খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (দ্বিতীয় কিস্তি)

১।

আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন জেসমিন আপা (নামটা বদলে দিলাম)।

জেসমিন আপারা ছিলেন সাত বোন দুই ভাই। একদম আমাদের লাগোয়া বাসা। জেসমিন আপা সবার ছোট, তাদের নয় ভাই-বোন এর মধ্যে। একটু ডানপিটে আর গেছো টাইপ ছিলেন উনি, আমাদের গলিতে অনবরত সাইকেল চালাতেন। বাবাই বলেছিলেন উনাকে, আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দিতে।

আমাদের সাইকেলটা ছিল পুরোনো আমলের, ব্রান্ড যতদূর মনে পড়ে রয়েল বা র‌্যালে জাতীয় একটা নাম। তখন সাইকেল ব্রান্ড হিসাবে ফিনিক্স (আমরা বলতাম ফনিক্স) বেশ চলছে। সাইজে একটু ছোট, চালিয়ে আরাম। সেই তুলনায় আমাদের সাইকেলটা বেশ উঁচুই বলা চলে। সীটে বসে বসে দুই পায়ে প্যাডেল দেয়া যায় না। নিতম্ব নামিয়ে দিতে হয় অনেকখানি প্যাডেলে পা দেয়ার জন্য। দূর থেকে দেখলে একটা হাস্যকর দৃশ্য, প্রানান্ত চেষ্টায় এক বালক সাইকেল চালাচ্ছে, কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে, আবার ব্যালান্সও রাখতে হচ্ছে।

জেসমিন আপা আমাকে সাইকেল চালানো শিখাতে গিয়ে নতুন এক টেকনিক ধরলেন। “হাফ-প্যাডেল” ”। সাইকেলের ত্রিভূজাকৃতি “বডির” ভিতর দিয়ে এক পা ঢুকিয়ে দিতে বললেন বডির অন্যদিকে। এর পর বাম হাতে হ্যান্ডেল আর ডান হাতে “বডি ফ্রেমের” উপরের রডটি চেপে ধরে প্যাডেল মারতে বললেন। আধা-ঘন্টায় আমি “হাফ-প্যাডেল” দিয়ে সাইকেল চালানো শিখে গেলাম। আর সীটের উপরে বসে সাইকেল চালানো শিখলাম বড় অদ্ভুত ভাবে। হাফ-প্যাডেল শেখার প্রায় মাস পাচ-ছয় পরে। এর মাঝে বাবাকে জানানো হয়েছে আমি সাইকেল চালানো শিখে গিয়েছি। একদিন সকাল বেলা বাবা আমাকে বললেন জামাল ভাইকে ডেকে আনতে। জামাল ভাইয়ের বাসা ছিল আমাদের বাসা থেকে প্রায় মাইল ছয়েক দূরে, শহরের বাইরে। বাশ দিয়ে কোন কাজ করার দরকার হলেই বাবা তাকে ডেকে আনতেন। হাফ-প্যাডেল দিয়ে টুকটাক চালানো যায়, ছয় মাইল যাওয়া আসা করা যায় না। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, আজকে সীটে বসেই চালাবো, নতুবা সাইকেল ছোঁবই না। ইজ্জত বলে একটা কথা আছে না। একটা গাছ ধরে উঠে বসলাম সাইকেলের সীটে। এরপর চালানো শুরু করলাম। ভাল ভালই পৌছলাম জামাল ভাইয়ের বাসায়, গিয়ে একটা সুপারী গাছ ধরে সাইকেল থামালাম, নামলাম না সীট থেকে, জামাল ভাইয়ের সংগে কথা বলে সাইকেল ঘুরিয়ে রওয়ানা দিলাম বাসার দিকে। আসার সময় ঘটল বিপত্তি। সাইকেলের সামনে পড়ল পাঁতি-হাসের একটা দল, তাদের বাঁচাতে আমি সাইকেল সহ সোজা নেমে গেলাম রাস্তার পাশের জমিতে, ধপ্পাস, বর্ষার সময় ছিল, কাদামাটি লেগে একাকার।

২।

পাড়া-মহল্লা হিসাবে কামাল-কাছনা বেশ বড়ই। অনেক গুলো গলি, আর প্রায় প্রতিটি গলিতে একটা করে ক্লাব। আমরা যে গলিতে থাকি সেই গলির ক্লাবের নাম “কামাল-কাছনা বয়েজ ক্লাব” । এই ক্লাবের একটা নিজস্ব খেলার মাঠ ছিল। ছিল বলছি, কারন এখন নেই। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় সেই মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগীতার অনুষ্টান হত। আরও একটা ক্লাবের নিজস্ব মাঠ ছিল, “গুঞ্জন সংঘ” । এরা খুব ভালো ছিল শরীর চর্চায়। বিজয় দিবসে ষ্টেডিয়ামে যে কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতা হত, সেখানে গুঞ্জন সংঘ প্রায়ই পুরুষ্কার পেত। ধন্যাঢ শিল্পপতী গোলাম মোস্তফা ছিলেন এই ক্লাবের পৃষ্টপোষক।

আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাইয়ের কেউ অবশ্য এই দুই ক্লাবের নিয়মিত সদস্য ছিলাম না। বড় ভাই যেত একটু দূরের “লিটল ফ্লাওয়ার ক্রিকেট ক্লাবে” এর মাঠে । এদেরও একটা মাঠ ছিল, তবে সেটা আসলে বাসার সামনে একটু খানি খেলার জায়গা, যার চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেয়া। তবে তারা ছিল পাড়ার অভিজাত ক্লাব। ক্রিকেট খেলার যাবতীয় সরঞ্জাম ছিল এদের। রংপুরের প্রয়াত ক্রিকেট সংগঠক বজু উকিল ছিলেন এই ক্লাবের পৃষ্টপোষক। ক্লাব চালাত মূলত তার সন্তানেরা। এর মধ্যে মাসুক পরে ভর্তি হয় বিকেএসপিতে। রংপুরে কামাল-কাছনার ক্রিকেটের যে সুনাম তার অনেকখানি বজু উকিল আর লিটল ফ্লাওয়ার এর জন্য।

এগুলোর কোনটাই আমার ক্লাব না। আমার ক্লাব ছিল “গোল্ডেন ষ্টার ক্লাব”” । পাড়ার মধ্যে আমরাই সবচেয়ে গরীব ছিলাম। নিজেরা চাঁদা দিয়ে একটা পাচ-নম্বর ফুটবল কিনেছিলাম। ক্রিকেট ব্যাট কিনেছিলাম জি-এল রায় রোডে দড়ি দিয়ে রিকসা-মোটর সাইকেল আর সাইকেল আটকিয়ে, তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে। এক মোটর সাইকেল আরোহী আমাদের দুঃখের কথা শুনে ৫০ টাকা চাঁদা দিয়েছিল। কি খুশী হয়েছিলাম ছিলাম সেদিন! এভাবে ৪৯৫ টাকা উঠেছিল আমাদের, যা দিয়ে একটা দামী ক্রিকেট ব্যাট কিনেছিলাম। একটা কাটা ভর্তি মাঠও ছিল আমাদের। সেটাকে অনেক কষ্টে নিজেরাই কামলা দিয়ে দিয়ে খেলার উপযোগী করতাম প্রায়ই। কিন্তু সে মাঠে কখোনই মনের মত করে খেলতে পারিনি। কারন মাঠ পরিস্কার করার কদিন পড়েই মাঠের মালিক সেখানে রসুন পুতে দিতেন। পর পর তিন বছর একই রকম ঘটনা হওয়ায় আমরা আর সেই মাঠ পরিস্কার মিশনে নামিনি।

আমাদের ক্লাব গরীব হলে কি হবে, প্রায়ই ম্যাচ খেলতাম লিটল ফ্লাওয়ারের সাথে, যদিও কখনো জিতেছি বলে মনে পড়ে না। আমি অবশ্য ফুটবল খেলার সময় বয়েজ ক্লাবের মাঠে চলে যেতাম। ভালো খেলতাম বলেই কিনা জানিনা, তারা আমাকে তাদের ক্লাবের মেম্বার মনে করত। ঘরের ছেলের মত ব্যবহার করত।

৮৫ অথবা ৮৪ তে ঢাকায় হকির বড় একটা আসর হল। তখন হকি ঘাসের মাঠে খেলা হত। টার্ফ আসেনি। ভারত আর পাকিস্থান ছিল ঘাসের মাঠে বিশ্বসেরা টিম। বাংলাদেশ দূর্দান্ত খেললো সে আসরে, পাকিস্থান কে আটকিয়ে দিল। জুম্মান লুসাই পাকিস্থানের গোল-কীপারকে একা পেয়েও গোল মিস করল কিভাবে যেন। সেটা নিয়ে আমাদের কি আফসোস, আর সেকি উন্মাদনা হকি নিয়ে। একটা মাথা বাঁকা লাঠি কোন রকমে যোগার করে মাঠে-ময়দানে হকি খেলে বেড়াতে লাগলাম দল বেঁধে।

৩।

রোজার ঈদের পরে স্কুলে গেলেই একটা কম্পিটিশন হত। কে কতগুলো রোজা রেখেছে তার হিসাব। আমি অবশ্য এই হিসাবে বরাবর পিছনেই থাকতাম। দূর্বল ছিলাম জন্য (বাবা মার ধারনা মত) রোজা রাখতে দিতেন না বাবা। অনেক আবদার আর শপথ নামা পাঠ করতে হত এক-একটি রোজা রাখার জন্য। তবে প্রতি রমজানের ১৩ তারিখ আমাদের জন্য রোজা রাখার দরজা ছিল উন্মুক্ত। কারন ১৩ই রমজান দাদার মৃত্যু বার্ষিকী। সেহেরী খাওয়ার জন্য রাতে উঠা, আজান দেয়ার আগে খাওয়া শেষ করা, ইফতার নিয়ে বসে থাকা, আজানের আগে খাওয়া যাবে না, নিজেকে বেশ বড় আর গম্ভীর গম্ভীর লাগত সেদিন। বন্ধুরা খেলতে ডাকলে বেশ ভাবের সংগেই বলতাম রোজা রাখার কথা। সেদিন ইফতারীর আয়োজনও হত রাজকীয়।

মজার এক ঘটনা ঘটলো এই ১৩ই রমজানের রোজা নিয়ে।

গুঞ্জনের মাঠে, ক্লাস সেভেনের নীচে পড়া ছেলেদের নিয়ে প্রতি রমজানে একটা ফুটবল কম্পিটিশন হত। ছয়টার মত টিম করে ইউরোপের বড় বড় বিভিন্ন ক্লাবের নামে নাম দিয়ে লীগ ভিত্তিতে খেলা, এর পর সেরা চারটা টিম নিয়ে সেমিফাইনাল আর ফাইনাল। দারুন উত্তেজনা হত খেলায়, পুরো কামাল কাছনার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট ছিল এটা। শুধু ইউরোপের টিমের নামেই যে নাম হত তাই নয়, জার্সিও চেষ্টা করা হত তাদের কাছাকাছি রাখার। আমার অবশ্য খেলা হত না, কারন আমি গুঞ্জনের মাঠে খেলি না, আব্বাও চাইতেন না আমি দূরে গিয়ে খেলি। কোন এক ১৩ই রমজানে আমি খেলা দেখতে গিয়েছি মাঠে, লিভারপুল টিমের একজন প্লেয়ার শর্ট, কেউ একজন বলল, আমি ভাল খেলি এবং কোন টিমে নাই এবারে, আমাকে জোর করে নামিয়ে দেয়া হল মাঠে। আমি বারবার বললাম, “রোজা আছি, রোজা আছি” । কিন্তু ভাইয়ার সমর্থন নিয়ে নামিয়ে দেয়া হল মাঠে। নামলাম, খেললাম এবং ৯ গোলে হারলো টিম। আমার খেলা নাকি নজর কাড়া, পরের ম্যাচে রোজা রাখা যাবে না, এইসব হাবিজাবি শুনে টলতে টলতে বাসায় আসলাম। ভাইও চুপ, আমিও চুপ। মজার ইফতারী খেলাম পেট ভড়ে, এবং ঘন্টার কাটা ঘুরার আগেই আয়োজন করে সব বমি করে দিলাম। বাবার ধমক মারে পরিনত হবার আগেই ভাইয়া অথবা আমি নিজেই বলে দিলাম বিকালের এডভেঞ্চার এর কথা। ফলাফল হল ভয়াবহ। বাবা দুদিন পড়েই গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন আমাকে, খেলা থেকে অনেক দূরে।

পরের বছর খেলেছিলাম। প্রথম এবং শেষ সেই লীগে খেলা আমার। এবারে টিমের নাম ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তৃতীয় হয়েছিলাম। এরপর ক্যাডেটে চলে আসি। আর লীগে খেলা হয়নি। তবে গুঞ্জনে সবচেয়ে বেশি খেলেছি ইন্টারের পরে।

৪।

শুনেছি আমার জন্মের পর থেকেই শাহনাজ আপা (জেসমিন আপার সেজদি) আমাকে দখল করে নিয়ে ছিলেন। আমার যাবতীয় কাজ সময় সুযোগ পেলে তিনিই করে দিতেন। বেড়াতে গেলে সংগে নিয়ে যেতেন। কেউ আমার পরিচয় জানতে চাইলে গম্ভীর মুখে বলে দিতেন “আমার বর” ”।

পরে যখন বড় হলাম, তখন দুই পরিবারের সবাই মোটামুটি জেনে গেল আমি “শাহনাজ আপার বর”” । এমনো হত মাঝে মাঝে, আমি নিজেই নিজেকে শাহনাজ আপার বর হিসাবে নিজের পরিচয় দিচ্ছি। নতুন লোক শুনলে মাঝে মাঝে জানতে চাইত, “আপা বলে ডাকছো, আবার তুমি বলছো তুমি ওর বর, এটা কিভাবে সম্ভব”?

আমি অবাক হয়ে যেতাম, ভাবতাম, কি বোকা লোক এইটা, আমি শাহনাজ আপার বর সে এটা বিশ্বাস করে না।

৪,১৫৩ বার দেখা হয়েছে

৯৩ টি মন্তব্য : “খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (দ্বিতীয় কিস্তি)”

  1. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আইসিসি ফুটবলের প্রিপারেশনের সময় গুঞ্জন ক্লাবের সাথে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম ৫টা। যতদূর মনে পড়ে প্রথম দুইটা হার, ৩নম্বরটা ড্র আর শেষ দুইটা জয় পেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা একতা দুই নম্বরী করছিলো- আমাদের কইতো যে ওরা গুঞ্জন ক্লাব, কিন্তু আসলে পুরা রংপুর শহরের সব ক্লাব থেকে ভালো খেলোয়াড়দের নিয়ে আসতো :grr: ।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      দূর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই সময় আমি রংপুরে ছিলাম না, থাকলে হয়ত খেলতে যেতাম গুঞ্জনের হয়ে। তারা আমাকে বলেছিল এটা যে, তারা ক্যাডেটে খেলতে গিয়েছিল।

      গুঞ্জনে রংপুর জেলা টিমের যতদূর মনে পড়ে দুই জন ছিল, জেলা টিমের খেলোয়াড়রা আবার একটা নিয়ম মানত, টিমের কোন প্লেয়ার যদি তার নিজের পাড়ার হয়ে খেলার জন্য ডাকত সব চলে আসত। বিনিময়ে সে যখন ডাকত তখন এরা আবার যেত। মোটামুটি এই রকম একটা নিয়ম তারা মেনে চলত।

      পুরো রংপুরের ভালো খেলোয়ার নিয়ে গিয়ে মনে উপকারই করেছিল তোমাদের, প্র্যাক্টিস ম্যাচ ভালো হয়েছিল।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  2. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    দারুন লেখা বস ......
    আমার এমন কোন শাহনাজ আপু ছিলোনা কখনই। 🙁 🙁 🙁 তবে যখন একটু বড় হয়েছি, তখন একজন বলেছিলো, আমি যখন বড় হয়ে যাবো, তখন তোমাকে বিয়ে করব...... :(( :((

    জবাব দিন
  3. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ভাইয়া আপনি একটা জীবন্ত গল্পের ঝুলি। কিছু বলবার ভাষা নাই। সেইরকম ভাল লাগল লেখাটা। মনে হইল এই লেখার সাথে সাথে রংপুরের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে আসলাম।

    জবাব দিন
  4. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    "কামাল কাছনা" নামটা কেমন যেন পরিচিত মনে হচ্ছিল প্রথম থেকেই। এখন মনে পড়েছে রংপুর জেলার ভোটার আইডি ও জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরীর কাজে আমার দায়িত্বপূর্ন এলাকার মধ্যে "কামাল কাছনাও" ছিল।

    লেখাটা :just: অসাধারন হয়েছে.........।। :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
  5. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    চমৎকার স্মৃতিচারণ। ভালো লাগলো ফয়েজ।

    এইবার বড় বয়সের মানে, এখনকার কি জানি সব নতুন নতুন গল্প হইতাছে পড়াশুনার নামে, সেগুলা ছাড়ো দেখি!! :grr: :grr: :grr:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    শাহনাজ আপার মেয়ে নাই কোন আমার বয়সী ? 😉 থাকলে আমিও বর-বউ খেল্পো ;;;

    স্মৃতিচারণ ভালো হয়েছে , তবে এই পর্বটা আগের পর্বগুলির চেয়ে ঢিলেঢালা হয়েছে একটু। আরো টাইট লেখা চাই 😀


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  7. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    আপনার লেখায় মাঝে মাঝেই বলি, আমার সাথে অনেক কিছু মিলে যায় ...

    আজকে সুবেহসাদিকের সময় আমারও এক শাহনাজ আপাকে স্বপ্নে দেখলাম। আপার এখনও অন্যকোন বর হয়নি, দেখি হবার আগেই একদিন দেখা করতে হবে 🙂

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়েজ (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।