জার্ণাল মালয়েশিয়া- পুনশ্চঃ

১১। রেলগাড়ী ঝমাঝম

ঝমাঝম- এই ব্যাঞ্জনাময় শব্দজুটির বহুল ব্যাবহার দুটি প্রসঙ্গে। বৃষ্টি আর রেলগাড়ী। দুইই আমার অতি প্রিয়। রেলের সাথে আজন্ম মিতালী, সেই শৈশবকালে, দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থারও শৈশবকাল তখন, বছরে বার দুই পিতামহ-মাতামহ সন্দর্শনে যাওয়া হত। পূরাকালে যেমন পূন্যাত্মাদের মাঝেমধ্যে স্বর্গ দর্শনের রেওয়াজ ছিল। আর কে না জানে, শৈশব-কৈশরে অন্তত আমার প্রজন্ম  অবধি ওই দুটি স্থানই ছিল স্বর্গের সবচেয়ে কাছাকাছি। সেখানে যাবার একমাত্র উপায় যখন রেলগাড়ী- তাকে ভাল না বেসে পারা যায়!

এদিকে যাবার দিনক্ষন স্থির- আর আমরা দুই সহোদর হলাম চরম অস্থির। ঘরের মেঝেময় চকখড়িতে চর্চিত রেলপথের নকশা, ব্রিটিশ রাজের প্রধান প্রকৌশলীও অমন সুচারু ভাবে পারতেন কিনা সন্দেহ। তার উপরে দেশলাই বাক্সের রেলগাড়ী। এসব কিন্তু নিছক অপরিনতবুদ্ধি বালকের মুগ্ধতা নয়- বাংলা সাহিত্যে নৌকার পরই রেলগাড়ির আসন। চলচিত্রকারদের বেলায় তো আরো এক কাঠি উপরে। সমান্তরাল ইস্পাত, এঞ্জিনের কালো ধোয়া, মর্মভেদী হুইশেল- এসব যোগ করেছে তাদের চিত্রভাষায় ভিন্ন অর্থ, দিয়েছে নূতন মাত্রা। রেলগাড়ি দেখবার আশায় কাশবনে অপু-দূর্গার ব্যাকুল ছুট- সত্যজিত রায়ের যাদুক্যামেরায় যা অমর হয়ে আছে। যন্ত্রসভ্যতা এগিয়ে যায় সগর্জনে, সদম্ভে, পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রতীক অপু-দূর্গারা প্রানপন ছুটেও তার নাগাল পায় না।

তাই, রেলপথের নিশানা দেখলে আজো আমি উতলা হই। এদেশে আসার পর থেকেই রেলগাড়ীতে একটা লম্বা সফরের বাসনা মনে জেগেছিল। ইপো শহর থেকে কুয়ালালামপুর পর্যন্ত আধুনিক বৈদ্যুতিক রেল চলাচল করে, দ্রুতগতি ও সময়ের কারনে বেশ জনপ্রিয়। প্রথম সুযোগেই একবার সেই বিদ্যুৎ বাহনে যাত্রা করি, এবং কিছুটা হতাশ হই। কোথায় সেই ছন্দময় শব্দ, আর সেই নেশাধরানো দুলুনি! মসৃন গতিতে রাতের অন্ধকারে ধেয়ে যায় যান্ত্রিক অজগর যেন, বাইরে কিছুই দেখি না। মনে হয় যেন বিমান যাত্রা। ধারনা করি বৈদ্যুতিক রেল এমনই হয়ে থাকে। পরে রেলের বিষয়ে আরো কিছু তথ্য পাই, আন্তর্জালের কল্যানে। পেনিনসুলার মালয়েশিয়াতে রেলপথের বিস্তার অনেকটা ইংরেজী Y অক্ষরের আদলে বিন্যস্ত। দক্ষিন প্রান্ত সিঙ্গাপুর থেকে সোজা উত্তরাপথে বহুদূর গেমাস শহর। সেখানে দুটি শাখা পুর্ব ও পশ্চিম উপকুলের সাথে প্রায় সমান্তরাল ভাবে চলে গেছে আরো উত্তরে। পশ্চিম শাখা সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে শ্যামদেশের রাজধানী ব্যাংকক। আর পূর্ব শাখাটি শেষ হয়েছে উপকূলীয় শহর কেলান্তান-এ। পূর্ব শাখায় বেশ জাঁকালো ভ্রমনের সু্যোগ আছে, বিলাস বহুল গাড়ীতে ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে, প্রাচীন সব স্টেশন ও বিচ্ছিন্ন জনপদ ছুঁয়ে যাওয়া। পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষনীয়।

বিস্তর গবেষনার পর জানতে পারি, একটি সাধারন রেলগাড়ি, ডিজেল চালিত, পশ্চিম অংশ ধরে চলাচল করে। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয় না, শ্রী ইস্কান্দারের নিকটতম স্টেশন বাতু গাজা, সেখান থেকে এই গাড়ীতে চড়ে দক্ষিন প্রান্ত অবধি যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলি। গাজা শব্দের অর্থ হাতি- গজ শব্দের সামান্য পরিবর্তন। অবৈদ্যু্তিক ডিজেল এঞ্জিন শোভিত রেলগাড়ীর পরিচিত রূপ দেখে ভাল লাগে। একটু পরই গার্ডের বাঁশি, প্ল্যাটফরমে উর্দিপরা কর্মচারীর হাতে সবুজ পতাকার অভয়বানী, এবং এঞ্জিনের স্মৃতি জাগানিয়া নিনাদ। ধীরলয়ে যাত্রা করে বিশাল ধাতব অজগর। দুপুরের আলোয় বাইরের রূপ দেখি। ঘন সবুজ বন বনানী, খোলা প্রান্তর, ছোট নদী… সেই কৈশরে দেখা বাংলার রূপ যেন। ক্যমেরায় তার কিছুটা ধরবার চেষ্টা করি, কিন্তু প্রকৃতির বিশাল উদার আয়োজনের সামনে আমার প্রচেষ্টা নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়। একের পর এক ছোট বড় ইশটিশান ছুঁয়ে যায় গাড়ী। দুপুর গড়িয়ে বিকেল- সূর্যের গতির সাথে সাথে আলোক সম্পাতও বদল হতে থাকে, বিশাল কোন মঞ্চে অতিদক্ষ পরিচালক আলো ফেলছেন যেন, আর সেই সাথে বদলায় দৃশ্যপটের অর্থ। কখনো খাবার গাড়ীতে ধুমায়িত কফি হাতে, কখনো নিজের আসনে বসে যাত্রা উপভোগ করি। এভাবে দশ ঘন্টার যাত্রা কখন শেষ হয়ে গেছে!

সিঙ্গাপুর ভিন্নদেশ, আপাতত আমার সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। কাজেই মালমেশিয়ার সর্বদক্ষিন নগরী জোহরবারুতেই আমার যাত্রা শেষ। এটি জোহর রাজ্যের রাজধানী, ঝলমলে আধুনিক মহানগরী। দুদেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমানা একটি প্রনালী। একাধিক সেতু দুদেশের বন্ধন রক্ষা করছে। রেলস্টেশনের ভেতরে দেখি অন্তত পাঁচটি গৃহনির্মান প্রতিষ্ঠান তাদের বহুতল ভবনের প্রতিকৃ্তি সাজিয়ে রেখেছে। স্থাপত্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা যেমন চমৎকার সব প্রতিকৃতি বানায়। যাত্রীদের কাছে লোভনীয় সব প্রস্তাবসহ বিজ্ঞাপন বিলি করছে ফরম ও কলম হাতে মহা তৎপর কর্মী দল। আমি কিছুটা বিস্মিত হয়ে ভাবি, যারা রেলে যাতায়ত করে তারা এসব মহার্ঘ্য আবাসন ক্রয়ের ক্ষমতা রাখে কিনা। পরে জেনেছি, সিঙ্গাপুরের অধিবাসিরাই মূলত এসবের ক্রেতা। সিঙ্গাপুর আতি সম্বৃদ্ধ, কিন্তু সেখানে ভূমি অপ্রতুল।

১২। বাদল অরন্যে

মানুষের আদি বাসস্থান অরন্য, আজ নাগরিক সভ্যতার আগ্রাসনে বিপর্যস্ত। তারপরও বিশ্বের অনেকখানি জুড়ে আজো অরন্যভূমি টিকে আছে। একসময় বন কেটে বসত ছিল উন্নয়নের সমার্থক। বিজ্ঞানীরা বনভূমির সাথে পরিবেশের অচ্ছেদ্য বন্ধনটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার পর ধারনা করি মানুষের বোধে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এখন নানা দেশে বন রক্ষার জোরালো ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনেক দেশেই সংরক্ষিত বনাঞ্চল আছে। কোনটা আবার জা্তিসংঘে ঘোষিত বৈশ্বিক ঐতিহ্য। অরন্য তো কেবল কিছু গাছপালা আর জীবজন্তুর আবাস নয়। এর যেন নিসস্ব সত্ত্বা রয়েছে। বিভূতিভূষনের আরন্যক উপন্যাসে যেমন প্রধান চরিত্র অরন্য নিজেই। আরো লক্ষ্যনীয় বিষয়, এখনো পৃথীবিতে বহু অরন্যচারী মানব গোষ্ঠী রয়েছে। সভ্যতার মূলস্রোতটিকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে এরা এখনো প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে প্রাচীন জীবনধারাটিকেই ধরে রেখেছে তা রীতিমত গবেষনার বিষয়।

বিভিন্ন রকমের অরন্যের মধ্যে প্রানের বৈচিত্রে রেইন ফরেস্ট অনন্য। নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর এই জাতীয় বন দেখা যায়। তার মধ্যে আমাজন ও কঙ্গো বন যেন রাজচক্রবর্তী। এই দুই মহা অরন্য অনন্ত রহস্যের ভান্ডার, এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষনার শেষ নেই। ইন্দোনেশিয়া/মালয়েশিয়াতেও বিস্তীর্ন রেইনফরেস্ট আছে। তারই এক ছোটখাট নমুনা দেখবার সুযোগ হল।

শ্রী ইস্কান্দারের পূবে পাহাড়ী এলাকা, প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে গোপেং শহর, একেবারে পাহাড় ঘেঁষে। সেখান থেকে আঁকাবাঁকা বিপদজনক রাস্তায় আরো সাত কিলমিটার উজিয়ে এডলেন রেস্ট হাউস নামের অবকাশ কেন্দ্র। পাহাড়ের কোলে এরকম আরো কটি রেসর্ট আছে। পর্যটন ব্যাবসায় বিনিয়োগকারীরা খুবই বুদ্ধিমান সন্দেহ নেই। মানুষের ভালোলাগার বিষয়গুলি এরা বেশ বোঝেন। সাগরতীর তো অনেক আগেই এদের হাতে চলে গেছে। নানা তারকা খচিত হোটেল আর বিপনীকেন্দ্রে সেগুলো আচ্ছন্ন। ইদানীং পাহাড় অরন্য এসবও দ্রুত এই ব্যাবসার আওতায় চলে আসছে। আমি অবশ্য এতে তেমন দোষের কিছু দেখি না, ওইসব জায়গাতে আহার নিদ্রা শৌচকর্ম ইত্যাদির সুব্যাবস্থা কে করবে! তবে আমাদের ভ্রমনবিলাসের ধাক্কায় যেন স্থানীয় অরন্যচারী মানুষদের জীবনযাত্রায় কোন বিপর্যয় না ঘটে। শুধু প্রকৃতি প্রেমিকদের ভাবরাজ্যে বিচরন নয়, এসব জায়গাতে নিতান্ত বাস্তববাদী বড় বড় কোম্পানীগুলিও নানা অনুষ্ঠান করে থাকে। আমরাও আসলে এসেছি দুদিনের কর্মশালায়।

প্রথম দেখাতেই আমি মুগ্ধ। চারদিকে গভীর বন আর পাহাড়। পরিবেশের সাথে মানিয়ে ছোট ছোট ঘর। নির্মানে যতদূর সম্ভব কাঠ বাঁশ লতাপাতা ইত্যাদি ব্যাবহার হয়েছে। কোন চারতলা কঙ্ক্রীটের বিকট দালান চোখে বালি নিক্ষেপ করছে না। মানুষ বা যন্ত্রের কোলাহল নেই, তাই পাখি, ঝিঁঝিঁ পোকা ও ঝর্নার ভাষাও পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে। অচেনা বিচিত্র চেহারার গাছপালা লতা গুল্মের মাঝে বর্নিল ফুলের সমাহার। আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নই, হলে এদের গোত্র পরিচয় ইত্যদি নিয়ে হয়তো মেতে উঠতাম। আমাদের অতি পরিচিত কলাগাছের এক অদ্ভুত জ্ঞাতির দেখা পেলাম। সরু কান্ড, ইঞ্চি তিনেক হয় কিনা, ছড়াটি নিচের দিকে না ঝুলে খাড়া উপর পানে উঠেছে। তাতে আঙ্গুলের চেয়ে সরু ছোট ছোট ফল, হঠাৎ দেখলে বরং কোন পাহাড়ী ফুল বলেই মনে হবে।

রেসর্টগুলি আবার অতিথিদের জন্য নানা কর্মকান্ডের আয়োজনও করে থাকে। জঙ্গলের ভেতরে সরু পথে ঘুরে বেড়ানো অর্থাৎ ট্রেকিং, খরস্রোতা অগভীর নালায় রবারের ডিঙ্গিতে ভেসে যাওয়া বা র‍্যাফটিং, ইত্যাদি। আমরা গেলাম আরো গভীর জঙ্গলে, সেখানে একটি জলপ্রপাত আছে। গাইড প্রবর একগুচ্ছ দড়িদড়া নিয়ে এসেছে। উদ্দেশ্য অই দুরন্ত জলধারার বিপরীতে পিচ্ছিল পাথুরে পথ বেয়ে উপরে উঠা। সাহসের কাজ, সন্দেহ নেই। অবশ্য জলপ্রপাতের গোড়াতেই সহকর্মীরা বিপুল আনন্দে পানিতে ঝাঁপানো শুরু করেছেন। এমন সময় নামলো বৃষ্টি। ঠিক যেমন সিনেমায় দেখা যায়- ঘন বনের ভেতরে বৃষ্টিতে ভিজে অভিযাত্রীদল চলেছে, টুপির কানা বেয়ে জল ঝরছে, আর ভোজালির কোপে ডানে বায়ে ডালপালা কেটে পথ করে নিচ্ছে এমন দৃশ্য মনে পড়ে। টারজান কিংবা এনাকোন্ডা- ইচ্ছেমত মিলিয়ে নিন। আমার সর্দিভীতি আছে, তাই আপাততঃ প্রকান্ড এক গাছের নীচে দাঁড়িয়ে অন্যদের কান্ড দেখছি। আরেক বাঙ্গালী সহকর্মীও আমার সাথে। কিছুক্ষনের মধ্যেই বুঝলাম এভাবে বেশিক্ষন থাকা যাবে না, এই ঘন বর্ষনে গাছতলার আশ্রয় যথেষ্ট নয়। তার উপর জুটেছে জঙ্গলের মশা, এদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আছে জানি। তাই সেখান থেকে সরে যাবার কথা ভাবছি। ভাবাভাবির পর্ব হঠাৎ করেই শেষ হল, যখন দেখলাম আমরা যে গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছি তারই কান্ড বেয়ে ঘন কাল রঙের একটি প্রানী নেমে আসছে। সাপ নয় যদিও, কিন্তু নিরীহ নাগরিকের মনে আতঙ্ক জাগাবার মত যথেষ্ট ভয়ানক। অতএব, মহাজন পন্থা যঃ পলায়তি সঃ জীবতি। সেই জল কাদা উটকো গাছের শেকড় ধারালো পাতা সব অগ্রাহ্য করে ছুট!

জঙ্গলের সীমানার বাইরে কয়েকটি ঘর, বারান্দায় লম্বা বেঞ্চি পাতা। গুটিকয় স্থানীয় ছেলেছোকড়া সেখানে আড্ডা দিচ্ছে। আমাদের দেখে এই বৃষ্টির মধ্যেই কোথায় যেন চলে গেল। আমারা দুজন বেঞ্চিতে বসে প্রানভরে টিনের চালে বৃষ্টির গান শুনি আর সামনে বিস্তীর্ন অরন্যের শোভা দেখি। এক সময় রেসর্টের গাড়ী ওদিক পানে যাচ্ছে দেখে তাতে চেপে ফিরে যাই।  বাকী সহকর্মীরা অভিযান সেরে অনেক পরে ফিরে আসে। সবাই কাকভেজা, কিন্তু ভীষন উৎফুল্ল। আমরা এমন মজার অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হলাম দেখে অবাকই হল সবাই।

রাতে বেশ ঘটা করে নামলো বৃষ্টি, সঙ্গে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলক আর প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত। বিজলী বাতি নিভে গেলে নেমে আসে আদিম অন্ধকার। পাহাড় ঘেরা গভীর অরন্যে অসাধারন অভিজ্ঞতা। সেই রূপ আর অনুভুতি লিখে প্রকাশ করার মত ক্ষমতা আমার নেই।

 

 

১,৫৫৪ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “জার্ণাল মালয়েশিয়া- পুনশ্চঃ”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এখন ক্লাবে, জিম করতে এসেছি। তাই পড়তে পারলাম না। শুধু স্টার্টিংটা দেখে গেলাম।
    চমতকার শুরুটা।
    ইট রেখে গেলাম আপাততঃ।
    পরে এসে বাকিটা পড়বো।

    অনেকদিন পর লিখা পেয়ে পুলকিত 🙂 🙂 🙂


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        অভিজ্ঞতাটা দারুন না?
        সমস্যা হলো, আমরা যখন সিসিবি-তে এসেছি তখন এখানে চলছে "আকালের সময়"।
        ট্রাফিক যৎসামান্য।
        তবে আমি আশাবাদি মানুষ।
        ব্লগের অন্য সুবিধাগুলো অনেকেই আবার বুঝবে এবং ফিরেও আসবে, সেই জন্যই এই লেগে থাকা।
        ক্রিয়েটিভিটি চর্চ্চার জন্য এটার দরকার আছে।
        বিনোদনেরও দরকার অতি অবশ্যই আছে। তবে বিনোদনই শেষ কথা হতে পারে না। আবার অধিক বিনোদনে ক্লান্তিও চলে আসতে পারে, তাই না।

        চলো, আরও কিছু ফাটাফাটি লিখা নামাই এখানে। তারপরে দেখি, পাঠের সুখ যারা পেতে চায়, কতদিন তারা মুখ ফিরিয়ে রাখে সিসিবি থেকে??

        বাই দ্যা ওয়ে, ব্লগে কি একটা হীট-কাউন্টার এড করে দেয়া যায়? (এডমিনদের বলছি)
        আগে নাকি ছিল (আমি পাই নাই)। নিশ্চয়ই সঙ্গত কারনেই বাদ দেয়া হয়েছে। তবে তা থাকারও বিবিধ সুবিধা রয়েছে। এই মুহুর্তে সেগুলো আবার গন্য করা যেতে পারে।


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  2. অরণ্যের জন্য আমার প্রেম সেই কৈশোর থেকে, যদিও সামনাসামনি কখনো দেখা মেলেনি; ... আরণ্যক, মাধুকরী - এইসবেই যা পরিচয়। সেই ভালোলাগাটা যেন ফিরে এলো। অরণ্য, বৃষ্টি, মেঘের গর্জন, অন্ধকার রাত... সব মিলিয়ে চমৎকার একটা মেলোডি তৈরি হয়েছে! খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় একটা তৃষ্ণা থেকে গেলো, আরও কিছু শোনার... 🙂

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।