটলো ওর, কিসের খেলা, কিসের কী?… খেলা শেষ, সবাই যার যার বাসায় ফিরে যাচ্ছে। অপুর বুকে তখন লাখো ভয়-অনিশ্চয়তার ডামাডোল বাজছে। সব ঠিকঠাক বলতে পারবে তো? আগপাশ না ভেবে দৌড় দিয়ে গেলো তিথির কাছে। গিয়েই হইলো বিপত্তি, মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ বেরুচ্ছে না আর। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলো কিছুক্ষণ।কোনো কথা বলার মতো অবস্থা নাই তখন ওর।বুকে ডামাডোল বেজেই চলেছে-ধুপধাপ, ধুপধাপ…,কপাল ঘেমে ভিজে গ্যাছে। পাশের বাসার হালিম আঙ্কেলের বাসা থেকে আগেই একটা গোলাপ ছিড়ে পেছনের পকেটে রেখে দিয়েছিলো। তড়িৎ গতিতে ফুলটা বের করে তিথির হাতে গুঁজে “এটা তোমার জন্য” বলেই এক দৌড়ে বাসায় অপু।

পরের দিন স্কুল অফ। জন্মাষ্টমীর বন্ধ। সকাল করে ওঠার তাড়া নেই। কাল সারারাত অনেক অস্থির গ্যাছে অপুর। তিথি কি রাগ করলো, আমাকে খারাপ মনে করলো নাতো? ফুলটা দেওয়ার সময় ওরদিকে তাকিয়ে অনেক আপসেট মনে হচ্ছিলো ক্যানো? পরে একটুও হাসলো না, কোনো response করলো না কেনো? এসব নানান চিন্তায় রাতটা গ্যাছে অপুর। আজ সকালে খেলতেও যায় নি ও। তিথিও একবারো ডাকতে আসলো না, তাহলে কি ও সত্যিই ভিশন রাগ করেছে অপুর আচরণে…

বিকেলে সবাই মাঠে খেলতে নেমেছে প্রতিদিনের মতোই। অপুও এসেছে। বড়ই গাছটার পাশ দিয়ে তাকালে তিথিদের বাসার জানালাটা দেখা যায়। বারবার ওদিকটায় তাকাচ্ছে অপু। কিন্তু কই, কাউকে দেখতে পাচ্ছে না ক্যানো? হঠাৎ বুকটা ধ্বক করে উঠলো অপুর। পুরো ঘরটা ফাকা দেখা যাচ্ছে জানালা দিয়ে।কোনো মানুষজন আছে বলে মনে হচ্ছে না…!! দৌড় দিয়ে বাসায় আসলো অপু। মাকে জিজ্ঞেস করতেই মা বললো, “ওরা তো আজ সকালেই চলে গ্যাছে। ওর বাবা ঢাকা ট্রান্সফার হয়ে গ্যাছে। সকালে দেখা করতে আসছিলো এত্তগুলো গোলাপ ফুল নিয়ে আসছিলো পিচ্চিটা। তুই ঘুমাচ্ছিলি,আর ডাকা হয়নি। মেয়েটা তোকে খুব খুজঁছিলো। ঘুমাচ্ছিস শুনে আর ডাকতে মানা করলো”। মুখ দিয়ে আর কোনো কথা নাই অপুর। কী করা উচিৎ বুঝতে পারছেনা। আচ্ছা ওর গলাটা ভারি হয়ে আসছে কেনো? অপুতো কখনো কাঁদে না!আজ কেঁদে ফেললে ছেলে জাতির কলঙ্ক হয়ে যাবে নাতো???

আজ অনেকটা বছর পার হয়ে গেছে। অপু এখন অনেক বড়। রংপুর মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের ছাত্র সে। তখন সেই ছেলেবেলার একটা ভালো লাগা হয়তো কিছুই না, শুধুই ছেলেমানুষী মাত্র। কিন্তু অপু আজও ভুলতে পারেনি সেই ডানা-ছাড়া পরীটাকে… তিথিরা চলে যাবার পর আজ পর্যন্ত ওদের মধ্যে আর যোগাযোগ হয়নি। একটা সময় খুব মনে পড়তো ওকে। যতোই বড় হয়েছে, ভেবেছে ধীরে ধীরে ব্যাপারটা হয়তো ভুলে যাবে সময়ের সাথে। কিন্তু অপু তিথিকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি আজও… এ ক্যামন অদ্ভুত টান, অদ্ভুত এক সম্পর্ক!হয়তো কোনোদিন-ই আর দ্যাখা হবে না, হয়তো মনের না বলা কথাটা অমনই থেকে যাবে চিরকাল। কিংবা দেখা হয়ে গেলেও হয়তো ওর তিথিকে আর খুজে পাবে না ওর মতো করে। আচ্ছা ওর চুলগুলো কি এখনো আগের মতোই আছে? ববকাট করা, বাতাসে উড়ে বারবার মুখের সামনে এসে পড়ছে? এখনো কি ও অপুকে দেখলে সেই মিষ্টি হাসিটা দিয়ে বলবে, “আই, ক্যামন আছো, হু?” ব্যস্তমুখর নির্দয় সময়ের স্রোত হয়তো আজ পালটে দিয়েছে সবকিছু, হয়তো ওলটপালট করে দিয়েছে স্মৃতিমুখর সম্ভাবনাগুলোকে। তবু হৃদয়ের এককোনে আজো কেনোযেনো একটা বাসনা প্রতিনিয়ত উঁকি দেয় শত দীর্ঘশ্বাস নিয়েও? ওকে আর একটাবার যদি দেখতে পেতাম নিজের চোখের সামনে, শুধু একবার যদি ওকে বলতে পারতাম, “তিথি, আমি সেই অপু…তিথি…আমি ভালো আছি”। আর কিছুই চায় না অপু, সেই লাল টকটকে গোলাপগুলোর প্রতিদানও নয়, প্রত্যুত্তরও নয়…। 😕 🙁

২,৬৮৭ বার দেখা হয়েছে

৩০ টি মন্তব্য : “অপু’র তিথি”

  1. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)
    বিকেলে সবাই মাঠে খেলতে নেমেছে প্রতিদিনের মতোই। অপুও এসেছে। বড়ই গাছটার পাশ দিয়ে তাকালে তিথিদের বাসার জানালাটা দেখা যায়। বারবার ওদিকটায় তাকাচ্ছে অপু। কিন্তু কই, কাউকে দেখতে পাচ্ছে না ক্যানো? হঠাৎ বুকটা ধ্বক করে উঠলো অপুর। পুরো ঘরটা ফাকা দেখা যাচ্ছে জানালা দিয়ে।কোনো মানুষজন আছে বলে মনে হচ্ছে না…!! দৌড় দিয়ে বাসায় আসলো অপু। মাকে জিজ্ঞেস করতেই মা বললো, “ওরা তো আজ সকালেই চলে গ্যাছে। ওর বাবা ঢাকা ট্রান্সফার হয়ে গ্যাছে।

    ছোটবেলার প্রেম কাহিনীতে এই হঠাৎ করে বদলী হয়ে যাবার ব্যাপারটা অনেক আসে। কিন্তু এই বদলী বা বাসা বদল --- এইগুলা তো কমপক্ষে এক দেড় মাসের প্রসেস। আর তিথীও বেকুব মেয়ে, অপুর ঠিকানাতে একটা চিঠি দিয়ে দিলেই তো হয়ে যেতো। আহারে কত্তদিন চিঠি লেখা হয় না ......

    জবাব দিন
  2. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)
    [এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয়, কাজেই বাস্তবের কারও সাথে মিলে যাইতেই পারে। খেপে গিয়া আমারে গাইলায়েন না। আমার কিচ্ছু করার নাই] ;;;

    ;;;


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ইফতেখার (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।