অত্যাচারী সূর্যের নীচে মুখোশের মিছিল

কাক ডাকা ভোরে বেড়িয়ে নিজেকে নানা ভাবে প্রবোধ দিলাম এই পৃথিবী অসমতল ভাবলেই অসমতল। নাহলে ইউক্লিডীয়ান সমতল ভেবে নিলে কেউ তো জবাবদিহী করতে আসছে না। গস ,বোলাই ,রীম্যান ,আইনস্টাইনরা একটু কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু তাদের থোড়াই কেয়ার করি আমি। জানি এই ভোরের হিম লাগা বাতসের আনুপূর্বিক লোমকুপ অভিযান, আর থেকে থেকে শিউড়ে ওঠার পর্যায়ক্রমিকতা যদি আমি থার্মোডিনামিক্স দিয়ে ভাবতে চাই তাহলে তা বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার অসামান্য উদাহরনের মাইলফলক হয়ে থাকবে। ঝেটিয়ে বিদায় করছে রাত্রিকে, সূর্য ব্যাটার ঘৃনার ছাপ ভোরের ভাজে ভাজে। গাছের নীচ, দেয়ালের কোন, আর ঘিঞ্জি সৌর বিরোধী জায়গাতে বেচারা রাত তার অন্তিম নিঃশ্বাস নিচ্ছে। স্বাস্থ্যসচেতন ভোটকা কট্টর পুজিবাদী মানুষরা আয়েশী ভঙ্গিতে নিজের শরীরের ফ্যাটি এসিডের গ্লিসারল এস্টার কমানোর চেষ্টায় এখানে ওখানে তেলাপোকার মত ছটফট করছে। হাস্যকর লাগে মানুষের এস্টার জারিত করনের এত আতিশয্য দেখে। আমি সাম্যবাদের তেমন ভরসা রাখি না। রাসেলের মত আমারো বলশেভিকদের স্বেচ্ছাচারী আচরন অনেকটা নিষ্ঠুর ধর্মবেত্তার মত লাগে। আমি জানি ছড়িয়ে পড়তে না দিলে, ঝুকি নিয়ে স্বাধীন প্রবাহের সুযোগ না দিলে জলপ্রবাহ এদো ডোবা হতে বাধ্য। আকাশ কিংবা সাগর সীমানাহীন হতে পারে, আগ্রাসী স্বাধীন বলেই। তারপরও এস্টার জারনে মানুষের অধ্যাবস্যায়ের পাশে হ্যাংগারে ঝোলানো কাপড়ের মত কংকালে ঝোলানো চামড়ার কাগজ কুড়ানো টোকাই তি কিছুক্ষনের মত আমাকে সাম্যবাদী সমাজতান্ত্রিক করে ফেলল। ইচ্ছা হল পুজিপতিদের কাছে তাদের অতিরিক্ত এস্টার ছিড়ে নিয়ে আসি এই টোকাইদের জন্যে। জানি কিছুই করা হবে না আমার। এস্টারের জায়গায় এস্টার থাকবে। টোকাইরা হবে মাঝে মাঝে ভোগবাদী মার্কিন মধ্যবিত্তের অবসরে নিজেকে মানবতাবাদী প্রমানের লক্ষ্যে ফেলা একফোটা ফসফরাসের নির্যাস এর উপলক্ষ্য, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রচ্ছদ। দোর্দন্ড প্রতাপে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন গুলো প্রকাশ করবে দুঃখ, আর সমাধান দিবে মুক্তবাজারের নামে আরেকটি মেরুদন্ড কর্তনের রিচুয়াল।

পায়ে হেটে অতিক্রম করে যাই একের পর এক সূর্যের কামড়ে আক্রান্ত প্রতিবেশ কে। রাতের আলো যখন ঘনিয়ে আসে, আধারের চাদর যখন টান টান স্থিতিস্থাপক হয়ে উঠে ,তখন মনের গভীর থেকে সকল মানুষের মাঝে উঠে আসে আত্ন পরিচয়। সমাজের সিসিটিভির আশংকা যখন অর্থহীন হয়ে পরে তখন জেগে উঠে মানুষ। মুখোশ খুলে ফেলে। কেউ ফিরে যায় আত্নপর্যালোচনায়, কেউ অনুভব করে লুকানো ভালোবাসার সুগন্ধ, কেউ সেদিন বাসে কন্ডাকটরের অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে মেরে দেয়া দুই টাকা নিয়ে কষ্ট পায়, কেউ শান্তি খোজে নতুন শস্যের মাঠে স্পর্শ করতে করতে এগিয়ে যাওয়ার মত লুকিয়ে যায় নারী শরীরের মেঘের ভাজে ভাজে, কেউ বা স্নায়ু উদ্দীপ্ত রেখে চিতকার করে বেচে থাকার নিদারুন অর্থহীনতাকে গালি দিতে দিতে। কেউ মানে না সমাজ, সভ্যতা, ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন, রাষ্ট্রযন্ত্র, আর সমাজবিজ্ঞানের মোটা মোটা কাগজের স্তুপ। মানুষ হয়ে উঠে আইসোলেটেড ব্যক্তিগত সততার প্রকাশ। রাত্রি অন্ধকারের সাথে নিয়ে আসে আরেকটিবার তীব্র ভাবে প্রত্যেকের একমাত্র “আমি” হওয়ার।

এই কাকডাকা ভোরে স্বৈরাচারী সূর্য আবার বিস্ফোরনের মত ছড়িয়ে যায় প্রতিটি মানুষের নিঃশ্বাসে। প্রতিটি স্বত্তা আবার কম্পিত হাতে মুখোশ পরে নেয়। সুর্যের নীচে মাথা নোয়ায়। সমর্পন করে চিরায়ত আমিত্ব কে।

বাসের ভয়াবহ জনসংখ্যা বিস্ফোরনের মাঝে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে ভাবতে থাকি এত শব্দ আর তথাকথিত জীবনের স্পন্দন কতটুকু যৌক্তিক। আলো জীবন দেয় না মুখোশ? আলো মৃত্যু ঘটায় ব্যক্তি মানুষের। প্রতিদিন জন্মায় মুখোশ আটা সামাজিক কাঠামো। এই ভীড়ে হাস্ফাস করতে থাকে বিশাল সমাজের একটি পারিসাংখ্যিক স্যাম্পল। শক্ত এবং নিশ্চিত কোন মুখাবয়ব চোখে পরে না। সবাই কনফিঊজড। কিভাবে সাম্লাবে সব সামাজিক সম্পর্কের ঢাউস বিশ্বকোষ। থেকে থেকে মোবাইল বাজে, ঝড়ের গতিতে কথা, না না অযুহাত। বিজয় সরণী তেই ঐ পাশের অথোরিটি ফিগার কে বলা বাংলা মোটর।

ভীড়ে খুব জড়োসর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি মেয়ে। একেবারেই বৈশিষ্ট্যহীন একটি নারী। এতগুলো প্রভু পুরুষ কে একসাথে দেখে দৃষ্টি অবনত। শিখেছে সারাজীবন কতটুকু মূল্যহীন একজন নারী। কিভাবে বাবা থেকে স্বামীতে মালিকানা বদলের ডাইনামিক্সে যাবে সেই চিন্তা পাম্প করে ঢোকানো হয়েছে মস্তিস্কে। ভীড়ের মাঝে যেন হঠাত ই তৈরী হয় সাময়িক রাত্রির উদাহরন। তাই মুখোশ খুলে ফেলে একজন ব্যক্তিমানুষ ,আবশ্যকিভাবেই পুরুষ, হাত বোলায় মেয়েটির অপরিপক্ক স্তনে। মেয়েটির মুখে মুহুর্তে খেলে যায় নীরব চিতকার। কিন্তু এই সাময়িক রাত্রি কেবল প্রভু পুরুষের জন্যেই। তাই সামাজিক মুখোশ এটে ঘন কষ্টের সাগরে সাতড়ায় মনুষ্যবিবেক।

২,৬১৭ বার দেখা হয়েছে

৪১ টি মন্তব্য : “অত্যাচারী সূর্যের নীচে মুখোশের মিছিল”

  1. মহিব (৯৯-০৫)

    চিন্তাভাবনার খুব সুন্দর প্রকাশ দিলি। কিছু কিছু জায়গায় খুব ছুঁয়ে গেল।
    বিশেষ করে তথাকথিত ওপরওয়ালা মানুষদের এস্টার বিড়ম্বনা এবং সে এস্টার "নিচুওয়ালা"দের মাঝে বণ্টন এবং নারীর অবস্থানের ব্যাপারটা।

    তবে প্লীজ দোস্ত- বানানের দিকটা একটু খেয়াল করিস। কিছু সাধারণ বানান ভুল দেখলে খুব অস্বস্তি লাগে। 🙂

    জবাব দিন
    • হোসেন (৯৯-০৫)

      দোস্ত প্লীজ বিলিভ কর আমার বানান জ্ঞান খুব খারাপ। বাসায় ডিকশনারি হারাই ফেলছি। ভুল বানান গুলার ব্যাপারে একটু হেল্প কর। আমার সব পোস্টেই বানান নিয়া অভিযোগ অনেকেই তুলতেছে। অস্বস্তি লাগতেছে।


      ------------------------------------------------------------------
      কামলা খেটে যাই

      জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    লেখাটা জম্পেশ হইছে। তোর কাছ থেকে এমন দিনলিপিই অবশ্য আশা করছিলাম।

    এই কাকডাকা ভোরে স্বৈরাচারী সূর্য আবার বিস্ফোরনের মত ছড়িয়ে যায় প্রতিটি মানুষের নিঃশ্বাসে। প্রতিটি স্বত্তা আবার কম্পিত হাতে মুখোশ পরে নেয়। সুর্যের নীচে মাথা নোয়ায়। সমর্পন করে চিরায়ত আমিত্ব কে।

    এই অংশটা সবচেয়ে মারাত্মক। আচ্ছা তুই কি "আইস ওয়াইড শাট" সিনেমাটা দেখেছিস। প্রতিটি সত্ত্বার কনফিডেন্ট ভঙ্গিতে মুখোশ পরে নেয়ার বিষয়টা এর চেয়ে ভাল আর কোথাও দেখি নাই।

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    হোসেন,
    সম্ভাবনাময় গদ্য লিখছো তুমি। খুব-ই আশার কথা।
    আপ্লুত বোধ করছি। ধরে নিচ্ছি আরো অনেক উঁচুমানের
    গদ্য সৃষ্টির এটা ইংগিত মাত্র। সেই গন্তব্যে পৌঁছেছো
    এমন সুদিনের প্রতীক্ষায় রইলাম।

    জবাব দিন
  4. পাভেল (১৯৯৩-৯৯)

    এত ভাল লিখে কেমনে পোলাপাইন :boss:
    অফটপিক: তোমার প্রোফাইল পিক থেইকা এই ল্যাবের ছবি সরাও। আজিজ সুপার মার্কেটের চিপায় বইসা চা খাইতাছ এই কিসিমের একটা ফটো তুলো। তুমি মনে কয় জাত রাইটার আমাগো মত ভেজাইল্যা না।

    জবাব দিন
  5. সাব্বির (৯৮-০৪)

    অনেক প্রশংসা পাইলা 😀 তাই চিন্তা করলাম একটু সমালোচনা করি(উত্তরাধিকার সুত্রে বাংগালী 😀 )

    তোমার পর্যবেক্ষন ঈর্ষনীয়।
    উপস্থাপনা বরাবর এর মতোই :gulli2:।

    প্রথমবার পরার পর অনুভুতি/প্রশ্ন বলি।
    *এটা কোনো গল্প হয় নি । (একটা ভালো লেখার ভূমিকা হতে পারে)
    * তোমার সাজেশনটা কী?
    * তুমি কে কথা বলার?কোথা থেকে কথা বলতেছো? (তোমার অবস্থান/ভিউপয়েন্ট?!!!)

    আমার এক বন্ধুর সাজেশন হচ্ছে তোমার প্রতি "ক্যারেক্টার এর সাথে তোমার এতো মাখামাখি কেনো। মানিক এর মতো একটা মিনিমাম ডিসটেন্স বজায় রাখো"।

    আমার কাছে মনে হয় ক্যারেক্টার এর সাথে তোমার প্রেম থাকতে পারে। যদি থাকে তাহলে তোমার উপস্থাপনা ভুল । আমি ইম্প্রেশন পাইনি। কারন তোমাকে আমার লজ্জিত/দুঃখিত মনে হয়নি । তোমার উপস্থাপনা হচ্ছে "এইটা তো এমন ই"

    গস ,বোলাই ,রীম্যান ,আইনস্টাইনরা একটু কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু তাদের থোড়াই কেয়ার করি আমি।

    আবার লিখছো

    আমি জানি ছড়িয়ে পড়তে না দিলে, ঝুকি নিয়ে স্বাধীন প্রবাহের সুযোগ না দিলে জলপ্রবাহ এদো ডোবা হতে বাধ্য

    তুমি যদি দর্শক হও দেন ডিছিশান কেনো দিচ্ছো?!!!
    যদি অংশ গ্রহন করতে চাও দেন অনুভূতি কই?!!!

    মূল কথা হচ্ছে তোমার ক্যারেক্টার এর পিকচার তোমার মাথায় স্পষ্ট না। তুমি শুরু করছো দক্ষিনে, শেষ করছো উত্তরে (ভুমিকাতে তোমার ক্যারেক্টার এক্সপ্লেইন করার কথা। শুরু শেষ মেলাতে পারিনি। )

    এইটা কেনো এইখানে শেষ হোলো বুঝতে পারিনি। পলিটিশিয়ান বসের কাছে পিএ এর ঘটনা বর্ননার মতো লাগতেসে শেষে!!

    এখন আমার কথা বলি।আমার ধারনা তুমি এখানে প্র্যাকটিস করতেছো। খুবই ভালো।তারপরও বলি, একবার ঝাড়ু দিয়ে তুলো। কোনো কথার সাথে দ্বিমত থাকলে বলো । ভুল থাকলেও বলো।

    (btw আমার ধারনা তুমি narsissistic personality disordar এ ভুগতেছো। যা অতি রোমান্টিক দের ক্যারেক্টার। কিন্তু তাদের আউটকাম তোমার মতো ডেড মীট/ঝড় এর মতো হয় না। তুমি রোমান্টিক এবং আধুনিক দের মাঝখানে ঝুলতেছো যা খারাপ।এটা বোধহয় সময় এর কারনে। হোপ খুব তারাতারি ফিক্স করবা।

    sug: কাফকা, জোলা পরো, বাংলা & ইংলিশ আধুনিক কবিতা আবার পরো । ১৮৫০-(era গুলা শেষ করে আধুনিক বিরক্ত লাগ্লে নক করো) থেকে পেইন্টিং দেখা সুরু করো।
    যাই করো(লিটা, ফাইন আর্টস, ফিলোসফি)। রাফ টাইম লাইন মাথায় রাখো। হিসাব করতে সুবিধা হবে। মানে হচ্ছে ঝামেলা নাড়াচাড়া শুরু করো। নিরুপদ্রব লাইফ শেষ।

    শেষ করি নুপুর ভাই এর কাছ থেকে দেখে (পুরান অভ্যাস :P)

    ধরে নিচ্ছি আরো অনেক উঁচুমানের
    গদ্য সৃষ্টির এটা ইংগিত মাত্র। সেই গন্তব্যে পৌঁছেছো
    এমন সুদিনের প্রতীক্ষায় রইলাম।
    জবাব দিন
    • সাব্বির (৯৮-০৪)

      তুমি কোথায় যেনো বলছো যে আধুনিক, রোমান্টিক এইগুলা নিয়ে তোমার কোনো মাথা ব্যাথা নাই। ঝামেলা টা হচ্ছে তুমি চাও বা না চাও এই ঝামেলাপুর্ণ টাইম লাইন টায় তুমি পইড়া যাবা।
      world হিস্টোরি & তোমার হিস্টোরি একি রাস্তা ধরে আগায়। যে কারনে আহামেদ শারিফ বলে "দর্শন, সাহিত্য & ইতিহাস" এর কথা।

      জবাব দিন
        • হোসেন (৯৯-০৫)
          আমার ধারনা তুমি narsissistic personality disordar এ ভুগতেছো

          এইটা একেবারে সত্য কথা 😀 😀 😀

          এই ব্লগে আমার চারটা (সাহিত্য লেখা অপচেষ্টা )আছে। সবগুলোর বিভাগ হচ্ছে দিনলিপি। ঘটনা গুলো আমার নিজের দেখা।
          এগুলো গল্প নয়। গল্প লেখার চেষ্টাও নয়। আর এগুলো কি সংজ্ঞায় পরে আমার জানা নেই, জানার মাথাব্যাথাও নেই।
          একটু নিজেকে কোট করি:

          আমার গদ্য লেখায় বড় একটা সমস্যা আছে। আমি কাহিনী বানাইতে পারি না। মানিকের ছোটগল্প পইড়া হা হুতাশ করি। সেদিন জ্যাক লন্ডনের “এক টুকরা মাংস” পইড়া বসেরে সম্মান দেখানোর জন্যে বসা থাইকা দাড়াইয়া গেছিলাম। আমি ক্যান জানি প্লট পাইনা। তাই নিজেরে লইয়াই লেখি। কে যেন কইছিল সব মাইনষের সব লেখাই আত্নজৈবনিক। ঐ কথাটা খুব হাইপোথেটিক্যাল। আমার জন্যে কথাটা আক্ষরিক ভাবে সত্য।

          আমার উদ্দেশ্য ছিল ঘটনাগুলোর মাধ্যমে আমার নিজের জীবন দর্শন প্রকাশ করা। সেটা করতে গিয়ে দেখি আমার স্থির কোন জীবন দর্শন নেই। উদাহরন দেই:

          কাক ডাকা ভোরে বেড়িয়ে নিজেকে নানা ভাবে প্রবোধ দিলাম এই পৃথিবী অসমতল ভাবলেই অসমতল। নাহলে ইউক্লিডীয়ান সমতল ভেবে নিলে কেউ তো জবাবদিহী করতে আসছে না। গস ,বোলাই ,রীম্যান ,আইনস্টাইনরা একটু কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু তাদের থোড়াই কেয়ার করি আমি

          এইখানে আমি নৈর্বত্তিক নই। অথচ আমি চেষ্টা করি অবজেকটিভ হতে।কিন্তু পারি না অনেক সময়। এই কথাগুলো কেবল নৈর্বত্তিক হবার যাতনা থেকে মুক্তির জন্যে একটি আর্তনাদ কেবল। অনেকটা অটোসাজেশনের মত।

          আবার সমাজের বৈষম্য পর্যবেক্ষনের সময় আবেগক্রান্ত হয়েছি। এই খানে মিশে গেছি নিজের সাথে(যেহেতু ক্যারেক্টার টা আমি)।

          আবার দিনরাতের সাথে মানবিক আচরনের ডায়নামিক্সএর বিশ্লেষনের সময় আমি তীব্র অবজেকটিভ। সম্ভবত এইখানে আমি প্রতিবেশের সবচেয়ে দুরে অবস্থান করছি। এইখানে প্রতিবেশ গৌন,আর আমার অবস্থান সম্ভবত পাখির উচ্চতায়।

          শেষে মেয়েটির এবিউজ হবার সময়ে আমি শুরু করেছি নৈর্বত্তিক অবস্থান থেকে। মিশে যেতে, হাসতে কাদতে আমার তীব্র অনীহা। কিন্তু তার কষ্ট আমাকে স্পর্শ করছে। টেনে নামাতে চেষ্টা করছে বার্ডস আই পারসপেকটিভ থেকে। এই খানে আমার অবজেকটিভ স্বত্বা আর আবেগ রশি টানাটানি করছে। এই দ্বন্দের মাঝ দিয়েই লেখা শেষ হয়ে গেছে। কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া। কারন আমি স্থির হতে পারি না, উত্তর দক্ষিনে কেবল আবর্তিত হতে পারি।

          আর "আমি" আমার চেতনার মূল। সেটা আধুনিতাই আমাকে দিয়েছে।

          আরো কিছু বলার আছে। ক্লাশ আছে। বাকিটুকু পরে বলব।


          ------------------------------------------------------------------
          কামলা খেটে যাই

          জবাব দিন
          • হোসেন (৯৯-০৫)

            আসল কাহিনীতে আমি ব্যাটার কলার ধরছিলাম 😀 😀 😀 লাভ হয় নাই। অবশ্য। সব গুলা পুরুষ এই কথা শোনার পরে ড্যাব ড্যাব কইরা মেয়েটার দিকে তাকাইছিল। মেয়েটা বাস থেকে নেমে গেছিল। হয়ত লজ্জায়।


            ------------------------------------------------------------------
            কামলা খেটে যাই

            জবাব দিন
          • সাব্বির (৯৮-০৪)

            আমার ভুল। সবার কমেন্ট পড়ে লেখা judge করতেছি গল্প হিসেবে।

            তোমার মতো লিখতে পারলে দেখতা এইরকম সেলফ-কন্ট্রাডাকট্রী লেখা বের হচ্ছে হাত দিয়ে সো অন্যান্য sug ইগ্নোর করতে পারো।

            তবে আমার মনে হয় আধুনিকতা শুরু হয় নিজেকে গালাগালি দিয়ে যে কারনে লেখাগুলা হয় ঝড় এর মতো (সেলফ-জাজমেন্ট প্রসূত মারামারি)। তোমার লেখায় সেটা নাই তাই কনফিউসড হইছি।

            বরং তোমাকে আমার জাফরউল্যাহ শরাফত এর মতো মনে হইসে (কমেন্ট্রি দিচ্ছো!!)।
            কোনো প্রশ্ন নাই, উত্তর খোজার চেষ্টাও নাই!!!!!!!!!!

            দর্শনলেসনেস আধুনিক দের বৈশিষ্ট্য।
            যার মানে হচ্ছে তার আজকের দর্শন গতকালের চেয়ে ভালো (মানে দর্শনলেস নয়)

            এই সুত্র তোমার ক্ষেত্রে খাটলে তোমার লেখা আরো জীবন্ত থাকার কথা ছিলো। জিনিসটা flat মনে হচ্ছে।

            জবাব দিন
            • হোসেন (৯৯-০৫)

              ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ ঘুমায় নাকি?

              নাহ দশন অবশ্যই আছে, কনফ্লিক্টিং। তাই স্থির হতে পারি না, দর্শন গুলো নিজেরাই মারামারি কামড়া কামড়ি করে ,মাঝখানে ক্যাজুয়ালিটি আমি 😀

              আবার দর্শন কে চালিকা বানাতেও নারাজ আমি। কিছুটা কন্ট্রোলের ব্যাপার আছে। কারন তারা অনেক সময় আমাকেও নিয়ন্ত্রন করতে চায়। মাঝে মাঝে পাত্তা না দিয়ে দর্শনের বিপরীতে গিয়ে পাগলামী করি। খারাপ লাগে না কম্পলিটলি অর্থহীন কাজ করতে। এইখানে দর্শনের তুলনামূল বিচার নেই। ভালো খারাপের প্রশ্নেও যাই নি। কেবল একটা থেকে আরেকটায় অসিলেট করেছি। কখনো ত্যাগ করেছি বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা। এটাই আমার জীবনে সার কথা। আধুনিকতার দর্শন আমার মজ্জায় রয়েছে। কিন্তু সেই দর্শন আকড়ে ধরে থাকলে আমি অসুস্থ হয়ে যাই অনেক সময়। সেখানেই আসে অন্তর্দ্বন্দের ব্যাপারটি। হ্যা লেখাটি ফ্ল্যাট। কারন এখানে বারবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রক্রীয়ার উল্লেখ ছাড়া। তা আমি সবসময়েই নেই। কারন যে প্রক্রীয়ায় সিদ্ধান্ত আসে সেটি প্রকট প্রকাশ আমার ভালো লাগেনা। আর যেহেতু আমাকে নিয়েই লিকি তাই এখানেও তা আন্ডারগ্রাউন্ডে। তবে মাঝে মাঝে কিছু আর্তনাদ দেখবেন। অস্বীকার প্রবনতা দেখবেন। আমার মোটামুটি সব লেখায় এই ব্যাপারটি থাকে। এই ডিনায়েল কিন্তু অস্তিত্বহীনতা প্রকাশ করে না। প্রকাশ করে একটি ছোট আগ্নেয় ফাটলের ক্ষীন লাভাস্রোত। কিন্তু যে বিশাল জিওলজিক্যাল ঝড়ে অভন্তরের এই গলিত নিকেল,লোহা বেড়োতে পেরেছে তা কিন্তু এই পুষ্টিহীন অগ্নুতপাতে বোঝা যায় না। তাই আমার নিজের ক্ষেত্রে যা ঘটে, অর্থাৎ ঝড় নিয়ে শান্তভাবে গুটিয়ে থাকা, লেখায় তা বারবার হয়েছে।

              অফটপিকঃ লর্ড অফ ফ্লাইজ পড়ছেন? কিছুদিন আগে পড়ে আবারো বুঝলাম আমি কত ক্ষুদ্র(ক্ষুদ্রতার চেতনা, বা বিনয় অনানুধনিক জেনেও)।


              ------------------------------------------------------------------
              কামলা খেটে যাই

              জবাব দিন
              • সাব্বির (৯৮-০৪)

                বুঝলাম। সমস্যা হচ্ছে তোমার সাজেশন সাহিত্যের ভাত মারবে। সাহিত্য হচ্ছে দর্শনের বাহন, যেখানে প্রশ্ন এবং উত্তর খোজার চেষ্টাই দর্শনের চালিকাশক্তি। ব্যাপারটাকে সহজ ভাবে বলতে পারো “ ভালোর সংগায় তুমি যদি খুশি থাকো তাহলে ভালোতর এর সংগা নির্ধারন তোমাকে দিয়ে সম্ভব না”।
                যে কারনে তোমার লেখায় অভিযোগ এর অভাব হতাশাজনক। তুমি সবকিছুর পেছনে সমাধান এ পৌছে গেছো (ex: মনুষ্য বিবেক সাতরায় এবং তা নিয়ে তোমার কোনো কথা নাই। তুমি এটা বলছো এমন ভাবে যেনো এটাই স্বাভাবিক।)
                এছাড়া তোমার উদ্দেশ্য বুঝলাম এবং তাতে কোনো সমস্যাও নেই। এর পরে কী তা জানিনা।
                (প্রশ্নও যে উত্তর খোজার চেষ্টা তা বুঝতেছো তো? 😀 )

                অফটপিকঃ পড়িনি। ডাউনলোড করছি।

                জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      আমি একটা খুব ইফেক্টিভ ট্রিটমেন্ট জানি নার্সিসিস্ট পার্সোনালিটি ডিসওর্ডারের, সেটা হল কখনো এইটা মাথায় রেখোনা যে তোমাকে সবসময়ই কিছু কিছু ছেড়ে ছেড়ে যেতে হবে। বরং এইটা কর ছাড়াছাড়ির জন্য মাসের একটা দিন রেখে দাও যেইদিন সারা পৃথিবীকে এবং সামলে যত মানুষ পড়বে সবাইকে গালি গালাজ করে শেষ করে ফেলবা, তাহলে দেখবা আর সবসময় ঝামেলার মধ্যে থাকতে হবে না, মানুষের কুটদৃষ্টিও কামাবা কম। তবে আমি বলবো তোমার ডিসওর্ডার থেকে থাকলেও সেটা বোধহয় এতটা গুরুতর নয়, তোমাকে দেখেতো মনে হয় ঝামেলা টামেলা কর না কোন। আর একটা কাজ কর নিটশে পড়ে ফেল, পুরা টেক্সট না পড়লেও কয়েকটা প্রিন্সিপাল কন্সেপ্ট উইকিতে দেখে ফেল, আমি বলবো দেখে ফেল ইউবারমেনশ, উইল টু পাওয়ার, মাস্টার মোরালিটি ভার্সেস স্লেইভ মোরালিটি আর অ্যাপোলোনিয়ান ভার্সেস ডাইয়োনিসিয়ান ইম্পাল্স। মজা পাবা। মোটামুটি মাস তিনেক ব্যাস্ত রাখার মত জিনিষ। আর তোমার এটা আমিই বলেছিলাম যে, কাহিনীর ভেতর একেবারে ঢুকে না গিয়ে বরং তুমি মানিক বা টলস্টয়ের মত একটা দুরত্ব বজায় রাখ। আমি মনে করি লেখকের নির্লিপ্ততাও আধুনিকতার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট। আর আমি মলে করি তোমার লেখার বিষয়বস্তুও হওয়া উচিত আরেকটু সফেস্টিকেইটেড, যেটা কিনা ধারণ করতে পারবে একটা সময়ের ইতিহাস ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা। মানিক পড়েছো আশা করি, এবং টলস্টয়ও? না পড়ে থাকলে আজই কিনে ফেল। মানিক না পড়ে আমি মনে করি না একজন বাঙ্গালীর পক্ষে কোনভাবেই গদ্য রচনা করা সম্ভব। একটা কথা অবশ্যই বলতে হবে, আমি মনে করি তুমি সম্ভাবনাময়। ভালো করে পড়াশুনা চালিয়ে যাও।

      জবাব দিন
      • হোসেন (৯৯-০৫)
        তবে আমি বলবো তোমার ডিসওর্ডার থেকে থাকলেও সেটা বোধহয় এতটা গুরুতর নয়, তোমাকে দেখেতো মনে হয় ঝামেলা টামেলা কর না কোন

        এটাই তো এলার্মিং ভাই। কিছু করি না। করতে পারলে বেচে যেতাম। "চারপাশের সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর তার মাঝে আমি বসে একটা বই পড়ছি" এজাতীয় টুইস্টেড ফ্যান্টাসী দ্বারা আমি ভীষন প্রভাবিত হই। পিছুটানের বোঝায় গুটিয়ে থাকতে হয়। হাসতে হয়,হাটতে হয়, স্যরি বলতে হয়, প্রেমিকার ন্যাকামী সহ্য করতে হয়। জমছে ভেতরে সব। জমতে জমতে একদিন হয়তো বিস্ফোরন হবে অথবা আমার ভেতরটা খেয়ে ফেলবে। অর্থাৎ আমার ডেস্টিনি হচ্ছে "পতন"।

        সাহিত্যে পড়াশুনা হালকা পাতলা হলেও মানিক তলস্তয় না পড়ার মত পাপ করিনি। আর আসলে গল্প বা উপন্যাস লেখার কোন ইচ্ছা নেই আমার। আমি প্লট বানাতে পারি না। এইসব লেখা গুলো দিনলিপি হিসেবেই লেখি। কবিতা টানে বেশী আমাকে।


        ------------------------------------------------------------------
        কামলা খেটে যাই

        জবাব দিন
  6. সাব্বির (৯৮-০৪)

    আধুনিক বৈশিষ্ট্যঃ নিজেই নিজের বিধাতা।
    রোমান্টিক বৈশিষ্ট্যঃ নিয়তিবাদী/ডে ড্রীমিং।
    যে কোনো একটা মাথায় নিয়ে গল্প শুরু করলে সেটা একটা গল্প হবে।

    জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
      আধুনিক বৈশিষ্ট্যঃ নিজেই নিজের বিধাতা।
      রোমান্টিক বৈশিষ্ট্যঃ নিয়তিবাদী/ডে ড্রীমিং।

      আমি মনে করি এটা এক্স্যাজুরেইশন। নট নেসেসারিলি। শেলীতো রোমান্টিকই ছিল এবং কোলরিজও। তাদের কবিতার মতো পৌরুষপুর্ণ যা এসেন্সিয়্যলি যথার্থই নিজেই নিজের বিধাতা মার্কা, কবিতাতো আধুনিককালে রচিত হয়নি। আমি মনে করি ক্লাসিসিজম, রোমান্টিসিজম আর মডার্নিজমে মধ্যকার সীমানাটা এতটা ম্যানুয়্যলি না টেনে সময়ের তথা সাহিত্যের ইতিহাসের অটোমেটিক হাতেই ছেড়ে দেয়া উচিত, যে একটা নিদৃষ্ট সময় এর পরের সময়ে লেখা কবিতাকে আমরা বলবো আধুনিক আর আগের সময়ে লাখা কবিতাকে রোমান্টিক। কারণ, আমার মনে হয় কবিতায় বিষয়বস্তু, ভাষার ব্যাবহার এই ব্যাপারগুলো সময় নিরপেক্ষভাবে একই অনুপ্রেরণা দ্বা্রা চালিত হয়ে আসছে, তাই যেই সীমানা নির্ধারণ করে মডার্নিজম ও রোমান্টিসিজমের লিমিট সেটা মুলত সময়ের সীমানাই, সময় ব্যতীত অন্য কোন চরিত্রগত অ্যাট্রইবিউটের হওয়া উচিত নয়। এটা শুধুই আমার মতামত।

      জবাব দিন
      • হোসেন (৯৯-০৫)

        আসলে রোমান্টিকতার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় আছে বলে মনে হয়। জীবনকে যাচাই না করবার চেষ্টা। অনেকটা বদ্ধ ঘরে বসে লেখার মত। কবির চোখেই পান্নারা সবুজ হয়ে উঠে। পান্না খনি থেকে তুলে রঙ দেখা অর্থহীন।সেখানে আধুনিকরা রাস্তায় হাটেন। সুর্য দেখেন। আবার ডাস্টবিনও দেখেন। তাই আধুনিকরা ধারন করেন জীবনবোধ। সেখানে রোমান্টিকতা অনেকটা মনোবিশ্বের শস্য। লাগাম ছাড়া হয়ে ওঠা যায় রোমান্টিক শিল্পে। পরিমিতিবোধ হীন। যেমন আত্নহত্যাতে রোমান্টিকদের জীবনের প্রতি বিরাগের চেয়ে মৃত্যুর প্রতি প্রেমই প্রাধান্য পায়।


        ------------------------------------------------------------------
        কামলা খেটে যাই

        জবাব দিন
      • সাব্বির (৯৮-০৪)

        আমি আসলে বিধাতা শব্দটা জাজ (judge) হিসেবে বোঝাতে চেয়েছি।
        ক্লাসিসিজম, রোমান্টিসিজম আর মডার্নিজম আলাদা হয় তাদের বৈশিষ্ট্য গত কারনে যে কারনে সময় দিয়ে হিসাব করলে লেখকের ক্যারেক্টার নিয়ে একটা ভালো কনফিউশন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তখন লেখকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সম্ভবনা বেড়ে যাবে (আধুনিক লেখক দের কী শুধু আধুনিক দর্শন এর উপর ভিত্তি করে লিখতে হবে কীনা?!! এরকম। কারন লেখকের স্বভাব নিয়ে টানাটানি আমাদের পুরনো অভ্যাস। আধুনিককালের লেখক রোমাণ্টিক আইডিয়া তে কবিতা লিখতে পারবে না এই থিওরিতে আমি বিশ্বাসী নই)
        হোসেন@
        একমত।

        জবাব দিন
  7. মেহবুবা (৯৯-০৫)

    হোসেন......লেখাটা খুব ভাল হইসে।

    শিখেছে সারাজীবন কতটুকু মূল্যহীন একজন নারী। কিভাবে বাবা থেকে স্বামীতে মালিকানা বদলের ডাইনামিক্সে যাবে সেই চিন্তা পাম্প করে ঢোকানো হয়েছে মস্তিস্কে।

    এই সত্য কথা টা মনে রাখার মত।
    এক টা কাজ করতে পারবে? যখন কঠিন শব্দ লিখবে পাশে তার সঙ্খিপ্ত অথটা লিখে দিবে?নিজের ঔষধ বিদ্যার বাইরে আজকাল তেমন কিছুই পরা হয়না।
    কিন্তু কিছু লেখা পরতে ভাল লাগে......... তোমারটা তেমন।
    আর এই লেখার মন্তব্য গুলা বোঝার ক্ষমতা বিধাতা আমাকে দেন নি।
    সাব্বির ভাই আসলে ই মন দিয়া তোমার লেখা পরেছেন।
    আমিও পরেছি কিন্তু?
    আরো লিখো......তাতে যদি আমাদের মনোভাব বদলায়। :dreamy:

    জবাব দিন
  8. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    যদিও আমি নিম্নমানের পাঠক, 'লেখাটা ভালো লাগসে'-বলবো ভাবসিলাম...
    তবে,এই উচ্চমার্গের কমেন্ট আলোচনা পড়ার পরে নিজের নির্দোষ কমেন্টটাকেও আর নিরাপদ মনে হইতেসেনা 😕


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।