কিছু বিদেশী ছাগু ও একটি দুঃখ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুরস্ক সফর চলাকালিন সময়ে কিছু বিদেশি ছাগু একত্র হয়ে ছাগু(সংবাদ) সম্মেলন করেন।তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে বেশ ঘটা করে ছাপানো হয় খবরটা। আপনাদের নির্মল বিনুদনের জন্য খবরটা বাংলা অনুবাদ করে দিলাম।(http://www.medya73.com/cemaat-i-islamiye-yapilan-zulme-son-verilsin-haberi-912615.html)

*Cemaate- i Islamı’ye yapılan zulme son verilsin(জামাতের বিরুদ্ধে জুলুমের অবসান হোক)
বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর চলতে থাকা অন্যায় অত্যাচার এর প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ‘Mazlum-Der’এর ইস্তানবুল শাখায় তুরস্কের মানবাধিকার কর্মীরা একত্র হন এবং তুরস্ক সফররত (১১-১৩ এপ্রিল ) বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মুসলমানদের উপর চলতে থাকা এই শোষণ নিপীড়ন বন্ধের আহবান জানান ।

Mazlum-Der(ইস্তানবুল শাখা ) এবংİalamı STK এর উদ্যোগে গত ১৩ এপ্রিল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুরস্ক সফরকালীন সময়ে ইস্তানবুলে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।সম্মেলনের মুল আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী নেতাদের বিনা বিচারে আটকের প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ।

*Cemaat-i İslami’ye yönelik baskılar artıyor (বেড়েই চলছে জামাতে ইস্লামির উপর অত্যাচার )
Mazlum- Der এর ইস্তানবুল শাখার পরিচালক জুনেইদ সারিইয়াসার বলেন ‘’পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পৃথক হওয়ার ফলে যে রাজনৈতিক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল তা আজও শুকায়নি । আজও বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা এর জের ধরে অত্যাচার ও নিপীড়নের স্বীকার হচ্ছেন । বাংলাদেশের জনগনের দৈনন্দিন জীবনেও তা বিরূপ প্রভাব ফেলেছে । বাংলাদেশের বর্তমান সরকার জামাতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের হয়রানির করার প্রতিবাদ স্বরূপ প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলন চলছে এবং জামতে ইসলামীর বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলার শিকার হতে হচ্ছে । জামতে ইসলামীর সামনের সারি তিন জন নেতা আমির মতিউর রহমান নিজামি, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সায়িদি এবং জেনারেল সেক্রেটারি আলি আহসান মহাম্মাদ মুজাহিদ ২০১০ সালের ২৯ ই জুন গ্রেফতার হন । জামাতের দুই সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি কামরুজ্জামান এবং আব্দুল কাদির মোল্লা এই রাজনৈতিক হয়রানির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে তাকেও গ্রেফতার করা হয় ।বর্তমানে যে ৫ জন নেতা জেলে গেলে রয়েছেন তাদের উপর শারীরিক নির্যাতনের খবর ও পাওয়া গেছে।‘’

সারি ইয়াশার আরও বলেন ‘’বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি । রোম স্ট্যাটাস অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৪০ বছর আগে ঘটে যাওয়া কোন অপরাধ বিচারের ক্ষমতা রাখেনা ।তাছাড়া ১৯৭১ সালের পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের পৃথক হওয়ার যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনিকে সাহায্য করার অপরাধে অপরাধীদের ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়।১৯৭৪ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে এই যুদ্ধাপরাধ বিষয়টির সমাপ্তি ঘতে।আজ যাদের যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে তাদের কেউই সেই সময় অপরাধী বলে গণ্য হননি। জামাতে ইসলামীর গ্রেফতার হওয়া শীর্ষ নেতাদের ৪ জনই যুদ্ধের সময় ছাত্র ছিলেন এবং অন্যজন ১৯৭৩ সালে জামাতে যোগ দেন।এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিজগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।‘’

*Müslümanlar bölgeden süpürülmek isteniyor(উপমহাদেশ থেকে মুসলমান নিধনের চেষ্টা)
আমেরিকা এবং ভারতের পুতুল বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে উপমহাদেশে(পাকিস্তান,আফগানিস্তান)থেকে ইসলামী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নির্মূলের কথা উল্লেখ করে সারি ইয়াসার বলেন ‘’জামাতি ইসলামীর এই বন্দি নেতাদের পরিবার পরিজন,রাজনৈতিক সহকর্মীরা বন্দি নেতাদের জীবন নিয়ে আজ শঙ্কিত’’

*Müslümanlar dünyanın her yerinde zülüm göruyor( মুসলমানেরা পৃথিবীর সব দেশেই নির্যাতনের শিকার)
AKDAV এর পক্ষ থেকে সিদ্দিক কারাদুমান বলেন ‘’মুসলমানরা পৃথিবীর সব দেশেই এই ধরনের রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হচ্ছে।‘’

*Yaşanan zülümleri gündeme getirilmeli(নির্যাতনের কথা সবাইকে জানানো প্রয়োজন)

মানবাধিকার সংস্থা İHH এর পরিচালনা পরিসদের সদস্য ওসমান আতালায় বলেন ‘’বিশেষ করে গত দুই বছর যাবত বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর অন্যায় অত্যাচার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। মুসলমানদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, গনতান্ত্রিক উপায়ে করা যেকোনো প্রতিবাদকেই বাধা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখন তুরস্কে রয়েছেন।তাকে বলতে চাই এই নির্যাতনের কথা মানুষকে জানতে দিন, কথা বলার সুযোগ দিন। যারা এখান থেকে বাংলাদেশে যেতে চান তাদের ভিসা পেতে সমস্যা হয়। আমরা বাংলাদেশে গেলে জামাতে ইসলামীর নেতাদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয় না সরকার।আমাদের উচিত এই সব ঘটনা সবাইকে জানানো, মানুষদের সচেতন করে তোলা।‘’

*Hükümet bangladeş başbakanı uyarsın(তুরস্ক সরকারের উচিত শেখ হাসিনাকে সতর্ক করা)
Fatih akıncıları এর বক্তা মেহমেত শাহিন বলেন ‘’বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মুসলমান। সম্পূর্ণ গনতান্ত্রিক ভাবে গড়ে ওঠা এবং পরিচালিত হওয়া জামাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যেসব হয়রানিমূলক ,উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার/মামলা হচ্ছে তা অনেকটা তুরস্কের ২৪শে ফেব্রুয়ারী অভ্যুত্থানের মত(http://www.scribd.com/doc/88489621/My-Research)।তুরস্কের উচিত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান্মন্ত্রিকে মুসলমানদের উপর চলতে থাকা এই অত্যাচার বন্ধ করতে সতর্ক করা। আমাদের মনে রাখতে হবে কোন সরকারই জুলুম করে ক্ষমতায় থাকতে পারেনা। অনেক দেশেই নির্যাতন নিপীড়ন হয়, অত্যাচারী, নির্যাতনকারীদের আবির্ভাব ঘটে কিন্তু জয় সব সময় মজলুমদেরই হয়।বাংলাদেশেও এমনই হবে’’

*Yapılan zülümlerin son bulması için dua ediyoruz(এ নির্যাতন যাতে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি)
সর্বশেষ বক্তা Özgür-Der এর সাধারন সম্পাদক মুসা ওজের বলেন ‘’তুরস্কের ১২ জুন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারীর হোতাদের বিচার চলছে।২৮শে ফেব্রুয়ারী তুরস্কের মুসলমানরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, বাংলাদেশী মুসলমানরা আজ তারচেয়েও শতগুন বড় সমস্যার শিকার। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষদের জন্য যে মুসলমানই কাজ করতে চাচ্ছে তাকেই রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করচ্ছে সরকার, মুসলমানদের সমূলে উৎপাটন করার চেষ্টা চলছে। তুরস্ক সরকারের উচিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান।আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে হুঁশিয়ার করে দেয়া প্রয়োজন।বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলার অবনতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।মুসলমানদের নির্মূলের চেষ্টা চলছে।মুসলিম রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে, ধর্মপ্রাণ নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।আমাদের অতিসত্তর এর প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।‘’

সবাইকে ধৈর্য ধরে বোরিং লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আমি প্রফেশনাল ব্লগার বা অনুবাদক নই।তারপর ও অনেক পরিশ্রম করে অনুবাদ করেছি। এখন আসি দুঃখজনক কথাটায়। এই তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীদের যে জামাত প্রীতি শুনলেন তাঁতে নিশ্চই সবার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।হবারই কথা। তাহলে মেজাজ খারাপ করার মত আরেকটা কথা বলি। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর জামাত শিবিরের কর্মীরা তুরস্কে আসে।কেউ আসে তুরস্কের সরকারী স্কলারশিপে কেউ কেউ আবার এই জামাত প্রেমি মানবাধিকার কর্মীদের স্কলারশিপে। এদেশের মানুষকে এরা মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাস শোনায়। গলাম আজমকে বানায় ভাষা সৈনিক, নিজামিকে জাতীয় বীর, আর বঙ্গবন্ধুকে বানায় ভারতের দালাল। কিন্তু এই ছাগুরাই আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংব রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বিদেশ ভ্রমনে আসলে সবার আগে আগে দৌড়ায়। কি আর করা ছাগু তো ছাগুই তাই না? লজ্জা শরম তো ছাগুর পোশাক না।

১,৮৬৫ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “কিছু বিদেশী ছাগু ও একটি দুঃখ”

  1. নাফিজ (০৩-০৯)

    কোন রোম স্ট্যাটাসের কথা বলছে ঠিক বুঝলামনা- ৪০ বছর আগে ঘটে যাওয়া যুদ্ধাপরাধ বিচার করা যায় না নাকি যেন বলছে ? মানবাধিকার ফলাচ্ছে- ৪০ বছর আগে একটা মুসলিম দেশেরও একটা কাকেরও আওয়াজ শোনা যায়নি। তখন মানবাধিকার কই ছিলো? নাকি বাঙালিদের তখন মানুষ হিসেবেই ধরা হয় নাই, কোল্যাটেরাল ড্যামেজ ?

    কারাবন্দী হয়েও হাসপাতালে বসে দুধভাত খাচ্ছে- এই ধরণের নির্যাতন আসলেই দুঃখজনক, হেহ ।

    পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশেই এইসব ধর্মীয় ফ্যানাটিকরা ছড়িয়ে গেছে... মুখে যত বড় বড় কথাই বলা হোক না কেন, আমার মতে- খ্রিস্টান, মুসলমান, ইহুদী কোন ধর্মেই শকুনের সংখ্যা কম না। আমাদের দুর্ভাগ্যটা এইখানে যে সময়ের প্যাঁচে পড়ে নিজেদের বাপ-দাদাদের হত্যাকারী, মা-বোনদের ধর্ষণকারীদের কথায় আমরা উঠছি-বসছি... তুরস্কের উদাহরণ তো আনলেন, আপনি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে গিয়ে দেখুন না এখনো জামায়াতের কি বিপুল সমর্থন।

    ৪১ বছর পরে মিডিয়ার খেয়াল হয় যে বাচ্চু রাজাকার নামে এক লোক টেলিভিশনে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তার পর্যন্ত যাওয়ার আগেই সে চলে যায় পাকিস্তান। আমরা ব্লগ পোস্ট লিখ দিয়ে একসপ্তাহের মাথায় সব ভুলে যাই।

    ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। ঈশ্বর যেইখানেই থাকুক, অন্তত রাজনীতিতে নাই, ওখানে যা আছে তার নাম শয়তান।


    আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।

    জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অনেক ধন্যবাদ খবরটা নজরে আনার জন্য। ICSF এর মিডিয়া আর্কাইভে যোগ করে নিলাম:
    - http://icsforum.org/mediarchive/2012/04/22/some-foreign-chhagus/

    জামাতিদের আস্ফালন আর সহ্য হচ্ছে না। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এদের কার্যক্রমের দিকে নজর রাখা।

    জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    তুরস্ক দেশটাও বর্তমান সরকার (Recep Tayyip Erdoğan) ক্ষমতায় আসার পর ধর্মীয় গোঁড়ামিতে ভরে যাচ্ছে। এই লোক নাকি ভয়ানক রকমের দুর্নীতিবাজ এবং ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতা বিস্তার ও মানুষকে ভোলানোর সব রকম কায়দা তার জানা আছে। কামাল আতাতুর্কের দেশের আজ এই অবস্থা!!! 🙁

    জবাব দিন
  4. আসলে প্রাকৃতিক নিয়মেই ছাগলের বংশবৃদ্ধির হার ব্যাপক।
    একজোড়া মানব-মানবী আর একজোড়া ছাগু-ছাগির প্রজনন হারের তুলনা করলেই তো বোঝা যায় ! সাধারণ নিয়মে মানবযুগল বছরে একের বেশি নয় নিশ্চয়ই। সে তুলনায় ছাগুরা প্রতি ছ'মাসে কয়টি করে বংশবৃদ্ধি করে ? আর চল্লিশ বছরও তো অনেক সময় নিশ্চয়ই। নিরাপদে বাড়তে থাকলে দেশটা একসময় যে ছাগুময় হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ কী ! অতএব সাধু সাবধান ! নিরামিষ্য বাদ দিয়ে সময় থাকতে মাংসাশী হয়ে উঠুন। হা হা হা !

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রণদীপম বসু

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।