বিভিন্ন ট্র্যাডিশন কলেজে কলেজে…

সব কলেজেরই কম-বেশী বিভিন্ন ট্র্যাডিশন আছে। কোন কোনটা হয়তো অনেক কলেজেই আছে, তবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। অনেকগুলো আবার বি এম এ -তেও আছে। অনেক ট্র্যাডিশন আবার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। এর অনেকগুলোই নরমাল এটিকেটেরই অন্তর্ভুক্ত। এই পোস্টে এসব ট্র্যাডিশনগুলোর একটা সংকলন করতে চাচ্ছি।

আমি এখানে আমাদের কলেজের(ঝিনাইদহ) ট্র্যাডিশনগুলো তুলে দিলাম। সেগুলোর সাথে অন্য কলেজে একই টাইপের কি ট্র্যাডিশন ছিল তা অন্যরা মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দিবেন বলে আশা করছি। নতুন কোন ট্র্যাডিশন থাকলে সেটাও দিতে অনুরোধ করছি।

তুলনার সুবিধার্থে ট্র্যাডিশনগুলোও মন্তব্যের ঘরে লেখা হল।

৬৭ টি মন্তব্য : “বিভিন্ন ট্র্যাডিশন কলেজে কলেজে…”

  1. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    ১) সিনিয়রদের সাথে কথা বলার সময় শান(সাবধান) হয়ে কথা বলতে হবে। প্রত্যেক কথার শেষে 'ইয়েস প্লীজ' বলতে হবে। নাবাচক হলে 'নো প্লীজ'। সিনিয়র মুভ না বলা পর্যন্ত বুঝতে হবে কথা বলা শেষ হয়নি। অনেক সময় সেভেনের পোলাপাইন স্যারদের সাথে বা বাড়ীতেও ইয়েস প্লীজ কইয়া ফালাইতো!!!

    জবাব দিন
  2. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    ২) সেভেন আর এইট কোন সিনিয়রদের সাথেই ফ্রি না। অর্থাৎ উপরের নিয়মে কথা বলতে হবে। নাইনে ওঠার পর ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচের সাথে ফ্রি হয়ে যাবে। ক্যান্ডিডেট অবস্থায় অবশ্য টুয়েলভের সাথে মোটামুটি ফ্রি।

    জবাব দিন
  3. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    ৮) আমাদের কলেজে জুনিয়ররা উপরের তলায় আর সিনিয়ররা নীচ তলায় থাকতেন। তো উপরের তলায় মেঝেতে জোরে শব্দ হলে (কিছু হাত থেকে পড়ে যাওয়া বা চেয়ার-টেবিল সরানোর কারণে) নীচের তলার সিনিয়র ভাইকে বলে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পানিশমেন্ট খেতে হবে কিনা সেটা সিনিয়রের মর্জি।

    জবাব দিন
  4. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    ১২) কলেজ ডিউটি ক্যাডেট ইলেভেন থেকে থাকত। আর এইট থেকে একজন থাকত হাউস ডিউটি ক্যাডেট। এই বালকের কাজ ছিল সিনিয়রদের নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ডেকে দেয়া, টুকটাক ফাই-ফরমাশ খাটা ইত্যাদি।

    জবাব দিন
  5. নাজিব(২০০৩-২০০৯)

    ক্লাস ৭ সব সময় সান হয়ে এবং মাথা নিচু করে হাটবে |ক্লাস ৮ এ উঠলে জুনিয়র আসার আগের দিন ফ্রীনেস পানিশমেন্ট এর মাধ্যমে hand swing দেওয়ার ও উপরে তাকানোর permission পাওয়া যায় ও ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচের সাথে ফ্রি হওয়া যায় |table এ খাবার নেওয়া ও ডাল খাওয়ার সিস্টেম jcc এর মতই|

    জবাব দিন
  6. মুহিব (৯৬-০২)

    (১) মসজিদে ক্লাস ৭ ক্রস লেগ - এ বসতে পারবে না। ৮ - এ উঠার আগে মসজিদে গিয়ে ওযু করা যাবে না। ( ৭ এ থাকতে এই জন্য অনেকদিন ওযু ছাড়াই নামাজ পরছি।)
    (২) ক্লাস ৮ এ উঠার আগে ঘড়ি পড়া যাবে না।
    (৩) ক্লাস ৯ এ ঊঠার আগে ব্লকে হাটার সময় কাধে টাওয়েল নেয়া যাবে না।
    (৪) ডাল খাওয়া আর টেবিলে হাত রাখার ব্যাপারটা একই রকম।
    (৫) কলেজে নতুন ব্যাচ আসলে ক্লাস ৮ এর যে গাইড ভাই ক্লাস ৭ এর যাকে রিসিভ করে ব্যাগ বহন করে নিয়ে আসে; কলেজ থেকে যাবার সময় এর উল্টোটি ঘটে।
    (৬) ডিউটি ক্যাডেট এর বৃহস্পতিবারের বিশেষ কাজ হলো পুডিং এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে নিয়ে যাওয়া।

    জবাব দিন
  7. মাহবুব (৯৯-০৫)

    অন্যদের কথা জানি না আমার ক্ষেত্রে রীতি মতো ফল্টের খাতা ছিল । যা আবার লুকিয়ে রাখতা হতো । এবং গাইড B-) মশাই ইয়ের 😛 কাছে , যে দিন কোনো কয থাকতো না পাঙ্গানোর , সেই দিন "অমুক দিনের অমুক সময়ে এই কাজ করছো তোমাকে তো পাঙ্গান ফরয...।।" টাইপের কথা বলে পাঙ্গানি শুরু হতো

    জবাব দিন
  8. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    প্রতিদিন মাগরিব প্রেয়ারের পর ক্লাস সেভেন দৌড়ায়ে হাউজে যাবে। শুধু বৃহস্পতিবার ক্লাস টুয়েলভ্ দৌড়াবে (optional)। এটা কারো ইম্পোজ করা লাগেনাই, বিষ্যুদবারের সন্ধ্যার ডিশে B4Utv-তে চালানো সেই আমলের sensual বলিউড নায়িকাদের মাখনসদৃশ অনাবৃত অঞ্চলগুলি 'আরো ভালভাবে' দেখার লোভ / ফোর্টনাইটলী সিলেক্টেড মুভি উপভোগ ইত্যাদির জন্য কমনরুমে সামনের সিট দখলের (শুয়ে শুয়ে দেখার জন্য) প্রতিযোগীতার তাগিদেই হয়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে যেই দৌড়টা দিত পোলাপান, মাইল টেস্টেও মনে হয় এত গাইরত দিতো না।

    জবাব দিন
  9. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    Grand Dinner এর পর যখন স্যার-ম্যাডামরা ডাইনিং হল ত্যাগ করতেন, তারপর ক্যাডেটরা বসে বসে সমস্বরে গাইত:
    "He was a jolly good fellow, he was a jolly good fellow, he was a jolly good fellow.... so said all of usssssssssssssssssssss!"
    এবং ঐ hissing সাউন্ড টা হত একটা অভাবনীয় জিনিস :duel:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আব্দুল্লাহ্ (১৯৯৮-২০০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।