জ্বলুনি

কোন এক বৃহস্পতিবার। অথরীটির ভিসিপি শো দেখার পারমিশন না পেয়ে রাগে দুঃখে দেশ ও জাতির মানবিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে তুলতে আমরা ২ জন সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, জাতি আমাদের ব্যাথা বুঝুক আর না বুঝুক আমাদের জাতির প্রতি কর্তব্যে অবহেলা করা যাবেনা।এই লক্ষে আমরা জাতির ভবিষ্যত নাগরিক (জুনিয়র) দের সুনাগরিক বানানোর প্রচেষ্টায় তাদের একটু “শাসন” করার জন্য রওনা হলাম। সুনাগরিক বানানোর প্রচেষ্টা ভালই চলছিল কিন্তু আবার বিধি বাম। জাতির পিতা (হাউস মাস্টার) এর হুঙ্কার শুনে ভাবলাম অনেক হয়েছে। কিন্তু ভিসিপি শো এর দুঃখে মন আকু পাকু করা যেন থামছেইনা। আগের সপ্তাহের প্যারেন্টস ডে থেকে আনা আম গুলোর কথা মনে পরে গেল। স্পেশাল ডিনার এর জন্য যোগ্য অ্যাপেটাইজার। ডাইনিং হল থেকে চুরি করে আনা লবণ, মরিচ দিয়ে কাঁচা আম ভর্তা বানানোর প্রচেষ্টা হলো শুরু। কাটাকুটির পর মাখানো পর্ব। আচমকা বন্ধুর হুঙ্কার “ব্যাটা ঠিক মতো কচলাইতেও পারসনা…তোর ভবিষ্যত অন্ধকার” বলেই সে ২ হাত দিয়ে অগুনিত মরিচ এবং লবণ দিয়ে অবিরাম বেগে কচলাতে লাগলো। আর আমি বন্ধুর নির্মম ভবিষ্যদ্বানি নিয়ে ভাবতে বসলাম। এবার খাওয়ার পালা। হঠাৎ বন্ধু বলে বসলো “দোস্ত …বড় টা পাইছে, একটু পেট খালি না করে আসলে খেয়ে আরাম হবেনা”। ব্যাটা বলে কি? এই রসালো খাবার রেখে যাবে…শৌচকার্য করতে????…বল এখন আমার কোর্টে। এই সুযোগে কিছু খাঁটি বাংলা গালি দিলাম…”ব্যাটা…কুকুরের শাবক, শুকরের খোকন…যা তারাতারি”। বন্ধূ আমার দৌড় দিল, প্রেশার টা মনে হয় বেশিই ছিল। হঠাৎ শৌচাগার থেকে গগনবিদারি চিৎকার। যেয়ে দেখি আমার বন্ধু চেচাচ্ছে, আমি বলি বন্ধু কি হলো?? বন্ধূ বলে তাড়াহুড়া করে মরিচ মাখা হাত না ধুয়েই………………………………………………।

২,১৫৫ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “জ্বলুনি”

  1. শরিফ সাগর (৯৭-০৩)

    বহুত মজা পাইলাম। :khekz: :khekz: :khekz:

    আমাদের ব্যাচের এক বন্ধুরও একই কাহিনি। ডিনারে খাইছে ওয়েটারের স্পেশাল সাপ্লাইয়ের সেই রকম ঝালওয়ালা কাঁচা মরিচ। নাইট প্রেপে আইসা বিধি বাম। ওর অবশ্য ছোটটা পাইছিল। :chup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ইউসুফ (১৯৮৩-৮৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।