স্বজাত্যবোধ, জাতীয়তাবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা

কিছুদিন ধরে মাথায় এই বিষয়গুলো নিয়ে কিছু চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল। ভাবলাম লিখে ফেলি। অনেক ভারী ভারী কথাবার্তা। আবার এইটাই প্রথম পোস্ট। সবাই আশা করি সেইভাবেই দেখবেন।

স্বজাত্যবোধঃ
স্বজাত্যবোধ মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যেই পড়ে। শুধু মানুষ না, এটা সম্ভবত সব প্রাণীদের বেলাতেই সত্যি। যেখানে মানুষের জন্ম হয়, যে পরিবেশে সে বেড়ে ওঠে, বা যেখানে তার উল্লেখযোগ্য কিছু সময় কাটে, সেই পরিবেশের, সেই পরিবেশের মানুষদের এমনকী অন্যান্য প্রাণীদের সাথেও একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক নিছক স্বভাবজাত ভালবাসার সম্পর্ক। সমষ্টিগত স্বার্থকে ব্যক্তিগত স্বার্থের উপর প্রাধান্য দেওয়ার শুরুও এখান থেকেই।

জাতীয়তাবাদঃ
স্বজাত্যবোধ থেকেই জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। কিন্তু কখনো কখনো তা ভালর বদলে খারাপের দিকে যায়। বর্তমানে জাতীয়তাবাদের যেসব বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা হল-
-জাতির সংগ্রামের ইতিহাসকে Highlight করা। “গৌরবময় অতীত” এর ধারণা সব জাতির মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।
-জাতির সাথে যেসব অন্যায় করা হয়েছে সেগুলোকে Highlight করা। কিন্তু নিজেরা অন্যান্য জাতির সাথে কোন অন্যায় করলে সেগুলোকে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা।
-জাতির জনপ্রিয় নেতাদের দোষকে স্বীকার না করা বা চেপে যাওয়া।
-জাতি/নেতার জন্য নীতিকে অনুগ্রভাবে(mildly) ছাড় দেয়া।

সাম্প্রদায়িকতাঃ
আমার মতে, সাম্প্রদায়িকতা হল উপরোক্ত জাতীয়তাবাদেরই চরম পর্যায়। আর ঘৃণাই সাম্প্রদায়িকতার মূল ভিত্তি। সাম্প্রদায়িকতার যেসব বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা হল-
-“আমরাই ঠিক, অন্যরা সব ভুল” কোন যুক্তির তোয়াক্কা না করেই এধরণের ধারণা পোষণ করা।
-অন্যান্য গোষ্ঠী/জাতির প্রতি ঘৃণাসুলভ ধারণা রাখা। বিশেষ কোন বিরোধী জাতির জন্য এটা সীমা অতিক্রম করতে পারে।
-সম্ভাব্য বা অসম্ভাব্য সকল উপায়ে বিরোধী গোষ্ঠীর দোষ ধরার চেষ্টা করা।
-নিজেদের ভুলকে অস্বীকার করা।
-জাতি/নেতার জন্য নীতিকে বিসর্জন দেয়া।

আমার মনে হয়, কারও মনোভাব যে এই তিনটা পর্যায়ের যেকোন একটার মধ্যেই থাকবে তা নয়। বরং কারও মনোভাব এই পর্যায়গুলোর মাঝামাঝিও হতে পারে। সেটা লক্ষণগুলোর দ্বারা বিচার করা যেতে পারে। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মত। তা হল, এই স্বজাত্যবোধ -> জাতীয়তাবাদ -> সাম্প্রদায়িকতার ক্রমবিকাশ কিন্তু মানুষকে তার জাতির জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা(spirit)-কে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে সে আত্মত্যাগের মত চরম পরিণতি বরণ করে নিতেও দ্বিধাবোধ করে না। এই অনুপ্রেরণার(spirit) মাধ্যমে অনেক ভাল কিছুও করা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হল, যেই জিনিস তাকে এই ত্যাগের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে, সেই একই জিনিস তাকে সংকীর্ণমনা করে তুলছে এবং ঘৃণার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। আমরা কি পারি না মন্দটুকুকে বেছে ফেলে ভালটুকু নিয়ে এগিয়ে যেতে?

জাতীয়তাবাদকে সাধারণতঃ রাষ্ট্রের সাথে আর সাম্প্রদায়িকতাকে ধর্মের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। আমি এখানে আমার মত করে ধারণাগুলোর সাধারণীকরণ(generalization) করলাম। এব্যাপারে অন্যদের মন্তব্য জানতে পারলে খুশী হব। আর একটা কথা না বললেই নয়। আমাদের মধ্যে নিজের চেয়ে অন্যের দিকে বেশী তাকানোর প্রবণতা আছে। আসুন অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজেই নিজের ভুলগুলো ধরার চেষ্টা করি। তাহলেই ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়!

৩,০৩৪ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “স্বজাত্যবোধ, জাতীয়তাবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা”

  1. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    সুন্দর লিখেছ।

    আমরা কি পারি না মন্দটুকুকে বেছে ফেলে ভালটুকু নিয়ে এগিয়ে যেতে?

    আমি বিস্বাস করি আম্রা তা পারি।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    গুলশান,ব্লগে স্বাগতম! এই ছেলেটারে কলেজে আমি সংক্ষেপে "গুলু" ডাকতাম-যদিও অন্য হাউসে হওয়ায় খুব বেশি ডাকাডাকির সুযোগ হয়নাই।লেখাটা একবার চোখ বুলালাম,ভালমত পড়ে আবার কমেন্ট করবো।ততক্ষণে প্রিন্সিপাল স্যারের সম্মানে দে দশটা ফ্রন্টরোল...

    জবাব দিন
  3. মনোজ

    "স্বজাত্যবোধ" থিওরেটিকাল প্রয়োজনিয়তায় হয়তো এই শব্দটি ব্যাবহার করা যায়/হয়, কিন্তু মনে করি না যে, ব্যবহারিক অর্থে নির্দিষ্টভাবে 'জাতি' বলে কিছু আছে বর্তমান কালে, কেবলমাত্র 'মানবজাতি' ছাড়া। কারণ মানুষ মানুষই রয়ে যায় (যদিও আমার বিশ্বাস মানুষ বলে কিছুই নেই, আমরা সবাই অধঃ মানুষ) ....কিন্তু বাঙালী সর্বদা বাঙালী থাকে না, ব্রিটিশ থাকে না ব্রিটিশ। (থাকে না, তা না। আমি বলবো, আর নেই-ই। সবাই মিক্সড আপ)
    "জাতীয়তাবাদ" মৌলিক ভাবে 'জাতি' বলেই যদি কিছু না থাকে, তাহলে জাতিয়তাবাদ বলে কিছু থাকবে কিভাবে, তাই না?
    "সাম্প্রদায়িকতা" স্বার্থসিদ্ধির জন্য উদ্ভাবিত যুক্তিহীন নির্বুদ্ধিতা, যা 'MASS' এর মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
    মানুষ এবং কেবলমাত্র মানুষ হিসেবেই উন্নতি করার আকাঙ্খা থাকতে হবে, বাকী আর কিছুই না .....কারণ মানুষের ধারণা সহজাত সৃষ্টি, আর অন্য সকল ধারণা, মানুষের সৃষ্টি।


    There is no spoon

    জবাব দিন
    • রাশেদ (৯৯-০৫)

      মনোজ "স্বজাত্যবোধ" শব্দটার প্রায়গিক দিকও আছে। কারণ এই ধারণা/অনুভূতির উদ্ভব হয় যখন একদল মানুষ তাদের নিজেদের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ঠ্যের ভিত্তিতে মিল খুজে পায় এবং এই বৈশিষ্ঠ্য তাদের মাঝে 'we feeling' তৈরি করে প্রকারন্তে যা গোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটায়। আর যখন কতগুলো গোষ্ঠী নিজেদের মাঝে এই স্বজাত্যবোধ খুজে পায় তখন উদ্ভব ঘটে জাতির।

      তুমি "জাতি" কনসেপ্টটার আর অস্তিত আছে বলে মান না। কিন্তু আমার মনে হয় না জাতি এই ধারণার এত সহজে বিলুপ্তি ঘটবে। কারণ একটা জাতি তখন গড়ে উঠে যখন তার ভিতরের মানুষগুলোর কিছু বৈশিষ্ঠ্য কাছাকাছি থাকে এবং মোটাদাগে তাদের স্বার্থগত ভাবে তারা কাছাকাছি থাকে। এখন তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার আর মুক্ত বাণিজ্যের মত নিও লিবারেল কনসেপ্টের কারণে মনে হতে পারে ভবিষ্যতে জাতি বলে কিছুই থাকবে না কিন্তু আমার মতে তখনও জাতি থাকবে। কারণ তখনও কিছু মানুষ অন্য কিছু মানুষের সাথে তাদের বৈশিষ্ঠ্যগত মিল খুজে পাবে, স্বজাত্যবোধ গড়ে উঠবে প্রকারন্তে তা জাতি কে গড়ে তুলবে। হয়ত 'জাতি' কনসেপ্টটার বর্তমান রূপ থাকবে না কিন্তু পরিবর্তিত আকারের হলেও তা টিকে থাকবে। কারণ মানুষের একটা মৌ্লিক বৈশিষ্ঠ্য হল গোষ্ঠীবদ্ধ ভাবে থাকা।


      মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

      জবাব দিন
    • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

      মনোজ,
      জাতি আর জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে আমার চিন্তাটা পুরোই উলটো। মানে ঠিক জাতি থেকে জাতীয়তাবাদ আসে না। বরং অনেক মানুষের মধ্যে যখন একরকম জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টি হয়, তখনই একটা জাতি গড়ে ওঠে। এই চিন্তাধারাটা রাশেদের সাথে অনেকটা মেলে।

      জবাব দিন
  4. রশিদ (৯৪-০০)

    ব্লগে স্বাগতম!!
    আমি খুব সহজভাবে দেখি ব্যাপারগুলো।
    স্বজাত্যবোধ থাকাটা খুবই দরকার, কিন্তু importantভলো অন্যদের প্রতিও সন্মান জানানো.......প্রায়শই এইখানটায় আপাত এগিয়ে থাকা গোষ্ঠিরা অবিচার করার প্রয়াস নেয় বলেই নানামুখি ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

    জাতীয়তাবোধঃ এখানে মজাটা হলো পুরোমানবগোষ্ঠিকেই কিন্তু একটা মঞ্চে নিয়ে আসা যায়.......মানবজাতি। আর লক্ষ্য করে দেখো বামপন্থিদের শ্লোগান, "জাতীয়তাবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান"---কিন্তু আপন জাতিসত্তার ক্রমবিকাশটা খুবই জরুরি, এটা অস্বীকার করা নেহাতই শঠতার পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু রাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সীমানার প্রেক্ষিতে জাতীয়তা নির্ণয় করাটা আমার কাছে ঠিক ভালো লাগেনা......এক্ষেত্রে জাতীয়তা আর নাগরিকতার পার্থক্যটা সামনে আনাটা দরকার.....

    আর সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মকে কেন্দ্র করেই হবে এমন কোন কথা নেই......যেকোনভাবেই একটি সংগঠিত সম্প্রদায় জেনেশুনে হঠকারিতার আশ্রয় নিলে তাকে সাম্প্রদায়িকতায় ফেলা যায়.......

    জবাব দিন
    • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

      ধন্যবাদ।

      কিন্তু রাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সীমানার প্রেক্ষিতে জাতীয়তা নির্ণয় করাটা আমার কাছে ঠিক ভালো লাগেনা…

      তাহলে কি হবে জাতীয়তার ভিত্তি? আমার মাঝে মাঝে "স্বাধীনতাকামী" এবং "বিচ্ছিন্নতাবাদী" প্রায় সমার্থক মনে হয়। এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল।

      যেকোনভাবেই একটি সংগঠিত সম্প্রদায় জেনেশুনে হঠকারিতার আশ্রয় নিলে তাকে সাম্প্রদায়িকতায় ফেলা যায়…

      কিন্তু যদি এই হঠকারিতা না জেনেশুনে হয়?

      জবাব দিন
  5. আন্দালিব (৯৬-০২)

    সিসিবি'তে স্বাগতম গুলশান। কলেজ থেকে বেরিয়ে তোমার সাথে আর দেখাসাক্ষাত হয় নাই, এখানে তোমাকে পেয়ে ভালো লাগলো!

    প্রথম ব্লগ হিসেবে তোমার লেখাটা খুব ভালো হয়েছে। অনেক গোছানো লেখা।

    স্বজাত্যবোধ -> জাতীয়তাবাদ -> সাম্প্রদায়িকতা এই চেইনটা নিয়ে আমার কিছু দ্বিমত আছে। নেতিবাচকতার হিসেব করতে চাইলে জাতীয়তাবোধের পরের ধাপ উগ্র জাতীয়তাবাদ। এর প্রভাবে একটি রাষ্ট্রের ভিন্ন জাতিসত্ত্বার উপরে আগ্রাসন ছড়ায়। আমাদের দেশে যেমন পাহাড়ি জাতিগুলো নির্যাতিত হচ্ছে, জার্মানিতে ইহুদিরা নির্যাতিত হয়েছিলো ইত্যাদি।

    সাম্প্রদায়িকতার সাথে জাতীয়তাবোধের পার্থক্য এখানেই। জাতীয়তাবোধ উগ্র হলেও সেটা সাম্প্রদায়িকতার নাম পায় না। কেন পায় না সে বিষয়ে আমার বেশি জানা নেই। তবে অনুমান থেকে বলতে পারি- মনে হয় সাম্প্রদায়িকতার উৎস আর জাতীয়তাবাদের উৎস আলাদা বলে। একটা আদর্শ/ধর্ম/নীতি থেকে জন্মায়, আরেকটা মানুষের জন্মগত প্রাপ্তি। এভাবেও বলতে পারি যে জাতীয়তাবাদ মূলত একটি অনুভব বা উপলব্ধি (সেটাকে সৎ বা অসৎ দুই উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যায়)। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতা একটা আচরণ যা "করা হয়", না করা মনে মনে কেউ সাম্প্রদায়িক এটা কোথাও শুনি নাই। যেমন বর্ণবাদ এক ধরনের আচরণ...

    বুঝাতে পারলাম কি না জানি না। তবে এই প্রশ্নগুলো উসকে দেয়ার জন্যে তোমাকে ধন্যবাদ। লিখতে থাকো।

    জবাব দিন
    • গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

      ধন্যবাদ আন্দালিব ভাই।
      আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য “জাতীয়তাবাদ( বা বোধ)”, “সাম্প্রদায়িকতা” এই শব্দ(term)গুলো না। আমার আসল উদ্দেশ্য হল এই শব্দগুলোর দ্বারা প্রকাশিত মানুষের মনোভাব। এইজন্যই আপনার বলা “উগ্র জাতীয়তাবাদ/বর্ণবাদ” এর সাথে সাম্প্রদায়িকতার মিল খুঁজেছি। একইভাবে হয়তো প্রচলিত ধারার জাতীয়তাবাদকে অনুগ্র(mild) সাম্প্রদায়িকতার সাথে একই কাতারে ফেলা যাবে। আমি সাধারণীকরণ(generalize) করে মনোভাবের পরিবর্তনের ধাপগুলোকে বৈশিষ্ট্যসহ দেখাতে চেয়েছি। আর মনোভাবের threshold পার হলেই সেটা আচরণে প্রকাশ পাবে।

      জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      সিসিবি'তে স্বাগতম।

      @আন্দালিব,

      মনে হয় সাম্প্রদায়িকতার উৎস আর জাতীয়তাবাদের উৎস আলাদা বলে। একটা আদর্শ/ধর্ম/নীতি থেকে জন্মায়, আরেকটা মানুষের জন্মগত প্রাপ্তি।

      দুটোর কোনটাই জন্মগত নয়। জাতীয়তাবাদের উদ্ভব+বিস্তাএর মেকানিজম নিয়ে সবথেকে সহজ+পরিচিত আলোচনা করেছেন Benedict Anderson তার Imagined Community বইয়ে। গুগুল করলে এই বিষয়ে অনেক লেখা পাবে।


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  6. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আমি এত জ্ঞানী গুণী মানুষ না। তাই ব্লগ নিয়ে কোন মন্তব্য করলাম না।
    শুধু ব্লগে স্বাগতম জানাই 😀
    তোকে এইখানে দেখে ভালো লাগলো 😀


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  7. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    কিছুদিন আগে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের "চিলেকোঠার সেপাই" পড়লাম। অসাধারণ লাগলো। মনে হচ্ছিল আমাদের পুরো ইতিহাসটা যদি এভাবেই লেখা হত তাহলে ভাল হত। তো যেজন্য এখানে একথা পাড়লাম তা হল, এই উপন্যাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে জাতীয়াতাবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক মানসিকতার পার্থক্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। জ়াতীয়তাবাদের কিছু দুর্বল দিকও ফুটে উঠেছে। জানি না ঐ সংকট মূহুর্তে ওটাই প্রয়োজন ছিল কিনা। তবে "জাতি বা নেতার জন্য নীতিকে ছাড় দেওয়া" এর যে কথা এই পোস্টে বলেছিলাম সেটাই যেন আবার অনুভব করলাম। আমাদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

    জবাব দিন
  8. আমার ধারনা ছিলনা যে এই বিষয়টি নিয়ে কেও ভাবে আমি আপনাকে জানিনা,তবে যা লিখেছেন এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। আপনার কথা ঠিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চরিত্র উগ্র জাতীয়তাবাদী। এ বিষয়ে কিছু লেখা আছে চাইলে দিতে পারব। ধন্যবাদ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।