অলস মানুষের চিন্তাগুলি…

আমি মানুষ হিসেবে বেশ খানিকটা অলস। কিন্তু আমার মাথায় সবসময় নানা আইডিয়া ঘুরে। এসব আইডিয়া নিয়ে মাঝে মাঝে ব্লগ লিখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু অলসতার কারণে শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু এইসব চিন্তা বা আইডিয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ানোটাও সহজ না। সবসময় ভিতর থেকে চিন্তাগুলি যেন বলে, আমরা মুক্তি চাই। আজ ভাবলাম চিন্তাগুলিকে অন্তত মুক্তি দিই। যাচ্ছেতাই ভাবে হলেও। তারই ফসল আজকের এই ব্লগ। আমার চিন্তাগুলো একে একে লিখে গেলাম। শিরোনামসহ।

 

অবাক কৌতূহল !?

মানুষের দুটি স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হল বিস্ময় আর কৌতূহল। একটা শিশুকে দেখুন। সবকিছুতেই তার কত বিস্ময় আর কৌতূহল!? আর এই দুটোই আমাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন।

যদি বিস্ময় থাকে আর কৌতূহল না থাকে, তাহলে আমাদের মধ্যে জন্ম নেবে ভয় আর অন্ধবিশ্বাস। আমরা হয়ে যাব অনেকটা পশুদের মত।
একইভাবে যদি কৌতুহল থাকে আর বিস্ময় না থাকে, তাহলে কৌতূহল মিটে যাবার পর আমাদের জীবন হয়ে যাবে যান্ত্রিক। রোবটের মত।

 

আমরা কেন ইউনিক

ইউনিক শব্দের যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ কি হতে পারে?
কিছুদিন আগে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টিতে মানুষের সাথে অন্যান্য প্রজাতির পার্থক্যের ব্যাপারে। ভেবেছিলাম সিসিবির সাথে শেয়ার করি। শেয়ারের আর কোন পথ না থাকায় ব্লগ লেখাটাই একমাত্র উপায় ছিল। তাই আর্টিকেলটার সারমর্ম লিখব ভেবেছিলাম। সেই সারমর্মের সারমর্ম হল-

মানুষের সাথে অন্যান্য প্রজাতির মূলতঃ তিনটি পার্থক্যঃ
– জটিল যন্ত্র তৈরী ও ব্যবহার করতে পারা।
– সাংকেতিক আচরণ যেমন ভাষা, সাহিত্য বা কলা (এই কলা সেই কলা না), আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
– অন্যান্য জীব-জন্তুকে পোষ মানানোর ক্ষমতা।

সম্প্রতি একজন বিজ্ঞানী নতুন একটা বৈশিষ্ট্য দাবী করেছেন যার নাম দিয়েছেন Animal Connection। বাংলায় বললে বলা যায় অন্যান্য প্রজাতিকে বোঝার ক্ষমতা, তাদের প্রতি মমতা ও তাদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক। তিনি দাবী করেছেন এই বৈশিষ্ট্যের সাথে আগের বৈশিষ্ট্যগুলোও গভীরভাবে জড়িত।

 

আমাদের গণতন্ত্রের দুর্বলতা এবং প্রযুক্তি

এই পয়েন্টটা সংক্ষেপে লিখতে লিখতে বেশ বড় হয়ে গেল। তাই আলাদা পোস্ট হিসেবেই দিয়ে দিব ইনশা আল্লাহ।
আপডেটঃ পোস্ট দেয়া হয়ে গেছে। এখানে

 

সেই ছেলেটি

তৌহিদকে চেনেন? আমাদের কলেজের মানে বৃক্ষগোত্রীয় আর কি। ‘৯৯-‘০৫ ব্যাচের। ২০০৪ এর আইসিসিএলএম এ আমাদের ব্যান্ড টীমের “গায়ক দ্য ভোকাল” ছিল। ঐবছর ব্যান্ড-এ চ্যাম্পিয়ন। আইবিএ-তে পড়ত। এখন বিএটি-তে আছে।

কিছুদিন আগে ওর বিয়ে হয়ে গেল। সবাই কত ঘটা করে জন্মদিনের পোস্ট দেয়। ভেবেছিলাম ওর বিয়ে উপলক্ষে একটা পোস্ট দিব। কিন্তু আমি এমনি আইলসার আইলসা যে এইটা আর হয়ে ওঠেনি। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।

 

আমরা কি আদর্শের সংকটে ভুগছি?

আচ্ছা জাতি হিসেবে বাংলাদেশে আমরা কি আদর্শের সংকটে ভুগছি? আমার মতে মানুষের জন্য একটা আদর্শ থাকাটা খুব প্রয়োজন। যেই আদর্শ তাকে প্রবৃত্তির বিপরীতে মন্দ থেকে বাঁচিয়ে ভালর দিকে পরিচালিত করবে। কিন্তু চারিদিকে সবাই দেখি স্বার্থের পিছনে ছুটছে। ব্যতিক্রমও আছে। তবে মূল জোয়ারটা স্বার্থের দিকেই। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও কোন আদর্শের দেখা পাওয়া যায় না। ছাত্র রাজনীতির এখন কি বেহাল দশা। কেন? ঐযে স্বার্থের প্রাধান্য আর আদর্শের সংকট। আদর্শের নামে যদিওবা কিছু থাকে, তাও গঠনমূলক কিছু না। এসব আদর্শ স্রেফ ব্যক্তিবিশেষ বা বিরোধী পক্ষের প্রতি ঘৃণার মনোভাবের সমষ্টি। অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা তো থাকবেই। কিন্তু ঘৃণাই কি কোন দলের চালিকা শক্তি হওয়া উচিত? এই অবস্থা থেকে আমরা কিভাবে বেরিয়ে আসতে পারি?

 

এরকম জ্যামিতি বিষয়ক একটি লেখা ছাড়া আরও কিছু লেখা মাথায় ছিল। কিন্তু সেগুলো এভাবে সংক্ষেপে লিখে বোঝানো যাবে না। তাই সেগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট দেওয়ার চিন্তা আছে। এই লেখাগুলোর কোন কোনটাও আলাদা পোস্ট হিসেবে ভবিষ্যতে আসতে পারে। কিন্তু কোন ভরসা নাই। আমি যে আইলসার আইলসা…

[ঈষৎ সম্পাদিত]

৩,৩৬২ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “অলস মানুষের চিন্তাগুলি…”

  1. সামিয়া (৯৯-০৫)

    হাহাহা, লেখা দেখে বোঝা গেল, তুমি আসলেই চরম আইলসা। =))

    তোমার শেষের পয়েন্টটা মাথায় ঘুরছে বেশ কিছুদিন ধরেই। আমরা যতই বলি না কেন, ভালবাসায় সরলতায় আমাদের চেয়ে পিছিয়ে খুব কম জাতিই আছে। আমাদের বিবেক, আদর্শগত সংকট এত বেশি যে দুই পয়সা থেকে শুরু করে দুই হাজার কোটি সব ক্ষেত্রেই চুরি ছাড়া আর কিছু মাথাতেই আসেনা। এটা কেন? আমাদের অতীতও এর চেয়ে ভাল কিছু নয়। তারপরেও, আমাদের চেয়েও একটা খারাপ সময় পেরিয়ে এসে কেমন করে কিছু কিছু দেশের ন্যায় অন্যায় জ্ঞান এত টনটনে, অথচ আমরা পিছিয়ে আছি কেন?
    আমি জানিনা। আমাদের দেশে একটা শক্ত হাত প্রয়োজন হয়ত।

    জবাব দিন
  2. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    পোস্টটা ভালো হইছে। এই কারণে যে নিজের কিছু চিন্তার কথা মাথায় আসছে।

    যদি বিস্ময় থাকে আর কৌতূহল না থাকে, তাহলে আমাদের মধ্যে জন্ম নেবে ভয় আর অন্ধবিশ্বাস। আমরা হয়ে যাব অনেকটা পশুদের মত।

    কথাটা প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কৌতূহলের অভাব মানুষের মধ্যে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। দুই জন ফিসফাস করতেছে তা দূর থেকে দেখে আমার ইচ্ছা হলো কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটা জানার। এইটাইপ কৌতূহল না। আমি বৃহৎ প্রেক্ষাপটে বললাম।

    কৌতূহল নেই বিধায় তোর পয়েণ্টের মতোই ব্যাপার ঘটছে। অর্থাৎ মৃত্যুর পরে কি হবে এই ভয়ে আমরা এখন ভীত এবং পবিত্র গ্রন্থসমূহের রূপগল্পে অন্ধ বিশ্বাসী। ভাবটা এমন যে যতো অন্ধবিশ্বাসী সে তত বস, যে যত প্রশ্ন কম করবে সে তত ঈমানদার।

    মানুষের সাথে অন্যান্য প্রজাতির মূলতঃ তিনটি পার্থক্যঃ
    – জটিল যন্ত্র তৈরী ও ব্যবহার করতে পারা।
    – সাংকেতিক আচরণ যেমন ভাষা, সাহিত্য বা কলা (এই কলা সেই কলা না), আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
    – অন্যান্য জীব-জন্তুকে পোষ মানানোর ক্ষমতা।

    প্রথম কথার সাথে একমত নই। প্রথমত মানুষ ছাড়াও নিয়ান্ডারথালরা অস্ত্র তৈরীতে পারদর্শী ছিলো। পারদর্শী ছিলো ব্যবহারেও। এছাড়া শিল্পাঞ্জি সহ আরও কিছু প্রজাতি টুকটাক যন্ত্র বানাতে পারে, তবে অবশ্যই মানুষের মতো নয়।

    এছাড়াও মানুষের একান্ত নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বলে কিছু জিনিস আগে বলা হতো, যেমনঃ অর্গানাইজড কিলিং (অর্থাৎ প্ল্যান পোগ্রাম করে কাউকে বা কোন গোষ্ঠীকে হত্যা করা), তারপর কেউ অপকার করলে পরে তাকে দেখে নেওয়া এই টাইপ অসংখ্য ব্যাপার প্রানীজগতে লক্ষনীয়। মূল বক্তব্য হলো, মানুষ ইউনিকিয়ার বা সৃষ্টির সেরা জীব টাইপ কিছু না। তার অসংখ্য বৈশিষ্ট্য প্রানী জগতে আছে, যেহেতু বিবর্তনের মাধ্যমে উদয় হয়েছে আমাদের। তবে মানুষ আলাদা এই সকল বৈশিষ্টের সাথে আরও কিছু যোগ হওয়ায়। আমার খুব পছন্দের একটা ভিড্যু আছে এই বিষয়ে, দেখার অনুরোধ থাকলো। ভালো লাগতে বাধ্য।

    আমাদের গণতন্ত্রের দুর্বলতা এবং প্রযুক্তি

    এইখানে আমাদের গণতন্ত্রের দূর্বলতা বোঝানো হইলো নাকি সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র সিস্টেমটার আইডিয়াকে বুঝানো হলো সেটা বুঝতে পারিনাই। আমাদের গণতন্ত্র আসলেই দূর্বল। কারণ এইখানে কি আসলেই গণতন্ত্র চর্চা হয়? কই দেখিনা তো! এই বিষয়ে পোস্ট পড়ার আশায় রইলাম।

    জবাব দিন
    • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

      তোর মন্তব্য দেখে ভাল লাগল।

      তুই হয়ত জানিস আমি ধার্মিক মানুষ। তারপরেও নিজের উপলব্ধি থেকেই কথাগুলো লেখা। কারণ ধর্মের নামে যত কুসংস্কার আর ভ্রান্ত অন্ধবিশ্বাস প্রচলিত আছে, তার অনেকগুলিই অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। আর আমি অবশ্যই সমাজকে এসব থেকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাব। যতখানি আমার সাধ্যে কুলায়, যতখানি আল্লাহ তৌফিক দেন।
      আর প্রশ্নের উত্তরের ব্যপারে বলব, সঠিক উত্তর পাবার জন্য সঠিক জায়গায়, সঠিক মানুষের কাছে যেতে হয়। আর নিজেকেও সেভাবে তৈরী করতে হয়। জ্ঞানে এবং মানসিকতায়। নাহলে ঠিক জিনিসটা জানা যায় না। সব বিষয় বা সাবজেক্টের জন্যই এটা সত্যি।

      মানুষের ইউনিক হওয়ার ব্যপারে আমি তো শুধু ঐ আর্টিকেল থেকে তথ্য নিয়েছি। এইটা আমার নিজস্ব মত না। লিংক দেয়া আছে, আর্টিকেলটা দেখতে পারিস। ভিডিওটার সাইজ তো মাশাআল্লাহ। 142MB ডাউনলোড দিলাম। শেষ হলে দেখব ইনশাআল্লাহ।

      আমাদের গণতন্ত্র বলতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কথাই বুঝাতে চেয়েছি। লেখা আসছে...

      জবাব দিন
    • আয়েশা ( মগকক) আয়েশা

      রায়হান, ভেরি গুড পয়েন্ট! মানুষের (anatomically মডার্ন হিউম্যান) সাথে Nean দের গুলশানের লিঙ্কটিতে উল্লেখিত অনন্য বৈশিষ্টগুলো, মানুষ (anatomically মডার্ন হিউম্যান) আর neanderthal দের মধ্যে বিদ্যমান।অনেক খবর রাখো দেখছি। Neanderthal দের সম্পর্কে NY times এ পড়ার পর ইন্টারনেট এ বহু ঘাটাঘাটি করা হয়েছে। তখন বিবর্তনবাদ নিয়ে বহু ভেবেছি।
      তুমি কি জান যে, NATURE এ আবার reanalysis হয়ে আসল যে, নিয়ান DNA টি হিউমান DNA দ্বারা contaminated ছিল, যার জন্য তারা (nature ) বলছে যে, নিয়ানরা মানুষের ancestor কখনই ছিলনা বরং শিম্পাঞ্জিদের মতই আমাদের আরেক কাজিন( আরো ক্লোজ)। আমরা তো ডারউইন নই যে গালাপাগসে বসে নিজেরাই প্রকৃতিকে আবিষ্কার করতে পারব, তাই সায়েন্স ম্যাগাজিন বা জার্নালগুলোই আমাদের একমাত্র ভরসা।নিয়ান জিনোমের আরো গবেষণা হোক, দেখা যাক কোথাকার জল কই গিয়ে গড়ায়।

      গুলশানের সঠিক জায়গায় সঠিক ইনফো পাওয়ার idea টা খুব সুন্দর। :clap:
      কোন অনন্য বা অভূতপূর্ব বৈশিষ্ট্যের জন্য আমরা "মানুষ" -সেটা জানা নেই।হিউমেনিয়াম(just জোকিং) element টা এখনো অনাবিষ্কৃত কিনা!
      what makes us human is still a mystery !

      জবাব দিন
        • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

          আয়েশা আপু, আমার ব্লগে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ব্যস্ততায় ঐখানে জবাব পরে দিবো। এখন এইখানে দেই।

          আপু বিবর্তন নিয়ে পড়াশুনায় আমি কখনই পাই নি যে নিয়ান্ডার্থালরা আমাদের এনসেসটর ছিলো। শানিদার কেইভ এর কথা জানেন নিশ্চয়ই। নিয়ান্ডার্থালদের বোঝার জন্য এইটা বেশ দুর্দান্ত একটা আবিষ্কার ছিলো। যাই হোক আসলে প্রসংগে আসি।

          প্রথমতো নিয়ান্ডারথালরা আমাদের কাজিন। এই ব্যাপারে কারও কোন সন্দেহ নেই। নিয়ান্ডারথালরা অস্ত্র তৈরী করতে পারতো, তৎকালীন হোমোসেপিয়ান্সরাও পারতো। হোমসেপিয়ান্সরা যখন নিয়ান্ডারথালদের আক্রমণ করে তখন যেই জিনিসটা আমাদের এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো সেটা হলো, হোমোসেপিয়ান্সরা অস্ত্র ছোড়ার আইডিয়া পেয়েছিলো। কিন্তু নিয়ান্ডারথালরা ওদের তৈরী অস্ত্র নিয়ে শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পড়তো। ধারণা করা হয়, এই কারণেই হোমোসেপিয়ান্সের জয় হয়েছে নিয়ান্ডারথালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। এবং এই কারণে হোমোসেপিয়ান্সরা পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় করতে পেরেছে নিয়ান্ডারথালদের।

          আদতে এইটা না হলেই পৃথিবীর ইতিহাস অন্যরকম হতো। কারণ নিয়ান্ডারথালদের মাথা ছিলো আমাদের চেয়ে বড়, মস্তিষ্কও। যাই হোক ...

          জবাব দিন
      • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

        ইউনিক-এর প্রতিশব্দ হিসেবে অনন্য মাথায় আসছিল। কিন্তু এই শব্দটার মধ্যে কেমন জানি একটা কোমল কোমল ভাব আছে। তবে অন্য কোন শব্দ না পাওয়া গেলে এটাই ব্যবহার করতে হবে...

        জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।