যুদ্ধের প্রয়োজনে ধর্ম কিংবা ধর্মের প্রয়োজনে যুদ্ধ

সকালে ঘুম ভাঙল ৫ মিনিটের মধ্যে পরপর দুটো টেক্সট মেসেজ এর শব্দে।একটি মেসেজ এসেছে আরাকান(রোহিঙ্গা) মুসলমানদের সাহায্যের জন্য আরেকটি
মেসেজ এসেছে ফিলিস্তিনের মুসলমান ভাইদের সাহায্যের আবেদন নিয়ে। মেসেজগুলোতে বলা হয়েছে কত সহজে আমি মায়ানমার ও ফিলিস্তিনের মুসলমান
ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। মোবাইলের মেসেজ অপশন এ গিয়ে ARAKAN অথবা FİLİSTİN টাইপ করে নির্দিষ্ট একটা নাম্বারে পাঠালেই আমার
মোবাইল থেকে ৩ ডলারের মতো কেটে নেয়া হবে এবং তা ARAKAN অথবা FİLİSTİN এর মুসলমান ভাইদের জন্য ব্যবহার করা হবে। নিঃসন্দেহে ভালো
উদ্যোগ। এর আগে একবার তুরস্কের ভান শহরে ভূমিকম্প হয়েছিলো, বেশ খুশী মনেই মোবাইল দিয়ে ডোনেট করেছিলাম। এইবার মোবাইলে টাকা না থাকায়
আর মুসলমান ভাইয়াদের (জিহাদি ও হতে পারে, সন্ত্রাসী সংগঠন ও হতে পারে) হেল্প করা হল না। আমি সাহায্য করতে না পারলেও তাদের সাহায্য করার
লোকের অভাব হবেনা, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। গত ৪০/৫০ বছর ধরে এইভাবেই কোটি কোটি ডলার রিলিফ পেয়েছে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা।

গত কয়েক দিনের ফেসবুক, টুইটার ঘাটলে দেখতে পাবেন প্রায় সব মুসলমান ধর্মাবলম্বী এর প্রতিবাদ করেছেন। আবেগের আতিশয্যে কেউ কেউ তো
যুদ্ধেই চলে গেছে। সবার চোখে মুখে দেখবেন ইসরাইল এর প্রতি ক্ষোভ, ধিক্কার আর ঘৃণা। পুরো মুসলিম উম্মাহ ইসরাইল এর অন্যায় এর প্রতিবাদে সরব।
খুব ভালো কথা, অন্যায়ের প্রতিবাদ মানুষই করবে গরু ছাগল না। কিন্তু ইসরাইল এর প্রতি এই প্রতিবাদটা কেমন জানি উৎকট ধরনের। আমাদের দেশে
ইসরাইল কে দেশ হিসেবে মানেন এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোণা।আর আমাদের সবুজ রঙের পাসপোর্টে তো সরাসরি লেখাই আছে যে এই পাসপোর্ট ইসরাইল এর জন্য প্রযোজ্য নহে। ।এখন প্রশ্ন হলো যে ইসরাইল এর প্রতি এই ঘৃণার হেতুটা কি?ইসরাইল অত্যাচারী, হত্যাকারী বলেই কি এতটা ক্ষুব্ধ মুসলিম উম্মাহ নাকি ভিতরে অন্য কোন প্যাঁচ আছে? এই প্রশ্নের উত্তর যতবারই খুঁজতে গিয়েছি ততবারই ঘুরেফিরে এক জায়গাতেই ফিরে এসেছি, আর তা হলো ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ধর্মীয় ফ্লেভার।যুদ্ধের ধর্মীয় ফ্লেভার ব্যাপারটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হউয়ার প্রয়োজন নেই। অতীতে ঘটে যাওয়া এবং বর্তমানে চলতে থাকা যুদ্ধগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যাবে ব্যাক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে ধর্মীয় বর্ম ব্যাবহারের নির্লজ্জ উদাহরন।

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস কম বেশী সবারই জানা, তাই সেদিকে যেতে চাইনা। তবে এটুকু না বললেই নয় যে ইহুদিরা সারা জীবন দৌড়ের
উপর ছিল। সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার এর পর এই দৌড় আরও বেড়ে যায়। হাজার হাজার লাখ লাখ ইহুদি পাড়ি জমায় ফিলিস্তিনের ইহুদি বসতিগুলোতে। এ
ব্যাপারে হিটলার এর কথা না বললে চলবে না। সর্বকালের সবচেয়ে নিষ্ঠুর মানুষরুপী এই পিশাচ নির্বিচারে নিধন করেছেন ইহুদিদের। হিটলারের কথা একটাই
”বাচতে চাইলে ইউরোপ ছেঁড়ে অন্য কোথাও যাও। কিন্তু এই হিটলার ও গত কয়েকদিন যাবত ফেসবুক ,টুইটারে সমানে স্যালুট পাচ্ছেন মুসলমানদের। যেহেতু ইহুদীরা মুসলমান মারতেছে আর হিটলার মারছিল ইহুদীদের তাই বলা যায় হিটলার হলো মুসলিম বীর, মুসলমানদের প্রিয় পাত্র।সহজ সমীকরণ।

ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধ করছে স্বাধীন ফিলিস্তিনের জন্য। পৃথিবীতে আরও জাতিই স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। যেমন তুরস্কের কুরদিশ জনগোষ্ঠী। এরাও কিন্তু মুসলমান ধর্মাবলম্বী। কিন্তু কই এদের জন্য তো বাংলাদেশে মিছিল হয়না। প্রতিদিন এত এত বেসামরিক জনগণ ,নারী ,শিশু
হত্যা করা হচ্ছে কিন্তু এদের জন্য সাহায্য চেয়ে তো মেসেজ আসে না মোবাইলে। ভাবুন তো কেন আসে না? ভাবুন তো কেন বাংলাদেশের মুসলমানদের দরদ
উথলে উঠে না এদের জন্য? বেশী ভাবার দরকার নেই। একটা দুই যোগ দুই সমান চার মার্কা সমীকরণ দেই। তুরস্কে কুরদিশ মুসলমানদের হত্যা করে
তুরস্কের সেনাবাহিনী, ধর্মের বিচারে তারাও মুসলমান। আর ফিলিস্তিনে মুসলমানদের হত্যা করে ইহুদি সেনাবাহিনী। এই কারণেই সারা পৃথিবীর মুসলমানদের
পাশে পায় ফিলিস্তিন আর কুরদিশরা পায় লাশ আর লাশ।ইহুদীরা মারলে গণহত্যা আর মুসলমানরা মারলে সব চুপ।(অফ টপিকে আরেকটা কথা বলে রাখি, নিজের দেশে এত এত মুসলমান মরতেছে প্রতিদিন তা নিয়া কোন মাথা ব্যাথা নাই, বাট রোহিঙ্গাদের ত্রান দিতে বাংলাদেশে দৌড়াইয়া যান টার্কিশ নেতৃবৃন্দ, আর সুযোগ পাইলেই প্রেস কনফারেন্স করে বাংলাদেশের গুষ্ঠি উদ্ধার করেন যে কেন আমরা হেল্প করিনা রোহিঙ্গাদের)।

সামরিক ,অর্থনৈতিক দিক বিচার করলে ফিলিস্তিন ইসরাইলের চেয়ে কয়েকশ গুন দুর্বল। এটা পৃথিবীর সবাই জানে, এমনকি খোদ ফিলিস্তিনিরাও
জানে। ৫০-৬০ মাইল দূর থেকে দুই একটা মর্টার নিক্ষেপ করে, দুই তিনটা ইস্রাইলি মেরে তারা বড়জোর শহীদের সংখ্যা বাড়াতে পারে কিন্তু তাদের মুল লক্ষ্য যে স্বাধীন ফিলিস্তিন সৃষ্টি, তা মনে হয় কোনদিন সম্ভব না। এই নির্মম সত্যটি কিন্তু হামাস ও জানে। আর জানে বলেই তাদের দরকার সাহায্যের, তা সে আর্থিক
সাহায্যই হোক কিংবা মানসিক সাহায্যই হোক। গ্লোবালাইজেশন এর এই যুগে সবাই চাচা আপন প্রান বাচা নীতিতে বিশ্বাসী । কার ঠেকা পড়ছে যে
ফিলিস্তিনের যুদ্ধ নিয়া হাউকাউ করবে। তাই ফিলিস্তিনের নেতৃবৃন্দ সুকৌশলে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বেছে নিলেন ধর্মের অজুহাত। যুদ্ধ চলছে তাদের স্বাধীন
দেশের দাবিতে আর সারা মুসলিম উম্মাহ এসে জড়ো হয়েছেন মৃতপ্রায় মুসলিম ভাইটিকে বাঁচাতে।হ্যাঁ এটাই চেয়েছিল ফিলিস্তিন এবং কিছুটা হলেও কাজে
লেগেছে তাদের এই প্রোপাগান্ডা।

ধর্মকে যুদ্ধের মধ্যে টেনে আনার এই কৌশলটা কিন্তু নতুন নয়। দেশের চেয়ে ধর্মের প্রতি ভালোবাসা, আবেগ অধিকাংশ মানুষেরই বেশী। তাই যুগে
যুগে যুদ্ধবাজ নেতারা এই কৌশল ব্যাবহার করেছেন যুদ্ধ জয় করতে। কখনো সফল হয়েছেন কখনো হন নি। যেমন ১৪৫৩ সালে সালে মুসলমানরা যখন
ইস্তাম্বুল( তৎকালীন কন্সতানন্তিনপল) দখল করেন তখন সম্রাট সুলতান আহমেত বলেন ধর্মকে অত্যন্ত চৌকশ ভাবে ব্যাবহার করেছিলেন। বাইজাইন্তাইন এর
লোকজন কাফের, মূর্তি পূজারী,ঐ খানে ইসলাম নিষ্পেষিত হচ্ছে এইসব ভুজুং ভাজুং দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন তার সেনাবাহিনীকে। উনার এত সব চালাকির পর ও যখন যুদ্ধক্ষেত্রে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়তে থাকে মুসলমানরা তিনি এইবার সৈন্যদের শোনান স্বপ্নে দেখা ঐশী বানীর কথা। এই চাল কাজে লাগে। যুদ্ধে জিতে যায়
মুসলমানরা।এই জ্বিহাদী জোশ যে কেবল মুসলমানদের মধ্যে কাজ করে তা কিন্তু নয়। ক্রুসেডগুলোর কথা যদি চিন্তা করেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে
খ্রিস্টানরাও কম যান না।

একটু সহজ করে বলি ব্যাপারটা, মনে করুন সমুদ্রসীমা, রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এই সব নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা চলছে মায়ান্মারের সাথে। বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিলেন যে মায়ানমার আক্রমন করবেন। অনেক বাঙালীই এই যুদ্ধ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করবেনা। কার দরকার নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর? এখন বাংলাদেশ সরকার কৌশলে প্রোপাগান্ডা শুরু করলেন। প্রতিদিন পত্রিকা, টেলিভিশনে বলা হতে লাগলো যে মিয়ানমারে মসজিদ ভাঙ্গা
হচ্ছে,কুরআন দিয়ে ফুটবল খেলা হচ্ছে, নবীর কুশ পুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে, মুসলমানদের মেরে তক্তা বানান হচ্ছে, মুসলমান নারিদের লাইন দিয়ে রেপ করছে
ন্যাড়া মাথা বুদ্ধ ভিক্ষুরা, ব্যাস কেল্লা ফতে। জ্বিহাদী জোশে বৌদ্ধদের কোপানোর লোকের অভাব হবেনা।কারণ এ যে কেবল দুটি দেশের যুদ্ধ নয়, এ যে
মুসলমানদের সাথে বৌদ্ধদের যুদ্ধ।

ধর্মের নামে যুদ্ধের আরেকটা উদাহরণ দেই।১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন শোষণ এর প্রতিবাদে স্বাধীন দেশের দাবিতে বাঙালি জাতি যুদ্ধে
ঝাপিয়ে পড়ে।৪৭ এর দেশ ভাগের পর আমাদের যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছিলো তাতে স্বাধীন দেশের দাবি ছিল অত্যন্ত সঠিক এবং সময়োপযোগী। পশ্চিম
পাকিস্তান একসময় উপলব্ধি করতে পারল যে এই যুদ্ধে জিততে হলে পূর্ব পাকিস্তানের লোকজনকেও সাথে নিতে হবে। পশ্চিম থেকে বিমানে করে সৈন্য এনে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের লোকজন কেনই বা তাদের সাহায্য করবে? বঙ্গবন্ধুর ডাকে ইতোমধ্যে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর। তাই পশ্চিম পাকিস্তানিরা বেছে নিলেন সেই পুরনো হাতিয়ারটি। হ্যাঁ সেই ধর্ম নামক বর্ম। মুক্তিযোদ্ধাদের বানিয়ে দিলেন ভারতের দালাল, মুজিবকে বানালেন হিন্দু,চারদিকে ছড়াতে লাগলো মালাউনরাই ষড়যন্ত্র করে মুসলমান ভাইদের আলাদা করতে চাইছে। এবার কাজে দিল এই প্রোপাগান্ডা। ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব নিলো আল শামস, আল বদররা। এই প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতে কতটা সফল ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা তা বুঝতে পারি, যখন স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ও কোন বিদেশি এসে জিজ্ঞেস করে তোমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হলে কেন? ওরাও মুসলমান তোমরাও মুসলমান।

এবার আসা যাক ফেসবুকের মানবতার ধ্বজাধারী, সুশীল, মডারেট মুসলমানদের কথায়। তারা নিজেদের সকল মৌলবাদ, জ্বিহাদী জোশ মুক্ত দাবী করে
থাকেন। গত কয়েকদিনের ফেসবুক ঘাঁটলে দেখবেন তারা এই ইসরাইলী গণহত্যার বিরুদ্ধে কতটা সংগ্রামী ভূমিকা পালন করছেন।‘’ফিলিস্তিনিদের উপর এই
হামলা তো কেবল মুসলমানদের উপর হামলা নয়, সমগ্র মানবতার উপর হামলা ,ওরাও তো মানুষ’’ এইসব বলে কপালে /পেটে /বুকে গুলি খাওয়া শিশুদের ছবি দিয়ে উনারা নোটের পর নোট, ব্লগের বপর ব্লগ প্রসব করে যাচ্ছেন। আপনাদের মানবতায় আমি মুগ্ধ। শুধু কয়েকটা কনফিউশন আছে। যেমন ধরেন গত এক বছর ধরে যে সিরিয়ায় লাখ লাখ নারী,শিশু মারা গেছে তাদের নিয়ে কয়তা নোট দিয়েছেন?তারা কি শহীদ হউয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নাই?নাকি বাশির
আল আসাদ মারছে বলে এইটা জায়েজ? আচ্ছা সিরিয়ার কথা বাদ দেন, নিজের দেশের কথাই বলি, সৌদিতে যে প্রকাশ্য দিবালোকে বাংলাদেশীদের কল্লা
নামায়া দেয়, চট্টগ্রামের ভূমিধ্বসে যে এত এত মানুষ মারা যায়, গার্মেন্টসে আগুন লেগে জীবন্ত ছাই হয়ে যায় নিরীহ গার্মেন্টস কর্মীরা, পূর্ণিমার মা যখন বলেন
‘’বাবারা তোমরা একজন একজন করে যাও আমারা মেয়েটা ছোট’’, তখন কই থাকে আপনাদের মানবতা?? নাকি মানবতা খালি মুসলমানরা অন্য ধর্মের
লোকদের কাছে মাইর খাইলেই উথলায়া উঠে? সুশীলদের বলি, মানবতা যদি খালি মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ রাখেন তবে একটা মৌলবাদীর সাথে আপনার খুব
একটা পার্থক্য নাই। উনি বুকে বোমা বেধে কাফির নিধন করেন আর আপনি কাফির (যে কিনা একজন রক্তমাংসের মানুষ) নিধন দেখেও চুপ থাকেন।

অত্যাচারী, খুনির কোন ধর্ম নেই কোন বর্ণ নেই নেই কোন জাত পাত, তার পরিচয় সে অমানুষ।
নির্যাতিত, নিপীড়িতদের ও কোন ধর্ম নেই, তার পরিচয় সে মানুষ।

২,৭৩১ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “যুদ্ধের প্রয়োজনে ধর্ম কিংবা ধর্মের প্রয়োজনে যুদ্ধ”

  1. আসিফ মাহমুদ

    আসলে এখন হচ্ছে মানসিক লড়াই,কে কত জ্ঞাণী,কে কত বড় মানবতাবাদী আর বিজ্ঞানমনস্ক।আমার কথা হল,ধর্ম যার পালন করতে ইচ্ছা করে সে করুক,যার ইচ্ছা নাই,সে না করুক,এত প্যাঁচাল আর ভালো লাগে না,যেহেতু এই বাগযুদ্ধ শেষ হবে না কোনদিন। আর কেউ ভন্ড হলেও কি,না হলেও কি?? আমিতো নিজেই perfect না। আমার তো মনে হয় আমরাই বেশী ভণ্ডামি করি, কোন বিষয় পেলে সেটাকে নিয়ে নিজের জ্ঞান জাহির করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তার চেয়ে যতটুকু পারি মানুষের ভালোর জন্য কিছু করার চেষ্টা করলে অনেক শান্তিতে থাকা যায়।


    ...একদিন সবকিছু মুছে যায় হিমেল হাওয়ায়, স্মৃতিমাত্র লিখে নাম...সেইখানে আমিও ছিলাম...

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    খুব ভালো লেখা।
    ৫ তারা।
    কুর্দিশদের কথা আনার জন্য ধন্যবাদ।

    দিন দুই আগের আমার ফেবুতে একখান পোষ্ট তুলে দেই

    ফেসবুকিং আর টুইটার কইরা আরব বসন্ত আনা গেলেও ইসরাইল কে হটানো যাবে না। তাই বুদ্ধিমানের মতো ফিলিস্তিনীদের উচিত অবিলম্বে শান্তি চুক্তি করা। সাদা পতাকা উড়ানো আর পারলে হিজরত করা।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    যখন দেখি লোকজন হিটলারের ছবি আর বাণী ছড়াইতেছে তখন মনে হয় অবিশাসী হইয়া ভালো আছি।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • হুমায়ুন (২০০২-০৮)

      ধন্যবাদ নইম ভাই।
      লেখাটার বিশয়বস্তুর দিকে তাকিয়ে আমার এই ছবিটা উপযুক্ত মনে হয়েছে।সব ধর্মভীরু মানুষই যে সন্ত্রাস খুন ধর্ষণ করে থাকেন এ কথায় আমি বিশ্বাস করিনা।তবে সুবিধাবাদী একটি শ্রেণী বারবার ধর্মের আশ্রয় নেয় তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। ছবিটিতে খেয়াল করে দেখুন ধর্মের সিম্বল গুলোতে মরনাস্ত্র ব্যাবহার করা হয়েছে। আমি বলতে চেয়েছি যে এই ধর্ম নামক বর্ম যখন যুদ্ধের প্রয়োজনে ব্যাবহার হয় তখন তা মানবতার জন্য কতটা ক্ষতিকর।ভালো থাকবেন।


      তুমি গেছো
      স্পর্ধা গেছে
      বিনয় এসেছে।

      জবাব দিন
  4. আহমেদ (১৯৯৪-২০০০)

    দারিন লিখছ । অনেক দিন পর এই ব্লগে একটা ভাল উন্নত চিন্তার লেখা পড়লাম। ::salute::
    চারিদিকে অনেক হতাশাজনক ঘটনার মধ্যেও, তোমাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে আমি আশার আলো দেখি।

    জবাব দিন
  5. আসলে যখন কোন গোষ্ঠী ধরেই নেয় যে তাদের ধর্মই ঠিক, বাকি ধর্মগুলা ভুল, তখন আর এর থেকে ভালো কী আশা করা যায়? যখন দেখি কেউ ফেইসবুকে লিখে রাখছে, proud to be a "hindu/muslim/jew/christian" ( যদিও সেই ধর্ম সে নিজেই পালন করেনা ঠিক মত ) তখন আমার একটা প্রশ্ন জাগে মনে। তা হল, এই ব্যক্তি যদি অন্য ধর্মানুসারী পরিবারে জন্মাত তখনও কি বলত proud to be a "follower of that other religion"?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : হুমায়ুন (২০০২-০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।