ক্লাইম্যাক্স

চমকে যাই শরীরে স্রোতস্বীনি জোছনা পতনের শব্দে
চমকে যাই আয়না দেখে আত্নপ্রতিকৃতির এই বিশ্বস্ত ওয়ার্কশপে
চমকে যাই নগরের শব্দে
রিকশার টুনটুন ঝংকারের বায়বীয় অনুনাদে
প্রেমিকা এবং প্রেম পৌরুষ মেরুদন্ড খুচড়া টাকা
দর্শক পার্কের গাড়ল গাছ আর হল্লা করে জেগে উঠা নাগরিক প্লাস্টিক প্রেম
চমকে যাই চায়ের কাপের ছলাৎ শব্দে
ছলকে উথলে পড়ে গাঢ় লিকারের জীবনীশক্তি কবিকূলের
চমকে যাই নক্ষত্রের রাতে বব ডিলনের এক্রোস্টিকের শব্দে
গড়াতে থাকি চমকানো চকমকি পাথর
চমকে যাই খসখসে কলম ছুরি হয়ে সাদা কাগজের হৃদপিন্ড ছিড়ে খুড়ে
একেকটা লাল চমকানো গোধূলী রঙ এর কবিতার আন্দোলনে
চমকে যেতে হয় প্লাবনের কালে ঢেউ প্রবেশের অখন্ড অবসরে
স্রোত স্রোত শুধু স্রোত চমকে যাই স্রোতের শব্দে
চমকে যাই ভালোবাসার বিষাক্ত অনুবাদে
যখন একপেয়ে দেবদূত হয়ে একটা সাদা বক
আর পাহাড়ী ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা সব চমকানো চিত্রকল্প স্রোতে ভাসে
চমকে দেয় আমাকে প্রথম বৃষ্টির সোঁদা আদ্র আকর্ষনী গন্ধ
এক সমুদ্র লাফিয়ে উঠে নীল ধূসর ময়লা আকাশে বিছিয়েছিল বৃষ্টি
ভেজা শরীর পরী ,চমকাতে হয় প্রকৃতি আমায় হিংসায় ফেলে
বৃষ্টি তোমায় জড়ায় চমকে যাই সুন্দর তুমি লাল রং মিশে লাল তুমি
চমকে যাই বাঁকা ঠোট বাঁকা দৃষ্টি চমকে যাই পরী ভালোবাসায় ।

১,১৯০ বার দেখা হয়েছে

১১ টি মন্তব্য : “ক্লাইম্যাক্স”

  1. মহিব (৯৯-০৫)
    চমকে যাই নক্ষত্রের রাতে বব ডিলনের এক্রোস্টিকের শব্দে

    কিছু কিছু লাইন পড়লেই মাথায় গেঁথে যায়।

    ভালো লাগলো কবিতাটা- এরপর এমন কবিতা চাই প্রত্যেকটা লাইন যেন এমন হয়। তুই পারবি। (আঁতলামি করলাম, কবিতার কমেণ্ট আঁতলামি না হইলে মানায় না 😛 )

    জবাব দিন
  2. মেহবুবা (৯৯-০৫)

    হোসেন এইটি কি লিখলা বন্ধু? .........।সবাই দেখি বুঝে...।আমার মাথাএ ঘিলু নাই রে ......যদি পার আমারে সারমরম টা বুঝায়ে দিও......।।
    আল্লাহ তোমরা কি খাও?
    কেম নে বের হয় র কেম্নে বুঝে? :boss: 😀
    আবার কঠিন কবিতা......।হাসি পাইলো...। =))

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।