আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ (২য় পর্ব)

কলেজে আমি ছাত্র হিসাবে ছিলাম মিডিয়াম ক্যাটাগরির আর ক্যাডেট হিসাবে ছিলাম টপ বদমাইশ। প্রথম টার্মে ছিলাম ১৮ দিন এবং এরমধ্যে ২/৩ টা ঘটনা ঘটালাম।আমার প্রথম ক্যাড্ট ক্রাইম হিসেবে সুরু হল , জুম্মার নামাজের সময় , আমার দুই ফ্রেণ্ডের পাঞ্জাবির কোনা গীড়া দিয়ে দেয়া।দুঃখজনকভাবে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার পাঁঠা তা দেখে ফেলল এবং তাঁর আভ্যাসমত কান ধরে মলা এবং ৮২ শিক্কার একটা থাপ্পর ! ক্লাস সেভেনে এইরকম কাজ করার জন্য তিনি আতিশয় আশ্চয’ হইয়াছিলেন বৈকি ! যাই হোক সেভেনে পড়ার জন্য আমার তেমন বড় কোন সাজা হল না তবে আমার কাছে থেকে একটা স্টেটমেন্ট নেয়া হল।
এরপরের টামে’ পুরোদমে সুরু হ’ল নভিন্সেস ড্রিল এর প্রস্তূতি এর পাশাপাশীর ট্যালেন্ট শো এর প্রশ্তুতি।আমি আবার একটু আধটূ গান জানতাম তার সাথে তবলা বাজাতে পারতাম। আমার এই ট্যালেন্টগুলা হয়ে গেল ভীষণ হিট । আমি তখন ভেড়ার দলে বাছূর পরামাণিক।সুপারডুপার হিট হল আমাদের শো এরমধ্যে ছিল ,গান ,ড্যান্স , আব্রিত্তি,কৌতুক, নাটক। এরপর ক্যামন করে জানি একি টামে’ বাংলা নিধা’রিত বক্ত্রিতাতে ১ম হয়ে গেলাম আর এইটাই হল আমার কাল । ছয়বছড় কালচারাল প্রোগ্রামের বিভিন্ন অংগ্নে আমাকে কলেজ অডিটরিয়মে কাটাতে হল অনেকটা সময়।
আমার কলেজ জীবনের প্রথম দিকের এই সময়টাকে যদি প্রবাশ জীবনের সাথে তুলনা করি তাহলে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। ২০০১ সালে আমি যখন ব্যাংককে প্রথম গেলাম তখন আমার চোখে ছিল অনেক অনিচ্চয়তা যেটা কলেজে ছিলনা । পড়াশুনার পাশাপাশি টাকাপয়সার ব্যাপার জড়িত। আর কিছুদিন যাবার পড়ে বুঝলাম বিনোদনের জন্য সবরকম ব্যবস্থা আছে এখানে। তাই আমার নিজের দায়ীত নিজেকে নিতে হবে। এইখানে আমাদের পটলা, বিটলা বা বোতলার মতো কেউ নেই যে আমাকে শোধরানর চেষ্টা করবে । বেলাল স্যারের মত কেউ নেই যে হাজার গালিগালজের পড়েও অনেক যত্ন নিয়ে নিউটনের সুত্র বোঝাবে ।সুতরাং সাবধান হয়ে আগাতে হবে।
কিন্তূ বেলাল স্যারের ওই শশ্তত বানী “বান্দর সগে’ গেলেও বান্দর থাকে ” …আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হলনা নিজেকে অনেক সাবধান করার পড়েও সামলাতে পারলামনা । বান্দর রয়েই গেলাম তবে এবার একটু সাবধান বান্দর । অথা’ত কতগুলো ব্যাপারে একটু সিরিয়াস যেমন , লেখাপড়াতে একটু বেশী মনোযোগী হলাম। এর পাশাপাশী ঘূরে বেড়াতে লাগলাম থাইল্যান্ড দেশটা। আমি বলব খুব সুন্দর দেশ। আর ওখানকার মানুষগুলো একটু বেশী সরলসোজা। ইংরেজী বলতে পারেনা বেশীরভাগ লোক তাই আমাকে বাধ্য হয়ে কিছু থাই শিখতে হয়েছে ( কিছু থাই শব্দ এই লেখার শেষে অ্যাপনড করা আছে)।
সবাই চাইনিজদের মত দেখতে , ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশী একটিভ আর সেইসাথে স্মাট’ । ব্যাংককের ডিস্ক , পাব এবং বার নাইট লাইফ পাস জন্য খুবি ভাল। তবে একটা কথা বলতে হয় এখানে, অনেকের ব্যাংকক সম্নন্ধে নেগেটিভ ধারনা থাকতে পারে অনেক ব্যাপারে। আমি বলব যে ব্যাপারই হোকনা কেন সম্পুন’টা নিজের উপর।যাই হোক অনেক চড়াই উতরাই পেড়িয়ে ২০০৪ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলাম । এরপড়ে বলতে গেলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । চাকরী …।প্রথম চাকরীটা পেলাম প্রগ্রামার হিসাবে …বিশাল সপ্ন নিয়ে ডট নেট প্রগ্রামার হিসাবে চাকরী …এর তিন চার মাস পরে সিমেন্সে যয়েন করলাম…।

চলবে…।।

২,৪৭৩ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ (২য় পর্ব)”

  1. জাকারিয়া (১৯৯৯-২০০৫)
    শ্রদ্ধেয় স্যার পাঁঠা তা দেখে ফেলল এবং তাঁর আভ্যাসমত কান ধরে মলা এবং ৮২ শিক্কার একটা থাপ্পর !

    এই থাপ্পর যে খাইছে, সেই একমাত্র বুঝবো ( ফ্ল্যাস ব্যাক এ আমার থাপ্পর খাওয়ার স্মৃতি মনে পইড়া গেল )। :(( :((
    আমরা সেভেন এ গিয়া শুনছিলাম যে 'শ্রদ্ধেয় স্যার পাঁঠা' নাকি থাপ্পর দিয়া কোন এক ক্যাডেট এর কাণের পর্দা ফাটায় দিছিল। তখন বিশ্বাস করিনাই, নিজে খাওয়ার পর বিশ্বাস করছি। 😀 😀

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : হাসনাইন (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।