পাতা ঝরার গান- ০৩

শাহাজাদা সেলিম , আনারকলির সাথে প্রেম প্রেম খেলে ১৬০৫ সালে নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নাম ধরে সালতানাতে বসে অতঃপর ১৬১১ সালে ২০ তম!!! ২০ তম পত্নী হিসাবে মেহেরুন্নিসাকে বিয়ে করে ” নুরমহল” উপাধি দিয়ে দিলেই সেলিম- আনারকলি কিম্বা জাহাঙ্গীর- নুরমহল প্রেম হয়ে যায় অপরূপ প্রেমের নিদর্শন ।

আর আমি মুখে মুখে ৩-৪ টা প্রেম করতে চাইলেই আমার চারিত্রিক অবক্ষয় এর নিদর্শন হয়।

কৃষ্ণ করলে লীলা হয়, আর আমি করলে ঢং ??
বড়লোকের সবই রাইট হয়, গরীব করলে রং

রেসিজম এভরি হোয়ার ।

…………………….

রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কাজল টানা চোখওয়ালী দেখে হেঁড়ে গলায় “ এ কালি কালি আখে … তু রু রু তু রু রু” গেয়ে বসলে অনেকে আমার বাড়িতে মা খালা বোন আছে কি নেই সেই প্রশ্নে সন্দিহান হয়ে যায়।

কোন কাজল টানা চোখওয়ালী কে দেখে যদি বলি “ আপনাকে খুব ভালো লাগে কাজল দিলে, আচ্ছা আপনার কাজল দিলে এলারজি জাতীয় কোন প্রবলেম হয়েছে কোনদিন ?” তখন তার মনে হয় , এই ছেলে এর আগে এমন কথা বহু মেয়েকেই বলে এসেছে… কাজল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অনেক।কেউ আর জিজ্ঞেস করেনা “ ঘরে মা বোন নেই?”

তখন সকলেই ভুলে যান যে আমার ঘরেও মা-খালা-বোন আছে।

……………………..

গুলশান প্লাজা রস্তোরার সামনে দাঁড়িয়ে কেবল গরম চায়ের গ্লাসটা হাতে ধরেছি।এক চুমুক মারতেই,সামনের পারকিং থেকে একটা গাড়ি এসে আমার ডান পাশে দাড়ালো। আড় চোখে গাড়ির দিকে তাকালাম। জাদুকরের জাদুর পর্দা যেমন কৌতূহল জাগিয়ে জাগিয়ে রসিয়ে রসিয়ে নামতে থাকে ঠিক তেমনি সামনের বাম পাশের কাঁচটা নেমে গেলো। বাক্সের ভেতরের ললনা কে দেখে আমার ঘাড় সম্পূর্ণ ডানে ঘুরে গেলো। হঠাত ই মৃদু উষ্ণতা অনুভূত হোলো বুকে।কি সে অনুভুতি !!!! হটাত সাকিব আর আশেপাশের মানুষের ডাকে অনুভুতি ছুটে গেলো। দেখলাম কোন বিশেষ ত্রুটির কারনে কাগজের গ্লাসের তলা ফুটো হয়ে গরম চা পুরোটাই আমার জামা কাপড় ভিজিয়ে বুক পেট মোটামুটি ভিজিয়ে দিয়েছে। সেই মৃদু উষ্ণতার উৎস খুঁজে পেলাম।

সাকিব কে বললাম “আইন্সটাইন লোকটা আসলে ভালোই মাল ছিলো রে, আপেক্ষিকতার তত্ত্ব ব্যাপারটা খুব একটা খারাপ দেয় নাই ।”

………………………

উইনস্টন চার্চিল সাহেব ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ এবং লেখক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাজ্যকে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সময়কার তার একটি ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষন গুলোর একটি( উই শ্যাল ফাইট অন দ্যা বিচেজ)। ১৯৫৩ সালে তিনি তার সাহিত্যকর্মের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। বিবিসি জরিপে মনোনীত সর্বকালের সেরা ব্রিটেনবাসী এই ভদ্রলোক কম রসিক ছিলেন না। চার্চিলের অভিনেত্রী কন্যা সারা বিয়ে করেছিলেন ভিক আলভার নামে এক যুবককে। চার্চিল তার জামাতাকে মোটেই পছন্দ করতে পারেননি। চার্চিল একদিন হাঁটতে বেরিয়েছেন, তখন ভিক শ্বশুরের কাছে জানতে চাইলেন, যুদ্ধে তিনি প্রশংসা করার মত কাউকে দেখেছেন কিনা। ‘মুসোলিনি’ ভিককে বিস্মিত করে দিয়ে তিনি গর্জন করে উঠলেন!!!!!

“কারণ মেয়ের স্বামীকে গুলি করে মারার সাহস তার ছিল।” (মুসোলিনি তারা জামাতাকে ১৯৪৪ সালে বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে হত্যা করেছিল)

আরেকবার এক জনসভায় চার্চিলের বক্তৃতা শুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক মহিলা বিরক্ত হয়ে বলে ফেললেন-‘যদি আপনি আমার স্বামী হতেন,তাহলে আমি আপনাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতাম।’
চার্চিল একথা শুনতে পেয়ে তার দিকে ফিরে হেসে বললেন- “ম্যাডাম ! সেক্ষেত্রে আপনি আমার স্ত্রী হলে আমি নিজেই বিষ খেয়ে মরে যেতাম!

……………

৩,৭৮৫ বার দেখা হয়েছে

৩ টি মন্তব্য : “পাতা ঝরার গান- ০৩”

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।