দিনলিপি-৩ : ডানার জন্যে প্রার্থনা আর বেহেশতী মিথ্যা সুখের স্বপ্ন

উর্ধ্বাকাশ হতে রাত্রির সাগরে পরা পৃথিবীকে দেখায় নক্ষত্রের অলংকারে লজ্জাবতী আকাশের মত। উড়তে থাকি আর একে একে পেড়িয়ে যাই যত ছোট শরীরে বন্দী ক্ষুধা আর প্রবনতার রসায়ন,পৃথিবী জুড়ে বেহেশতী মুখোশ নেমে আসে।

আমরা এবং আমি’রা গুটানো বৃত্ত থেকে পরিধি হিসেবে যতটা আশ্বস্ত, কিন্তু ‘কেন’ রা ততটাই হামলে পড়ে বেয়াদপ সংশয়ের পথে। সমুদ্র বালুতে যত চন্দ্রাহত ক্লীবের আনাগোনা অথবা ‘এই আমি ভালো আছি’ তে কতটুকু উৎসারন হয় কবিতা আর মিথ্যা? ‘অনন্ত’ অথবা ‘অসীম’ শব্দগুচ্ছ আমাদের বৌদ্ধিক বদহজম সংগঠনের জন্যে যথেষ্ঠ, আসুন আমরা এবং আসুন আমি’রা ডানাপ্রাপ্তির জন্যে প্রার্থনায় বসি।
প্রার্থনার উদ্দেশ্য পুরাণের ফ্যাব্রিকেটেড ঈশ্বর হতে পারেন অথবা আমরা হঠাৎ বুদ্ধিমান প্রানী হয়ে বেছে নিতে পারি প্রাকৃতিক নির্বাচন। যদিও এতে বিস্ফোরন ঘটে কেবল অসংখ্য প্রিম্যাচিওর সদ্যজাত মস্তিস্কের মত অর্বাচীনতার।

আমি প্রবল কৌতুকাপন্ন হয়ে পরি। আজ রাস্তায় দেখলাম অসংখ্য রাজনৈতিক পোস্টার। আরও দেখলাম শুন্য ভরের অসংখ্য করোটি। আমি এসব এড়িয়ে যেতে পারি যদি কেবল উর্ধাকাশের ডানা গজিয়ে পরে পিঠের পাশে। উর্ধ্ব থেকে ফুটন্ত গোলাপ আর নর্দমার ব্যাঙ্গাচির কিইবা পার্থক্য থাকতে পারে?

৯৬৯ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “দিনলিপি-৩ : ডানার জন্যে প্রার্থনা আর বেহেশতী মিথ্যা সুখের স্বপ্ন”

  1. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    ইদানীং অনেক টেনশনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছো মনে হয়। I love all that you have to say. চালিয়ে যাও তোমার দিনলিপি। বাই দ্যা ওয়েই- তোমার ইশ্বরচিন্তা বর্জন করেছো নাকি? ওটাও চালিয়ে যেতে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।