ধর্মীয় অন্ধতা এবং আমাদের বানরায়ন ২

ধর্মীয় দার্শনিকরা যারা ধর্মকে নিরন্তরভাবে বিজ্ঞানময় 😉 করে তোলার ম্যামথ টাস্ক কাধে নিয়েছেন তাদের অধ্যাবস্যায়ের প্রতি পূর্নশ্রদ্ধা রেখেই আজকের আলোচনা শুরু করছি।

প্রায়ই বিভিন্ন যায়গায় বলতে শুনি সূচের মধ্য দিয়ে উট চলে যাবার ব্যাপারটি। এটি আমি প্রথম পড়েছিলাম আল কোরান দ্যা চ্যালেন্জ নামের একটি বইতে। বিভিন্ন সময় এই ব্লগেও অনেককে কথাটা বলতে শুনেছি। কথাটা সম্ভবত হাদীসের, কুরআনেরও হতে পারে। আমি সেই হাদীস বা কুরআনের রেফারেন্স দিচ্ছি না, আমি অলস মানুষ ঘেঁটে বের করতে ইচ্ছা করছে না। যাই হোক সেখানকার সার কথা গুলো হচ্ছে:

আল্লাহ তাআলা চাইলে সূচের ফুটো দিয়ে উট প্রবেশ করাতে পারেন

ধর্মীয় দার্শনিকদের কনক্লুশান:

সুচের ফুটোয় অনেক কম স্থান বিদ্যমান। তার মধ্য দিয়ে উট যাবার কথা বলার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণবিবর কে, কারন কৃষ্ণবিবরও ছোট জিনিস যার মাঝে বড় বড় বস্তু পতিত হয়।

বিজ্ঞানের বক্তব্য:

এখানে একটা বিষয় বলা প্রয়োজন আলোচনা শুরুর আগে সেটা হচ্ছে, যেহেতু এখানে ধর্মীয় স্ক্রীপচারকে বিজ্ঞানের সাথে মেলানো হচ্ছে সুতরাং বিজ্ঞানের দাবী থাকবে বিজ্ঞানের সংজ্ঞাগত বিশুদ্ধীর। এর অর্থ হচ্ছে যখন বিজ্ঞানের সাথে মেলানোর চেষ্ঠা হচ্ছে সুতরাং বিভিন্ন বিষয়কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে হবে। সমস্যা হচ্ছে অনেক সময়ই ধর্মীয় বিজ্ঞান দার্শনিকরা এই জায়গায় পিছলানো শুরু করেন। তারা বিজ্ঞানের তত্ব ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানের পরিভাষা ব্যবহারে বেশী একটা উতসাহী হন না। এর প্রধান কারন হচ্ছে বিজ্ঞানের পরিভাষা গুলো সাধারনত ওয়েল ডিফাইন্ড থাকে। সেখানে এদিক সেদিক ধোয়াশামূলক ব্যাখ্যা করা যায় না।
আরেকটি ব্যাপার ,বিজ্ঞান কিন্তু তত্ব নিরপেক্ষ বাস্তবতা স্বীকার করে না। তাই সাধারন জীবনে সত্য আর বৈজ্ঞানিক সত্য নামে সাধারনত যে বিভাজনটা হয়ে থাকে তা পুরোপুরি ইনভ্যালিড। হ্যা অনেক বৈজ্ঞানিক সত্য দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অভিজ্ঞতার পরিপন্থী। এখানে অভিজ্ঞতা শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের পর্যবেক্ষনের প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতার কারনে অনেক ঘটনা আমাদের কাছে যেভাবে আ্যাপিয়ার করে সত্যিকার অর্থে সেভাবে ঘটে না। সুতরাং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা ইলিউশন ছাড়া আর কিছুই না। যেমন আমরা কখনোই দৈনন্দিন জীবনে গতিশীল জড় কাঠামোতে শ্লথ ঘড়ির সম্মুখীন হই না।

এবার দেখা যাক সুচের ফুটা আর ব্ল্যাকহোলের পার্থক্য কোথায়।

সূচের ফুটা দিয়ে উট যেতে পারে না কারন উট ,সুচের ফুটার তুলনায় অনেক বড় স্থান দখল করে।

ব্ল্যাকহোলের আলোচনা শুরু করার আগে আমরা এই স্থান ব্যাপারটিকে আরেকটু rigorously সংজ্ঞায়িত করতে চাই।ইউক্লিডিয় জ্যামিতি অনুসারে স্থান শুন্যমাত্রিক বিন্দুসমূহের ত্রিমাত্রিক বিস্তৃতি। এবং ইউক্লিডিয় স্থান সমতল। এই বক্তব্যের অনেকগুলো কনসিকোয়েন্স আছে,
১.পিথাগোরাসের উপপাদ্যের সত্যতা(তিনমাত্রায় পিথাগোরিয়ান উপপাদ্য)
২.দুটি বিন্দুর মাঝে সর্বনিম্ন দুরত্ব হচ্ছে ঐ বিন্দু দুটোকে সংযোগকারী সরলরেখা
৩.চিরায়ত ,অর্থাত এই ইউক্লিডিয়ান স্থান অনেকটাই চিরায়ত এই অর্থে এই স্থান পরিপার্শ্ব দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এই অনুসিদ্ধান্ত ইউক্লিডিয়ান স্থানকে একটি এবস্ট্রাক্ট অথবা সংজ্ঞাভেদে অবস্তুগত ধারনায় পর্যবাসিত করে।

এখন ব্ল্যাকহোলের আলোচনা শুরু করবার আগে আমাদের আরেকটু স্থানের সংজ্ঞার গভীরে যেতে হবে। কারন ব্ল্যাকহোল জেনারেল রিলেটিভিটির একটি প্রতিফল। আর জেনারেল রিলেটিভিটির ভিত্তি হচ্ছে অইউক্লিডিয় জ্যামিতি।

অ-ইউক্লিডিয় জ্যামিতি টা কি?

যারা জ্যামিতি পড়েছেন সবাই ইউক্লিডের জ্যামিতির সাথে পরিচিত। ইউক্লিডের জ্যামিতিতে পাচটি স্বীকার্য বিদ্যমান। স্বীকার্য হচ্ছে প্রমান ব্যাতিরেকে যে ধারনা গুলোকে স্বীকার করে নেয়া হয়। ইউক্লিডের পঞ্চম এবং বহুল বিতর্কিত স্বীকার্যটি হচ্ছে

“যদি একটি সরলরেখা অপর দুইটি সরলরেখার উপর পতিত হয় তাহলে যে পার্শ্বে উত্পন্ন অন্ত:স্থ কোন গুলোর সমষ্টি দুই সমকোনের কম হবে সেই পার্শ্বে রেখাদুটোকে অনির্ধারিতভাবে বর্ধিত করলে রেখাদুটো পরস্পরকে ছেদ করবে”

স্বীকার্যটি যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে এই স্বীকার্যের ভিন্নরুপ গুলোর একটি উল্লেখ করছি(এটি প্লেফেয়ারের স্বীকার্য হিসেবে পরিচিত)
“যদি একটি সরলরেখা দুইটি সমান্তরাল সরলরেখার একটিকে ছেদ করে তাহলে অপরটিকেও ছেদ করবে”

আসলে এই স্বীকার্যের মুল নির্যাস হচ্ছে সমান্তরাল সরলরেখা পরস্পরকে কখোনোই ছেদ করবে না।

এখন অইক্লিডিয় জ্যামিতিতে এই স্বীকার্যটি সত্য নয়।অর্থাত অইউক্লিডিয় জ্যামিতিতে সমান্তরাল সরলরেখাসমূহ পরষ্পরকে ছেদ করে। এই কথা দেখে আত্কে উঠবার কোনো কারন নেই,পৃথিবীর পৃষ্ঠ একটি অইউক্লিডিয় তল,দ্রাঘিমা রেখাগুলো সমান্তরাল কিন্তু তারা মেরুবিন্দুতে পরষ্পরকে ছেদ করে।

অইউক্লিডিয় জ্যামিতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন কনসিকোয়েন্স:
১.পিথাগোরাসের উপপাদ্য সঠিক নয়
২.দুটো বিন্দুর মধ্যে সর্বনিম্ন দুরত্ব ঐ অইউক্লিডিয় তলের উপর নির্ভর করে। যাকে আমরা জিওডেসিক বলি। যেমন পৃথিবী পৃষ্ঠে কোন সরল রেখা আকা সম্ভব নয় পৃথিবী পৃষ্ঠের বক্রতার জন্যে। পৃথিবী পৃষ্ঠে দুটি বিন্দুর সর্বনিম্ন দুরত্ব হচ্ছে পৃথিবীর কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঐ বিন্দু দুইটি দিয়ে যাবে এমন কোন বৃত্ত আকা হলে ঐ বৃত্তের পরিধি বরাবর। আন্তর্জাতিক বিমানরুট গুলো যখন নির্নয় করা হয় তখন এই পদ্ধতিতেই করা হয়। এই বৃত্তগুলোকে বৃহত বৃত্ত বলে।
৩। ত্রিভুজের তিন কোনের সমষ্টি দুই সমকোনের সমান নয়। কতটুকু পার্থক্য এটা নির্ভর করে ত্রিভুজের আকৃতির উপর।

এখন পৃথিবীর তলকে কিন্তু ইউক্লিডিয় গোলীয় জ্যামিতি দ্বারাও ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটি যৌক্তিক সমস্যা আছে। এয়ার রুট নির্নয়ের সময় আমরা ইউক্লিডিয় গোলীয় জ্যামিতি ব্যবহার করছি। এবং আমাদের একটি অতিগুরুত্বপূর্ন তথ্য এখানে দরকার ,সেটি হচ্ছে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ। এখন ধরা যাক একটি দ্বিমাত্রিক প্রানী গোলকের উপরিতলে বাস করে। যেহেতু সে দ্বিমাত্রিক প্রানী সুতরাং ত্রিমাত্রা সমন্ধে তার কোন ধারনাই নেই। গোলকের ব্যাসার্ধ তার কাছে পর্যবেক্ষনযোগ্য নয়। সুতরাং সে কিভাবে যদি তার বিশ্বের এয়াররুট নির্নয় করতে চায় ,নির্নয় করবে?
গস,বোলাই,রীম্যান এরা এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই অইউক্লিডিয় জ্যামিতি আবিস্কার করেন।
গানিতিক টার্মে প্রস্তাবনাটি হচ্ছে কোনো তলের বাইরে না গিয়েই তলের বৈশিষ্ঠসমূহ নির্নয় করা।খেয়াল করুন এয়ার রুট নির্নয় করার সময় আমাদের যে গোলকের ব্যাসার্ধ লেগেছিল সেই গোলকের ব্যাসার্ধ কিন্তু তলের বাইরের প্যারামিটার।

এখন জেনারেল রিলেটিভিটি বলে এই মহাবিশ্ব হচ্ছে স্থানকালের অইউক্লিডিয় বিস্তৃতি। অর্থাত স্থানকালের কাঠামো অইক্লিডিয় জ্যামিতি মেনে চলে। বস্তুকনাসমূহ তাদের ভরের কারনে চারপাশের স্থানকালকে বক্র করে দেয়। এবং এই বক্রতাই মহাকর্ষের প্রকৃত কারন।

এখন ছোট স্কেলে অইউক্লিডিয় জ্যামিতি ,ইউক্লিডিয় জ্যামিতিতে আসন্নীকৃত হয়।যে কারনে আমরা অইউক্লিডিয় জ্যামিতির প্রভাবে দৈনন্দিন জীবনে তেমন একটা পর্যবেক্ষন করি না।

এখন আসা যাক ব্ল্যাকহোল প্রসঙ্গে। সেখানে যা হয় তা হচ্ছে,

চন্দ্রশেখর লিমিটের বাইরে এরকম নক্ষত্রের হাইড্রোজেন জ্বালানী যখন শেষ হয়ে যায় তখন তার ভর নিজের উপরই কোলাপস করে। বিপুল পরিমানে ভর কেন্দ্রীভূত হওয়ায় চারপাশের স্থানকালের বক্রতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌছায়। এবং আলো সমূহ জিওডেসিক বা সর্বনিম্ন দুরত্বের পথ অতিক্রম করতে গিয়েই নিজের উপরই পতিত হয়। মহাকর্ষ ক্ষেত্রের শক্তিও অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌছায়।

ব্ল্যাকহোল কিন্তু স্থানের পরিমানে কম নয়, কেবল বিপুল পরিমান স্থান নিজের উপর বক্র হয়ে আছে। ব্যকহোলের যেটা কম সেটা হচ্ছে ঘটনা দিগন্তের ক্ষেত্রফল। এই ব্যাপারটিকে সহজ ভাবে এই রকম বলা যায় যে ব্ল্যাক হোল একটি বিশাল আয়তনের বস্তা যার মুখটি খুব কম ক্ষেত্রফলের ।সুতরাং ব্ল্যাক হোলে স্থান কম কথাটা অবৈজ্ঞানিক।

কিন্তু সুচের ফুটায় স্থান আসলেই কম।সুতরাং সেখানে উটের প্রবেশ অযৌক্তিক।

এই দুটোর মাঝে মিল খুজে পাওয়া কেবল বিজ্ঞান জানায় ঘাটতিকেই প্রকাশ করে,কোনো মহিমা নয়।

(যদিও আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি উটের সুচের ফুটায় প্রবেশ শুধুমাত্র একটি অসম্ভব ঘটনার মেটাফোর। সর্বশক্তিমানের ক্ষমতা উদাহরন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এভাবে অনেক লং শটে মেলানোর চেষ্টা অনেকটাই হাস্যকর। বরং হিন্দু ধর্মে ব্ল্যাকহোলের আরও কাছাকাছি বর্ননা পাওয়া যায়। যেমন কৃষ্ণকে বলা হয়েছে সব আলো শোষনকারী। যেটা ব্ল্যাকহোলের জন্যে সত্য।এভাবে ডান বাম করে অনেক কিছুর সাথেই মেলানো যায় বিজ্ঞানকে। যদি কোনোদিন ধর্ম থেকে আগেই বলা হত ভবিষ্যত তত্বের কথা তাহলে বিষয়টি ক্রেডিবিলিটি পেত।কিন্তু সেটা কখোনই হয় না;) )

আমরা বিবর্তনের পথে উল্টোদিকে না হাটি। অন্ধ বানরায়ন না ঘটে আমরা উন্নততর মানুষ হয়ে উঠি এই প্রত্যাশা রাখছি।

(চলবে)

৪৯ টি মন্তব্য : “ধর্মীয় অন্ধতা এবং আমাদের বানরায়ন ২”

  1. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    হোসেন,
    জ্যামিতিতে বরাবরই দুর্বল বলে অনেক জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হইসে ঠিকই, কিন্তু বিজ্ঞানমনষ্কতার প্রসারে তোমার এই প্রয়াসকে বরাবরের মতই সাধুবাদ জানাই... :hatsoff: গত এক সপ্তাহে আসলেই সিসিবিতে আমি অনেক অনেক কিছু শিখসি...

    স্থান, তল, ক্ষেত্রফল নিয়ে ভাসাভাসা জ্ঞান নিয়েও একটা প্রশ্ন করি...

    এই ব্যাপারটিকে সহজ ভাবে এই রকম বলা যায় যে ব্ল্যাক হোল একটি বিশাল আয়তনের বস্তা যার মুখটি খুব কম ক্ষেত্রফলের

    সূঁচের ফুটাটাকেও কি এরকম একটা কম ক্ষেত্রফলের মুখ বলে ধরা যায়না? :-/


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
    • হোসেন (৯৯-০৫)

      সুচের ফুটাটার সাথে কিন্তু আর কিছু জড়িয়ে নাই। আর কিছুর কথাও সেখানে বলা নাই। আর সুচের ফুটার সাথে বড় কিছু জড়িয়ে রাখাটা কি লজিক্যালি ভ্যালিড? কারন সুচের ফুটাটার মধ্যে দিয়ে উট চলে যাচ্ছে .........অলৌকিকতাটা এখানে............কিন্তু সুচের এক্সিস্টেন্সও ব্যাখ্যাতীত থাকে ,মানে অদৃশ্য বস্তা লাগিয়ে রাখা ......তাহলে বক্তব্যটা কি গোলমেলে হয়ে যায় না?

      যখন কোন কাজ কে ঊপমার মাধ্যমে বোঝানো হয় তখন একটি বাখ্যাযোগ্য থাকতে হবে না হলে উপমা তার শক্তি হারাবে।

      একারনেই এভাবে ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রকৃয়াটিকে জোর করে মেলানো মনে হবে।


      ------------------------------------------------------------------
      কামলা খেটে যাই

      জবাব দিন
      • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

        হোসেন,
        সূঁচের ফুটার সাথে আর কিছু জড়িয়ে থাকা- না থাকার ব্যাপারে তোমার ব্যাখ্যাটা আমি বুঝতে পারি নাই...না বুঝে আরো প্রশ্ন করাটা বোকামি হবে...

        আল্লাহ তাআলা চাইলে সূচের ফুটো দিয়ে উট প্রবেশ করাতে পারেন

        তুমি কি এই আয়াতটার রেফারেন্স একটু কষ্ট করে আমাকে দিতে পারবা? সামান্য পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল...


        "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
        আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

        জবাব দিন
        • হোসেন (৯৯-০৫)

          এটা হাদীসে আছে না কোরানে আছে সেটা আমার জানা নাই। এম্নিতেই আমি ধর্ম নিয়ে বিশেষ ঘাটি না। কয়েকজন কুরানের মাহাত্ন্য প্রকাশের জন্যে উদাহরন হিসেবে এটা ব্যবহার করতে দেখেছি। আল কোরান দ্যা চ্যালেঞ্জ বইটা তেও ছিল। একজাক্ট রেফারেন্স মনে নেই ,কোন সুরা বা কোন হাদীসের।

          আমার যুক্তি ছিল কুরান কে মহান করতে গেলে বিজ্ঞানের সার্টিফিকেট লাগবে কেন? বিশ্বাসীর কাছে কুরান এম্নিতেই মহান। আর পরিবর্তনশীল বিজ্ঞানের সাথে কুরানের মেলানোটা বিশ্বাসীদের কাছেও ঝুকিপূর্ন হতে পারে।


          ------------------------------------------------------------------
          কামলা খেটে যাই

          জবাব দিন
          • শাহেদ_৯৭-০৩

            তোমার সুভিধার জন্য হোসেন...এটি কুরান এর আয়াত...

            "নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি।" (৭,৪০)

            ...তুমি RELIGION নিয়ে লিখছ...অথচ কুরান-হাদিস নিয়ে ঘাটাও না...শুন্তে কেমন জানি লাগে...আর কুরান-হাদিস পরাতে তো দোষ নাই...perhaps it might bring more power to your arguments...

            আর তোমার লেখা পরে মনে হয় তুমি আনেক বই পড়...মানুষের লেখা বই এর প্রতি যার এত আগ্রহ...বিধাতা, যিনি আমাদের স্রিষ্টি করেছেন, তাঁর লেখা বইটার প্রতি এত আনাগ্রহ কেন?

            জবাব দিন
            • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

              আয়াতটা আগেই পড়েছি। কিন্তু সূরা ও আয়াত মনে পড়ছিলো না।
              আয়াত থেকে দেখা যাচ্ছে এটা আসলেই মেটাফোর। যারা কুরআনের আয়াতকে মিথ্যা বলেছে এবং এ নিয়ে অহংকার করেছে তারা তো কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
              সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করা যেমন অসম্ভব, তেমনি আল্লাহর আয়াত অস্বীকারকারীদের জান্নাতে প্রবেশ অসম্ভব। আমার তো এমনটাই মনে হচ্ছে।
              তার মানে কুরআনেও তো সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশকে অসম্ভব অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকই আছে...

              জবাব দিন
            • হোসেন (৯৯-০৫)

              শাহেদ ভাই

              আমার মোটিভ কিন্তু রিলিজিয়ন কে উদ্দেশ্য করে লেখা না। আমার লেখাটার উদ্দেশ্য হাদীস কুরানের বিভিন্ন আয়াত কে উলটাপালটা ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানের সাথে মেলানোর যে অপচেষ্টা করা হয় তা দেখিয়ে দেওয়া। এই সকল ব্যাখ্যা কিন্তু ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকেও ক্ষতিকর। কারন এধরনের ব্যাখ্যা ধর্ম কে দুর্বল প্রমান করে দিচ্ছে ...সুতরাং ধার্মিক, সংশয়বাদী, নাস্তিক সবাইকেই এই জাতীয় ধার্মিক দার্শনিক দের প্রতিহত করতে হবে।


              ------------------------------------------------------------------
              কামলা খেটে যাই

              জবাব দিন
              • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
                আমার লেখাটার উদ্দেশ্য হাদীস কুরানের বিভিন্ন আয়াত কে উলটাপালটা ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানের সাথে মেলানোর যে অপচেষ্টা করা হয় তা দেখিয়ে দেওয়া।

                তোমার উদ্দেশ্য অবশ্যই সাধুবাদের যোগ্য...
                তবে যেই আয়াতের উলটাপালটা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, সেই আয়াতটা আগে ভালমত একবার পড়ে দেখলে মনে হয় তোমার জাজমেন্ট করতে সুবিধা হবে যে, যারা এইসব ফালতু 'মিলান্তি মিলান্তি' খেলার অপচেষ্টা করে, তাদের অন্তঃসারশূন্য যুক্তি খন্ডনের পিছনে তুমি আদৌ তোমার সময় ও মেধা খরচ করবা কিনা?


                "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
                আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

                জবাব দিন
                • হোসেন (৯৯-০৫)

                  এই গুলার ইনফ্লুএন্স কিন্তু কম না, আমি নিজে একসময় এগুলো দিয়ে ইনফ্লুয়েন্সড হয়েছিলাম। অনেকেই এগুলো কে সঠিক মনে করে। সুতরাং সচেতনতার জন্যে হলেও আমি এই বিশ্লেষনের দরকার আছে মনে করি।


                  ------------------------------------------------------------------
                  কামলা খেটে যাই

                  জবাব দিন
                  • জিহাদ (৯৯-০৫)

                    জাকির নায়েকের ভুল তথ্য প্রদানের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেই যারা মনে করে ইসলামের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হল তারা এইসব জিনিসরেও খুব ভালো পায় । 🙂


                    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

                    জবাব দিন
                  • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
                    সুতরাং সচেতনতার জন্যে হলেও আমি এই বিশ্লেষনের দরকার আছে মনে করি।

                    অবশ্যই বিশ্লেষণের দরকার আছে...
                    তবে কুরআনের মূল আয়াতটাও বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করলে আমার মত মুখ্যসুখ্য মানুষের বুঝতে সুবিধা হয় যে, সমস্যাটা মূল স্ক্রিপচারে নাকি এর উলটাপালটা ব্যাখ্যা দেওয়া ধর্ম-ব্যবসায়ীদের?


                    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
                    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

                    জবাব দিন
            • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
              কুরান-হাদিস পরাতে তো দোষ নাই

              yes there is, it consumes time, time that you could positively use in something useful like science, literature, phylosophy and so on, thus being refrained from wasting it for something so laughably valueless and something that hardly makes any sense, if thats what you like to call it.

              বিধাতা, যিনি আমাদের স্রিষ্টি করেছেন, তাঁর লেখা বইটার ...

              you serious you still believe that? That great magic daddy up in the seventh heaven is not usually seen scribling down scriptures though. :)) :)) =)) =)) =)) :))

              yes that was laughter, thats what islam fears.

              জবাব দিন
            • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
              তুমি RELIGION নিয়ে লিখছ…অথচ কুরান-হাদিস নিয়ে ঘাটাও না…শুন্তে কেমন জানি লাগে

              you know what? if i tell you there is a giant fat pig up in andromeda, its he who created the universe would u believe me? if not then thats what i say to you "dont express your opinion about something that you heavent yet read about".

              জবাব দিন
          • সামীউর (৯৭-০৩)

            না জেনে বলাটা অনুচিত। আমি ধর্ম-বিশেষজ্ঞ বা ধর্মান্ধ অথবা গোঁড়া মুসলিম নই। তবে যতটুকি জানি যে অনেক হাদীস আছে যেগুলো দূর্বল হাদীস বা প্রামাণ্য না। তাই তোমার কমেন্ট এর সোর্স টা শিওর হও। আরেকটা কথা হচ্ছে কোরান শরীফে অনেক কিছু allegorically (রুপক বা হাতের কাছের কোন উদাহারণ টাইপের) বোঝানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে অনেক ধর্ম্ববেত্তারা এগুলো explain/elaborate করেছেন। তুমি যা 'উট এবং সূচ' বিষয়ক বক্তব্যের অবতারনা করেছ তা কোরানে আয়াতে থাকলে সর্বজনগ্রাহ্য ব্যাখ্যা কি সেটা জেনে তারপর তার সার বা অসারতা প্রমাণের চেষ্টায় রত হওয়াটাই কি ভালো না?

            জবাব দিন
            • হোসেন (৯৯-০৫)

              আবারো বলছি আমি কিন্তু আয়াত কে ব্যাখ্যা করতে যাই নি, আমার উদ্দেশ্য কুরান কে ব্যাখ্যা করা নয়। এই আয়াত কে ব্ল্যাক হোলের সাথে মেলানোর চেষ্টা টা ভুল সেটাই বোঝতে চেয়েছি। আবারো খেয়াল করুন......। আমি কুরান বা হাদীসের কথাটার সম্পর্কে কোন মন্তব্যই করি নি, আমার লেখার উদ্দেশ্য সেটা নয়।

              আমি বুঝতে পারছি না আমার লেখাটার মিসইন্টারপ্রিটেশন হচ্ছে কেন.........

              হাদীস কুরানের কোন কথার বিরোধীতা এখানে করা হয় নি সুতরাং হাদীস কুরান নিয়ে স্কলার রা কি বলেছেন সেটা আমার জানারও দরকার হয় নি, সেজন্যেই সর্বজন গ্রাহ্য ব্যাখ্যাটা আমি না জানলেও কিছু যায় আসে না কারন এই পোস্টের কোথাও সর্ব্জংরাহ্য ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে কিছু বলা হয় নি।

              এটা শুধু কম জানা কিছু পাব্লিক যেমন জাকির নায়েক, বুকাইলি বা শমসের ......এরা যেভাবে কুরানের মাঝে হাস্যকর গোজামিল দিয়ে বিজ্ঞান খুজে পায় তার বিরোধিতা করা হয়েছে।

              অফটপিকঃ

              অনেক সময় ধর্ম সম্পর্কে কেঊ ভুল কথা বল্লেও যদি কথাটা ধর্মের পক্ষে যায় আমরা তাকে ডিফেন্ড করা শুরু করি। জাকির নায়েক এর বড় উদাহরন। এটা কি ক্ষতিকর নয়?


              ------------------------------------------------------------------
              কামলা খেটে যাই

              জবাব দিন
  2. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    ইন্টারেস্টিং...
    যদিও লাস্টের দিকে বুজ্জছি... ফাস্টে কিসুই বুঝিনাই। :-/

    তোমরা সাইন্সের মাস্টারমাইন্ড-রা আমাদের মানবিকওয়ালাদের জন্য একটু সচিত্র ব্যবস্থা কর না রে ভাই! জ্যামিতি-ফ্যামিতি মাথায় ঢুকে না। 😕 জ্যামিতি'র এ্যান্সার করিনাই SSC তে। যা করসি মুখস্ত নাইলে দেখে দেখে। 😛

    জবাব দিন
  3. তাইফুর (৯২-৯৮)

    সিম্পল এক কবির কবিতা ... তাই নিয়াই কত ধরনের মতামত ... কবি এইটা বলতে চেয়েছেন ... কবি ওইটা বলতে চেয়েছেন। ওই কবি বাইচা থাকলে নিজেই অবাক হইতেন এমন অনেক চিন্তাশীল ভাবও ওই কবিতা থিকা পরবর্তীতে বাড়ায়া আসে ...

    (মন্তব্য অফটপিক মনে হইতে পারে ... কিন্তু অফটপিক না)

    হোসেন ...
    তোর ফ্যান হয়া যাচ্ছি ... আরও চাই ... ঠিক এমন।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
      • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

        অর্ণব, তোমার কথা-বার্তা ঠিক কর...
        তুমি যাই মান, বিশ্বাস কর না কেন-অন্যের বিশ্বাসকে খাটো করার চেষ্টা করা আর যাই হোক ম্যাচুইরিটি না...


        ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

        জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

          তোমার কথা-বার্তা ঠিক কর

          lets be a bit more damn respectful, shall we? would you find it disturbing or disrespectful if i said by the way of reviewing the food of a restaurant, "thats the most horrible food ive ever tasted, reminds me of the earth-worm i put in my mouth while in class seven"; or by the way of reviewing the appearance of a woman, "horrifying woman, its better to go cycling an hour in the gym rather than dating her". no i reckon. then why do u find my aforesaid reply disturbing?

          isnt it because u sensed the disrespect on an entity that you and everyone have been respecting since the bronze age? if yes then you need to come up with arguements why you think it deserves respect, isnt it?

          being disrespectful which is essentially either bashing an righteous opinion or act ruthlessly without any basis of rational thinking or reasoned logic, or stand against an apparent harmless position simply because personal dislikings and so on, doesnt cover the religion which neither have been righteous nor harmless; nevertheless, i did none of these. i just came up with some analogies which you either misunderstood or didnt understand at all.

          if you come up with something thats laughable and when laughed at get angry saying "my opinion deserves respect" all you are doing is invoking a second round of laughter at you.

          জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
          তুমি যাই মান, বিশ্বাস কর না কেন-অন্যের বিশ্বাসকে খাটো করার চেষ্টা করা আর যাই হোক ম্যাচুইরিটি না…

          আমি যদি বিশ্বাস করি ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে,মাছের পেটে ৩ দিন বেঁচে থাকা সম্ভব,এক জোড়া নারী পুরুষ দ্বারা ৬.৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার পৃথিবী পপুলেইট করা সম্ভব, নিজের পুএকে জবাই করে ফেলা মানসিক বিকৃতি এবং পাশবিক প্রবৃত্তির লক্ষণ না তাহলে আমার বিরুদ্ধে কথা বলা শুধু আপনার ম্যাচিউরিটিই না, এটা আপনার দায়িত্ব।

          জবাব দিন
          • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

            হুম্‌ম, অনেক কিছু বলে ফেললে...
            যাই হোক, আমি কোন আর্গুমেন্টে যাব না...
            আমার কথা একটাই-এই ব্লগ আমাদের সবার কাছে সেকেন্ড হোম...কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে যদি এখানকার পরিবেশ নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে আমি তার বিরোধিতা অবশ্যই করব...
            আমার কথায় যদি কোন সিনিয়র তো বটেই জুনিয়রও কষ্ট পায়, তার কোন অনুভূতিতে আঘাত লাগে (হোক তা ভুল বা 'হাসির যোগ্য'!) আমি ভীষণ লজ্জা পাব...

            যাই হোক, তুমি মনে হয় অন্যের মূল্যবোধ, বিশ্বাসকে সম্মান করতে আগ্রহী নও...বরং এমনভাবে আক্রমণ করতে চাও যাতে তার অসম্মান হয়...
            সেক্ষেত্রে যে পথ খোলা থাকে আমি সেটাই বেছে নিচ্ছি...হেয়ার আই সাইন অফ!!
            ভাল থেক।


            ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

            জবাব দিন
            • সাব্বির (৯৮-০৪)

              Junaid vai@
              ami bektigoto vabe mone kori eita emotional blackmail hocche.ami karo kotha quote kortesi na or situation bojhar o try kortesi na but still amer kache mone hoi 18 er pore prottekta manusher "individuality" grow kore.ei shomoye apni eidhoroner attack korle bepartake songaito kora hobe JHAMELA hisebe.amer kache mone hoi eikhane je je ashbe sei apnader duijoner post pore birokto hobe(ami hocchi).

              Arnob@firstly tui kono essay likhte bose body na likhe conclusion tante paris na.tor jodi manusher bissash etotai felna mone hoi then tui article lekha suru kor(may be something like "bissasher somossha").tor logical way te chintavabna bondho kora charao eikhane shobar aro onek kaj ase.

              "if i ever saw the moon splitting in twos, i would rather go see a psychiatrist"

              Ei line ta tui debate e use korte paris but jeikhane keo ei topic e interested na seriously tader songe debate korte jaite hobe keno!!!tui dekhbi ter position then thik korbi tor position!!!as simple as that.tui jodi eitao bolis je "i ll pinch myself" seita onek sohonshil hoi.individuality dhoira rakhte chaile seita khub valo kotha but social place e osohonshil howata gadhar lokkhon.

              জবাব দিন
  4. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অসাধারণ। এই পর্ব গতটার চেয়েও বস হয়েছে। গতটায় সাধারণ আপেক্ষিকতার কিছু জটিল কথাবার্তা কয়েক লাইনে বলে দেয়ায় একটু জটিল লেগেছিল। এটা একেবারেই ফকফকা।
    সূচের ভেতর দিয়ে উটের প্রবেশের সাথে যে ব্ল্যাক হোলকে মেলানো উচিত না, এটা পরিষ্কার মাথায় চিন্তা করলে সবাই বুঝবে। কিন্তু এরকম হার্ড লাইনে গিয়েও সেটা বোঝানো উচিত। তাহলে ধর্মের সাথে যারা বিজ্ঞানকে মেলানোর চেষ্টা করে তাদের কথাগুলোকে ভালোমত খণ্ডন করা যাবে। লেখাটা তাই খুব কাজে আসবে।

    ইসলামে আসলেই সূচের ভেতর দিয়ে উটের প্রবেশ একটা মেটাফোর মাত্র। এটাকে আক্ষরিক অর্থে নেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর আক্ষরিক অর্থে নিলেও কি করা যাবে! যেহেতু এখানে "আল্লাহ" আসছে, সেহেতু যেকোনকিছুই সম্ভব। আল্লাহ যে প্রকৃতির নিয়ম মেনে কাজ করবেন, সেরকম কোন কথা তো নেই।
    ধর্মে বিশ্বাস করলে একটা বিষয়ও তো বিশ্বাস করতে হবে, "আল্লাহ যেকোন কিছু করতে পারেন।" কুরআনের আয়াত:
    কুন ফায়া কুন - তিনি কেবল বলেন হও আর অমনি হয়ে যায়। তাই ধার্মিকদের আমি সব সময়ই বলি, এগুলোকে আক্ষরিক অর্থে না নিয়ে সরলভাবে বিশ্বাস করতে।

    জবাব দিন
  5. হোসেন, তোমার পুরান পোষ্ট, এই পোষ্ট, কোন পোষ্টেই "মির্জাপুর" ট্যাগ করা নাই ... ট্যাগ করে দিবা নাকি ??
    (সাম্প্রদায়ীক মন্তব্য ... তাই ছদ্মনাম ব্যবহার করলাম। 😀 এখন দেখি কে কার ব্যাঞ্চায় 😉 )

    জবাব দিন
  6. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    হোসেন : তোমার লেখা মাথার উপর দিয়ে গেছে। জ্যামিতি তো আমার বিষয় ছিল না, সেটা হয়তো একটা কারণ। তবে তুমি কোরআন বা হাদিসের রেফারেন্সে যদি সেটা কাউন্টার করতে যাও, আমি মনে করি অবশ্যই সেক্ষেত্রে কোরআন বা হাদিসের বিস্তারিত জানতে হবে। নইলে বিশ্বাসীরা কিন্তু এক কথায় তোমার বক্তব্য নাকচ করে দেবে।

    এখানে শাহেদের বক্তব্যটা আমি গুরুত্ব দিই। সে লিখেছে :

    তোমার সুবিধার জন্য…এটি কুরান এর আয়াত…

    “নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি।” (৭,৪০)

    দেখো হোসেন, এখানে সূচ আর উটের রেফারেন্সটা আমার কাছে মনে হচ্ছে যথার্থ তা ঘটবে বা ঘটানো যাবে এই অর্থে বলা হচ্ছে না। অবিশ্বাসীদের হুশিয়ার করতে একটা উদ্ভট উদাহরণ হিসাবে আনা হয়েছে। আসলে আমিও এর বিস্তারিত জানি না। কারণ কোরআন আমারো পড়া নেই। ক্লাস সেভেনে কলেজে যাওয়ার আগে না বুঝে কোরআন ৭ খতম দিয়েছিলাম। তারপর আর জীবনে এক খতম দেয়া হয়নি।

    শাহেদ আরো বলেছে :

    …তুমি RELIGION নিয়ে লিখছ…অথচ কুরান-হাদিস নিয়ে ঘাটাও না…শুন্তে কেমন জানি লাগে…আর কুরান-হাদিস পরাতে তো দোষ নাই…perhaps it might bring more power to your arguments…

    আমারও মনে হয়, কথাটার কিছু যথার্থতা আছে। তবে কোরআনও আমি মনে করি যান্ত্রিকভাবে পড়লে হবে না। সেই সময়, সেই প্রেক্ষাপট- আরো অনেক কিছু।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • হোসেন (৯৯-০৫)

      আমি ব্যাখ্যায় গেলাম না কারন অল রেডী একই ধঅরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। সেই উত্তর গুলো একটু প্লীজ দেখুন......আমি আবারো বলছি......আমার উদ্দেশ্য কুরান ব্যাখ্যা নয়, আমি রিলিজিয়ন নিয়েও লিখছি না, রিলিজিয়নের পক্ষে বা বিপক্ষে আমার কোন বক্তব্যই এই লেখায় নেই। এটা শুধু কিছু কম জানা মানুষ কিভাবে কুরানে বিজ্ঞান খুজে পায় তার একটি নমুনা দেখিয়েছি। কুরানের অরিজিনাল বক্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে আমি কিছুই বলি নাই ......আমার আর্গুমেন্ট কুরানের সাথে না, হারুন ইয়াহিয়া,জাকির নায়েক, বুকাইলি,শমসের প্রমুখের সাথে।


      ------------------------------------------------------------------
      কামলা খেটে যাই

      জবাব দিন
      • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
        আমার আর্গুমেন্ট কুরানের সাথে না, হারুন ইয়াহিয়া,জাকির নায়েক, বুকাইলি,শমসের প্রমুখের সাথে।

        i wont argue how Maurice Bucaille who happened to be the personal physician of the saudi prince was hugely overpaid or bribed to write something praising koran. if he is that big fan of the black robed heavenly boss up in the sky then why didnt he convert into islam? cat stevens became yusuf ali, mohamed ali converted can somebody tell me the muslim name of bucaille?

        i have got a name for you.....

        wankerrrrrrrrrr...........................argghhhh

        জবাব দিন
  7. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    লেখার শেষের ডিস্ক্লেইমারের সাথে আমিও একমত।
    আমার সাদামাটা বিশ্লেষণ শক্তি দিয়ে আমি যা বুঝেছি, উক্ত আয়াতের মাধ্যমে সর্বশক্তিমান 'অসম্ভব একটি ব্যাপার' বোঝাবার জন্য অতি সাধারণ উদাহরণ ব্যবহার করেছেন।

    এখানে যদি 'ব্লাক হোল' এর কথা বলা হত সেক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে সামান্য সুঁচ এবং উট না থেকে আরও বড় কিছু থাকত...

    আমার যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে 'এইসব' বুদ্ধিজীবীদের 'আজাইরা ফাইন্ডিং' ব্যান করে দিতাম...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  8. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    ধন্যবাদ হোসেন, নতুন একটা বিষয় জানতে পারলাম । হোসেন তো মনে হয় ধর্মকে যাতে আমরা বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা না করি সে ব্যাপারে সচেতন করতে চেয়েছে । এখানে হোসেন বিস্বাসী না অবিস্বাসী সেটা মনে হয় জরুরী না । এটা সম্পুর্ণ আমার নিজস্ব ধারনা, ভুল হলে শুধরে দেবেন (কপিরাইট মাহমুদ ভাই 😀 )।

    জবাব দিন
  9. সাব্বির (৯৮-০৪)

    hossain@good job.tomar pechal ager cheye onek beshi details and analytical hoise but prob ta hocche ......jai hok ager koekta post pore amer ei video ta share korte iccha korlo.

    http://www.youtube.com/watch?v=N7YvhnPtMpA

    (one of the most innovative idea & philosophy i ever experienced)

    Science e metaphor bebohar kora hoi na(eita totally lit er part)(other than isshor chokker guti khelen na!!!!!!!!!)
    Do u really need to be that serious?becoz i believe there are thousand other things to take seriously(for u at least).

    btw tomar dekha paia valoalglo.ei site sombondhe amar kono idea e chilo na.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সামীউর (৯৭-০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।